Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রতারিত উম্মাহ ও মুক্তির উপায়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রতারিত উম্মাহ ও মুক্তির উপায়

    বাংলাদেশ নতুন এক দিগন্তে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এক বলয় থেকে অন্য বলয়ের অধীনে চলে যাচ্ছে। আঞ্চলিক শেয়ালের কবল থেকে ছাড়া পেয়ে আন্তর্জাতিক হায়েনার মুখে পড়তে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সহজ-সরল মুসলিমরা এ তিক্ত বাস্তবতা আজ না বুঝলেও কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বুঝে যাবে। কিন্তু তখন বুঝলেও আর কিছু করার থাকবে না। এ দেশের মুসলিমদের নিয়ে বড় দুঃখ হয়! কারণ, তাঁদের রক্ত অনেক সস্তা। নামমাত্র মূল্যে তাদের জীবন কেনা যায়। তাদের রক্তের ওপর দিয়ে কেউ পায় ক্ষমতা, কেউ পায় নেতৃত্ব, কেউ পায় অর্থবিত্ত, আর কেউবা পায় মর্যাদা-খ্যাতি। কিন্তু হতভাগা জনগণের ভাগ্যে জোটে কেবল মিথ্যা সান্ত্বনা আর শূন্য ঝুলি।

    এ ভূখণ্ডের জনগণ অনেক ধোঁকা খেয়েছে, তবুও তাদের হুঁশ ফেরে না। যখন তাদেরকে মাঠে নামানো হয়, তখন শ্লোগান দেওয়া ইসলামের নামে, উজ্জীবিত করা হয় ঈমানের বলে এবং মাঠে-ময়দানে ব্যবহার করা হয় শারয়ি পরিভাষা, কিন্তু যুদ্ধ শেষে সে ইসলাম, ঈমান আর শারিয়া-ই হয় উপেক্ষিত। দ্বীন বিজয়ের কথা কেউ বললেই সে হয়ে যায় উগ্রবাদী। কিন্তু যে ইসলামের নামে এতকিছু হলো, সে ইসলামকেই পদদলিত করে জনগণের রক্ত-বিধৌত জমিনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা হয়, সমকামিতার মতো জঘন্য এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নেওয়া হয় এবং ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের দমিয়ে রাখার জন্য সকল ফৌজ-শক্তি ব্যবহার করা হয়।

    আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে আমাদের দেশের রাজনীতিতে পার্শ্ববর্তী দেশের হস্তক্ষেপ ও দৌরাত্ম্য ছিল ওপেন সিক্রেট। দেশীয় রাজনীতিতে তাদের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে, ক্ষমতাসীনরা তাদের ওপর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপ উপেক্ষা করতে পারত। কিন্তু আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাহ্যত তাদের থেকে কিছুটা মুক্তি মিললেও সমস্যা তৈরি হয়েছে আরও বড় আকারে। বলা যায়, এবার আমরা আঞ্চলিক সমস্যা থেকে পুরোপুরিভাবে মুক্তি পাওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক সমস্যায় আক্রান্ত হলাম। হিন্দুত্ববাদের ফিতনা মোকাবেলা করার মতো শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান মোটামুটি পর্যায়ে অনেকের থাকলেও আন্তর্জাতিক ফিতনার প্রতিরোধটা বেশ কঠিনই হবে।

    আমেরিকার বলয়ে যাওয়ার পর আমাদের এ ভূখণ্ডে মদিনার ইসলামের পরিবর্তে লালনীয়, নদীময় ও মডারেট ইসলামের প্রচার, সমকামিতা ও লিভ টুগেদারের প্রসার, ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বোরকা ও দাড়ি-টুপির বিরোধিতা, ইসলামপন্থীদের মধ্যে বিভেদ জিইয়ে কোনঠাসা করার চক্রান্ত, শারিয়া প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টাদের উগ্রবাদী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চলছে। তাই যারা ইসলামকে পছন্দ করে এবং দ্বীনকে আল্লাহর জমিনে বিজয়ী দেখতে চায়, এ মুহূর্তে তাদের এ উপলব্ধি খুবই জরুরি যে, নিজেদের শাখাগত সকল বিভেদ ভুলে এক প্লাটফর্মে দাঁড়াতে হবে। এতে যত দেরি ও গড়িমসি করা হবে, বিপদ আমাদের ঘাড়ে তত বেশি চেপে বসবে।

    জানা নেই, বাঙলার মুসলিমদের ভাগ্যে কী লেখা আছে! জানি না, আর কতদিন তারা মুক্তির লক্ষ্যে গণতন্ত্র নামক ধূসর মরীচিকার পিছনে ছুটবে! বলতে পারি না, ভয়ংকর এ গোলকধাঁধাঁ থেকে বের হয়ে কবে তারা রবের পথে ফিরবে! তারা কবে জানবে যে, তাদের মুক্তি কেবল ইসলামের মধ্যেই নিহিত? বস্তুত ইসলাম ছাড়া তারা কোনোদিনই মুক্তি পাবে না। তাই মুক্তি পেতে হলে কুফরের অন্ধকার গলি ছেড়ে দ্রুতই ফিরতে হবে নববি মানহাজের আলোকিত পথে। ঈমান ও কুফরের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। সত্য ও মিথ্যার সংঘাত অনিবার্য। তাই ইসলামকে বিজয়ী দেখতে চাইলে আমাদের এ সংঘাতের মুখোমুখী হতেই হবে—আজ অথবা কাল। দেখার বিষয়, আমি কতটুকু প্রস্তুত।

    ( গুরাবা আলেম ও দায়ী )



  • #2
    আল্লাহ তাআলা আমাদের এই ফিতনা মোকাবেলা করার শক্তি হিম্মত ও জ্ঞান দান করুন, আমিন

    জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই।

    Comment

    Working...
    X