Announcement

Collapse
No announcement yet.

জামাত-শিবিরের সাথে কাজ করা যাবে?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জামাত-শিবিরের সাথে কাজ করা যাবে?

    আমাদের ফোরামে এক ভাইয়ের পোষ্ট দেখে শিবিরের সাথে আছি ।তাদের কৌশল সংশয় লাগে। তারা ফোনে সব বলে,নাম,ঠিকানা সব কিছু এলাকা লিখে রাথে ইত্যাদি.......................
    করণীয় কি হতে পারে সম্মানিত ভাই।
    আল্লাহর কসম করে বলছি। আমরা কখনো সংখ্যা,শক্তি ও আমাদের আধিক্যের উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করি না।বরং আমরা এই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করি,দ্বীনকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করি।সুতরাং তোমরা যার জন্য বের হয়েছ তাঁর দিকেই ধাবিত হও।আল্লাহ তা'লা তোমাদের সাথে দুটি কল্যাণের মধ্যে থেকে যেকোন একটির ওয়াদা করেছেন;হয়তো বিজয় নয়তো শাহাদাহ।

  • #2
    আমাদের ফোরামে এক ভাইয়ের পোষ্ট দেখে শিবিরের সাথে আছি ।
    কোন পোস্ট? নাম বলুন বা লিঙ্ক দিন।
    আর আপনার প্রশ্নটি আরো সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      এখন কি শিবির ত্যাগ করব ভাই?

      অনেক আগের পোষ্ট।
      আল্লাহর কসম করে বলছি। আমরা কখনো সংখ্যা,শক্তি ও আমাদের আধিক্যের উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করি না।বরং আমরা এই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করি,দ্বীনকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করি।সুতরাং তোমরা যার জন্য বের হয়েছ তাঁর দিকেই ধাবিত হও।আল্লাহ তা'লা তোমাদের সাথে দুটি কল্যাণের মধ্যে থেকে যেকোন একটির ওয়াদা করেছেন;হয়তো বিজয় নয়তো শাহাদাহ।

      Comment


      • #4
        Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
        কোন পোস্ট? নাম বলুন বা লিঙ্ক দিন।
        আর আপনার প্রশ্নটি আরো সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন।
        এমন ছিল পোষ্টটা.............
        প্রশ্ন-১: আমাদের এলাকায় জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের কিছু ভাই আছেন। তারা মনে করেন তারাও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যতদূর আমি জানি তারা সঠিকপথে কাজ করছেন না। তাদেরকে আমি কি বলে দাওয়াহ দিবো?

        উত্তরঃ

        ওয়ালাইকুম আস্*সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।

        ইন্নাল হামদা লিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ।

        এই সাইটের ব্যাপারে ভালো মন্তব্য করার জন্য আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যার নিয়ামতে সমস্ত ভাল কাজ সংঘটিত হয়ে থাকে। দোয়া করবেন যেন আল্লাহর দিকে আহবানের ক্ষেত্রে এই সাইট যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।

        জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ব্যাপারে কিছু বলার আগে আমরা একটি কথা পরিষ্কার করে নিতে চাই। তা হলোঃ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভংগী।

        প্রথমতঃ মানবরচিত বিভিন্ন মতবাদের ধ্বজাধারী দলসমূহ যেমনঃ আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি ইত্যাদি যারা আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করছে এবং এটাই তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এরা নিকৃষ্ট শিরক ও কুফরে লিপ্ত। এরা কুফরের দল। এদের নেতৃবৃন্দ হচ্ছে তাগুত।

        দ্বিতীয়তঃ ইসলামী রাজনৈতিক দলসমূহ যারা ইসলামী রাস্ট্র / খিলাফত প্রতিষ্টা করতে চায়। এইসব দলসমূহের মূল লক্ষ্য হলোঃ দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করা কিন্তু তারা কিছু কিছু ভুল-ভ্রান্তিতে লিপ্ত। এমনকি তাদের কোন কোন ভুল শিরক-কুফর পর্যন্ত পৌঁছেছে। আল্লাহ যেন তাদেরকে সঠিক পথের দিশা দেন।

        জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে আমাদের কথা হলোঃ আমরা তাদের সম্বন্ধে এটা বলি না যে, তারা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করছেন কিংবা তারা দ্বীনকে শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার একটা উসিলা হিসেবে ব্যবহার করছেন। বরং আমরা মনে করি, তারা আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য, বাংলাদেশকে ইসলামী রাস্ট্রে পরিবর্তন করার নিয়্যতে কাজ করছেন। পাশাপাশি আমরা তাদের যেসব ভালো কাজ আছে সেগুলিও স্বীকার করি। যেমনঃ তাদের সহচর্যে থেকে অনেকে আল-কোরআন ও হাদিসের বাংলা অনুবাদ পড়ছেন। অনেকে নামাজ, রোযা করছেন ইত্যাদি।

        কিন্তু সত্যকে সত্য হিসেবে আর মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে তুলে ধরতে আমরা বাধ্য, তা না হলে ইলম গোপন করার অপরাধে আমরা কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে অপরাধী হয়ে যাবো। এছাড়াও তাদের প্রতি সত্যিকার কল্যাণকামিতা হলো তারা যেসব ক্ষেত্রে আল-কোরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী আচরণ করছেন, সেসব ক্ষেত্রে তাদের ভুলগুলি ধরিয়ে দেয়া। আর এটাই আয়না হিসেবে এক মুসলমান আরেক মুসলমানের জন্য করার কথা। তাছাড়া যেসব কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী আচরণ তারা প্রকাশ্যে করছেন, সেসব আচরণ প্রকাশ্যে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়াই ইসলামের দাবী। যেভাবে ভুল নামাজ আদায়কারীকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেনঃ

        ارجع فصل فإنك لم تصل

        “ফিরে যাও, তারপর (আবার) নামাজ পড়ো, কারণ তুমি নামাজ পড়ো নি”। (সুনান আবু দাউদ, শুয়াবুল ঈমান, মুসনাদে আহমাদ)

        এখানে নামাজের বিরোধিতা উদ্দেশ্য নয় বরং নামাজকে যাতে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেটাই ছিলো উদ্দেশ্য। অনুরুপভাবে, আমাদের উদ্দেশ্য দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা নয়, বরং যাতে সঠিক পথে দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টা করা হয়, সেই দিকে মনযোগ আকর্ষণ করা।

        আমরা আল্লাহকে এই ব্যাপারে সাক্ষী রেখে বলছি যে, তাদের ইসলাহ ও কল্যাণ ছাড়া আমরা আর কিছু চাই না, আমরা চাই তারা যেন পরিপূর্ণ কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে দ্বীনকে বিজয়ী করার কাজ করেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর পছন্দনীয় পথে এবং ইসলামী শারীয়াতের গন্ডির ভিতরে থেকে দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করার কাজ করার তৌফিক দান করুন।

        তাদের যে সব কাজ আমাদের কাছে আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী মনে হয়েছে, তার মাত্র তিনটি আমরা নীচে তুলে ধরছিঃ

        ক) প্রথমত: জামায়াত ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পশ্চিমাদের থেকে ধার করা কুফরী গণতন্ত্রকে দ্বীন ক্বায়েমের পদ্ধতি হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যে গনতন্ত্রের মাধ্যমে এম.পি বা সংসদ সদস্যদের আল-কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়নের অধিকার দেয়া হয় যা সুষ্পষ্ট শিরক এবং কুফর। কারণ আল্লাহতায়ালাই একমাত্র আইন-বিধানদাতা। ভাল নিয়্যতে কোন কুফরী পথ অবলম্বন করলে তা জায়েয হয়ে যায় না বা এর গুনাহ থেকেও অব্যাহতি পাওয়া যায় না।

        তারা এদেশের কুফর-শিরকের মিলনস্থান জাতীয় সংসদের সদস্যপদ গ্রহণ করে আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়নে শরীক থেকেছেন যা একটি বড় কুফরী যা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এই ‘শিরকের আখড়া’ – সংসদ ভবনে সদস্যপদ নেয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক কাজে বড় শিরক ও বড় কুফর রয়েছেঃ

        যেমনঃ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবার সময় এই দেশের কুফরী সংবিধানকে সম্মান ও মান্য করার শপথ নিতে হয়।

        THIRD SCHEDULE; [Article 148]; OATHS AND AFFIRMATIONS

        “I, ……………………….., having been elected a member of Parliament do solemnly swear (or affirm) that I will faithfully discharge the duties upon which I am about to enter according to law: That I will bear true faith and allegiance to Bangladesh: And that I will not allow my personal interest to influence the discharge of my duties as a member of Parliament.



        অর্থঃ “আমি, ………, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শপথ করছি যে, আমার উপর আইনের মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্বসমূহ বিশ্বস্থতার সাথে পালন করিবো, আমি বাংলাদেশের প্রতি সত্যিকার বিশ্বাস ও অনুগত্য পোষণ করিবো, আমি আমার ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সংসদ সদস্য হিসেবে আমার উপর অর্পিত কর্তব্যকে প্রভাবিত করবো না”।

        এই শপথে দেখা যাচ্ছে যে, এদেশে প্রচলিত ব্রিটিশ-কুফরী আইন অনুযায়ী সকল দায়িত্ব পালন করার শপথ নেয়া হচ্ছে। আর সেই দায়িত্বের মধ্যে আছেঃ সংসদে বসে সবাই মিলে আইন রচনা করা। আর এই কুফরী সংবিধান অনুযায়ী সেটা যে কোন আইন হতে পারে, আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধীও হতে পারে। বরং এই কুফরী সংবিধানের ৭(২) ধারায় বলা আছেঃ

        “জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।”

        অর্থাৎ এই সংবিধান অনুযায়ী আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেয়া আইনও বাতিল হয়ে যাবে, যদি তা এই সংবিধান বিরোধী হয়। এর চেয়ে বড় কুফরী-শিরকী কথা আর কি হতে পারে!!! আর এটা সুস্পষ্ট যে, কেউ যদি কোন কুফরী আইনকে সম্মান করার ও মান্য করার শপথ নেয়, সেটাও একটা কুফরী কাজ।

        এছাড়াও এই কুফরী সংসদে যে সব আইন প্রণয়ণ হয়, সে সবে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের এমপিরা শরীক থাকেন না বরং বিরোধিতা করেন বলে দাবী করলেও বাস্তবে তারা একটি কুফর সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ “সংসদ” এর অংশ হয়ে পুরো সিস্টেমকে সমর্থন করছেন। কারণ একটি দেশের সরকারের মূলত তিনটি অংশঃ সংসদ (Legislative) , প্রশাসন (Executive) ও বিচার বিভাগ (Judiciary)। তারা এই সংসদের সদস্য হয়ে পূর্ব থেকে চলে আসা কুফরী-শিরকী আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সাহায্য করছেন। এই সেই সংসদ যারা আগের সংসদ সমূহের মাধ্যমে চলে আসা শিরক ও কুফরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে। আর এই সংসদের সদস্য হওয়া মানে আগের রচিত সমস্ত শিরক-কুফরী আইনের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়া। কারণ যদি এই সংসদ না থাকে, তাহলে দেশে তাদের কথা অনুযায়ী ‘সাংবিধানিক শূন্যতা’ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ তাদের এই শিরক-কুফরী আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষার করার জন্য এই সংসদও জরুরী। আর অন্যান্য কুফরী দলের সাথে যোগ দিয়ে সেই জরুরী কাজটাই আঞ্জাম দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী দলের এমপিবৃন্দ। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়াত দান করুন।

        এছাড়াও তারা বিভিন্ন পার্লামেন্টারী কমিটির সদস্য হয়েছেন, যেগুলো পরিচালিত হয় সেই কুফরী ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী। একজন ঈমানদার, আখিরাতে বিশ্বাসী মুসলমান যা কখনো মেনে নিতে পারে না।

        খ) জামায়াত ইসলামী এর নেতৃবৃন্দ মুরতাদ সরকারের দুইটি মন্ত্রণালয় মানব-রচিত কুফরী আইন অনুযায়ী পরিচালনা করেছেন, যা একটি বড় কুফর – যা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আর এই ব্যাপারে আয়াত তারা নিজেরা তাদের কর্মী, সাথী, রোকনদেরকে মুখস্থ করিয়ে থাকেন। আল্লাহ বলেছেনঃ

        إِنَّا أَنزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُواْ لِلَّذِينَ هَادُواْ وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالأَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُواْ مِن كِتَابِ اللّهِ وَكَانُواْ عَلَيْهِ شُهَدَاء فَلاَ تَخْشَوُاْ النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلاَ تَشْتَرُواْ بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلاً وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ

        আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের। (সূরা আল মায়েদা, আয়াতঃ ৪৪)

        আর জামায়াতে ইসলামীর এই নেতৃবৃন্দ সমাজ-কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় কিংবা কৃষি মন্ত্রণালয় তো ইসলামী শরীয়াহ আইন অনুযায়ী পরিচালনা করেন নি। বরং তারা তা পরিচালনা করেছেন মানব-রচিত কুফরী-ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী।

        শিল্প মন্ত্রনণালয়ের অধীন শিল্প ব্যাংক তখনো সুদের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে, অর্থাৎ এই মন্ত্রী আল্লাহর সাথে যুদ্ধে এই মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

        সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত হয়েছে কুফরী আইনে, সেখানে বিভিন্ন এনজিওকে শিরক-কুফর-ফাহেশা ছড়িয়ে দেয়ার অবকাশ দেয়া হয়েছে, লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সেখানে শত শত এনজিওকে সুদ ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি সহ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। আর এসব হয়েছে সমাজ-কল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্বে, তার নিয়ন্ত্রণে।

        এসবই পরিস্কার কুফর। কারণ এটাই হচ্ছে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তা ছাড়া অন্য কোন বিরোধী আইনে বিচার-ফায়সালার বাস্তব দৃষ্টান্ত। হাফিজ ইবনে কাসীর (রঃ) তাঁর তাফসীরে সূরা আল মায়িদাহ এর ৫০ নম্বর আয়াতের তাফসীতে বলেছেনঃ

        “আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সেই সব লোকদের ইনকার করেছেন যারা সেই শরীআহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়; যা মানুষের জন্য উপকারী; যা মন্দকে নিষেধ করে। আল্লাহ সেই সব লোকদের প্রত্যাখ্যান করেছেন যারা নিজের প্রবৃত্তির অনুসরন করে যারা কুফরের আইনকে গ্রহণ করে যেমন তাতারদের আইন যা তাদের রাজা চেংগিস খানের অধীনে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ঐসব আইনগুলো ছিল ইহুদী, খ্রীষ্টান এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুযায়ী রাজাদের তৈরি করা আইনের মিশ্রন। আমরা কি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আইনের পরিবর্তে ঐসব আইনগুলোকে প্রাধান্য দিব? যে এই কাজটি করে সে কাফের এবং তাকে হত্যা করা ওয়াজিব!” – তাফসীর ইবনে কাসীর।

        আল্লাহ জামায়তে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দল যারা সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তাদেরকে যেন হেদায়েত দান করেন।

        গ) জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের অগণিত কর্মী বিগত নির্বাচনসমূহে জোটবদ্ধ নির্বাচনের দোহাই দিয়ে অধিকাংশ আসনে বিএনপির জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোট প্রার্থনা করেছেন, যা একটি বড় কুফরী যা একজনকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

        এটা জানা কথা যে বিএনপি / আওয়ামীলীগের আদর্শ হচ্ছে কুফরী আদর্শ – যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এর বিরোধিতার উপর দাঁড়িয়ে আছে। যেমনঃ বিএনপি এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে তাদের দলীয় সংবিধানে বলা আছেঃ

        “(c) To acquire pro-people economic development and national progress based on social justice through politics of production, free market economy and people’s democracy.”

        অর্থঃ “সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও জন-গণতন্ত্রের মাধ্যমে জন সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক উন্নতি ও জাতীয় অগ্রগতি অর্জন”।

        সুত্রঃ bangladeshnationalistparty-bnp.org

        অর্থাৎ, তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও জাতীয় উন্নতি সাধন করতে চায় “মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও জন-গণতন্ত্রের”মাধ্যমে, ইসলামী অর্থনীতি কিংবা ইসলামী শরীয়াহ এর প্রয়োগের মাধ্যমে নয়। আর এটা হচ্ছে সুষ্পষ্ট কুফরী একটি আদর্শ। এখন কেউ যদি সেই বিএনপিকে ভোট প্রদান করার জন্য আহবান করে, সে পরিণামে কুফরের দিকে আহবান করে।

        যদিও জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা মুখে মুখে ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ নামক এক আজব বস্তুর কথা বলেন কিন্তু বাস্তবে পশ্চিমা আবিষ্কৃত কুফর-শিরক মিশ্রিত গণতন্ত্রের মাধ্যমে দ্বীনকে বিজয়ী করার দিবা-স্বপ্ন দেখছেন এবং বিএনপি এর জন্য বাংলাদেশের অধিকাংশ আসনে ভোট চেয়েছেন। এটাই কি তাদের তথাকথিত ‘ইসলামী গণতন্ত্র’? এটাই কি তাদের তথাকথিত ‘হালাল গণতন্ত্র’? এসবের পরও কিভাবে বিবেক সম্পন্ন একজন মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে সাফাই গাইতে পারেন?

        আর এটা জানা কথা যে, নিয়্যত ভালো থাকলেও ইসলামে কোন হারাম কাজ করার অনুমতি নাই। যেমনঃ কেউ চুরি করে সেই টাকা গরীব ও অভাবীদেরকে দান করতে চাইলে সে গুনাহগার হবে। আর কুফরী আইন অনুযায়ী মন্ত্রনালয় পরিচালনা কিংবা কুফরী কোন দলের জন্য মানুষের কাছে ভোট চাওয়াতো বলাই বাহুল্য। এসব কাজ কখনো অযুহাত হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না।

        আবার এসব কাজকে ‘হিকমাহ’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা আরো জঘন্য। কারণ সকল নবী-রাসুল (আঃ) হিকমাহ অবলম্বন করেছেন। আর তাফসীর গ্রথসমূহে ‘হিকমাহ’ শব্দের অর্থ করা হয়েছে ‘সুন্নাহ’। জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলের এসব আল-কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কাজ তথা শিরক-কুফরকে ‘হিকমাহ’ বলার অর্থ হচ্ছে সকল নবী-রাসুল (আঃ) বিভিন্ন সময় শিরক-কুফরীতে লিপ্ত হয়েছেন। নাউজুবিল্লাহ।

        তবে একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি। তাদের মাঝে এসব শিরক-কুফর থাকলেও আমরা তাদের অজ্ঞতা ও তাওয়ীলের (ভুল ব্যাখ্যা) কারণে তাদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে কাফির মনে করিনা। আমাদের উপরুক্ত আলোচনার মানে এটা নয় যে, পুরো জামায়াতে ইসলামীকে আমরা তাকফির করছি।

        আপাতত জামায়াতে ইসলামীর এই ভুলগুলি তুলে ধরলে আশা করি আপনার এলাকায় উল্লেখিত ভাইরা সত্য বুঝতে পারবেন। এই ভাইদেরকে এটা বুঝানো দরকার যে, আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ব্যতীত কোন কিছু কবুল করেন না। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা একটা ভালো কাজ, বরং তা ফরজ। যেহেতু এটা একটা ইবাদত, তাই সেই ইবাদাতের পদ্ধতি স্বয়ং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। এই দ্বীন প্রতিষ্টার নির্দেশ দানকারী এর পদ্ধতির ভিখারী নন, যে তিনি আব্রাহাম লিংকন কিংবা কোন কাফিরের কাছে এর পদ্ধতি ভিক্ষা চাইবেন।

        কিন্তু এই দ্বীনকে বিজয়ী করতে গিয়ে কোন হারাম কিংবা শিরক-কুফরে জড়িত হবার কোন অবকাশ নেই। যে এরকম করবে সে শুধু পরিণামে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর আল্লাহ শুধু ঈমানদারদের জন্য বিজয়ের ওয়াদা করেছেন যারা আমলে সালেহ করবে।

        وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُم فِي الْأَرْضِ

        তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। (সূরা নূর, আয়াতঃ ৫৫)

        কিন্তু যারা শিরক-কুফরীতে লিপ্ত হবে, তারা তো আমলে সালেহ করছে না বরং তারা আজাবের সম্মুখীন হবে। তাই আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টা করতে হবে জিহাদ ও ক্বিতালের মাধ্যমে যা আমরা সংক্ষেপে ‘আমাদের দাওয়াহ’ পাতায় উল্লেখ করেছি। সেখানে আমরা দেখিয়েছি যে, এ ব্যাপারে আলেমদের ইজমা আছে যে, কোন এলাকার শাসকের মাঝে প্রকাশ্য কুফরী দেখা দিলে তাকে অপসারণ করা ফরজ। আর যদি অপসারণ করার সামর্থ না থাকে, তবে সেই সামর্থ অর্জন করা ফরজ। আর সেটা সম্ভব না হলে হিজরত করে সেই এলাকা ত্যাগ করা ফরজ।

        আল্লাহ আমাদেরকে সবাইকে সত্য উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন। ওমা আলাইনা ইল্লাল বালাগ। সত্য পৌঁছে দেয়া ছাড়া আমাদের কোন দায়িত্ব নেই।

        ————————–

        উত্তর প্রদানেঃ

        – শাইখুল হাদিস আবু ইমরান।

        – মুফতী আইনান।

        – মাওলানা আবু আনিকা।
        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-26-2021, 09:04 PM.
        আল্লাহর কসম করে বলছি। আমরা কখনো সংখ্যা,শক্তি ও আমাদের আধিক্যের উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করি না।বরং আমরা এই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করি,দ্বীনকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করি।সুতরাং তোমরা যার জন্য বের হয়েছ তাঁর দিকেই ধাবিত হও।আল্লাহ তা'লা তোমাদের সাথে দুটি কল্যাণের মধ্যে থেকে যেকোন একটির ওয়াদা করেছেন;হয়তো বিজয় নয়তো শাহাদাহ।

        Comment


        • #5
          ভাই এটা না সেই পোষ্ট।
          আল্লাহর কসম করে বলছি। আমরা কখনো সংখ্যা,শক্তি ও আমাদের আধিক্যের উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করি না।বরং আমরা এই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করি,দ্বীনকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করি।সুতরাং তোমরা যার জন্য বের হয়েছ তাঁর দিকেই ধাবিত হও।আল্লাহ তা'লা তোমাদের সাথে দুটি কল্যাণের মধ্যে থেকে যেকোন একটির ওয়াদা করেছেন;হয়তো বিজয় নয়তো শাহাদাহ।

          Comment


          • #6
            জি, আপনি যে পোস্টটা দিয়েছেন, তা গাযওয়া সাইটেও আছে।
            দেখুন-
            “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

            Comment


            • #7
              [quote=সাইদুর রহমান;107263]এখন কি শিবির ত্যাগ করব ভাই?

              জানিয়ে দিবেন ভাই.........
              আল্লাহর কসম করে বলছি। আমরা কখনো সংখ্যা,শক্তি ও আমাদের আধিক্যের উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করি না।বরং আমরা এই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করি,দ্বীনকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করি।সুতরাং তোমরা যার জন্য বের হয়েছ তাঁর দিকেই ধাবিত হও।আল্লাহ তা'লা তোমাদের সাথে দুটি কল্যাণের মধ্যে থেকে যেকোন একটির ওয়াদা করেছেন;হয়তো বিজয় নয়তো শাহাদাহ।

              Comment


              • #8
                এখন কি শিবির ত্যাগ করব ভাই?
                উপরোক্ত উত্তরের আলোকে তো বলা যায় যে, জামাত-শিবির ত্যাগ করতেই হবে।
                এ বিষয়ে আরো জানতে উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ-এর ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
                “তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও!”
                এই সিরিজের ৪ টি পর্ব গভীর মনোযোগের সাথে অধ্যয়ন করুন। আশা করি সকল বিভ্রান্তি কেটে যাবে, ইনশা আল্লাহ।

                -----------

                পিডিএফ/ওয়ার্ড || তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও! || প্রথম পর্ব || উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ


                পিডিএফ/ওয়ার্ড || তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও || দ্বিতীয় পর্ব || ‘গণতন্ত্র মুসলিমদের যা ছিনিয়ে নিল...’


                পিডিএফ/ওয়ার্ড || তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও || তৃতীয় পর্ব || ‘গণতান্ত্রিক রাজনীতি দ্বীনি ভাইদের
                ক্ষমতায়নের কারণ নাকি দুর্বলতার কারণ?!!’


                পিডিএফ/ওয়ার্ড || তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও || চতুর্থ পর্ব || গণতন্ত্রের নর্দমা থেকে উত্তরণের “কাঙ্খিত সহজ কর্ম
                https://dawahilallah.com/showthread.php?13102
                Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-26-2021, 09:21 PM.
                “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                Comment


                • #9
                  মাওলানা আব্দুর রহীম (রঃ) সাহেব তার “গণতন্ত্র নয় পুরাঙ্গ বিপ্লব” বইয়ে লিখছেন,

                  ১। যারা গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম কায়েম করতে চায়, তারা ইসলামও বুঝে না, গণতন্ত্রও বুঝে না।

                  ২। যারা গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম কায়েম করার কথা বলে নিজেদের কাজকে “জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ” বলে চালানোর চেষ্টা করছে, তারা প্রকৃত পক্ষে তাগুতের পথে জিহাদ করছে।
                  আবারও বলছি এগুলো আমার কথা না, আব্দুর রহীম সাহেবের কথা। বিশ্বাস না হলে “গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব” বইটা পড়ে দেখুন!


                  মাওলানা আব্দুর রহীম (রঃ) এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:


                  মাওলানা আব্দুর রহীম। পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসালামীর প্রতিষ্ঠাতা আমীর। বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ, বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ। ইসলামের উপর অসংখ্য মহা মূল্যবান বই লিখেছেন। তবে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন তার শেষ জীবনে লিখা অসাধারণ কয়েকটি বইয়ের জন্যে। বইগুলো লিখছিলেন গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ ইত্যাদির বিরোধিতা করে এবং সত্যিকার নির্ভেজাল (গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদবিহীন) ইসলামী বিপ্লব, ইসলামী রাষ্ট্র তথা খিলাফাহ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষ নিয়ে। বইগুলো ৮০র দশকে লেখা হলেও এখনো সময়োপযোগী। আপনারা বইগুলো পড়ে দেখেন। ইনশা আল্লাহ্ প্রকৃত সত্য জানতে পারবেন। বইগুলোর লিঙ্কঃ

                  ১। গণতন্ত্র নয় পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব- http://www.mediafire.com/?wk919ci6acp5wcx
                  ২। প্রচলিত রাজনীতি নয় জিহাদই কাম্য- http://www.mediafire.com/?0dnrhtnzvab5ifc
                  ৩। বাংলাদেশের মুসলমানরা মজলুম ও মাহরুম- http://www.mediafire.com/?bixl22911gwax3l
                  ৪। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও শুরায়ী নিজাম- http://www.mediafire.com/?dr6sbkautvmv64g
                  ৫। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য- http://www.mediafire.com/?j4b6bgtz5ab5noz


                  বিঃ দ্রঃ-জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির তাঁদের সিলিবাসে মাওলানা আব্দুর রহীমের প্রায় সব বই পড়ায় কিন্তু এই পাঁচটা বই এখন আর তাঁদের সিলিবাসে পড়ানো হয় না। বইগুলো এখন সহজে বাজারেও পাওয়া যায় না। বইগুলোর কথাবার্তা বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডের সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী হওয়ায় সম্ভবত এখন আর ছাপানো হয় না। আল্লাহু আ’লাম।
                  জামায়াত শিবির ভাইদের বলবো উন্মুক্ত মন নিয়ে বইগুলো পড়তে বসুন তাহলে বুঝতে পারবেন এতদিন কি ভুলের মাঝে আছেন আর আপনাদের নেতারা আপনাদেরকে কি সত্য থেকে বঞ্চিত করছে!ি
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    তাদের মাঝে দাওয়াহর কাজ করা যাবে?
                    আল্লাহর কসম করে বলছি। আমরা কখনো সংখ্যা,শক্তি ও আমাদের আধিক্যের উপর নির্ভর করে যুদ্ধ করি না।বরং আমরা এই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করি,দ্বীনকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করি।সুতরাং তোমরা যার জন্য বের হয়েছ তাঁর দিকেই ধাবিত হও।আল্লাহ তা'লা তোমাদের সাথে দুটি কল্যাণের মধ্যে থেকে যেকোন একটির ওয়াদা করেছেন;হয়তো বিজয় নয়তো শাহাদাহ।

                    Comment


                    • #11
                      মুহতারাম ভাই- আপনি নিচের লেখাগুলো পড়তে পারেন-
                      _________________________________


                      গণতন্ত্রের তেতো শরবত কি পান করে যেতেই হবে!!?
                      Hasan Abdus Salam

                      https://dawahilallah.com/showthread....B%26%232503%3B!!

                      মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন কি শরীয়ত বিরোধী নয়?
                      ইলম ও জিহাদ



                      ইসলামপন্থী গণতান্ত্রিকদের উদ্দেশ্য, কিছু সংশয় এবং তার নিরসন!
                      -খালিদ মুন্তাসির

                      https://dawahilallah.com/showthread....B%26%232472%3B!

                      ইসলাম প্রতিষ্ঠাঃ গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থীদের ভাবনায় সৃষ্ট ভ্রান্তি নিরসন–ড. ইয়াদ আল কুনাইবী হাফিজাহুল্লাহ
                      طوبى للغرباء



                      গণতান্ত্রিক ইসলামী দল: আদর্শ-পথ-পদ্ধতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাদের ব্যাপক অস্পষ্টতার উপস্থিতি!
                      Umm Usama

                      https://dawahilallah.com/showthread....B%26%232495%3B!

                      ফলাফল কী? রোডম্যাপ কী?
                      Umm Usama



                      বি.দ্র. এমন আরো অনেক লেখাই আছে। আপনি খুঁজলে পেয়ে যাবেন আশা করি। শুকরান
                      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by সাইদুর রহমান View Post
                        তাদের মাঝে দাওয়াহর কাজ করা যাবে?
                        জি, যাবে।
                        তবে দাওয়াহর কাজ করতে গিয়ে নিজে যেন বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
                        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                        Comment


                        • #13
                          আস্সালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহি অবারকাতুহ
                          প্রিয় হে সাইদুর রহমান ভাই!হ্যাঁ আপনি যদি এখনো আলকায়দার সদস্য না হন তাহলে এখান থেকে মুজাহিদিন ভাইদের পরামর্শ অনুযায়ী মুজাহিদিন ভাইদের আকিদা ও মানহাজ প্রচার -প্রসার করতে পারেন ।যেমন উপরের বিষয়টি ।তবে নিরাপত্তা আগে ।

                          Comment


                          • #14
                            Originally posted by হাবিবুল্লাহ000 View Post
                            আস্সালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহি অবারকাতুহ
                            প্রিয় হে সাইদুর রহমান ভাই!হ্যাঁ আপনি যদি এখনো আলকায়দার সদস্য না হন তাহলে এখান থেকে মুজাহিদিন ভাইদের পরামর্শ অনুযায়ী মুজাহিদিন ভাইদের আকিদা ও মানহাজ প্রচার -প্রসার করতে পারেন ।যেমন উপরের বিষয়টি ।তবে নিরাপত্তা আগে ।
                            এভাবে না বলে ইংগিতে বললে ভালো হত ভাইজান।
                            আসুন! নববী মানহাযে শান্তির জন্য কাজ করি!!

                            Comment


                            • #15
                              আল্লাহ আমাদের সামনে হককে সুস্পষ্ট করে দিন ও হকের পথে চলাকে সহজ করে দিন। আমীন
                              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                              Comment

                              Working...
                              X