Announcement

Collapse
No announcement yet.

গণতন্ত্রের বিকল্প কী?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গণতন্ত্রের বিকল্প কী?

    গণতন্ত্রের সমালোচনার মোকাবেলার জন্য আমাদের গণতন্ত্রমুগ্ধ ইসলামিস্ট ভাইদের কিছু ডিফল্ট জবাব আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ব্যাপারে কেউ কোন কথা বললেই এ মুখস্থ কথাগুলো নিয়ে তারা হাজির হন। এর মধ্যে সর্বাধিক প্রচলিত জবাব হল – গণতন্ত্রের বিকল্প কী? এতো যখন সমালোচনা করছেন তখন বিকল্প একটি পথ দেখিয়ে দেন না! ইসলাম কায়েমের সঠিক পথ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে দেখান তো! – ইত্যাদি।

    এধরণের প্রশ্ন যারা করেন তাদের অধিকাংশ উত্তর জানার জন্য প্রশ্ন করেন না। কারণ এমন প্রশ্ন করা অনেককেই আপনি দেখবেন অন্যান্য আলোচনায় প্রস্তাবিত বিভিন্ন বিকল্প পদ্ধতির ব্যাপারে ‘জ্ঞানগর্ভ’ সমালোচনা (সেটাও মুখস্থ) পেশ করছে। বিসাইডস, যে বিষয়টা নিয়ে এতো আলোচনা হয়েছে, যে আলোচনার কথা কাফিররাও জানে, মুরতাদরাও জানে, সেটা তারা কোনভাবেই খুঁজে পাচ্ছেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য না।

    আসলে এ এধরণের প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হল যে গণতন্ত্রের সমালোচনা করছে তাঁকে হয় চুপ করানো, বা বেকায়দায় ফেলা। আমরা সবাই জানি, ‘ইসলাম কায়েমের পদ্ধতি কী হবে?’ - এ প্রশ্নের এমন কিছু উত্তর আছে যেগুলো অ্যামেরিকা-অনুমোদিত (যেমন গণতন্ত্র মুগ্ধ ভাইদের পছন্দের উত্তর)। আবার এমন কিছু উত্তর আছে যেগুলো চিন্তাপরাধ। এসব উত্তরকে সঠিক মনে করলেই মুসলিমদের বন্দী, গুম, হত্যা ইত্যাদি করা জায়েজ হয়ে যায়। একারণে অনেকেই অনেক পরিস্থিতিতে বিপজ্জনক উত্তরগুলোর সরাসরি আলোচনা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। মুখস্থ প্রশ্ন নিয়ে গণতন্ত্রমুগ্ধ ভাইরা তাঁদের বেকায়দায় ফেলে নিজেদের মনে মনে আদর্শিক বিজয়ের আনন্দ খোঁজেন।

    তো এই কূটতর্কের দিকটা একটু ঘুরিয়ে দেয়া যাক। যারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের পদ্ধতিতে বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে প্রশ্ন রাখা যাক – কিভাবে এই পদ্ধতিতে আপনারা ইসলাম কায়েম করবেন? মেহেরবানি করে বিস্তারিত এবং স্পষ্ট আলোচনা করুন।

    একটি ইসলামী দল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসলো।
    ধরে নিলাম, নির্বাচনে জেতার আগেই আলজেরিয়ার মতো সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়া হলো না।
    আরো ধরে নিলাম যে তাদের অবস্থা বাংলাদেশ, পাকিস্তানের জামায়াত ইসলামীর মতো না। কোন জোট না করে তারা নিজে নিজে ক্ষমতায় আসতে পারে (বা জোট হলেও তারা জোটের প্রধান দল, পার্শ্বচরিত্র না)।
    আরো ধরে নিলাম যে, মিশরের মতো সামরিক অভ্যুত্থান করে গণহত্যা চালানো হল না। ক্ষমতায় আসার পর তারা টিকেও গেলেন।
    আরো ধরে নিলাম যে, তারা গণতন্ত্রের পাইপ ড্রিমের হাল আমলের জনপ্রিয়তম ফেরিওয়ালা এরদোগানের মতো বারো-পনেরো বছর ক্ষমতায় টিকেও থাকলেন, এক ইঞ্চি মাটিতেও ইসলাম কায়েম না করে।
    প্রশ্নের ফ্রেইমওয়ার্ক বোঝা গেল?
    আচ্ছা, তারপর কী?
    পরের স্টেপগুলো কী?
    এ পদ্ধতির এন্ডগেইমটা কী?
    কিভাবে এ অবস্থা থেকে এখন ইসলাম কায়েম করা হবে? কিভাবে এখন ধাপে ধাপে আল্লাহর আইন দিয়ে শাসন করা হবে? শরীয়াহ বাস্তবায়ন করা হবে? শরীয়াহ অনুযায়ী পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারন ও বাস্তবায়ন করা হবে? মযলুম মুসলিমদের সাহায্য করা হবে?

    প্রশ্নগুলোর স্পষ্ট ও বিস্তারিত উত্তর পেলে উপকৃত হই।

    ‘আমরা না আমাদের সন্তানেরা ইসলাম কায়েম করবে’, ‘আমরা চারা লাগাবো আমাদের নাতিরা ফল খাবে’ – এ জাতীয় কর্মী ভুলানো কথা না। বিভিন্ন বিদেশী পত্রিকার আন্তর্জাতিক সেকশানের খবর মিলিয়ে ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ জাতীয় কিছুও চাচ্ছি না।

    স্পষ্ট, আবেগহীন, রেটোরিকমুক্ত, নিরস, প্র্যাগম্যাটিক এবং কম্প্রিহেনসিভ উত্তর চাচ্ছি। এবং সাথে এটাও জানতে চাচ্ছি কোন ধরণের আক্রমনের স্বীকার না হয়ে সে উত্তর নিয়ে নির্মোহ বিশ্লেষনের অধিকার অন্যদের আছে কি না।

    যেহেতু এ প্রশ্ন তাদের মুখের ডগায় থাকে, তাই আশা করা যায় উত্তরও কাছাকাছি কোথাও থাকার কথা।


    - সংগৃহীত

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান একটি উত্তম পোস্টের মাধ্যমে আমাদের উপকৃত করার জন্য। আল্লাহ তায়ালা আপনার সহ সকল ভাইদের ইলমে আমলে বারাকাহ দান করুন এবং আমাদের জন্য এরকম উত্তম পোস্ট দিয়ে উপকৃত করার তাওফীক দান করুন আমীন

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল প্রকার ফিতনা থেকে হিফাজতে রাখুন, আমীন

      Comment


      • #4
        আমাদের ডিফেন্সিভ ভাবে দ্বীন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে? না ভাই আমাদের এই সুযোগ এবং এর অধিকার দেয়া হয় নাই। জীন শয়তান এবং ইনসান শয়তানের অন্তরে মুসলমান হিসেবে আমাদের ত্রাস সঞ্চার করার হুকুম।শয়তান এবং শয়তানের উপাসকদের সমস্ত রকম নিরাপত্তার অনুভুতি কেড়ে নেয়ার স্ট্যান্ডিং ওয়ার্ডার জারি করা আছে আমদের উপর।

        পূর্ববর্তীদের এই হুকুম অমান্য করার মারাত্মক পরিণতি আজকের দিনের মুসলমানরা ভোগ করছি।আফগানরা ইষ্ট্রোজেন হরমোনের বুষ্টার নেয় নাই। মর্দে মুজাহিদের মত লাথি দিয়ে কমিউনিজম - গণতন্ত্রের মূর্তি ভেঙ্গে দিয়েছে। কোন অজুহাত, ইতস্ততা, লজ্জা কিংবা দুর্বোধ্য মানবিকতা-আধুনিকতা বুঝতে সময় নষ্ট করে নাই।ইসলামের সাথে তন্ত্রমন্ত্র ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মিশিয়ে খিচুড়ি বানানো ইতরগুলোর হিসেব-নিকেশ দিনের আলোতে-রাতের অন্ধকারে সোজাসুজি গুলি করে মিটিয়ে দিয়েছে। আজকে ওরা সারা দুনিয়ের মুসলমানদের জন্যে শাহজাদা!

        আমরা বাংগালি/ভারতিয় সেজে থাকব আমাদের চেনা দুনিয়ায়। আল্লাহর সাথে ওয়াদা নিভাতে আমরা যখন গুরাবা হব তখন আমাদের এক এক জন এক এক শত কাফেরের জান নেয়ার জন্যে আল্লাহর দরবারে দুয়া করে বের হব।আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের আমরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট গণ্য করি। তাদের লাশ আমরা ফেলে যাই শেয়াল আর কুকুরের খাবারের উপাদান হিসেবে। আল্লাহ আমাদেরকে আল্লাহর জন্যে কবুল করুন। আমাদেরকে গুরাবা বানিয়ে নেন।
        দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

        Comment

        Working...
        X