ইয়াহইয়া সিনওয়ার শহিদ হয়েছেন। মাস খানেক আগে ইসমাইল হানিয়াও একই পথে শেষ গন্তব্যে পৌঁছেছেন। আল্লাহ তাঁদের উপর সন্তুষ্ট হোন। উম্মাহর এই শার্দূলদের প্রস্থানে কুফফার-দুনিয়ায় আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তারা ভেবেছে, এই মুজাহিদদের হত্যা করে, মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে গণহত্যা চালিয়ে পৃথিবী থেকে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষকদের নিশ্চিহ্ন করে দিবে। অথচ তারা জানে না— এই দুনিয়ার প্রতিটি গাছ আল্লাহর ইবাদত করে। প্রত্যেকটি সমুদ্র আল্লাহর আদেশে প্রবাহিত হয়। সমস্ত পশুপাখি মহান রবের একত্ববাদের সাক্ষ্য দেয় সব সময়। সুতরাং আল্লাহর দুশমনরা কয়জনকে নিশ্চিহ্ন করবে!
পৃথিবী নামক এই গ্রহটি যুগে যুগে হাজারো বীর বাহাদুরের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে। যাঁদের কেউই এখন বেঁচে নেই। সবাই মাটির নিচে চলে গেছেন, শুধু রেখে গেছেন তাঁদের কৃতিত্ব। এটাই নিয়ম। কেউ দুনিয়াতে অমর হওয়ার জন্য আসে না। আসাদুল্লাহ আলি থেকে সাইফুল্লাহ খালিদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) , নুরুদ্দিন জিনকি থেকে সালাহুদ্দিন আইয়ুবি কিংবা মোল্লা মুহাম্মদ উমর থেকে শাইখ উসামা বিন লাদেন (রাহিমাহুমুল্লাহ)— উনারা কেউই আর দুনিয়াতে নেই। তাই বলে কি ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ আর ‘হাইয়া আলাল জিহাদ’ এর আযান বন্ধ হয়ে গেছে? না, হয় নি। কস্মিনকালেও বন্ধ হবে না ইনশাআল্লাহ।
তাই হামাসের নেতৃবৃন্দের শাহাদাতে নাপাক যায়োনিস্ট আর ক্রুসেডারদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। আজ এক সিনওয়ার শহিদ হলে আগামীকাল লক্ষ সিনওয়ার ওদের শাহ রগের কাছে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। পবিত্র ভূমির প্রতিটি বালুকণা পুনরুদ্ধারের আগ পর্যন্ত কোটি কোটি ইসমাইল হানিয়ার আগমন ঘটবে ইনশাআল্লাহ। পুরো দুনিয়ায় কালিমার পতাকা উড়বার পূর্ব পর্যন্ত লক্ষ কোটি উসামা আর মোল্লা উমরকে আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠাবেন ইনশাআল্লাহ। সুতরাং সাবধান হে আল্লাহর দুশমনরা! খেলা এখনো শেষ হয়ে যায় নি। ওরা কিন্তু আসছে…।
আমার মুসলিম উম্মাহ,
গাযা ভুখণ্ড সহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের চলমান আগ্রাসন আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা। আল্লাহ জানতে চাচ্ছেন কারা তাঁর দ্বীন পরিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে উম্মাহকে বাঁচানোর স্বার্থে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেকে কুরবান করে দেয়। আর কারা হেকমতের দোহাই দিয়ে আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করে ভোগ-বিলাসিতায় মত্ত হয়ে উম্মাহ থেকে বিমুখ হয়ে থাকে।
ইনশাআল্লাহ, ফিলিস্তিনসহ সমগ্র পৃথিবী একদিন শান্ত হবে। মুসলমানরা তাদের দখলকৃত ভূমি এবং হারানো গৌরব ফিরে পাবে। অচিরেই নবুয়াতের আদলে খিলাফাহ কায়েম হবে। অতঃপর আমাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা অথবা মুনাফিকি-কপটতা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করছে তারা হয়ত একদিন শহিদ হয়ে যাবে, যারা মুনাফিকি করে ভোগ বিলাসিতায় লিপ্ত আছে তাদেরকেও একদিন এই পৃথিবী ছাড়তে হবে। সবাইকেই আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। তাই এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কোন দলে থাকবেন, আল্লাহর সামনে কোন অবস্থায় দণ্ডায়মান হবেন।
হে আমাদের রব! আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। গাযায় আমাদের ভাইদের দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া লাশ দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি। বোনদের অসহায় চিৎকার আর আহাজারি শুনতে শুনতে আমাদের কান অসহ্য হয়ে গেছে। ‘ফুলের মতো মাসুম বাচ্চাদের টুকরো টুকরো লাশ কুড়িয়ে মায়েরা ব্যাগে ভরে নিয়ে যাচ্ছে’ এমন খবর শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। তবুও আমাদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে না। হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনি ‘লজ্জা’ আর ‘গায়রত’ নামক নিয়ামতগুলো দান করুন। মহান পূর্বসুরীদের পথে চলার তাওফিক দান করুন।
১৫ রবিউল আখির, ১৪৪৬ হি.
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ইংরেজি
পৃথিবী নামক এই গ্রহটি যুগে যুগে হাজারো বীর বাহাদুরের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে। যাঁদের কেউই এখন বেঁচে নেই। সবাই মাটির নিচে চলে গেছেন, শুধু রেখে গেছেন তাঁদের কৃতিত্ব। এটাই নিয়ম। কেউ দুনিয়াতে অমর হওয়ার জন্য আসে না। আসাদুল্লাহ আলি থেকে সাইফুল্লাহ খালিদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) , নুরুদ্দিন জিনকি থেকে সালাহুদ্দিন আইয়ুবি কিংবা মোল্লা মুহাম্মদ উমর থেকে শাইখ উসামা বিন লাদেন (রাহিমাহুমুল্লাহ)— উনারা কেউই আর দুনিয়াতে নেই। তাই বলে কি ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ আর ‘হাইয়া আলাল জিহাদ’ এর আযান বন্ধ হয়ে গেছে? না, হয় নি। কস্মিনকালেও বন্ধ হবে না ইনশাআল্লাহ।
তাই হামাসের নেতৃবৃন্দের শাহাদাতে নাপাক যায়োনিস্ট আর ক্রুসেডারদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। আজ এক সিনওয়ার শহিদ হলে আগামীকাল লক্ষ সিনওয়ার ওদের শাহ রগের কাছে পৌঁছে যাবে ইনশাআল্লাহ। পবিত্র ভূমির প্রতিটি বালুকণা পুনরুদ্ধারের আগ পর্যন্ত কোটি কোটি ইসমাইল হানিয়ার আগমন ঘটবে ইনশাআল্লাহ। পুরো দুনিয়ায় কালিমার পতাকা উড়বার পূর্ব পর্যন্ত লক্ষ কোটি উসামা আর মোল্লা উমরকে আল্লাহ পৃথিবীতে পাঠাবেন ইনশাআল্লাহ। সুতরাং সাবধান হে আল্লাহর দুশমনরা! খেলা এখনো শেষ হয়ে যায় নি। ওরা কিন্তু আসছে…।
আমার মুসলিম উম্মাহ,
গাযা ভুখণ্ড সহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের চলমান আগ্রাসন আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা। আল্লাহ জানতে চাচ্ছেন কারা তাঁর দ্বীন পরিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে উম্মাহকে বাঁচানোর স্বার্থে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেকে কুরবান করে দেয়। আর কারা হেকমতের দোহাই দিয়ে আল্লাহর কালামের অপব্যাখ্যা করে ভোগ-বিলাসিতায় মত্ত হয়ে উম্মাহ থেকে বিমুখ হয়ে থাকে।
ইনশাআল্লাহ, ফিলিস্তিনসহ সমগ্র পৃথিবী একদিন শান্ত হবে। মুসলমানরা তাদের দখলকৃত ভূমি এবং হারানো গৌরব ফিরে পাবে। অচিরেই নবুয়াতের আদলে খিলাফাহ কায়েম হবে। অতঃপর আমাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা অথবা মুনাফিকি-কপটতা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করছে তারা হয়ত একদিন শহিদ হয়ে যাবে, যারা মুনাফিকি করে ভোগ বিলাসিতায় লিপ্ত আছে তাদেরকেও একদিন এই পৃথিবী ছাড়তে হবে। সবাইকেই আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। তাই এখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন, আপনি কোন দলে থাকবেন, আল্লাহর সামনে কোন অবস্থায় দণ্ডায়মান হবেন।
হে আমাদের রব! আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। গাযায় আমাদের ভাইদের দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া লাশ দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি। বোনদের অসহায় চিৎকার আর আহাজারি শুনতে শুনতে আমাদের কান অসহ্য হয়ে গেছে। ‘ফুলের মতো মাসুম বাচ্চাদের টুকরো টুকরো লাশ কুড়িয়ে মায়েরা ব্যাগে ভরে নিয়ে যাচ্ছে’ এমন খবর শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। তবুও আমাদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছে না। হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনি ‘লজ্জা’ আর ‘গায়রত’ নামক নিয়ামতগুলো দান করুন। মহান পূর্বসুরীদের পথে চলার তাওফিক দান করুন।
১৫ রবিউল আখির, ১৪৪৬ হি.
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ইংরেজি
Comment