Announcement

Collapse
No announcement yet.

মার্কিন নির্বাচন (একটি বিশেষ পর্ব)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মার্কিন নির্বাচন (একটি বিশেষ পর্ব)

    মঞ্চস্থ মার্কিন নির্বাচনের সিলেক্টেড প্রেসিডেন্টঃ



    ডেমোক্রেসি নিরপেক্ষতার ইলেকশন নয়,স্বার্থবাদের সিলেকশনঃ
    এটা আদ্যপান্ত বিশ্লেষণ করে প্রামাণিক দলিল করতে একটি বই হতে হবে, এখানের স্বল্প পরিসরে সমমনাদের জন্যে সামান্যই যথেষ্ট! একটি দেশ যখন স্বাধীন, তখন সেই দেশের সরকার কে হবে এবং তার এজেন্ডাগুলো কেমন হবে তা নির্ধারণ করে সেই দেশের এলিট ও ধনকুবেররা। তবে দেশটি যখন অন্য রাষ্ট্রের গেমে পড়ে তখন সরকার হয় ডিপ স্টেটে বিজয়ী রাষ্ট্রের পছন্দে। সুতরাং, ভোগাস নির্বাচনের জনগণের সিদ্ধান্তের আড়ালে সরকার সিলেক্টেড হয়, অভ্যন্তরীণ বা বহিঃশক্তির সবার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালি পক্ষের হাতে। কাজেই, রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর, যিনি রাষ্ট্রপ্রধান, তিনি তাকে নির্বাচিত করা শক্তির হাতে সদা জিম্মি থাকে। এইভাবে, ৩য় বিশ্বের রাষ্ট্রসমুহ ২য় আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহের হাতে জিম্মি হয়ে থাকে, আর ২ য় স্টেজের রাষ্ট্রসমুহ অনেকাংশে ১ম স্টেজের রাষ্ট্রসমূহের হাতে জিম্মি থাকে। ১ম স্টেজের রাষ্ট্রসমূহের মাঝে খেলা চলে, কে হবে বিশ্বরাজ! তবে বর্তমান বিশ্বে মার্কিনীদের একক আধিপত্যে ক্ষমতার এই শৃংখলে তাকে ১ মাত্র প্রথম স্টেজ রাষ্ট্র বলা চলে। সে সকল রাষ্ট্রসমূহে নিজের মোড়লগীরি ফলায়; আর নিজে নিয়ন্ত্রিত হয় তার দেশের এলিট ও ধনকুবেরদের হাতে, যারা গ্লোবাল শক্তি। সুতরাং, অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট কে নির্বাচিত হবে, সেটা নির্ধারণ করে তাদের এলিট ও ধনকুবেরদের গ্রপগুলোর মধ্যে বিজয়ী শক্তি। তবে তারা কোন রাষ্ট্রের জিম্মি হয় না, তারা হয় কোন বিশ্ব পরিচালনার এজেন্ডার হাতে জিম্মি। আর তাই, গণতন্ত্র জনগণের শাসন কস্মিনকালেও নয়; বরং এই আম জনতাকে নারীদের ভূয়সী প্রশংসার কৌশলে বলদ বানিয়ে অনুগত করে রাখার একটা ফন্দি মাত্র যা সংশ্লিষ্টদের বিনা বিদ্রোহে শাসনের ম্যান্ডেট দেয় আর কারিঘরেরা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে বিশ্ব সাজায়! ট্রাম্পকে প্রথমবার যখন বিজয়ী করা হয়েছিল, সেবারও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল একজন নারী এইবার আবারও যখন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া দরকার তখন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবারও এক নারী, যে ক্লিনটনের তুলনায় থোরাই গুরুত্বপূর্ণ কেও! এগুলো কি এজেণ্ডা বিজয়ের সকল রাস্তাসমুহ বন্দবস্ত করা নয়। তাই, বলাই বাহুল্য নির্বাচন তো কেবলই একটা মঞ্চস্থ নাটক! এজেন্ডা দিয়ে সিলেকশন, আর ইলেকশন হল সিলেকশনের মঞ্চস্থ নাটক।

    বর্তমান দৃশ্যপটে অ্যামেরিকার বিগত ও আগত নির্বাচনঃ
    আজকের বাস্তবতায় পৌঁছানোর জন্য ট্রাম্পের বিদায় অপরিহার্য ছিল, আবার আজকের মতো দিনে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের মতো একজন অপরিহার্য।
    আতশ কাচে বিগত দিনের সিলেকশনঃ https://justpaste.it/9v8dr

    ডেমোক্রেটদের পলিসি যেমন আইডিওলজিকালি এফেশিয়েন্ট বিশেষত দীর্ঘমেয়াদে , তৎপরিবর্তে ট্রাম্পের নীতিও আইডিওলজির বাহিরে গিয়ে তাৎক্ষনিক বিজয়ে অপরিহার্য বিশেষত যখন শক্তির প্রতিযোগিতা মাঠে গড়ায়।
    ডেমক্রেটরা যথাসাধ্য পরবর্তী অধ্যায় সূচনার কাজগুলো করে গেছে নিখুঁতভাবে, তবে অ্যামেরিকার মন্দায় এর বেশি আশা করা অবান্তর। ঝিমিয়ে যাওয়া পরাশক্তি এশিয়ান ন্যাটোকে খুব বেশি কার্যকর করতে না পারলেও প্রত্যেকটা হটস্পটে জ্বালানির যোগান দিয়ে সেটাকে কার্যকর করার স্ট্রিম লাইনে এনে রেখেছে। সুতরাং, অ্যামেরিকার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে চীনকে মোকাবিলায় চূড়ান্ত মনোযোগে মাঠে নামা, যার প্রথম ধাপ হবে জ্বালামুখগুলো খুলে দিয়ে এশিয়ান ন্যাটোকে সক্রিয় করা।
    আজকের বর্তমান বাস্তবতা অর্জনের পর আমেরিকান ফিউচার পলিসির এজেন্ডাঃ

    / আজ যখন মধ্যপ্রাচ্য বিস্ফোরণের অপেক্ষায় তখন যায়নবাদি এজেন্ডা বাস্তবায়নে ট্রাম্প হবে তাদের ট্রাম্প কার্ড। ট্রাম্প বরাবরই ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে, ঠিক তাই তার বিজয়ের অন্যতম সহযোগী বিলিয়নিয়ার মাস্ক। সুতরাং, ট্রাম্পকে যায়নদের চাই, যে প্রথমে তার কট্টর ইরান বিরোধিতার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে বিস্ফোরণ ঘটাবে আর এই সময়ের মধ্যে রাশিয়ার সাথেও ট্রাম্প তার মিত্রতা প্রদর্শন করে ইউক্রেনে নাক না গলানর বদলায় মধ্যপ্রাচ্যে তাকে চুপ করিয়ে বসিয়ে রাখার কৌশল নিবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান তার সব থেকে ঘনিষ্ঠ মিত্রকে হারাবে।
    / এশিয়ান ন্যাটোকে কার্যকর করতে ক্ষমতাসীন মোদীর সাথে সোনালি সম্পর্ক গড়তে হবে, যেন সে নিজ উদ্যোগে আমেরিকান পলিসিতে এক্টিভ হয়। এমন দাস-প্রভুর শখ্যতা গড়তে ডোনাল্ড ট্রাম্প পারফেক্ট বিকল্প। গান্ধী পরিবারকে ক্ষমতাসীনের চেষ্টা সফল হলে আজকের সমীকরণ ভিন্ন হতে পারত।
    / অ্যামেরিকাকে চীনকে মোকাবিলা করতেই হবে, মধ্যপ্রাচ্যে যায়নদের জন্য যেমন তেমনি নিজের এজেন্ডা চীনকে মোকাবিলায়ও এই যুদ্ধে তাকে অবতীর্ণ হতেই হবে। এই ২ টি যুদ্ধের সাথে আবার রাশিয়াকেও ইউক্রেনে মোকাবিলা। এটাই কি তার জন্য সব থেকে লাভজনক নয় যে রাশিয়াকে যুদ্ধে আটকিয়ে রাখা তবে নিজের হাতে নয় অন্য আরেক পক্ষের হাতে। রাশিয়াকে ইউরোপে যুদ্ধে টেনে এনে এখন ট্রাম্পকে দরকার যে রাশিয়াকে ইউক্রেনে ছেড়ে দিয়ে বলবে, আমি পুতিনের বিরুদ্ধে নই; ইউক্রেনের উচিৎ যা হয়েছে তা মেনে নিয়ে চুপ করে যাওয়া, আর ইউরোপ কে বলবে এটা তোমার সমস্যা, মোকাবিলা করা জরুরি মনে হলে তুমি কর, আমি এক পয়সারও সাহায্য করব না। আবার গোপনে দেখা যাবে মার্কিন বলয় ইউরোপকে যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসার সুযোগ ও দিবে না। ফলশ্রুতিতে দেখা যাবে, রাশিয়াকে মোকাবিলায় অ্যামেরিকার শক্তি খরচ করতে হচ্ছে না, আর তাই তার জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার গেম খেলা আরও অনেক এফেশিয়েন্ট হয়ে যাবে। অথচ, লিবারেলিজমকে ধারণ করা পশ্চিমা আধিপত্যের নেতা ডেমোক্রেটদের হাতে এটা অ্যামেরিকার জন্য মিত্র ইউরোপকে হারানোর মতো ভুমেরাং, কেননা ট্রাম্প যে পাগলা ঘোড়া তা তো সবাই মেনেই নিয়েছে, আর বিশ্বাস করে নিয়েছে এটা অ্যামেরিকা নয়।
    / উপদ্বীপের শাসকদের তুষ্ট করে ইরানের সাথে ঐকতান বন্ধ করে দিয়ে বরং আরও একরডস হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি করা, যে প্রশ্নেও উপদ্বীপের নেতাদের প্রিয় নেতা একনায়কতন্ত্রের একনিষ্ঠ সমর্থক ট্রাম্পই ফেভারিট।
    / মোদী সাহেবও একনায়কতান্ত্রিক অ্যামেরিকায় আবার নিজেকে উজাড় করে দোস্তি করবে পাকিস্তান বিরোধী ট্রাম্পের সাথে, রাশিয়ার উদ্যেগ কমে ভারতের অনীহায় ব্রিক্সও মন্থর হবে। ফলে এশিয়ান ন্যাটোর কাউন্টার চিনা প্রজেক্ট মাঠে মারা যাবার তীব্র চ্যালেঞ্জে পড়বে।

    আজ প্রতিযোগিতার যুদ্ধংদেহী ফিল্ড যখন প্রস্তুত তখন নেতা প্রয়োজন যুদ্ধবাজ। ডেমোক্রেসি যেহেতু ব্রেন & আই ওয়াসিং ইলেকশন যা পর্দার আড়ালে স্বার্থবাঁদিদের সিলেকশন প্রসেস, তাই ট্রাম্পই সেই সিলেক্টেড পারসন। আর এ জন্যই, আবারও তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আনা হয়েছে নারী, যার ইতিহাস ক্লিনটনের তুলনায়ও খুবি মলীন।
    এটাই, অ্যামেরিকার খেলা- যখন যা বাস্তবায়ন করতে হবে তখন তার নেতাকে সেই মতো সাজিয়ে মঞ্চে উপবিষ্ট করা হয়; ভিন্ন মেরুর অভিনেতা, নীতি বদলায় কিন্তু পূর্বসূরির বিপরীতমুখী অর্জনগুলো বদলায় না, তাই বুঝি বলে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট কেবলই এক পাপেট! অ্যামেরিকা বহুরূপী, যার রূপ বদলায় মঞ্চস্থ অভিনেতার হাতে কিন্তু সে নিজে বদলায় না, তাই স্বার্থের খেলায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে স্ববিরোধী স্বার্থ উদ্ধার করে চলে, তবে এই বহুরূপের আড়ালে শয়তান সাব্যস্ত হয়ে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয় না। সতীত্ব বিকিয়েও সে সমাজের উচ্চকিত স্টার লাইট সতী নারী!

    যায়নবাদি এজেন্ডায় ট্রাম্পের অপরিহার্যতাঃ
    জ্বালামুখ খুলে দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যের আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যূৎপাতের দিকে ধাবমান মহাযুদ্ধ, ইজরায়েলের আচরণ থেকে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় এই যুদ্ধ হবে মানব ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট এক কসাইখানা(!) আরবিতে যার সমার্থক হবে মালহামা, যে জায়নবাদি শয়তানের দোসররা পরিকল্পিতভাবে শয়তানের এজেন্ডাকে মানবতার উপর চাপিয়ে দিচ্ছে তা অনেকটাই স্পষ্ট। তাদের চাওয়ার ব্যাপারে তো সন্দেহ নাই, আরও সন্দেহ নাই তারা যে ট্রাম্পকে সে জন্য চয়েস করেছে, যা মূলত ট্রাম্পের সাম্প্রতিক উক্তিতে ইঙ্গিত পাওয়া যায়- “ নবীরা বলেছেন, পৃথিবীর ধ্বংস মধ্যপ্রাচ্যেই ঘটবে।”। ইঙ্গিতপুরন সাস্পিসন বাদ দিয়ে বিশ্লেষণাত্মক দিক থেকে বললে- মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলের কাজে সরাসরি বাগড়া দিতে পারে এমন একমাত্র পরাশক্তি রাশিয়াকে সাইডলাইনে ফেলে দেওয়া, উপদ্বীপকে ঐতিহাসিক ইরান শখ্যতা থেকে বের করে আনা আবার ইরানের আরেক মিত্র চিনের পরোক্ষ সাহায্য বন্ধে চীনকে আটকানো এবং ইজরায়েলের জন্য সমস্ত কিছু উজাড় করে সাহায্যে ব্রত হতে প্রস্তুত ট্রাম্পই এখন যায়নবাদি এজেন্ডায় সবচেয়ে উপযোগী।
    পশ্চিমকে কি কখনও যায়নবাদি স্বার্থ থেকে আলাদা করে দেখা যায়! কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। সুতরাং, নীতিহীন ইজরায়েলের জন্য অকুণ্ঠ সমর্থন যোগাতে গিয়ে দ্বিচারিতায় না পড়ে আমেরিকান ও যায়ন উভয়ের জন্য ফ্লেক্সিবল ট্রাম্পকে আনাই ফলপ্রসূ সমাধান। ট্রাম্প তো এমন যে নিজে থেকেই ইজরায়েলের জন্য জীবন দিতেও রাজি। তাই, জায়নবাদের এজেণ্ডা বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

    নির্বাচনী বাস্তবতায় (মঞ্চস্থ নাটক) বর্তমান মার্কিনীদের আগামী প্রেসিডেন্টঃ
    / বৃক্ষ যদি রাষ্ট্র হয়, তাহলে মুল হল তার জনগণ, যার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র টিকে থাকে। পত্র-পল্লব যতই সজীব হোক, প্রাণশক্তি যতই উচ্ছল হোক যদি rythm বিচ্ছিন্ন হয়ে মুল মিয়িয়ে যায়, তাহলে কিছুদিন বাদেই প্রকাণ্ড সজীব বৃক্ষটি নেতিয়ে যাবে। রাষ্ট্রও ঠিক তেমন, জনগণ যদি মিয়িয়ে যায়, তাহলে সরকার যতোই প্রানোদ্দিপ্ত হোক ক্ষুণ্ণ টিউনিং এর রাষ্ট্রটিও তার সিংহ গর্জন হারিয়ে অচিরেই বিড়াল বনে যাবে। অ্যামেরিকা বিড়াল বনে যায় নাই, আর তার মধ্যে অচিরেই এই বিড়াল বনে যাবার লক্ষণও দৃশ্যমান নয়, কাজেই তার জনগণ আজও বলিষ্ঠভাবেই পৃথিবীকে রাজ করার আকাঙ্ক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের মননে পরিপুষ্ট। আর এমন জনগণ একমনে যতোই উদারপন্থী বা ফেমিনিস্ট হোক (পরিসংখ্যান বলে, সবচেয়ে ফেমিনিস্ট রাষ্ট্রের প্রধানরাও শেষমেষ পুরুষ! ) , নেতৃত্বের প্রশ্নে তাদের ফলাফল নির্ধারণী মন জাতীয়তাবাদী শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সবচেয়ে বলিষ্ঠ লোকটিকেই দেখতে চায়। সুতরাং, ডেমক্রেটদের ভোটব্যাংক উদার ও ফেমিনিস্টরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কামালাকে দেখতে চাইলেও শেষমেষ জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের চিন্তায় ভোটগুলো অকপটে ট্রাম্পের দিকে ঘুরে যাবে। আর বর্তমান বাস্তবতায় যখন জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রামাণ্য এক উন্মুক্ত পরিক্ষাক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, তখন ট্রাম্পের মতো প্রেসিডেন্ট তো এমনিতেই হেভিওয়েট, আর কামালা সে তুলনায় পিছলে গেল আরও এক ধাপ।
    / অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ইহুদি নিরাপত্তার এজেন্ডায় ট্রাম্প তো গগনচুম্বী! কাজেই, এইবারের নির্বাচন যখন ইজরায়েলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ক্রুশাল এক পটেনশিয়াল ধারণ করে, তখন ইজরায়েলের স্বার্থে ট্রাম্পের চেয়ে অধিক বলিয়ান প্রেসিডেন্ট আর কে হতে পারে!
    / বহির্বিশ্বে মার্কিন সেনাদের প্রাণনাশ ঠেকানোর নীতির ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনে মার্কিনীদের যুদ্ধ থেকে সড়ে আসার প্রচারণা ভোট ব্যাংক ভালোই ভারি করেছে।
    ৫। অভিবাসী নীতি থেকে অ্যামেরিকা ফাস্ট নিতিতে তরুন-যুবকদের ব্রেন ওয়াস আর মুক্ত বাণিজ্য নীতিতে ধনকুবেরদের প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠা ট্রাম্পকে হারাবে কে? প্রবাদ আছে, money runs the world, সেখানে সামান্য একটা নির্বাচন সে তো থোরাই ব্যাপার!


    সারকথাঃ পরবর্তী এজেন্ডা বাস্তবায়নে অ্যামেরিকার কর্তারা ট্রাম্পকেই মনোনীত করেছে কামালাকে অপজিশনে রেখে যার বাকি খেলাটুকু মঞ্চস্থ হবে অ্যামেরিকার রাজত্বের আইকন ধরে রাখতে ভোটারদের দেওয়া ভোটে। সুতরাং, এই খেলার বিজয়ী হবে ট্রাম্প, যা সিলেকশনে নির্ধারিত হয়ে গেছে, এখন শুধু ডেমোক্রেসির আইওয়াস নাটক বাকি….


    অ্যামেরিকার পতন ঘন্টাঃ সব কিছুর উপরে আল্লাহর ফয়সালা। মানুষ মানুষের ইলেকশন, সিলেকশন বা নাটক ও অভিনয়ের খেলা খেলতেছে, আল্লাহর সুন্নাহ অনুসারে যে যার পরিশ্রমের ফল লাভ করতেছে; কিন্তু সাধারণ সুন্নাহর বাহিরে আল্লাহ যখন ফায়সালা করবেন, তখন সেটাই চূড়ান্ত। সব গেম খতম হয়ে এক্সিডেন্টালি নির্বাচনে কামালা বিজয়ী হতেই পারে, আমরা বোকা বনে যাওয়া মানুষের কাছে হতে পারে এটাই সাফল্য; কিন্তু চক্ষুষ্মানগণ জানেন- এতে তার আকাঙ্ক্ষার কিছুই পূরণ হবে না, সব খেলা সচল থাকবে কেবল গতিতে মন্থর। বস্তুবাদী দুনিয়ার ভাষায় এক্সিডেন্টালি প্লটের ইউনিক অভিনেতা চেঞ্জ হয়ে গেলে সুন্দরতম প্লটটাও অসুন্দর হয়ে যায়, প্লটেও কিছু ব্যাত্যয় ঘটলেও ঘটতে পারে, এর বেশি কিছুই নয়। তাই কামালা জয়ী হলেও ভিন্ন কিছুই নাই, অ্যামেরিকা অ্যামেরিকাই থাকবে। তবে অ্যামেরিকার পতনকামী আমাদের জন্য একটা সুখবর হয়ে আসতে পারে ট্রাম্পের ঔধ্যত্যে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ও বিদ্রোহের আগুন! দেশীয় ঝামেলায় শক্তি খোয়াতে থাকা আদতেই দুর্বল সেনানায়কের হাতে যুদ্ধের ভাঁড়! আবার ট্রাম্প জিতলেও, যায়নদের প্রতি দেওলিয়াত্বে ভোগা ট্রাম্পকে যায়নবাদি স্বার্থ নতুন পৃথিবীতে অ্যামেরিকার ঠিকানা কোথায় নির্ধারণ করে নিয়ে যায় তাও অ্যামেরিকার পতনের আরেক সিগন্যাল। আত্মার বন্ধু ইউরোপকে ছেড়ে স্বার্থের বন্ধুদের নিয়ে নতুন পৃথিবীর খেলায় অ্যামেরিকা কতটুকু বিজয়ী থাকে তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তাই, বলাই যায়- আগামীর বিশ্ব অ্যামেরিকার জন্য অত্যন্ত শাপদসংকুল!
    আমরা অপেক্ষায়, আমাদের মুজাহিদদের কুরবানি আল্লাহর সাথে ওয়াদা পূরণে কতটুকু পূর্ণ হয়েছে, আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন কি না; নির্বাচন পরবর্তী আগামী কিছুদিন তাই বলে দিবে আল্লাহর দরবারে কাফিরদের পরিষ্কার করার ফায়সালা হয়ে গেছে কি না.

  • #2
    পোস্ট করার পড়ে দেখলাম, ট্রাম্পের ঝুলিতে চলে আসা ধর্মীয় ভোটব্যাংক এর ইতিকথা বাদ পড়ে গেছে, যা পড়ে আর এডিট করার সুযোগ ছিল না, তাই এখন এখানেই লিখলাম-
    / ট্রাম্প বরাবরই আমেরিকান খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর (যারা ধর্মীয় বিবেচনায় প্রার্থী নির্বাচন করে) কাছে তাদের একমাত্র নেতা।
    / কোন একটি ইন্সটিটিউটের সফলতার মতো করেই ব্যর্থতার দায়ও ঐ ইন্সটিটিউটের কর্তার কাঁধেই বর্তায়। কাজেই, একদিকে তো প্রথমবারে মুসলিম ভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহারের চমক তার উপর এইবারের ইজরায়েলী আগ্রাসন মুসলিম ভোটারদের এমনকি অনেক উদারপন্থিদেরও ট্রাম্পের ব্যাংকে নিয়ে এসেছে!
    / সেমেটিক ইজরায়েল/ ইহুদি প্রীতি মনের কোনে অবশিষ্ট আছে এমন যে কেও ও এবার ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া স্বাভাবিক।
    / হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রাও প্রশ্ন ছাড়াই ট্রাম্পকে সমর্থন করবে, এটাই নরমাল।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, চমৎকার বিশ্লেষণ
      আল্লাহ তাআলা আপনার কলমকে আরও শাণিত করুন, আমীন

      বি.দ্রঃ খোদায়ী মদদের স্বকীয়তা ছাড়িয়ে যাওয়া এমন ছন্দ আসলেই যথেষ্ট সাস্পিসিয়াস, আর এই জন্যই বুঝি পশ্চিমে এতো কন্সপিরেসি!
      এই লাইনটা যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন, মাথার উপর দিয়ে গেল।

      জাযাকাল্লাহ খাইরান

      Comment

      Working...
      X