হুযূরদের হাতে দেশটাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ওরা কীভাবে দেশ চালাবে? ওরা রাজনীতির কী বুঝে? ওরা কীভাবে মোটা মোটা আলখেল্লা গায়ে দিয়ে অফিস করবে? ওরা তো স্মার্ট না, আধুনিকতার কিছুই বুঝে না। সুতরাং কীভাবে ওরা দেশটাকে এগিয়ে নিবে?
এই কথাগুলো স্বদেশীয় কিছু সেক্যুলার, প্রগতিশীল ও কথিত বুদ্ধিজীবীদের। তারা হুযূর শ্রেণিকে অশিক্ষিত, মূর্খ ও দেশের বোঝা মনে করে। টুপি পাঞ্জাবি দেখলেই তাদের গা শিরশির করে। তাদের প্রতিজ্ঞা— জীবন দিয়ে হলেও এই দেশে হুযূরদের উত্থান ঠেকাতে হবে।
দ্বিতীয় আরেকটি শ্রেণি আছে, যারা হুযূরদের প্রতি একটু স্নেহশীল। টুকটাক সম্মান দেখায়। বিশেষ সিজনগুলোতে হুযূরদের দরবারে হাদিয়াও পাঠায়। মজার বিষয় হচ্ছে— তারাও চায় হুযূররা কেবল বাইতুল মুকাররামের খতিব হোক। তাসবিহ তাহলিল নিয়েই ব্যস্ত থাকুক। লম্বা জামা আর পায়জামা পড়ে সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন না দেখুক। কারণ মহা পবিত্র (!) এই সংসদ পরিচালনা করার যোগ্যতা হুযূর মিআঁদের নাই।
তাদের এই চিন্তাধারার বাস্তবতা কতটুকু? আসলেই কি হুযূররা অপাংক্তেয়? মাদরাসার সিলেবাস কি আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক তৈরিতে ব্যর্থ? আসুন একটু বিশ্লেষণ করা যাক।
মোল্লা-মুন্সিরা দেশ চালাতে পারবে কি না সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে আমাদেরকে জানতে হবে আমরা যে দেশের কথা বলছি সেটি আসলে কোন ধরণের। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় দেশগুলো মোটাদাগে দুই প্রকারে বিভক্ত।
১. সেক্যুলার রাষ্ট্র, যেখানে রহমানি আইনের বদলে শয়তানি আইন প্রয়োগ হয়। পশ্চিমা থিয়োরিগুলোকে সংবিধান হিসেবে গণ্য করা হয়। সংসদীয় আসনের উল্ল্যেখযোগ্য একটি অংশ নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয়। নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা দিতে হয়। ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার ব্যবস্থা করতে হয়। মুক্তচিন্তা ও বাক স্বাধীনতার নামে যেখানে ধর্মকে খাটো করা হয় সবসময়।
সুতরাং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেই সংসদে বেপর্দা নারীদের উপস্থিতি বিদ্যমান, সেখানে টুপি পাঞ্জাবি পড়া হুযূরদের অবস্থান সত্যিই বেমানান। যেই অফিসগুলোতে জিন্সের প্যান্ট আর বডি ফিটিং কোট পড়া নারীদের আনাগুনা থাকে সেখানে একজন মুত্তাকি পরহেজগার লোক কখনো স্বস্তিতে বসতে পারবেন না।
যেই রাষ্ট্রব্যবস্থায় এমপি-মন্ত্রিদের ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে ধোঁকা, দূর্নীতি আর প্রতারণা— সেখানে একজন দ্বীনদার মৌলভী তাকওয়ার উপর ভর করে ঠিকে থাকতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। যেই শাসনব্যবস্থার ভিত্তিই হয়েছে ইসলামকে মাইনাস করে, সেই শাসনব্যবস্থায় ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে বুকে ধারণ করা একজন হুযূর কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিবেন?
তাহলে কি আমি সেক্যুলারদের সাথে এই ব্যাপারে একমত? আমিও কি মনে করি হুযূররা দেশ পরিচালনায় অযোগ্য?
বেয়াদবি মাফ করবেন ভাই, আসলেই আমি এই ক্ষেত্রে সেক্যুলাঙ্গারদের সাথে একমত। আমি মনে করি, এই কুফুরি শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা হুযূরদের নাই। তার বাস্তব প্রমাণ আমাদের চোখের সামনেই। দুনিয়ার কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই হুযূর কিংবা ইসলামপন্থিরা ক্ষমতায় নাই। কারণ একটাই— গরুর গোয়ালে কখনো মানুষ বসবাস করতে পারে না। এটা সম্ভব না। মানবের এই অপারগতা তাদের দূর্বলতা নাকি অন্যকিছু সেটা আপনারা নিজে নিজেই বুঝে নেন।
২. দ্বিতীয় রাষ্ট্রব্যবস্থাটি হচ্ছে খিলাফাহ বা ইসলামি রাষ্ট্র। যাতে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দ্বীন কার্যকর করা হয়। সব বিভাগে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নাহকে অনুসরণ করা হয়। যেই রাষ্ট্রে পশ্চিমাদের বস্তা পচা সস্তা কোনো থিওরি নেই। নারী অধিকারের নামে নারীদেরকে বাজারের পণ্য বানানোর মতো কোনো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের সুযোগ নেই। সর্বত্র শুধু ন্যায়, ইনসাফ ও স্বর্গীয় প্রশান্তির আমেজ।
এই রকম রাষ্ট্রব্যবস্থাই কেবল হুযূর-মৌলভীদের শাসনক্ষেত্র হওয়ার জন্য উপযুক্ত। মাদরাসার সিলেবাস আর হুযূরদের তাকওয়াপূর্ণ অভ্যাস এই রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথেই খাপ খায়।
আফগানি মোল্লাদের দিকে তাকান। ভাঁজ পড়া পায়জামা, লম্বা আলখেল্লা আর ধূলিমলিন পাগড়ি পড়ে কীভাবে তারা আধুনিকতার আইডলদেরকে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে! মাদরাসার আদিম সিলেবাসে শিক্ষিত হয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি ভূখণ্ডকে খাদের কিনারা থেকে তুলে এনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করছে!
আফগানি মোল্লাদের সফলতা আর বাঙালি মৌলভীদের ব্যর্থতার আসল প্যাটার্নটি এখনো আমরা বুঝতে পারছি না। ফলে শাহবাগি সেক্যুলাঙ্গাররা যখন বলে— হুযূররা দেশের বোঝা, তারা কখনো দেশ চালাতে পারবে না, তখন কতিপয় হুযূরস এর প্রতিবাদস্বরূপ মাথায় লাল সবুজের জাতীয়তাবাদী শিরকি চিহ্ন পেছিয়ে মিছিল করেন। শহিদ মিনার নামক খাম্বার নিচে বসে কুরআন খতম করে বুঝাতে চান আমরাও এ দেশের নাগরিক। আমরাও তোমাদের মতো আধুনিক। বেপর্দা নারীদের সাথে ঢলাঢলি করে, টকশোতে আড্ডা জমিয়ে নিজেদের স্মার্টনেস জাহের করেন।
প্রবন্ধটির সারাংশ হচ্ছে—
রাষ্ট্র দুই প্রকার: ১. সেক্যুলার ২. ইসলামি।
হুযূরও দুই শ্রেণির: ১. সেক্যুলারদের কথা বিশ্বাস করে নিজেকে স্টুপিড ও যুগের সাথে বেমানান মনে করে জাতে উঠতে চাওয়া গোষ্ঠী।
২. ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে আকড়ে ধরে থাকা এবং ইসলামকে যুগের সাথে না মিলিয়ে বরং যুগকে ইসলামের সাথে মিলাতে চাওয়া সম্প্রদায়।
যদি রাষ্ট্র প্রথম প্রকারের হয় তাহলে সেখানে দ্বিতীয় শ্রেনির হুযূরদের জন্য ক্ষমতায় যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর যদি রাষ্ট্র দ্বিতীয় প্রকারের হয় তাহলে সেটা দ্বিতীয় শ্রেণির হুযূরদেরই রাষ্ট্র। যেখানে কোনো সেক্যুলার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিংবা পশ্চিমা সভ্যতার গোলামদের স্থান নেই।
বাকি রইল প্রথম শ্রেণির কতিপয় হুযূরস। তাদের কি কোনো ভাগ নেই? আসলেই নেই ভাই। তারা হুযূর হওয়ার কারণে সেক্যুলার রাষ্ট্রে কোনো ভাগ পাবে না। আবার জাতে উঠতে গিয়ে পরিপূর্ণভাবে ইসলাম না মানার কারণে কখনো ইসলামি রাষ্ট্রও কায়েম করতে পারবে না। সুতরাং তারা গোল আলু হয়ে কখনো গোশতের তরকারিতে গিয়ে পড়বে, কখনো শুঁটকি-ভর্তার খোরাকে পরিণত হবে। মায়াযাল্লাহ।
সর্বশেষ কথা এটাই— হুযূরদের দেশ চালানোর যোগ্যতা আছে কি না সেটা দেখার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি যেই দেশের কথা বলছেন সেই ‘দেশ’ হুযূরদের শাসন মেনে নেওয়ার মতো যোগ্য কি না।
২৯ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৬ হি.
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
এই কথাগুলো স্বদেশীয় কিছু সেক্যুলার, প্রগতিশীল ও কথিত বুদ্ধিজীবীদের। তারা হুযূর শ্রেণিকে অশিক্ষিত, মূর্খ ও দেশের বোঝা মনে করে। টুপি পাঞ্জাবি দেখলেই তাদের গা শিরশির করে। তাদের প্রতিজ্ঞা— জীবন দিয়ে হলেও এই দেশে হুযূরদের উত্থান ঠেকাতে হবে।
দ্বিতীয় আরেকটি শ্রেণি আছে, যারা হুযূরদের প্রতি একটু স্নেহশীল। টুকটাক সম্মান দেখায়। বিশেষ সিজনগুলোতে হুযূরদের দরবারে হাদিয়াও পাঠায়। মজার বিষয় হচ্ছে— তারাও চায় হুযূররা কেবল বাইতুল মুকাররামের খতিব হোক। তাসবিহ তাহলিল নিয়েই ব্যস্ত থাকুক। লম্বা জামা আর পায়জামা পড়ে সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন না দেখুক। কারণ মহা পবিত্র (!) এই সংসদ পরিচালনা করার যোগ্যতা হুযূর মিআঁদের নাই।
তাদের এই চিন্তাধারার বাস্তবতা কতটুকু? আসলেই কি হুযূররা অপাংক্তেয়? মাদরাসার সিলেবাস কি আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক তৈরিতে ব্যর্থ? আসুন একটু বিশ্লেষণ করা যাক।
মোল্লা-মুন্সিরা দেশ চালাতে পারবে কি না সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে আমাদেরকে জানতে হবে আমরা যে দেশের কথা বলছি সেটি আসলে কোন ধরণের। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় দেশগুলো মোটাদাগে দুই প্রকারে বিভক্ত।
১. সেক্যুলার রাষ্ট্র, যেখানে রহমানি আইনের বদলে শয়তানি আইন প্রয়োগ হয়। পশ্চিমা থিয়োরিগুলোকে সংবিধান হিসেবে গণ্য করা হয়। সংসদীয় আসনের উল্ল্যেখযোগ্য একটি অংশ নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয়। নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা দিতে হয়। ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার ব্যবস্থা করতে হয়। মুক্তচিন্তা ও বাক স্বাধীনতার নামে যেখানে ধর্মকে খাটো করা হয় সবসময়।
সুতরাং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেই সংসদে বেপর্দা নারীদের উপস্থিতি বিদ্যমান, সেখানে টুপি পাঞ্জাবি পড়া হুযূরদের অবস্থান সত্যিই বেমানান। যেই অফিসগুলোতে জিন্সের প্যান্ট আর বডি ফিটিং কোট পড়া নারীদের আনাগুনা থাকে সেখানে একজন মুত্তাকি পরহেজগার লোক কখনো স্বস্তিতে বসতে পারবেন না।
যেই রাষ্ট্রব্যবস্থায় এমপি-মন্ত্রিদের ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে ধোঁকা, দূর্নীতি আর প্রতারণা— সেখানে একজন দ্বীনদার মৌলভী তাকওয়ার উপর ভর করে ঠিকে থাকতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। যেই শাসনব্যবস্থার ভিত্তিই হয়েছে ইসলামকে মাইনাস করে, সেই শাসনব্যবস্থায় ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে বুকে ধারণ করা একজন হুযূর কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিবেন?
তাহলে কি আমি সেক্যুলারদের সাথে এই ব্যাপারে একমত? আমিও কি মনে করি হুযূররা দেশ পরিচালনায় অযোগ্য?
বেয়াদবি মাফ করবেন ভাই, আসলেই আমি এই ক্ষেত্রে সেক্যুলাঙ্গারদের সাথে একমত। আমি মনে করি, এই কুফুরি শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা হুযূরদের নাই। তার বাস্তব প্রমাণ আমাদের চোখের সামনেই। দুনিয়ার কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই হুযূর কিংবা ইসলামপন্থিরা ক্ষমতায় নাই। কারণ একটাই— গরুর গোয়ালে কখনো মানুষ বসবাস করতে পারে না। এটা সম্ভব না। মানবের এই অপারগতা তাদের দূর্বলতা নাকি অন্যকিছু সেটা আপনারা নিজে নিজেই বুঝে নেন।
২. দ্বিতীয় রাষ্ট্রব্যবস্থাটি হচ্ছে খিলাফাহ বা ইসলামি রাষ্ট্র। যাতে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দ্বীন কার্যকর করা হয়। সব বিভাগে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নাহকে অনুসরণ করা হয়। যেই রাষ্ট্রে পশ্চিমাদের বস্তা পচা সস্তা কোনো থিওরি নেই। নারী অধিকারের নামে নারীদেরকে বাজারের পণ্য বানানোর মতো কোনো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের সুযোগ নেই। সর্বত্র শুধু ন্যায়, ইনসাফ ও স্বর্গীয় প্রশান্তির আমেজ।
এই রকম রাষ্ট্রব্যবস্থাই কেবল হুযূর-মৌলভীদের শাসনক্ষেত্র হওয়ার জন্য উপযুক্ত। মাদরাসার সিলেবাস আর হুযূরদের তাকওয়াপূর্ণ অভ্যাস এই রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথেই খাপ খায়।
আফগানি মোল্লাদের দিকে তাকান। ভাঁজ পড়া পায়জামা, লম্বা আলখেল্লা আর ধূলিমলিন পাগড়ি পড়ে কীভাবে তারা আধুনিকতার আইডলদেরকে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে! মাদরাসার আদিম সিলেবাসে শিক্ষিত হয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি ভূখণ্ডকে খাদের কিনারা থেকে তুলে এনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করছে!
আফগানি মোল্লাদের সফলতা আর বাঙালি মৌলভীদের ব্যর্থতার আসল প্যাটার্নটি এখনো আমরা বুঝতে পারছি না। ফলে শাহবাগি সেক্যুলাঙ্গাররা যখন বলে— হুযূররা দেশের বোঝা, তারা কখনো দেশ চালাতে পারবে না, তখন কতিপয় হুযূরস এর প্রতিবাদস্বরূপ মাথায় লাল সবুজের জাতীয়তাবাদী শিরকি চিহ্ন পেছিয়ে মিছিল করেন। শহিদ মিনার নামক খাম্বার নিচে বসে কুরআন খতম করে বুঝাতে চান আমরাও এ দেশের নাগরিক। আমরাও তোমাদের মতো আধুনিক। বেপর্দা নারীদের সাথে ঢলাঢলি করে, টকশোতে আড্ডা জমিয়ে নিজেদের স্মার্টনেস জাহের করেন।
প্রবন্ধটির সারাংশ হচ্ছে—
রাষ্ট্র দুই প্রকার: ১. সেক্যুলার ২. ইসলামি।
হুযূরও দুই শ্রেণির: ১. সেক্যুলারদের কথা বিশ্বাস করে নিজেকে স্টুপিড ও যুগের সাথে বেমানান মনে করে জাতে উঠতে চাওয়া গোষ্ঠী।
২. ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে আকড়ে ধরে থাকা এবং ইসলামকে যুগের সাথে না মিলিয়ে বরং যুগকে ইসলামের সাথে মিলাতে চাওয়া সম্প্রদায়।
যদি রাষ্ট্র প্রথম প্রকারের হয় তাহলে সেখানে দ্বিতীয় শ্রেনির হুযূরদের জন্য ক্ষমতায় যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর যদি রাষ্ট্র দ্বিতীয় প্রকারের হয় তাহলে সেটা দ্বিতীয় শ্রেণির হুযূরদেরই রাষ্ট্র। যেখানে কোনো সেক্যুলার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিংবা পশ্চিমা সভ্যতার গোলামদের স্থান নেই।
বাকি রইল প্রথম শ্রেণির কতিপয় হুযূরস। তাদের কি কোনো ভাগ নেই? আসলেই নেই ভাই। তারা হুযূর হওয়ার কারণে সেক্যুলার রাষ্ট্রে কোনো ভাগ পাবে না। আবার জাতে উঠতে গিয়ে পরিপূর্ণভাবে ইসলাম না মানার কারণে কখনো ইসলামি রাষ্ট্রও কায়েম করতে পারবে না। সুতরাং তারা গোল আলু হয়ে কখনো গোশতের তরকারিতে গিয়ে পড়বে, কখনো শুঁটকি-ভর্তার খোরাকে পরিণত হবে। মায়াযাল্লাহ।
সর্বশেষ কথা এটাই— হুযূরদের দেশ চালানোর যোগ্যতা আছে কি না সেটা দেখার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি যেই দেশের কথা বলছেন সেই ‘দেশ’ হুযূরদের শাসন মেনে নেওয়ার মতো যোগ্য কি না।
২৯ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৬ হি.
০১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
Comment