Announcement

Collapse
No announcement yet.

হুযূর, মোল্লা-মৌলভিরা কি কখনো দেশ চালাতে পারবে? ইসলামপন্থীদের আবেগ বনাম বাস্তবতা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হুযূর, মোল্লা-মৌলভিরা কি কখনো দেশ চালাতে পারবে? ইসলামপন্থীদের আবেগ বনাম বাস্তবতা

    হুযূরদের হাতে দেশটাকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। ওরা কীভাবে দেশ চালাবে? ওরা রাজনীতির কী বুঝে? ওরা কীভাবে মোটা মোটা আলখেল্লা গায়ে দিয়ে অফিস করবে? ওরা তো স্মার্ট না, আধুনিকতার কিছুই বুঝে না। সুতরাং কীভাবে ওরা দেশটাকে এগিয়ে নিবে?

    এই কথাগুলো স্বদেশীয় কিছু সেক্যুলার, প্রগতিশীল ও কথিত বুদ্ধিজীবীদের। তারা হুযূর শ্রেণিকে অশিক্ষিত, মূর্খ ও দেশের বোঝা মনে করে। টুপি পাঞ্জাবি দেখলেই তাদের গা শিরশির করে। তাদের প্রতিজ্ঞা— জীবন দিয়ে হলেও এই দেশে হুযূরদের উত্থান ঠেকাতে হবে।

    দ্বিতীয় আরেকটি শ্রেণি আছে, যারা হুযূরদের প্রতি একটু স্নেহশীল। টুকটাক সম্মান দেখায়। বিশেষ সিজনগুলোতে হুযূরদের দরবারে হাদিয়াও পাঠায়। মজার বিষয় হচ্ছে— তারাও চায় হুযূররা কেবল বাইতুল মুকাররামের খতিব হোক। তাসবিহ তাহলিল নিয়েই ব্যস্ত থাকুক। লম্বা জামা আর পায়জামা পড়ে সংসদে যাওয়ার স্বপ্ন না দেখুক। কারণ মহা পবিত্র (!) এই সংসদ পরিচালনা করার যোগ্যতা হুযূর মিআঁদের নাই।

    তাদের এই চিন্তাধারার বাস্তবতা কতটুকু? আসলেই কি হুযূররা অপাংক্তেয়? মাদরাসার সিলেবাস কি আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক তৈরিতে ব্যর্থ? আসুন একটু বিশ্লেষণ করা যাক।

    মোল্লা-মুন্সিরা দেশ চালাতে পারবে কি না সেই আলোচনায় যাওয়ার আগে আমাদেরকে জানতে হবে আমরা যে দেশের কথা বলছি সেটি আসলে কোন ধরণের। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় দেশগুলো মোটাদাগে দুই প্রকারে বিভক্ত।

    ১. সেক্যুলার রাষ্ট্র, যেখানে রহমানি আইনের বদলে শয়তানি আইন প্রয়োগ হয়। পশ্চিমা থিয়োরিগুলোকে সংবিধান হিসেবে গণ্য করা হয়। সংসদীয় আসনের উল্ল্যেখযোগ্য একটি অংশ নারীদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হয়। নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা দিতে হয়। ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার ব্যবস্থা করতে হয়। মুক্তচিন্তা ও বাক স্বাধীনতার নামে যেখানে ধর্মকে খাটো করা হয় সবসময়।

    সুতরাং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেই সংসদে বেপর্দা নারীদের উপস্থিতি বিদ্যমান, সেখানে টুপি পাঞ্জাবি পড়া হুযূরদের অবস্থান সত্যিই বেমানান। যেই অফিসগুলোতে জিন্সের প্যান্ট আর বডি ফিটিং কোট পড়া নারীদের আনাগুনা থাকে সেখানে একজন মুত্তাকি পরহেজগার লোক কখনো স্বস্তিতে বসতে পারবেন না।

    যেই রাষ্ট্রব্যবস্থায় এমপি-মন্ত্রিদের ক্ষমতায় ঠিকে থাকার অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে ধোঁকা, দূর্নীতি আর প্রতারণা— সেখানে একজন দ্বীনদার মৌলভী তাকওয়ার উপর ভর করে ঠিকে থাকতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। যেই শাসনব্যবস্থার ভিত্তিই হয়েছে ইসলামকে মাইনাস করে, সেই শাসনব্যবস্থায় ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে বুকে ধারণ করা একজন হুযূর কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিবেন?

    তাহলে কি আমি সেক্যুলারদের সাথে এই ব্যাপারে একমত? আমিও কি মনে করি হুযূররা দেশ পরিচালনায় অযোগ্য?

    বেয়াদবি মাফ করবেন ভাই, আসলেই আমি এই ক্ষেত্রে সেক্যুলাঙ্গারদের সাথে একমত। আমি মনে করি, এই কুফুরি শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা হুযূরদের নাই। তার বাস্তব প্রমাণ আমাদের চোখের সামনেই। দুনিয়ার কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই হুযূর কিংবা ইসলামপন্থিরা ক্ষমতায় নাই। কারণ একটাই— গরুর গোয়ালে কখনো মানুষ বসবাস করতে পারে না। এটা সম্ভব না। মানবের এই অপারগতা তাদের দূর্বলতা নাকি অন্যকিছু সেটা আপনারা নিজে নিজেই বুঝে নেন।

    ২. দ্বিতীয় রাষ্ট্রব্যবস্থাটি হচ্ছে খিলাফাহ বা ইসলামি রাষ্ট্র। যাতে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দ্বীন কার্যকর করা হয়। সব বিভাগে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সুন্নাহকে অনুসরণ করা হয়। যেই রাষ্ট্রে পশ্চিমাদের বস্তা পচা সস্তা কোনো থিওরি নেই। নারী অধিকারের নামে নারীদেরকে বাজারের পণ্য বানানোর মতো কোনো ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের সুযোগ নেই। সর্বত্র শুধু ন্যায়, ইনসাফ ও স্বর্গীয় প্রশান্তির আমেজ।

    এই রকম রাষ্ট্রব্যবস্থাই কেবল হুযূর-মৌলভীদের শাসনক্ষেত্র হওয়ার জন্য উপযুক্ত। মাদরাসার সিলেবাস আর হুযূরদের তাকওয়াপূর্ণ অভ্যাস এই রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথেই খাপ খায়।

    আফগানি মোল্লাদের দিকে তাকান। ভাঁজ পড়া পায়জামা, লম্বা আলখেল্লা আর ধূলিমলিন পাগড়ি পড়ে কীভাবে তারা আধুনিকতার আইডলদেরকে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে! মাদরাসার আদিম সিলেবাসে শিক্ষিত হয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি ভূখণ্ডকে খাদের কিনারা থেকে তুলে এনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করছে!

    আফগানি মোল্লাদের সফলতা আর বাঙালি মৌলভীদের ব্যর্থতার আসল প্যাটার্নটি এখনো আমরা বুঝতে পারছি না। ফলে শাহবাগি সেক্যুলাঙ্গাররা যখন বলে— হুযূররা দেশের বোঝা, তারা কখনো দেশ চালাতে পারবে না, তখন কতিপয় হুযূরস এর প্রতিবাদস্বরূপ মাথায় লাল সবুজের জাতীয়তাবাদী শিরকি চিহ্ন পেছিয়ে মিছিল করেন। শহিদ মিনার নামক খাম্বার নিচে বসে কুরআন খতম করে বুঝাতে চান আমরাও এ দেশের নাগরিক। আমরাও তোমাদের মতো আধুনিক। বেপর্দা নারীদের সাথে ঢলাঢলি করে, টকশোতে আড্ডা জমিয়ে নিজেদের স্মার্টনেস জাহের করেন।

    প্রবন্ধটির সারাংশ হচ্ছে—
    রাষ্ট্র দুই প্রকার: ১. সেক্যুলার ২. ইসলামি।
    হুযূরও দুই শ্রেণির: ১. সেক্যুলারদের কথা বিশ্বাস করে নিজেকে স্টুপিড ও যুগের সাথে বেমানান মনে করে জাতে উঠতে চাওয়া গোষ্ঠী।
    ২. ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে আকড়ে ধরে থাকা এবং ইসলামকে যুগের সাথে না মিলিয়ে বরং যুগকে ইসলামের সাথে মিলাতে চাওয়া সম্প্রদায়।

    যদি রাষ্ট্র প্রথম প্রকারের হয় তাহলে সেখানে দ্বিতীয় শ্রেনির হুযূরদের জন্য ক্ষমতায় যাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর যদি রাষ্ট্র
    দ্বিতীয় প্রকারের হয় তাহলে সেটা দ্বিতীয় শ্রেণির হুযূরদেরই রাষ্ট্র। যেখানে কোনো সেক্যুলার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিংবা পশ্চিমা সভ্যতার গোলামদের স্থান নেই।

    বাকি রইল প্রথম শ্রেণির কতিপয় হুযূরস। তাদের কি কোনো ভাগ নেই? আসলেই নেই ভাই। তারা হুযূর হওয়ার কারণে সেক্যুলার রাষ্ট্রে কোনো ভাগ পাবে না। আবার জাতে উঠতে গিয়ে পরিপূর্ণভাবে ইসলাম না মানার কারণে কখনো ইসলামি রাষ্ট্রও কায়েম করতে পারবে না। সুতরাং তারা গোল আলু হয়ে কখনো গোশতের তরকারিতে গিয়ে পড়বে, কখনো শুঁটকি-ভর্তার খোরাকে পরিণত হবে। মায়াযাল্লাহ।


    সর্বশেষ কথা এটাই— হুযূরদের দেশ চালানোর যোগ্যতা আছে কি না সেটা দেখার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি যেই দেশের কথা বলছেন সেই ‘দেশ’ হুযূরদের শাসন মেনে নেওয়ার মতো যোগ্য কি না।







    ২৯ জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪৬ হি.
    ০১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ



  • #2
    পরিশেষে একটি কথাই বলব, হুযূরদের দেশ চালানোর যোগ্যতা আছে কি না সেটা দেখার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনি যেই দেশের কথা বলছেন সেই ‘দেশ’ হুযূরদের শাসন মেনে নেওয়ার মতো যোগ্য কি না।
    সুপার স্মার্ট লাইন মা-শা-আল্ল-হ।
    আল্লাহ তায়ালা এ গোষ্ঠী থেকে উম্মাহকে মুক্তি দিক আমীন।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 1 week ago.
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      প্রচলিত মাদ্রাসা ভিত্তিক পড়াশোনার সাথে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও এর সাথে সম্পর্কিত সকল ক্ষেত্র গুলো যোগ করতে হবে। একটা দেশের অর্থনীতি,বাজার ব্যাবস্থা,জন সম্পদ ব্যাবস্থাপনা, সকল সেক্টরে দক্ষতাভিত্তিক কর্মবিভাজন, সকল সেক্টরের কাজ গুলোর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক বিজ্ঞানভিত্তিক ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের সাথে বিচার করার যোগ্যতা থাকলেই কেবল হুজুরদের দ্বারা দেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।এখানে তাকওয়া ও ইলমের যেমন প্রয়োজন ,অন্যান্য যোগ্যতার ও অনেক প্রয়োজন যা আফগানিদের মাঝে আছে।যার জন্য আমেরিকা তাদের নষ্ট ট্যাংক হেলিকপ্টার ফেলে যাওয়ার পর ও তারা সেগুলো রিপেয়ার করে ব্যাবহার করছে। নাহলে আশা দুরাশায় পরিণত হতে পারে।

      Comment


      • #4
        রাষ্ট্র দুই প্রকার, হুযূরও দুই শ্রেণির​- এই কথাটা খুব মনে ধরেছে। সেই সাথে ২য় শ্রেণীর হুজুরদেরকে রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ইন্জিনিয়ারিং এর জ্ঞানের উপরও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।

        Comment


        • #5
          আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও ইনসাফের পথে রাখুন। আমীন
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            প্রিয় ভাইদের সাথে কিছু ব্যাপারে সহমত ও দ্বিমত পোষণ করছি। শরীয়াহ ভিত্তিক দেশ পরিচালনায় সক্ষম হবার মানে এই না যে, দপ্তরভিত্তিক, আঞ্চলিক জনপ্রশাসন কাঠামো কিংবা স্থানীয় সরকার পরিচালনার সমসাময়িক ধারণা বর্তমান মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আছে। আমাদের মাদ্রাসাগুলো বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ চালানোর মত হলেও প্রশাসনিক দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়ার জন্য যথেষ্ট না। এখানে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা পলিটিক্স, পররাষ্ট্র, ভূগোল, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনের মত অনুষদ যুক্ত করার প্রয়োজন আছে।

            ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে অনেক হাইপ থাকলেও বিজ্ঞান অনুষদকে কলা অনুষদের অধীনে থেকে জীবনধারণ করতে হয়। দিন শেষে ডাক্তারের বেতন আসে হাসপাতালের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে; ইঞ্জিনিয়ারের প্রোমোশন হয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে। দুই কথা বলতে গেলে আপনাকে যে অফিসার বদলি করে বান্দারবান পাঠাবে সে কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার না।

            আফগানিস্তানে মাদ্রাসার ছাত্ররা সফল হয়েছে, পর্যায়ক্রমে অগ্রসরের নীতি অনুসরণের কারনে। তাদের পাঠ্যবইয়ে হয়তো অনেক কিছু ছিল না; কিন্তু তারা অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু জানেন। বাংলাদেশের ছাত্রদের এখনো অনেক পথ হাটতে হবে।

            আমার অনুমানের ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
            (note- সবাইকে সব কাজের কাজী হতে হবে না। তবে সবার বেসিক ধারণা রাখা উচিত এবং কারও কারও অন্তত একটা শাস্ত্রে পারদর্শী হতে পারলে ভাল। বেসিকের জন্য পাঠ্যবইয়ে চোখ বুলিয়ে নিয়ে হালকা ধারণা রাখলেই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ্ https://nctb.portal.gov.bd/site/page...4-df9a1d305d87
            বেসিকের একটা সহজ ভার্সন http://ebookbou.edu.bd/hsc.php )

            পর্যায়ক্রমে অগ্রসরের নীতি​ - শাইখ কাসিম আর রিমি

            https://gazwah.net/?p=11595
            Last edited by Rakibul Hassan; 6 days ago.

            Comment


            • #7
              Originally posted by Al khattabi View Post
              প্রিয় ভাইদের সাথে কিছু ব্যাপারে সহমত ও দ্বিমত পোষণ করছি।

              জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা মুহতারাম ভাই। আপনাদের এই ধরণের রিপ্লাই আমাদেরকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। আমরা মন খুলে লেখালেখি করতে পারি। কারণ আমাদের এই আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় যে, আমাদের কোনো ভুল উম্মাহর মধ্যে ফিতনাহ ছড়াতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। আমাদের ভাইরা সংশোধন করে দিবেন। তাই আমরা আশা রাখব, সব সময় একচেটিয়াভাবে আমাদের লেখার প্রশংসা না করে এভাবে আমাদের ভুলগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

              যাইহোক, উপরের আর্টিকেলে সংক্ষিপ্তভাবে মূল কন্সেপ্টটি তুলে ধরা হয়েছে। এর বাইরে আরো অনেক কথা আছে যেগুলো এখানে আসা উচিৎ ছিল। লেখা বেশি লম্বা হয়ে যাওয়ার আশংকায় বাদ দিতে হয়েছে। তাই ভুলগুলো ক্ষমার নযরে দেখবেন ইনশাআল্লাহ।



              إن أحسنت فمن الله، وإن أسأت فمن نفسي والشيطان


              Last edited by Rakibul Hassan; 6 days ago.

              Comment


              • #8
                খেলাফত ছাড়া কোন রাস্ট্র সুন্দর হতে পারে না

                Comment


                • #9
                  [size=16px]
                  Originally posted by al khattabi View Post
                  ...... বাংলাদেশের ছাত্রদের না পুথিগত বিদ্যা আছে; না অভিজ্ঞতা।

                  আমার অনুমানের ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্ল......


                  মুহতারান ভাই ,ওপেন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই এপ্রোচে বলা উচিত নয় আমি মনে করি। এতে করে তারা কষ্ট পেয়ে দূরে সরে যাবে।
                  পরোক্ষভাবে তাদেরকে জিহাদ থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হবে।

                  শহীদে উম্মাত শায়খ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ তাঁর একটি চিঠিতে লিখেছেন:
                  জিহাদি মিডিয়ায় এমন শব্দ, বাক্য ও কথা, বলা এবং লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে যা একজন মুসলমানের শানের খেলাফ। যে কোন মুসলমানের সাথেই ঘৃণা, গালিগালাজ, ভাষার ভুল ব্যবহার উচিৎ নয়। মিডিয়ায় লেখা বা বলার সময় শরয়ী নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী। এ বিষয়টি দেখতে হবে যে, আমাদের এই কথা দ্বারা জিহাদের ফায়দা হবে? না ক্ষতি হবে? আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, মুজাহিদদের জন্য এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ রাখা কত জরুরী। আমার খেয়াল হলো এখনই আমাদের সমস্ত মিডিয়াগুলোকে কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। কারণ এই মিডিয়াই উম্মত পর্যন্ত আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় এবং উম্মতের সাথে আমাদের সম্পর্কের একমাত্র মাধ্যম। এই মিডিয়াই আমাদেরকে উম্মতের সামনে তুলে ধরে। এজন্য জরুরী হলো আমাদের মিডিয়া উম্মতের বুঝ অনুযায়ী হবে এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশায় সহানুভূতি জানাবে। তেমনিভাবে আরেকটি বিষয় মিডিয়ার ভাইদের জন্য জরুরী, তাদের প্রকাশনাগুলো যেন সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে হয়। উম্মাহকে অন্ধকারের গভীরতা থেকে বের করে নিয়ে আসার ফিকির তাদের মধ্যে থাকতে হবে।”​


                  বিস্তারিত জানতে উস্তাদ উসামা মাহমুদের এই রিসালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by ইয়াকুব ইবনে ওমর View Post


                    মুহতারান ভাই ,ওপেন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই এপ্রোচে বলা উচিত নয় আমি মনে করি।
                    শহীদে উম্মাত শায়খ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ তাঁর একটি চিঠিতে লিখেছেন[b]:


                    বিস্তারিত জানতে উস্তাদ উসামা মাহমুদের এই রিসালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
                    জাযাকআল্লাহ খইরান, ভাই। আমার পক্ষ থেকে কিছু ভুল হয়েছে

                    Comment

                    Working...
                    X