Announcement

Collapse
No announcement yet.

উপমহাদেশের এই যমীনে একদিন এমন সময়ও আসবে যেদিন এই জামাআতের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সদস্যকে দিয়েও আল্লাহ পাক দ্বীনের বিশাল খেদমত করিয়ে নিবেন।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উপমহাদেশের এই যমীনে একদিন এমন সময়ও আসবে যেদিন এই জামাআতের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সদস্যকে দিয়েও আল্লাহ পাক দ্বীনের বিশাল খেদমত করিয়ে নিবেন।

    "উপমহাদেশের এই যমীনে একদিন এমন সময়ও আসবে যেদিন এই জামাআতের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইকে দিয়েও দিয়েও আল্লাহ পাক দ্বীনের বিশাল খেদমত করিয়ে নিবেন।"

    এই কথাটা বলেছেন আল কায়েদা উপমহাদেশ শাখার আমীর শাইখ উসামা মাহমুদ(হাফি)

    তিনি পরোক্ষভাবে কথাটা বলেছেন। সহজভাবে বোঝার জন্য খোলাখুলিভাবে বলি,

    "এই উপমহাদেশে এমন একটা সময় আসবে এখন ফেসবুক আর দাওয়াহ ইলাল্লাহ ভিজিট করে জিহাদী জযবাকে যিন্দা রাখার চেষ্টা করা তরুণ ভাইটার হাতেও একপ্রকার জোর করেই জিহাদের কমান্ডার হওয়ার দায়িত্ব এসে পড়বে।"

    "এই উপমহাদেশে এমন একটা সময় আসবে এখন ফেসবুক আর দাওয়াহ ইলাল্লাহ ভিজিট করে জিহাদী জযবাকে যিন্দা রাখার চেষ্টা করা তরুণ ভাইটার হাতেও একপ্রকার জোর করেই একেকটা বিশাল এলাকার জিহাদ কন্ট্রোল করার দায়িত্ব এসে পড়বে!!"

    জ্বি! বাস্তবে এটাই হবে! কারণ ওই মুহুর্তে যারা নবীন যোদ্ধা তাদের পরিচালনা করার জন্য কিংবা বিশাল উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জিহাদি দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়ার জন্য দিনশেষে আপনাদেরই ডাক আসবে। আর সাধারন মানুষ তো দূরে থাক, সাধারণ প্র্যাকটিসিং দ্বীনদার মানুষরাও ওই দিনের জিহাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়!! তারা ওইদিন জিহাদের ময়দান কন্ট্রোল করার যোগ্যতা রাখবে না। অথবা তারা জিহাদের ময়দানে তারা হবে শিশুর মত‌ো।
    ফেসবুক বা জিহাদী ফোরামে জিহাদের অনুসন্ধান করা ছেলেগুলোর দিকেই ওই দিনের উপমহাদেশের যমীন ও এর নির্যাতিত মুসলিমরা তাকিয়ে থাকবে, যাদের কাজকে একসময় অনর্থক ও জযবাতি বলে উপহাস করা হতো।

    কিন্তু ভাইয়া ওই দিনটা কখন? এর উত্তর জানা নেই।

    কারণ ওই দিনটা জুলাই গণঅভুত্থান কিংবা সিরিয়ান রেভ্যুলুশন কিংবা জাওলানীর সিরিয়া জয়ের মতোই আনপ্রেডিক্টেবল জিনিস যা কেবলমাত্র আল্লাহর জ্ঞানেই আছে।

    জুলাই বিপ্লবের কথা চিন্তা করুন। এটি এদেশের অনেক চিন্তাশীল দ্বাঈ ভাই, হাসিনার আমলে যারা ফেসবুকেই লেখালেখিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন, তাদেরকে এখন এই দেশের পুরো মুসলিম কমিউনিটির পর্যায়ে ভূমিকার রাখার মতো দায়িত্বে নিয়ে এসেছে।

    ২০০০ সালের কথা চিন্তা করুন। ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা শুরু হয়েছে। তখন, আবু মুহাম্মাদ আল জাওলানী, ১৭ বছরের এক তরুণ। ফিলিস্তিন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। তার কাছে মনে হওয়া শুরু হয়েছে যে জালিমদের বিরুদ্ধ জিহাদ করা তার জন্য ফরজ। কিন্তু তখন শায়খ আহমাদ ইয়াসিন কিংবা ইয়াসির আরাফাতদের নামটাই গোটা বিশ্বে আলোচিত - ফিলিস্তিনের নামের সঙ্গে। কিশোর জাওলানীকে কেউ চিনে না। তার হাতেও কোনো দায়িত্ব এসে পড়েনি।

    ২০০৩ সাল, আমেরিকা ইরাকে ফুল-স্কেল আগ্রাসন শুরু করেছে। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ তার জিহাদী দায়িত্ব পালন করতে পাড়ি জমিয়েছেন ইরাকে। তখন তিনি আল কায়েদা ইরাকের নতুন মুজাহিদ মাত্র। ওই সময়ের বড় বড় মুজাহিদ কমান্ডারদের আমেরিকা মরিয়া হয়ে খুঁজছে ধরার জন্য। যাদেরকে দেখামাত্রই বিমান হামলার আদেশ দেয়া। যাদের মাথার মুল্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার।


    তিনি আমেরিকার হাতে গ্রেফতার হন। তখনও হয়তো তিনি বড় মাপের কেউ হয়ে ওঠেন নি। মুক্তি পাওয়ার পর ইরাকে জিহাদের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে তার গুরুত্বও বাড়তে থাকে।

    ২০১১ সালের কল্পনাতীতভাবে শুরু হওয়া সিরিয়ান বিদ্রোহ, একপ্রকার বাধ্যতামূলকভাবে জাওলানীর কাধে সিরিয়ার জিহাদ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তুলে দেয়, তখন তিনি মাত্র ৩২ বছর বয়সী যুবক। ইরাকের জিহাদে তার প্রস্ফুটিত যোগ্যতাই তার কাঁধে বিশাল দায়িত্ব তুলে দেয়। তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দরকষাকষির পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

    আল্লাহ পাক সিরিয়াবাসীর প্রতি তার বিজয়ের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। যদিও অতীতে অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে তবুও আমাদের আশা, সিরিয়ার বর্তমান নেতৃবৃন্দ ও সেখানকার মুসলিমরা আল্লাহর দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে তাদের ওয়াদা পূর্ণ করবেন।

    হিন্দুস্তানে এমন দিন আসছে। এই মেঘ জমা হচ্ছে হিন্দুস্তানের বিভিন্ন জায়গায়। পাকিস্তানের কাবায়েলী এলাকায় অলরেডি বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমরা প্রস্তুত আছি তো! এই ফ্রি টাইমের বরাদ্দ সময়টুকু নিজেদের আমলী, ইলমি ও রাজনৈতিক ও সামরিক যোগ্যতাবৃদ্ধিতে কাজে লাগাচ্ছি তো!​

  • #2
    ইনশাআল্লাহ ভাই,,

    Comment


    • #3
      লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবার। অয়ালিল্লাহিল হামদ।ইনশাআল্লাহ।।।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা যেনো আমাদের পা গুলো কে শত্রুদের সামনে দৃড় রাখেন এবং
        আমাদের ইমানকে মুমিনদের জন্য ভালোবাসার এবং আল্লহর শত্রুদের জন্য ভয়ের কারন বানিয়ে দেন। আমিন
        গুরাবা হয়ে লড়তে চাই, গুরাবা হয়েই শাহাদাহ চাই

        Comment


        • #5
          ইনশাআল্লাহ

          [প্রিয় Muhammad Ibne Ismail ভাই,এক শব্দের কমেন্ট ফোরামে এলাও না করাই নিয়ম। সামনে থেকে খেয়াল রাখলে ভাল হয়। - মডারেটর]​​​
          Last edited by Rakibul Hassan; 1 week ago.

          Comment


          • #6
            হে উম্মাহ কাজে লেগে যাও। শুধু কথা বলা নয় কাজে পরিনত করতে হবে। কি কাজ করবে তা জেনে নাও।

            Comment

            Working...
            X