এশার নামাজ শেষ করে ফ্লোরে বিছানো পুরনো দূর্গন্ধযুক্ত কম্বলে নিজের দূর্বল শরীরটা এলিয়ে দিল খালিদ। শরীর দূর্বল হলেও মনটা বেশ প্রশান্ত আজ তার। কারণ দীর্ঘ ৪ মাসের গুম জীবনের আজ ইতি ঘটতে যাচ্ছে। গতকয়েক দিন ধরে গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা এসে আর অত্যাচার করে নি। একটু আগে এসে গোয়েন্দা অফিসার তাচ্ছিল্যের সাথে বলে গেছে কালিমা বেশি বেশি পড়তে। এই কথার মানে খালিদ বুঝে।
চোখ বুঝে খালিদ এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেয়। সে তার স্মৃতির পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখতে পায় তার জিহাদি জীবনের প্রথম দিনগুলো, দেখে আসকারি ট্রেনিং আর অপারেশন এর রোমাঞ্চকর সময়গুলো।
চোখ যুদ্ধের স্মৃতিতে ডুবে থাকা খালিদ দেখে সময়ের বাকে এক মায়া ভরা মুখ, অপেক্ষারত অবস্থায় তাকিয়ে আছে তার দিকে, সাথে ছোট্ট এক মেয়ে নিয়ে। চোখ বুঝেই মুচকি হেসে উঠে...
পায়ের আওয়াজে চোখ মেলে দেখে সেল এর দরজায় দুইজন প্রকান্ডদেহী ব্যক্তি। এদের আগে দেখা যায় নি। করিডোর এর হালকা আলোয় কালো ড্রেসে একদম ভৌতিক লাগছে। বুঝতে পারে স্মৃতির সাগরে বেশ লম্বা সময়ই সে ডুবে ছিল।
সেলের ডিউটিতে থাকা কন্সটেবল তারিক বললো,"স্যারেরা এসেছে আপনাকে নিতে। কিছু করবেন আপনি?"
"জী, দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে চাই"-খালিদ এর শীতল জবাব
"ঠিক আছে করে নিন"...
ধীরস্থিরতার সাথে প্রশান্ত হৃদয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে জল্লাদের মত দুইজনের সামনে দাঁড়ানো মাত্রই কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে পিছমোড়া করে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে চোখ বেধে দেয় সেই ব্যক্তিরা।
লম্বা করিডোর তাদের সাহায্যে হেটে হেটে পার হয়ে একটি মাইক্রোতে উঠে বসা মাত্রই তা প্রচন্ড গতিতে চলা শুরু করে দিল। গাড়িতে পিনপতন নিরবতা। শুধু উপলব্ধি করা যাচ্ছে হায়েনার মত কিছু ব্যক্তির উত্তেজনাময় গরম নিঃশ্বাস এর উপস্থিতি।
এক নির্জন স্থানে এসে গাড়িটি থামলো। তারা খালিদকে নামিয়ে হাটু গেড়ে মাটিতে বসিয়ে দিল।
"তোমার কোন শেষ ইচ্ছে আছে কি?" এই প্রথম কথা বললো কিলিং গ্রুপের কোন সদস্য।
"জী, তোমাদের সমস্ত গুলি যেন আমার বুকে করা হয় আর একটি গুলি আমার কপালের মাঝ বরাবর। যেন হাশরের ময়দানে আমার কপাল থেকে সিজদার নূর আর শাহাদাতের রক্ত একসাথে বের হয়।" বলে চুপ হল খালিদ।
"তোমার ইচ্ছে পুরন হবে" এটুকু শুনার পরই খালিদ শুনলো পিস্তল কক করার আওয়াজ আর ফায়ারিং পজিশন নিতে যাওয়া পায়ের খসখস শব্দ।
কতই না মনোমুগ্ধকর আওয়াজ! মুচকি হাসতে হাসতে কালিমা পড়ে নিল খালিদ।
আহ কি আনন্দ একটু পরেই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম) এর সাথে দেখা হবে! এরই জন্য তো এত মেহনত....
ইনশাআল্লাহ শহীদ হজরত মুকুল রানা ভাই রাহিঃ এর স্মরণে..
চোখ বুঝে খালিদ এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেয়। সে তার স্মৃতির পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখতে পায় তার জিহাদি জীবনের প্রথম দিনগুলো, দেখে আসকারি ট্রেনিং আর অপারেশন এর রোমাঞ্চকর সময়গুলো।
চোখ যুদ্ধের স্মৃতিতে ডুবে থাকা খালিদ দেখে সময়ের বাকে এক মায়া ভরা মুখ, অপেক্ষারত অবস্থায় তাকিয়ে আছে তার দিকে, সাথে ছোট্ট এক মেয়ে নিয়ে। চোখ বুঝেই মুচকি হেসে উঠে...
পায়ের আওয়াজে চোখ মেলে দেখে সেল এর দরজায় দুইজন প্রকান্ডদেহী ব্যক্তি। এদের আগে দেখা যায় নি। করিডোর এর হালকা আলোয় কালো ড্রেসে একদম ভৌতিক লাগছে। বুঝতে পারে স্মৃতির সাগরে বেশ লম্বা সময়ই সে ডুবে ছিল।
সেলের ডিউটিতে থাকা কন্সটেবল তারিক বললো,"স্যারেরা এসেছে আপনাকে নিতে। কিছু করবেন আপনি?"
"জী, দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে চাই"-খালিদ এর শীতল জবাব
"ঠিক আছে করে নিন"...
ধীরস্থিরতার সাথে প্রশান্ত হৃদয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে জল্লাদের মত দুইজনের সামনে দাঁড়ানো মাত্রই কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে পিছমোড়া করে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে চোখ বেধে দেয় সেই ব্যক্তিরা।
লম্বা করিডোর তাদের সাহায্যে হেটে হেটে পার হয়ে একটি মাইক্রোতে উঠে বসা মাত্রই তা প্রচন্ড গতিতে চলা শুরু করে দিল। গাড়িতে পিনপতন নিরবতা। শুধু উপলব্ধি করা যাচ্ছে হায়েনার মত কিছু ব্যক্তির উত্তেজনাময় গরম নিঃশ্বাস এর উপস্থিতি।
এক নির্জন স্থানে এসে গাড়িটি থামলো। তারা খালিদকে নামিয়ে হাটু গেড়ে মাটিতে বসিয়ে দিল।
"তোমার কোন শেষ ইচ্ছে আছে কি?" এই প্রথম কথা বললো কিলিং গ্রুপের কোন সদস্য।
"জী, তোমাদের সমস্ত গুলি যেন আমার বুকে করা হয় আর একটি গুলি আমার কপালের মাঝ বরাবর। যেন হাশরের ময়দানে আমার কপাল থেকে সিজদার নূর আর শাহাদাতের রক্ত একসাথে বের হয়।" বলে চুপ হল খালিদ।
"তোমার ইচ্ছে পুরন হবে" এটুকু শুনার পরই খালিদ শুনলো পিস্তল কক করার আওয়াজ আর ফায়ারিং পজিশন নিতে যাওয়া পায়ের খসখস শব্দ।
কতই না মনোমুগ্ধকর আওয়াজ! মুচকি হাসতে হাসতে কালিমা পড়ে নিল খালিদ।
আহ কি আনন্দ একটু পরেই আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম) এর সাথে দেখা হবে! এরই জন্য তো এত মেহনত....
ইনশাআল্লাহ শহীদ হজরত মুকুল রানা ভাই রাহিঃ এর স্মরণে..
Comment