বেশ কয়েকটি গণতান্ত্রিক ইসলামি দল বাংলাদেশে বহুযুগ ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও শাহাদাতের নযরানা পেশ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু পদ্ধতিটি ইসলামসম্মত না হওয়ায় এখনো তারা কোনো সফলতার মুখ দেখে নি। ভবিষ্যতেও এর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ফ্যাসিবাদ-উত্তর পরিবর্তিত বাংলাদেশে অনেকেই এখন নতুন করে স্বপ্নের জাল বুনছেন। নানা হিসাব নিকাশ ও পরিকল্পনা করে ভবিষ্যতের কিছু কাল্পনিক চিত্র তৈরি করছেন। যাইহোক, সামগ্রিক দিক বিশ্লেষণ করে এই দলগুলোর প্রায় চারটি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আমি খুঁজে পেয়েছি। যথা:
১. এই দলগুলো কখনো নির্বাচনে জিতবে না। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কারণ তারা ইসলামি দল। তাদের মিশন ও ভিশন হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো সাধারণত পরাশক্তি দেশগুলোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এখানে কে সরকার হবে, কে বিরুধী দলে থাকবে তার সবকিছুই নির্ধারণ করে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। আমরা দেখেছি, বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আমেরিকাকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিল। সফলও হয়েছিল। তবে শেষ দিকে এসে আমেরিকার সাথে তাদের সম্পর্কের একটু টানাপোড়ন শুরু হয়। অতঃপর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। আমেরিকা হাসিনার পক্ষে থাকলে এই আন্দোলন সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমই ছিল।
আমরা যতই ‘ফেয়ার ইলেকশন’ এর বুলি আওড়াই না কেন, দলগুলো যতই নিজেরদের পক্ষে সাফাই গায় না কেন, দিন শেষে ঐ দলই ক্ষমতায় আসবে যার প্রতি আমেরিকা সন্তুষ্ট। আমেরিকা কস্মিনকালেও এমন কোনো দলকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না যাদের উদ্দেশ্য ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার আধিপত্য আর ইসলামি রাষ্ট্র কখনো একসাথে অবস্থান করতে পারে না। সুতরাং ইসলামি দলগুলো সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেললেও সিস্টেমের ভিতরে থেকে তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
২. বিদেশি পরাশক্তিকে খুশি করে ক্ষমতার মসনদ দখল করা
ইসলামি দলগুলো এই পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে। আমেরিকাকে তাদের খুশি করতে হবে। তবে ইসলামি দলগুলোর জন্য আমেরিকাকে খুশি করার পদ্ধতি একটিই— ইসলামকে রিফর্ম করা। শরিয়াহকে এমনভাবে কাটছাঁট করা যেন শিরক আর তাওহিদ সবকিছু মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। ইতোমধ্যে এই দলগুলো কাজটি শুরু করে দিয়েছে। তারা হিকমাহ ও গ্লোবাল পলিসির অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছেমতো দ্বীনকে কাস্টমাইয করছে। আমেরিকা ও সম্মিলিত কুফফার জোট তো এটাই কামনা করে। তারা চায়— মুসলমানরা যেন তাদের পবিত্র কুরআন, নবিজির সুন্নাহ ও মহান সালাফদের ইতিহাস ভুলে গিয়ে পশ্চিমা অসভ্যতাকে তাদের সর্বাঙ্গে মেখে নেয়। ফলে সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য আর কোনো হুমকি বাকি থাকবে না।
এই কাজটি যদি গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলো পরিপূর্ণরূপে করতে পারে তাহলে আশা করছি তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার একটা বন্দোবস্ত হয়ে যেতে পারে। তবে ততদিনে তাদের মাঝে আর ইসলামের কোনোকিছুই বাকি থাকবে না। তাদের মধ্যে আর স্বঘোষিত সেক্যুলার দলগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। তারা ইসলামি শারিয়াহ প্রতিষ্ঠা করা তো দূরের কথা নিজেদেরকে সুশীল ও আধুনিক প্রমাণ করতে গিয়ে দলের নাম থেকেও ইসলাম শব্দটা বাদ দিয়ে দিতে পারে।
৩. আমেরিকাকে পাত্তা না দিয়ে ইসলামি ভাবধারা অক্ষুণ্ণ রেখে ক্ষমতায় আসা
এই পদ্বতিটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। যদি বাংলাদেশের সব ইসলামি গণতান্ত্রিক দল একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে এসে পুরো দেশে একটি গণজাগরণ তৈরি করতে পারে, পাশাপাশি ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে দেশের মানুষকে এই কথা বুঝাতে পারে যে— তাদের সৌভাগ্য কেবল ইসলামি দল ক্ষমতায় আসলে নিশ্চিত হবে, তাহলে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে একটি ইসলামি জোট সরকার গঠন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এর পর কী হবে?
এরপর তা-ই হবে যা হয়েছে মিসরে ইখওয়ানের সাথে। বৈশ্বিক তাগুতি সিস্টেমের ভিতরে থেকে আমেরিকার নাকের ডগায় বসে আপনি ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করবেন, শরিয়ার হুদুদ-কিসাস কায়েম করবেন আর আমেরিকা নিশ্চুপ বসে আঙ্গুল চুষবে?
মার্কিনিরা তাদের সর্বশক্তি ব্যয় করে এই ইসলামি জোট সরকারকে উৎখাত করে তাদের মদদপুষ্ট কোনো পাপেটকে ক্ষমতায় বসাবে। অতঃপর ইসলামি দলগুলোর নেতা-কর্মীদের উপর নেমে আসবে ক্বিয়ামতের বিভীষিকা। গণহারে জেল-জুলুম ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হবে। কাউকে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে, কেউ হয়ত কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে।
৪. শেষ সম্ভাবনাটি আমার পর্যবেক্ষণ না। এটি স্বয়ং গণতন্ত্রবাদী মডারেইট মুসলিম ভাইদের উক্তি। তাদের যুক্তি ও পরিকল্পনা হলো, তারা ইন্ট্যালেকচুয়ালি ও গ্র্যাজুয়ালি শরিয়াহ আইনের দিকে মুভ করবে। প্রথমে তারা কিছু শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে জনগণকে আকৃষ্ট করবে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। দাওয়াতি কাজ করে সংগঠনে কর্মী রিক্রুট করবে। অতঃপর নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে সভা সেমিনার করে নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়াবে। তারপর নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিবে। অবশেষে ওয়েলফেয়ার স্ট্যাইট গঠন করবে কিংবা সরাসরি খিলাফার ঘোষণা দিয়ে দিবে। তারা আল্লাহকে খুশি করবে। আবার আমেরিকাকেও অসন্তুষ্ট করবে না।
এই হলো তাদের স্বপ্ন। মানুষের তো কত ধরণের স্বপ্ন থাকে। আমার গণতন্ত্রবাদী ভাইদেরও আছে। তবে তাদের এসব স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা এই উম্মাহ বিগত একশ বছর ধরে দেখে আসছে। যারা বিদেশি আব্বুদের ভয়ে মিছিলে কালিমার পতাকা তুলতে ভয় পায়, তাদের দ্বারা সিস্টেমের ভিতরে থেকে আমেরিকাকে খুশি রেখে ইসলাম কায়েম করা আর সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করা একই কথা।
ইসলাম কায়েমের একমাত্র পদ্ধতি হলো বিশুদ্ধ তাওহিদের চর্চা ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। এই বিষয়টি বাংলার জনগণ যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের জন্য ভালো। নতুবা কেবল ক্ষমতার পালা বদল হবে, ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন আসবে না।
(বি.দ্র. ভবিষ্যতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আছে। আমি কেবল সার্বিক পরিস্থিতি দেখে অনুমান করতে পারি। তাই আমার অনুমান ভুল হতে পারে। উপরের সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে নাও ঘটতে পারে। তাই আপনি এগুলোকে সিরিয়াসলি না নিয়ে নিজেও একটু গবেষণা করে দেখতে পারেন। ব্যতিক্রম কিছু পেলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।)
১৭ শাউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
১৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
১. এই দলগুলো কখনো নির্বাচনে জিতবে না। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কারণ তারা ইসলামি দল। তাদের মিশন ও ভিশন হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো সাধারণত পরাশক্তি দেশগুলোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এখানে কে সরকার হবে, কে বিরুধী দলে থাকবে তার সবকিছুই নির্ধারণ করে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। আমরা দেখেছি, বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আমেরিকাকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিল। সফলও হয়েছিল। তবে শেষ দিকে এসে আমেরিকার সাথে তাদের সম্পর্কের একটু টানাপোড়ন শুরু হয়। অতঃপর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। আমেরিকা হাসিনার পক্ষে থাকলে এই আন্দোলন সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমই ছিল।
আমরা যতই ‘ফেয়ার ইলেকশন’ এর বুলি আওড়াই না কেন, দলগুলো যতই নিজেরদের পক্ষে সাফাই গায় না কেন, দিন শেষে ঐ দলই ক্ষমতায় আসবে যার প্রতি আমেরিকা সন্তুষ্ট। আমেরিকা কস্মিনকালেও এমন কোনো দলকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না যাদের উদ্দেশ্য ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার আধিপত্য আর ইসলামি রাষ্ট্র কখনো একসাথে অবস্থান করতে পারে না। সুতরাং ইসলামি দলগুলো সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেললেও সিস্টেমের ভিতরে থেকে তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
২. বিদেশি পরাশক্তিকে খুশি করে ক্ষমতার মসনদ দখল করা
ইসলামি দলগুলো এই পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে। আমেরিকাকে তাদের খুশি করতে হবে। তবে ইসলামি দলগুলোর জন্য আমেরিকাকে খুশি করার পদ্ধতি একটিই— ইসলামকে রিফর্ম করা। শরিয়াহকে এমনভাবে কাটছাঁট করা যেন শিরক আর তাওহিদ সবকিছু মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। ইতোমধ্যে এই দলগুলো কাজটি শুরু করে দিয়েছে। তারা হিকমাহ ও গ্লোবাল পলিসির অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছেমতো দ্বীনকে কাস্টমাইয করছে। আমেরিকা ও সম্মিলিত কুফফার জোট তো এটাই কামনা করে। তারা চায়— মুসলমানরা যেন তাদের পবিত্র কুরআন, নবিজির সুন্নাহ ও মহান সালাফদের ইতিহাস ভুলে গিয়ে পশ্চিমা অসভ্যতাকে তাদের সর্বাঙ্গে মেখে নেয়। ফলে সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য আর কোনো হুমকি বাকি থাকবে না।
এই কাজটি যদি গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলো পরিপূর্ণরূপে করতে পারে তাহলে আশা করছি তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার একটা বন্দোবস্ত হয়ে যেতে পারে। তবে ততদিনে তাদের মাঝে আর ইসলামের কোনোকিছুই বাকি থাকবে না। তাদের মধ্যে আর স্বঘোষিত সেক্যুলার দলগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। তারা ইসলামি শারিয়াহ প্রতিষ্ঠা করা তো দূরের কথা নিজেদেরকে সুশীল ও আধুনিক প্রমাণ করতে গিয়ে দলের নাম থেকেও ইসলাম শব্দটা বাদ দিয়ে দিতে পারে।
৩. আমেরিকাকে পাত্তা না দিয়ে ইসলামি ভাবধারা অক্ষুণ্ণ রেখে ক্ষমতায় আসা
এই পদ্বতিটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। যদি বাংলাদেশের সব ইসলামি গণতান্ত্রিক দল একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে এসে পুরো দেশে একটি গণজাগরণ তৈরি করতে পারে, পাশাপাশি ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে দেশের মানুষকে এই কথা বুঝাতে পারে যে— তাদের সৌভাগ্য কেবল ইসলামি দল ক্ষমতায় আসলে নিশ্চিত হবে, তাহলে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে একটি ইসলামি জোট সরকার গঠন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এর পর কী হবে?
এরপর তা-ই হবে যা হয়েছে মিসরে ইখওয়ানের সাথে। বৈশ্বিক তাগুতি সিস্টেমের ভিতরে থেকে আমেরিকার নাকের ডগায় বসে আপনি ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করবেন, শরিয়ার হুদুদ-কিসাস কায়েম করবেন আর আমেরিকা নিশ্চুপ বসে আঙ্গুল চুষবে?
মার্কিনিরা তাদের সর্বশক্তি ব্যয় করে এই ইসলামি জোট সরকারকে উৎখাত করে তাদের মদদপুষ্ট কোনো পাপেটকে ক্ষমতায় বসাবে। অতঃপর ইসলামি দলগুলোর নেতা-কর্মীদের উপর নেমে আসবে ক্বিয়ামতের বিভীষিকা। গণহারে জেল-জুলুম ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হবে। কাউকে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে, কেউ হয়ত কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে।
৪. শেষ সম্ভাবনাটি আমার পর্যবেক্ষণ না। এটি স্বয়ং গণতন্ত্রবাদী মডারেইট মুসলিম ভাইদের উক্তি। তাদের যুক্তি ও পরিকল্পনা হলো, তারা ইন্ট্যালেকচুয়ালি ও গ্র্যাজুয়ালি শরিয়াহ আইনের দিকে মুভ করবে। প্রথমে তারা কিছু শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে জনগণকে আকৃষ্ট করবে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। দাওয়াতি কাজ করে সংগঠনে কর্মী রিক্রুট করবে। অতঃপর নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে সভা সেমিনার করে নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়াবে। তারপর নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিবে। অবশেষে ওয়েলফেয়ার স্ট্যাইট গঠন করবে কিংবা সরাসরি খিলাফার ঘোষণা দিয়ে দিবে। তারা আল্লাহকে খুশি করবে। আবার আমেরিকাকেও অসন্তুষ্ট করবে না।
এই হলো তাদের স্বপ্ন। মানুষের তো কত ধরণের স্বপ্ন থাকে। আমার গণতন্ত্রবাদী ভাইদেরও আছে। তবে তাদের এসব স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা এই উম্মাহ বিগত একশ বছর ধরে দেখে আসছে। যারা বিদেশি আব্বুদের ভয়ে মিছিলে কালিমার পতাকা তুলতে ভয় পায়, তাদের দ্বারা সিস্টেমের ভিতরে থেকে আমেরিকাকে খুশি রেখে ইসলাম কায়েম করা আর সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করা একই কথা।
ইসলাম কায়েমের একমাত্র পদ্ধতি হলো বিশুদ্ধ তাওহিদের চর্চা ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। এই বিষয়টি বাংলার জনগণ যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের জন্য ভালো। নতুবা কেবল ক্ষমতার পালা বদল হবে, ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন আসবে না।
(বি.দ্র. ভবিষ্যতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আছে। আমি কেবল সার্বিক পরিস্থিতি দেখে অনুমান করতে পারি। তাই আমার অনুমান ভুল হতে পারে। উপরের সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে নাও ঘটতে পারে। তাই আপনি এগুলোকে সিরিয়াসলি না নিয়ে নিজেও একটু গবেষণা করে দেখতে পারেন। ব্যতিক্রম কিছু পেলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।)
১৭ শাউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
১৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
Comment