Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলোর চারটি সম্ভাবনাময় দিক

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলোর চারটি সম্ভাবনাময় দিক

    বেশ কয়েকটি গণতান্ত্রিক ইসলামি দল বাংলাদেশে বহুযুগ ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও শাহাদাতের নযরানা পেশ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু পদ্ধতিটি ইসলামসম্মত না হওয়ায় এখনো তারা কোনো সফলতার মুখ দেখে নি। ভবিষ্যতেও এর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ফ্যাসিবাদ-উত্তর পরিবর্তিত বাংলাদেশে অনেকেই এখন নতুন করে স্বপ্নের জাল বুনছেন। নানা হিসাব নিকাশ ও পরিকল্পনা করে ভবিষ্যতের কিছু কাল্পনিক চিত্র তৈরি করছেন। যাইহোক, সামগ্রিক দিক বিশ্লেষণ করে এই দলগুলোর প্রায় চারটি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আমি খুঁজে পেয়েছি। যথা:

    ১. এই দলগুলো কখনো নির্বাচনে জিতবে না। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কারণ তারা ইসলামি দল। তাদের মিশন ও ভিশন হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো সাধারণত পরাশক্তি দেশগুলোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এখানে কে সরকার হবে, কে বিরুধী দলে থাকবে তার সবকিছুই নির্ধারণ করে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। আমরা দেখেছি, বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আমেরিকাকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছিল। সফলও হয়েছিল। তবে শেষ দিকে এসে আমেরিকার সাথে তাদের সম্পর্কের একটু টানাপোড়ন শুরু হয়। অতঃপর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। আমেরিকা হাসিনার পক্ষে থাকলে এই আন্দোলন সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কমই ছিল।

    আমরা যতই ‘ফেয়ার ইলেকশন’ এর বুলি আওড়াই না কেন, দলগুলো যতই নিজেরদের পক্ষে সাফাই গায় না কেন, দিন শেষে ঐ দলই ক্ষমতায় আসবে যার প্রতি আমেরিকা সন্তুষ্ট। আমেরিকা কস্মিনকালেও এমন কোনো দলকে ক্ষমতায় আসতে দিবে না যাদের উদ্দেশ্য ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার আধিপত্য আর ইসলামি রাষ্ট্র কখনো একসাথে অবস্থান করতে পারে না। সুতরাং ইসলামি দলগুলো সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেললেও সিস্টেমের ভিতরে থেকে তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না।


    ২. বিদেশি পরাশক্তিকে খুশি করে ক্ষমতার মসনদ দখল করা

    ইসলামি দলগুলো এই পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে। আমেরিকাকে তাদের খুশি করতে হবে। তবে ইসলামি দলগুলোর জন্য আমেরিকাকে খুশি করার পদ্ধতি একটিই— ইসলামকে রিফর্ম করা। শরিয়াহকে এমনভাবে কাটছাঁট করা যেন শিরক আর তাওহিদ সবকিছু মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। ইতোমধ্যে এই দলগুলো কাজটি শুরু করে দিয়েছে। তারা হিকমাহ ও গ্লোবাল পলিসির অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছেমতো দ্বীনকে কাস্টমাইয করছে। আমেরিকা ও সম্মিলিত কুফফার জোট তো এটাই কামনা করে। তারা চায়— মুসলমানরা যেন তাদের পবিত্র কুরআন, নবিজির সুন্নাহ ও মহান সালাফদের ইতিহাস ভুলে গিয়ে পশ্চিমা অসভ্যতাকে তাদের সর্বাঙ্গে মেখে নেয়। ফলে সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য আর কোনো হুমকি বাকি থাকবে না।

    এই কাজটি যদি গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলো পরিপূর্ণরূপে করতে পারে তাহলে আশা করছি তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার একটা বন্দোবস্ত হয়ে যেতে পারে। তবে ততদিনে তাদের মাঝে আর ইসলামের কোনোকিছুই বাকি থাকবে না। তাদের মধ্যে আর স্বঘোষিত সেক্যুলার দলগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। তারা ইসলামি শারিয়াহ প্রতিষ্ঠা করা তো দূরের কথা নিজেদেরকে সুশীল ও আধুনিক প্রমাণ করতে গিয়ে দলের নাম থেকেও ইসলাম শব্দটা বাদ দিয়ে দিতে পারে।


    ৩. আমেরিকাকে পাত্তা না দিয়ে ইসলামি ভাবধারা অক্ষুণ্ণ রেখে ক্ষমতায় আসা

    এই পদ্বতিটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। যদি বাংলাদেশের সব ইসলামি গণতান্ত্রিক দল একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে এসে পুরো দেশে একটি গণজাগরণ তৈরি করতে পারে, পাশাপাশি ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে দেশের মানুষকে এই কথা বুঝাতে পারে যে— তাদের সৌভাগ্য কেবল ইসলামি দল ক্ষমতায় আসলে নিশ্চিত হবে, তাহলে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে একটি ইসলামি জোট সরকার গঠন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এর পর কী হবে?

    এরপর তা-ই হবে যা হয়েছে মিসরে ইখওয়ানের সাথে। বৈশ্বিক তাগুতি সিস্টেমের ভিতরে থেকে আমেরিকার নাকের ডগায় বসে আপনি ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করবেন, শরিয়ার হুদুদ-কিসাস কায়েম করবেন আর আমেরিকা নিশ্চুপ বসে আঙ্গুল চুষবে?
    মার্কিনিরা তাদের সর্বশক্তি ব্যয় করে এই ইসলামি জোট সরকারকে উৎখাত করে তাদের মদদপুষ্ট কোনো পাপেটকে ক্ষমতায় বসাবে। অতঃপর ইসলামি দলগুলোর নেতা-কর্মীদের উপর নেমে আসবে ক্বিয়ামতের বিভীষিকা। গণহারে জেল-জুলুম ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হবে। কাউকে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে, কেউ হয়ত কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে।


    ৪. শেষ সম্ভাবনাটি আমার পর্যবেক্ষণ না। এটি স্বয়ং গণতন্ত্রবাদী মডারেইট মুসলিম ভাইদের উক্তি। তাদের যুক্তি ও পরিকল্পনা হলো, তারা ইন্ট্যালেকচুয়ালি ও গ্র্যাজুয়ালি শরিয়াহ আইনের দিকে মুভ করবে। প্রথমে তারা কিছু শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে জনগণকে আকৃষ্ট করবে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। দাওয়াতি কাজ করে সংগঠনে কর্মী রিক্রুট করবে। অতঃপর নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে সভা সেমিনার করে নিজেদের ভোটব্যাংক বাড়াবে। তারপর নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিবে। অবশেষে ওয়েলফেয়ার স্ট্যাইট গঠন করবে কিংবা সরাসরি খিলাফার ঘোষণা দিয়ে দিবে। তারা আল্লাহকে খুশি করবে। আবার আমেরিকাকেও অসন্তুষ্ট করবে না।

    এই হলো তাদের স্বপ্ন। মানুষের তো কত ধরণের স্বপ্ন থাকে। আমার গণতন্ত্রবাদী ভাইদেরও আছে। তবে তাদের এসব স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা এই উম্মাহ বিগত একশ বছর ধরে দেখে আসছে। যারা বিদেশি আব্বুদের ভয়ে মিছিলে কালিমার পতাকা তুলতে ভয় পায়, তাদের দ্বারা সিস্টেমের ভিতরে থেকে আমেরিকাকে খুশি রেখে ইসলাম কায়েম করা আর সুঁইয়ের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করা একই কথা।

    ইসলাম কায়েমের একমাত্র পদ্ধতি হলো বিশুদ্ধ তাওহিদের চর্চা ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। এই বিষয়টি বাংলার জনগণ যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের জন্য ভালো। নতুবা কেবল ক্ষমতার পালা বদল হবে, ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন আসবে না।

    (বি.দ্র. ভবিষ্যতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আছে। আমি কেবল সার্বিক পরিস্থিতি দেখে অনুমান করতে পারি। তাই আমার অনুমান ভুল হতে পারে। উপরের সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে নাও ঘটতে পারে। তাই আপনি এগুলোকে সিরিয়াসলি না নিয়ে নিজেও একটু গবেষণা করে দেখতে পারেন। ব্যতিক্রম কিছু পেলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।)


    ১৭ শাউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
    ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 4 days ago.

  • #2
    “কখনো জিতবে না” – সিস্টেমের ছাঁকায় আটকে যাওয়া:
    বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামির অভিজ্ঞতা একটি ক্লাসিক উদাহরণ। ২০০১ সালে চারদলীয় জোটে অংশ নিয়ে তাদের প্রভাব ছিল দৃশ্যমান। শিক্ষা, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পেরেছিল। কিন্তু ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের পরপরই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর রাজনৈতিক ও আইনগত ব্যবস্থা শুরু হয়—দল নিষিদ্ধ, ট্রাইব্যুনাল, নেতাদের ফাঁসি, রাজপথে নিষেধাজ্ঞা। এই প্রক্রিয়া ‘lawfare’-এর একটি নিখুঁত নমুনা—যেখানে আইন ব্যবহৃত হয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিশ্চিহ্ন করতে।
    আন্তর্জাতিকভাবে, তুরস্কের নেজমেত্তিন এরবাকানের দলও এই ধারায় পড়ে। জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থানে তার দল নিষিদ্ধ হয়। মূল কারণ—তারা ইসলামি রাষ্ট্রের ধারণা বহন করত, যা তুর্কি সেক্যুলার কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক ছিল।

    “ইসলামকে রিফর্ম করে আমেরিকাকে খুশি করা” – আদর্শের আত্মবিক্রয়:
    বাংলাদেশে কিছু দল ও সংগঠন এখন “মডারেট ইসলাম” এর ব্র্যান্ডিং করছে—যেমন কিছু তরুণ নেতৃত্বযুক্ত সংগঠন (নাম পরিহার করছি প্রাসঙ্গিকতা ও কৌশলের কারণে) যারা ‘হিকমাহ’, ‘পলিসি’, ‘ইন্টারফেইথ সংলাপ’, ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে ইসলামের মৌলিক শিক্ষাকে গলিয়ে দিচ্ছে এক প্রকার “সহনশীল ডেমোক্র্যাটিক ইসলাম” এ। পশ্চিমা মিডিয়া ও এনজিও এদের উঁচু আসনে বসিয়ে দেয়, কারণ তারা জানে—এই ইসলাম কারও জন্য হুমকি নয়।
    আন্তর্জাতিক দৃষ্টান্ত হলো—মরক্কো ও জর্ডানের রাজতন্ত্র, যারা ইসলামি পরিচয় ধারণ করে, কিন্তু পশ্চিমাদের চাহিদা অনুযায়ী শরিয়া সীমিত করে রেখেছে। ইসলামের নাম আছে, শাসন নেই। আরেকটি আলোচিত উদাহরণ হলো সৌদি আরবে “Vision 2030”—যেখানে বিন সালমান একদিকে মসজিদ সংস্কার করছেন, অন্যদিকে নাইটক্লাব, সিনেমা, কনসার্ট চালু করছেন—তাদের ইসলাম এখন ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ এর নামান্তর।

    “ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণজাগরণ” – বিপ্লবের স্বপ্ন, কিন্তু মিসরের বাস্তবতা:
    বাংলাদেশে ২০১৩ সালে হেফাজতের মহাসমাবেশ ছিল এক বিরল মুহূর্ত—যেখানে লাখো মানুষ ঢাকা দখল করে ইসলামি আইনের দাবিতে দাঁড়িয়েছিল। সরকার প্রথমে আলোচনার ভান করলেও পরে রাতে “অপারেশন” চালিয়ে তা দমন করে। সেই ঘটনার ভিডিও, শহীদ তালিকা, সবকিছুই সরকারি বয়ান দ্বারা নিপাত করা হয়। এ ঘটনা স্পষ্ট করেছিল—যদি আপনি এক্সিস্টিং সিস্টেমে থেকে ইসলামি আন্দোলন করতে চান, তবে তার চূড়ান্ত পরিণতি হবে দমন, কারাবরণ ও চরিত্রহনন।
    আন্তর্জাতিকভাবে, মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল জনগণের ভোটে। ২০১2 সালে মোর্শি রাষ্ট্রপতি হন। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় সামরিক অভ্যুত্থান করে সিসি তাকে উৎখাত করে। ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী দল’ ঘোষণা করা হয়, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা ও আটক করা হয়।
    এটাই বাস্তবতা—আপনি গণতন্ত্র দিয়ে রাষ্ট্র জিতলেও, রাষ্ট্রযন্ত্র আপনাকে মানবে না।

    “গ্র্যাজুয়াল ওয়েলফেয়ার থেকে খিলাফা” – বাস্তব না, রোমান্টিসিজম:
    এই ধারায় অনেক ইসলামী এনজিও যেমন ইসলামিক রিলিফ, হিজরত ফাউন্ডেশন, দ্বীনি স্কুল, হিফজ প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবা সংগঠন—সবাই কাজ করছে। তাদের প্রভাব সমাজে আছে, মানুষের ভালোবাসাও পাচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রশক্তির কাঠামোয় তাদের প্রভাব শূন্য। এদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট নয়, আদর্শ নিয়ে তারা ধোঁয়াটে অবস্থানে থাকে, এবং কখনোই শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় না। এর ফলে, তারা জনগণের মাঝে কিছুটা আস্থা পেলেও আদর্শিক নেতৃত্বে রূপ নিতে পারে না।
    আন্তর্জাতিকভাবে দারুল উলুম দেওবন্দ, তাবলীগ জামাত—এদেরকেও এই ধারায় ফেলা যায়। তারা বিশাল সংখ্যক অনুসারী তৈরি করেছে, কিন্তু রাষ্ট্রপরিবর্তনের ক্ষেত্রে একদমই নিরপেক্ষ—কেউ কেউ একে “আদর্শগত নির্জীবতা” বলে থাকেন।
    একই রকমভাবে তুরস্কের গুলেন আন্দোলনও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করেছিল, কিন্তু রাজনীতিতে আসার পর তা ধসে পড়ে, এবং রাষ্ট্র তাদের “দেশদ্রোহী” আখ্যায় দমন করে।

    উদাহরণ ও ইতিহাস স্পষ্ট করে যে চারটি পথেই একটিই অন্তিম ফল দাঁড়ায়—যদি আপনি সিস্টেমের ভিতরে থাকেন, তবে আপনাকে আপস করতে হবে। যদি আপস না করেন, তবে আপনাকে নিষিদ্ধ বা নিশ্চিহ্ন করা হবে। আদর্শ নিয়ে দাঁড়ানো মানেই সংঘাত মেনে নেওয়া। আর যদি সংঘাত না চান, তবে আদর্শ ছেড়ে দিন—এই হলো সিস্টেমের নির্লজ্জ বার্তা।​
    فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

    Comment


    • #3
      Ibnul Irfan ভাই, আপনি তো অসাধারণ লিখেছেন। আপনার এই লেখাটি উপরের প্রবন্ধের চাইতে অনেক বেশি সমৃদ্ধ। প্রবন্ধে কেবল কয়েকটি থিম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর আপনি বাস্তব উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন। জাযাকাল্লাহ ভাই। আপনি চাইলে আপনার এই লেখাটি আলাদা প্রবন্ধ আকারে ফোরামে পোস্ট করতে পারেন। এতে আমাদের সবার ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ।
      আর হ্যাঁ, আপনার আরো কয়েকটি প্রবন্ধ পড়লাম। আপনি তো চমৎকার লিখেন মাশাআল্লাহ। নিয়মিত ফোরামে লিখে যাবেন ভাই ইনশাআল্লাহ। আপনার প্রতি অশেষ দুআ ও ভালোবাসা রইল। আমাদের জন্যও দুআ করবেন।

      Comment


      • #4
        ইসলাম কায়েমের একমাত্র পদ্ধতি হলো বিশুদ্ধ তাওহিদের চর্চা ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
        বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উপযোগী ,গুরুত্বপূর্ণ , বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়োজনীয় পোস্ট।

        Comment

        Working...
        X