Announcement

Collapse
No announcement yet.

এই লড়াই দ্বীনে ইসলাম বনাম বদদ্বীনের লড়াই

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এই লড়াই দ্বীনে ইসলাম বনাম বদদ্বীনের লড়াই

    এই লড়াই দ্বীনে ইসলাম বনাম বদদ্বীনের লড়াই

    ছোটবেলা থেকেই আমরা ‘ধর্ম’ শব্দটা জেনে ও মেনে আসছি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই ‘ধর্ম’ শব্দের আসল অর্থ জানে না। ফলে ধর্মকে মানুষ রুসুম-রেওয়াজের সাথে ঘুলিয়ে ফেলে। ধর্ম মানে আল্লাহকে বিশ্বাস করা, রমজানে রোজা রাখা, ঈদের নামাজ পড়া, জুম'আর নামাজ পড়া, সর্বোচ্চ হলে ব্যক্তি পর্যায়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও নফল আদায় করা, এর চেয়ে বেশি কিছু না। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও একই ছিল। জীবনের লম্বা একটা সময় ইসলাম ধর্মকে শুধুমাত্র একটি সংস্কৃতিই মনে করতাম। এটা এমনি এমনি হয়নি, বরং শয়তানের অত্যন্ত সূক্ষ পরিকল্পনার অংশ এটি।

    দার্শনিকগণ ধর্মকে অনেকভাবে সঙ্গায়িত করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক পরিপূর্ণ সঙ্গাটি এমন: “ধর্ম হচ্ছে এমন একটি বিষয় যা ধারণ করে মানুষ সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও পবিত্র জীবনযাপন করে।” ধর্ম মূলত জীবনব্যবস্থা। সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সেই পন্থা বা বিধান যার মাধ্যমে আমি আমার জীবনকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিচালিত করবো। কুরআন ও সুন্নাহ থেকে এমন সঙ্গাই বোঝা যায়। আরবি ‘দ্বীন’ শব্দের অর্থ মতবাদ, বিধান, নিয়ম। ইসলাম শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ের জীবন বিধান নয়। ব্যক্তি পর্যায়সহ, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় সকল পর্যায়ে বিপল্পহীন ও একমাত্র জীবন বিধান। কুরআনে আল্লাহ সুব. ইরশাদ করেন:
    اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ
    “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন কেবলমাত্র ইসলাম।”


    ঠিক এখানেই সেকুলারদের সমস্যা। তারা ধর্মকে সংস্কৃতিতে সীমাবদ্ধ করে রাখতে চায়। এর চেয়ে বেশি একবিন্দুও তারা সহ্য করে না। এক খাপে যেমন দুই তলোয়ার থাকতে পারে না, এক প্রাসাদে যেমন দুই সম্রাট থাকতে পারে না, তেমনি এক জমিনে দুই জীবনব্যবস্থা সহাবস্থান করতে পারে না না না!!! সংঘর্ষ অনিবার্য। ইউরোপ-আমেরিকাতে আপনি পুলিশের পাহাড়ায় কুরআন পুড়াতে পারবেন। কিন্তু সেই আপনিই যদি কুরআনের জায়গায় তাদের সংবিধান পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন তবে সেই পুলিশেরাই আপনাকে জেলবন্দি করে কাঠগরায় তুলে দেশদ্রোহী ট্যাগ লাগিয়ে ফাঁসিতে ঝুলাবে। কেন এই বৈপরীত্ব? কারণ তাদের সংবিধান অনুযায়ী আপনি মুরতাদ হয়ে গিয়েছেন। আর মুরতাদের শাস্তি হয় সর্বোচ্চ। এটা কি প্রমাণ করে না যে সেকুলারিজম একটি ধর্ম? কিন্তু তারা কাগজে-কলমে, ভাষায়-বক্তব্যে কৌশলগত কারণে একে ধর্ম বলা থেকে বিরত থাকে, তাই জনসাধারণ এই ধোঁকা বুঝতে পারে না।

    তারা সর্বশক্তি দিয়ে আপনার উপর তাদের এই নব উদ্ভাবিত ধর্মকে চাপিয়ে দিতে চাই। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:
    وَ لَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ اِنِ اسۡتَطَاعُوۡا
    "কাফেররা তোমাদের বিরুদ্ধে চিরদিন (যতক্ষণ তাদের ক্ষমতা থাকবে, যতক্ষণ তাদের ক্ষমতায় কুলাবে) তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরানোর জন্য কিতাল করে যাবে।"

    কুরআনের এই ভবিষ্যতবাণী কতটা সত্য তা আমরা নিকট অতীতের যুদ্ধগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারি। সোভিয়েত-আফগান লড়াই ছিল কমিওনিজম বনাম দ্বীনে ইসলামের লড়াই। মার্কিন-আফগান লড়াই ছিল সেকুলারিজম বনাম দ্বীনে ইসলামের লড়াই। আজকের ইজরাঈল-ফিলিস্তিন লড়াই হচ্ছে জায়নিজম বনাম দ্বীনে ইসলামের লড়াই। আসন্ন গাজওয়ায়ে হিন্দ হবে হিন্দুত্ববাদ বনাম দ্বীনে ইসলামের লড়ােই। ঈমান ও কুফরের সংঘর্ষ অনিবার্য। বিষয়টা স্পষ্ট, এখানে কোনো দ্বিধা-দন্দের অবকাশ নেই।

    তবে ভয়ের কিছু নেই। আমাদের সাথে আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে এবং আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:
    وَ اِنَّ جُنۡدَنَا لَهُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ
    "আর নিশ্চয় আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে।"
Working...
X