মুতালাআর প্রকারভেদ
এক. দারসের প্রস্তুতিমূলক মুতালাআ। দারসী কিতাব মুতালাআর সর্বনিম্ন স্তর, تمييز المفهوم عن غير المفهوم. কী বুঝেছি কী বুঝিনি পার্থক্য করা।
দুই. দারসী কিতাবের শরাহ ও তালীকাত মুতালাআ করা।
তিন. ফন্নী মুতালাআ। দারসী কিতাবের বাহিরে ঐ ফনের অন্যান্য কিতাবগুলো পড়ে ফেলা।
চার. দারসের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন শাস্ত্রসমূহের কিতাব মুতালাআ।
পাঁচ. ما لايسع جهله যে সমস্ত বিষয় অজানা থাকা উচিত নয় সে বিষয়গুলো নিয়ে মুতালাআ করা।
ছয়. মৌসুমী মুতালাআ ও উপস্থিত প্রয়োজনের মুতালাআ। এই ক্ষেত্রে ইবনে রজব হান্বলী রহ. এর لطائف المعارف কিতাবটি অনেক উপকারী।
সাত. যে সকল বিষয় নিয়ে অনেক আগ থেকেই আলোচনা পর্যালোচনা চলে আসছে এবং বর্তমানেও চলমান আছে সে সমস্ত বিষয়ের কিতাব মুতালাআ।
আট. قضايا راهنة ساخنة যে সকল বিষয় নতুন করে সামনে এসেছে এবং তা নিয়ে খুব আলোচনাও চলছে এমন বিষয়ে মুতালাআ। যেমন, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, সেক্যুলারিজম, লিবারেলিজম, ফেমিনিজম, জায়নিজম, ট্রান্সজেন্ডার, হিন্দুত্ববাদ, খ্রিস্টবাদ ইত্যাদি।
নয়. নির্দিষ্ট ফনের বিশেষজ্ঞতা অর্জনের মুতালাআ। ফিতরী ফন নির্বাচনের পদ্ধতি: প্রথমত দুটি প্রশ্ন সামনে রাখা যে, এই বিষয়েই কেন ইখতিসাস করছি? অন্য বিষয়ে কেন করব না? এই দুটি উত্তরের জন্য সব বিষয়ে কম বেশি মুতালাআ করতে হবে। অতঃপর নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করতে হবে: কোন ফনের প্রতি আমি বেশি আগ্রহ বোধ করছি? কোন ফনটা আমার কাছে বেশি সহজ লাগছে? কোন ফনের প্রয়োজনীয়তা আমার কাছে বেশি অনুভব হচ্ছে? ব্যাস জবাবে যা আসবে তাই আমার ফিতরী ফন।
দশ. আদব, আখলাক, তাযকিয়া ও ইসলাহ সংক্রান্ত কিতাব মুতালাআ করা।
এগারো. الكتب الخالدة সব জায়গায় সব মহলে চিরঅম্লান, চিরজাগরুক ও ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টিকারী ঐতিহাসিক কিতাবসমূহ মুতালাআ। যেমন: হাদীসের কুতুবে সিত্তা (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ), মুওয়াত্তা ইমাম মালেক, তাফসীরে ইবনে কাসীর, ইবনে হাজারের ফাতহুল বারী, ইমাম নববীর শরহে মুসলিম, আঈনির উমদাতুল কারী, কাযী ইয়াযের আশ শিফা, ইমাম শাতিবির আল মুওয়াফাকাত ও আল ই’তেসাম, শাহ ওলি উল্লাহর হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ, ইমাম গাযালীর ইহয়াউ উলুমিদ্দীন, ইমাম কুশাইরির আর রিসালাহ। ইত্যাদি। রহিমাহুমুল্লাহু তাআলা।
বার. নিজ দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে প্রচলিত ও পঠিত কিতাবাদি মুতালাআ। এতে আমি বুঝতে পারব তাদের মন মেজাজে কী চলছে। সে অনুযায়ী আমি তাদের সাথে কথা বলতে পারব।
তের. আকাবির আসলাফ ও বড়দের জীবনী মুতালাআ। সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত বড়দের জীবনী জানার জন্য ইমাম যাহাবীর সিয়ারু আ’লামিন নুবালা। অষ্টম শতাব্দীর জন্য ইবনে হাজার আসকালানীর আদ দুরারুল কামিনা ফি আ’য়ানিল মিআতিস সামেনা। নবম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইমাম শাওকানীর আল বাদরুত ত্বালিউ। ত্রয়োদশ শতাব্দীর আগে ও পরের ন্দিুস্থানী উলামায়ে কেরামের জীবনী জানতে আব্দুল হাই হাসানী রহ. এর নুযহাতুল খাওয়াতির, বাহজাতুল মাসামি’ ওয়ান নাওয়াযির। কিতাবগুলো পড়ে নিতে পারি। তাহলে মোটামুটি সব শতাব্দির বড়দের জীবনী পড়া হয়ে যাবে।
চৌদ্দ. নিজের দেশের বড় বড় আলেমদের কিতাব মুতালাআ করা।
পনের. দারস, বয়ান বা মুহাযারার জন্য প্রস্ততিমূলক মুতালাআ।
ষোল. মনকে উদ্যমী ও প্রফুল্ল করে তুলে এমন কিতাবের মুতালাআ।
সতের. নির্বাচিত মুহাক্কিক ও রুচিশীল কিছু লেখকের সকল কিতাব মুতালাআ।
আঠার. দারসে উস্তাদ যে কিতাব মুতালাআর কথা বলেন সেগুলো মুতালাআ।
ঊনিশ. সাধারণ জ্ঞানের মুতালাআ।
বিশ. গুরুত্বপূর্ণ কিতাবগুলো একাধিকবার মুতালাআ করা।
এক. দারসের প্রস্তুতিমূলক মুতালাআ। দারসী কিতাব মুতালাআর সর্বনিম্ন স্তর, تمييز المفهوم عن غير المفهوم. কী বুঝেছি কী বুঝিনি পার্থক্য করা।
দুই. দারসী কিতাবের শরাহ ও তালীকাত মুতালাআ করা।
তিন. ফন্নী মুতালাআ। দারসী কিতাবের বাহিরে ঐ ফনের অন্যান্য কিতাবগুলো পড়ে ফেলা।
চার. দারসের অন্তর্ভুক্ত নয় এমন শাস্ত্রসমূহের কিতাব মুতালাআ।
পাঁচ. ما لايسع جهله যে সমস্ত বিষয় অজানা থাকা উচিত নয় সে বিষয়গুলো নিয়ে মুতালাআ করা।
ছয়. মৌসুমী মুতালাআ ও উপস্থিত প্রয়োজনের মুতালাআ। এই ক্ষেত্রে ইবনে রজব হান্বলী রহ. এর لطائف المعارف কিতাবটি অনেক উপকারী।
সাত. যে সকল বিষয় নিয়ে অনেক আগ থেকেই আলোচনা পর্যালোচনা চলে আসছে এবং বর্তমানেও চলমান আছে সে সমস্ত বিষয়ের কিতাব মুতালাআ।
আট. قضايا راهنة ساخنة যে সকল বিষয় নতুন করে সামনে এসেছে এবং তা নিয়ে খুব আলোচনাও চলছে এমন বিষয়ে মুতালাআ। যেমন, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, সেক্যুলারিজম, লিবারেলিজম, ফেমিনিজম, জায়নিজম, ট্রান্সজেন্ডার, হিন্দুত্ববাদ, খ্রিস্টবাদ ইত্যাদি।
নয়. নির্দিষ্ট ফনের বিশেষজ্ঞতা অর্জনের মুতালাআ। ফিতরী ফন নির্বাচনের পদ্ধতি: প্রথমত দুটি প্রশ্ন সামনে রাখা যে, এই বিষয়েই কেন ইখতিসাস করছি? অন্য বিষয়ে কেন করব না? এই দুটি উত্তরের জন্য সব বিষয়ে কম বেশি মুতালাআ করতে হবে। অতঃপর নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করতে হবে: কোন ফনের প্রতি আমি বেশি আগ্রহ বোধ করছি? কোন ফনটা আমার কাছে বেশি সহজ লাগছে? কোন ফনের প্রয়োজনীয়তা আমার কাছে বেশি অনুভব হচ্ছে? ব্যাস জবাবে যা আসবে তাই আমার ফিতরী ফন।
দশ. আদব, আখলাক, তাযকিয়া ও ইসলাহ সংক্রান্ত কিতাব মুতালাআ করা।
এগারো. الكتب الخالدة সব জায়গায় সব মহলে চিরঅম্লান, চিরজাগরুক ও ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টিকারী ঐতিহাসিক কিতাবসমূহ মুতালাআ। যেমন: হাদীসের কুতুবে সিত্তা (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ), মুওয়াত্তা ইমাম মালেক, তাফসীরে ইবনে কাসীর, ইবনে হাজারের ফাতহুল বারী, ইমাম নববীর শরহে মুসলিম, আঈনির উমদাতুল কারী, কাযী ইয়াযের আশ শিফা, ইমাম শাতিবির আল মুওয়াফাকাত ও আল ই’তেসাম, শাহ ওলি উল্লাহর হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ, ইমাম গাযালীর ইহয়াউ উলুমিদ্দীন, ইমাম কুশাইরির আর রিসালাহ। ইত্যাদি। রহিমাহুমুল্লাহু তাআলা।
বার. নিজ দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে প্রচলিত ও পঠিত কিতাবাদি মুতালাআ। এতে আমি বুঝতে পারব তাদের মন মেজাজে কী চলছে। সে অনুযায়ী আমি তাদের সাথে কথা বলতে পারব।
তের. আকাবির আসলাফ ও বড়দের জীবনী মুতালাআ। সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত বড়দের জীবনী জানার জন্য ইমাম যাহাবীর সিয়ারু আ’লামিন নুবালা। অষ্টম শতাব্দীর জন্য ইবনে হাজার আসকালানীর আদ দুরারুল কামিনা ফি আ’য়ানিল মিআতিস সামেনা। নবম শতাব্দী থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইমাম শাওকানীর আল বাদরুত ত্বালিউ। ত্রয়োদশ শতাব্দীর আগে ও পরের ন্দিুস্থানী উলামায়ে কেরামের জীবনী জানতে আব্দুল হাই হাসানী রহ. এর নুযহাতুল খাওয়াতির, বাহজাতুল মাসামি’ ওয়ান নাওয়াযির। কিতাবগুলো পড়ে নিতে পারি। তাহলে মোটামুটি সব শতাব্দির বড়দের জীবনী পড়া হয়ে যাবে।
চৌদ্দ. নিজের দেশের বড় বড় আলেমদের কিতাব মুতালাআ করা।
পনের. দারস, বয়ান বা মুহাযারার জন্য প্রস্ততিমূলক মুতালাআ।
ষোল. মনকে উদ্যমী ও প্রফুল্ল করে তুলে এমন কিতাবের মুতালাআ।
সতের. নির্বাচিত মুহাক্কিক ও রুচিশীল কিছু লেখকের সকল কিতাব মুতালাআ।
আঠার. দারসে উস্তাদ যে কিতাব মুতালাআর কথা বলেন সেগুলো মুতালাআ।
ঊনিশ. সাধারণ জ্ঞানের মুতালাআ।
বিশ. গুরুত্বপূর্ণ কিতাবগুলো একাধিকবার মুতালাআ করা।
Comment