Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিছু মানুষের দৃষ্টিতে বিজয় আর তামকীন মানে কেবল তা-ই, যা চোখে দেখা যায়—তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সীমিত।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিছু মানুষের দৃষ্টিতে বিজয় আর তামকীন মানে কেবল তা-ই, যা চোখে দেখা যায়—তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সীমিত।

    কিছু মানুষের দৃষ্টিতে বিজয় আর তামকীন মানে কেবল তা-ই, যা চোখে দেখা যায়—তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সীমিত

    বিজয়ের ব্যাপারে মানুষ সাধারণত খুব সংকীর্ণ ও অজ্ঞতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করে। তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উপেক্ষা করে বিজয় বিশ্লেষণ করে। এই সীমাবদ্ধ চিন্তা-ভাবনা থেকেই তারা অনেক সময় বিজয়কেই পরাজয় মনে করে বসে এবং তাদের ঈমানে দুর্বলতা আসে।

    কেউ কেউ সময়ের খুব ছোট পরিসরে বিজয় মাপতে চায়। কেউ কেউ শুধু একটি নির্দিষ্ট জায়গা বা পরিস্থিতিতে বিজয় খোঁজে। আবার অনেকেই ‘বিজয়’ শব্দটার প্রকৃত ইসলামী অর্থই বোঝে না। এমনকি কেউ কেউ ভাবেই না, যে একটি দল বা ব্যক্তিই আদৌ কি বিজয়ের যোগ্য কি না!

    আসল বিচার হলো, বিষয়টিকে সময়, জায়গা ও অর্থ—এই তিনটি দিক থেকেই ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করা। আর এর সঙ্গে সঙ্গে এটাও মেনে নিতে হবে যে, এই পৃথিবীতে আল্লাহর সুন্নাহ (নিয়ম) হলো—সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় পড়েন আল্লাহর নবীগণ এবং যারা তাঁদের পথ অনুসরণ করে।

    উদাহরণস্বরূপ, হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর কথা চিন্তা করো। তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি পিছু হটেননি। আগুনে নিক্ষেপের মুহূর্তেই তিনি প্রকৃত অর্থে বিজয়ী হয়েছিলেন। একে কেউ কেউ ধ্বংস বা অপমান বলে মনে করতে পারে, কিন্তু প্রকৃত ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা ছিল বিজয়ের চূড়ান্ত রূপ।

    পরে যখন আল্লাহ তাঁকে আগুন থেকে রক্ষা করলেন, সেটিও ছিল আরেক ধরণের বিজয়। এমনকি যদি তিনি আগুনে পুড়ে শহীদও হয়ে যেতেন, তবুও সেটি হতো এক অনন্য বিজয়। কেননা তিনি আল্লাহর পথে দৃঢ়ভাবে অবিচল ছিলেন এবং তাঁর কাহিনি যুগ যুগ ধরে অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত।

    অনেক সময় কারও হত্যা, কারাবরণ, অপবাদ বা নির্যাতনের মতো ঘটনা এমন বার্তা পৌঁছে দিতে পারে, যা হয়তো সে ব্যক্তি শত বছর ধরে চেষ্টা করেও করতে পারত না। আল্লাহর রাসূলগণ দুনিয়ার শান্তির জন্য নয়, বরং আল্লাহর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জীবন উৎসর্গ করতেন।

    আল্লাহ অনেক সময় এমন এক পরিস্থিতি পাঠান, যা দেখতে পরীক্ষার মতো লাগে, এমনকি অজ্ঞদের চোখে সেটি পরাজয় মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে সেটিই হয় বিজয়ের মাধ্যম। এমন ঘটনা মানুষের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিতে পারে, মানুষকে হিদায়াতের পথে নিয়ে আসতে পারে, এমনভাবে যা অন্য কোনোভাবে সম্ভব হতো না। এমনকি সেই ব্যক্তি ও তাঁর বার্তা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বেঁচে থাকতে পারে, এমনকি পৃথিবী ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত।

    এগুলোই বাস্তব ও চূড়ান্ত বিজয়ের নিদর্শন।

    বুঝে রাখতে হবে, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিজয়ের বিভিন্ন ধাপ থাকে। কখনও বিজয় মানে হয় বার্তা পৌঁছে দেওয়া, কখনও তা হয় শত্রুর পরাজয় ও ধ্বংস, আবার কখনও তা হয় পৃথিবীতে আল্লাহর সর্বোচ্চ শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়।




    লেখা: একটি লেকচার অবলম্বনে
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 3 days ago.
    فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

  • #2
    কখনও বিজয় মানে হয় বার্তা পৌঁছে দেওয়া, কখনও তা হয় শত্রুর পরাজয় ও ধ্বংস, আবার কখনও তা হয় পৃথিবীতে আল্লাহর সর্বোচ্চ শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়।


    আল্লাহ তাআলা আমাদের দূরদৃষ্টি দান করুন, আমীন
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment


    • #3
      আল্লাহর রসূল মুহাম্মদ সা. যখন তায়েফ শহরে ইসলামের বার্তা প্রচার করতে গিয়েছিলেন, তিনি তায়েফের স্থানীয়দের কাছে ইসলামের দাওয়াত দেন, কিন্তু তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং অত্যন্ত অমানবিকভাবে তার প্রতি আচরণ করে। নবী সা. এর প্রতি তাদের এই আচরণ তাকে গভীরভাবে দুঃখিত করে। তায়েফের লোকেরা তাকে পাথর নিক্ষেপ করে এবং তাকে শহর থেকে বের করে দেয়। এটাও বিজয়।

      মুমিনের পায়ে কাঁটা বিদ্ধ হয়েছে, এটাও বিজয়।

      আমীরুল মুমিনিন মোল্লা মোহাম্মাদ উমর রহি. সীড়ি ঘরে থাকতেন, এটাও বিজয়।

      একটা পরিখা খনন করলাম, পাঁচ মিনিট বসে আরাম করতে পারলাম না আমেরিকার ড্রোন এসে গিয়েছে, ফলে অন্যত্র যেতে হয়েছে এবং আবার পরিখা খনন করতে হয়েছে, এটাও বিজয়।
      Last edited by Rakibul Hassan; 17 hours ago.

      Comment

      Working...
      X