Announcement

Collapse
No announcement yet.

কবিতা: আমি চিহ্নিত জঙ্গী

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কবিতা: আমি চিহ্নিত জঙ্গী

    আমি চিহ্নিত জঙ্গী
    লেখক: মোহাম্মাদ আরাফাত


    আমি নির্জন গিরি পথে হতে চেয়েছি, মুজাহিদদের সঙ্গী।
    তাই তোরা আজ বলছিস আমায়, আমি নাকি এক জঙ্গী।

    আমি কুরআনের রাজ কায়েম করতে জিহাদের পথে হাটি।
    তাই আমাকে জঙ্গী বলে করছিস মাতামাতি।

    আমি চেয়েছি মুজাহিদ হতে, মাজলুমদের পাশে দাড়াতে।
    কিন্তু তোরা জঙ্গী বলে চেয়েছিস মোর পথকে রুখতে।

    আমি অস্ত্রের মাঝে জান্নাত খুজি, খিলাফত খুজি জিহাদে।
    তাইকি তোরা চাস আমাকে জঙ্গী বলে থামাতে?

    ওহে মালাউন, ওহে ফেরাউন, ওহে মুনাফিক শুনে রাখ।
    জঙ্গী হয়েই তোদের আমি করতে চাইযে কুপোকাত।

    তোদের দেওয়া জঙ্গী ট্যাগে ভড়কে যাইনা আমি।
    বরং আরো পাইযে সাহস, যেনো না যাই থামি।

    আমার এ পথে চলার কারণে ওঠেকি তোদের জ্বালা?
    করে হাসফাস, যেনো জ্বলে যাস, তাইতো এ পথে চলা।

    জঙ্গী মানে যদি হয়ে থাকে সত্য পথের সঙ্গী।
    তাহলে আমি হতে চাইযে প্রথম সারির জঙ্গি।

    ওহে জালিমেরা শুনে রাখ তবে আমি চিহ্নিত জঙ্গী।
    ইনশাআল্লাহ কোনো একদিন হবো মুজাহিদদের সঙ্গী।


    Last edited by Rakibul Hassan; 2 weeks ago.

  • #2
    মাশাআল্লাহ
    আল্লাহ তাআলা আপনার হায়াতে, ইলমে ও কলমে বারাকাহ দান করুন, আমীন
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment


    • #3
      যাঝাকালাহু খাইরান আহসানাল যাঝা। আল্লাহ তাআলা ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন।
      আর আমাদেরকে জঙ্গী হিসেবে কবুল করুন।

      Comment


      • #4
        মাশাল্লাহ ভাই, চমৎকার হয়েছে।
        [ গুরাবা হয়ে লড়তে চাই, গুরাবা হয়েই শাহাদাহ চাই ]

        Comment


        • #5
          আল আনফাল, আয়াতঃ ৬০

          وَاَعِدُّوۡا لَہُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّمِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡہِبُوۡنَ بِہٖ عَدُوَّ اللّٰہِ وَعَدُوَّکُمۡ وَاٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِہِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَہُمۡ ۚ اَللّٰہُ یَعۡلَمُہُمۡ ؕ وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ یُوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَاَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ

          অর্থঃ
          মুফতী তাকী উসমানী
          (হে মুসলিমগণ!) তোমরা তাদের (মুকাবিলার) জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-ছাউনি প্রস্তুত কর, ৪৩ যা দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু ও নিজেদের (বর্তমান) শত্রুদেরকে সন্ত্রস্ত করে রাখবে এবং তাদের ছাড়া সেই সব লোককেও, যাদেরকে তোমরা এখনও জান না; (কিন্তু) আল্লাহ তাদেরকে জানেন। ৪৪ তোমরা আল্লাহর পথে যা-কিছু ব্যয় করবে, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণরূপে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

          মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
          আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।

          ইসলামিক ফাউন্ডেশন
          তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্যে যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত রাখবে। এর মাধ্যমে তোমরা সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহ্ র শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে এবং এতদ্ব্যতীত অন্যদেরকে যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ্ তাদেরকে জানেন। আল্লাহ্ র পথে তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তার পূর্ণপ্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে আর তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

          ---------------------

          তাফসীর (মুফতী তাকী উসমানী) (Bangla)

          ৪৩. গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতি এটা এক স্থায়ী নির্দেশ যে, তারা যেন ইসলাম ও মুসলিমদের প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত রাখার লক্ষ্যে সব রকম প্রতিরক্ষা শক্তি গড়ে তোলে। কুরআন মাজীদ সাধারণভাবে ‘শক্তি’ শব্দ ব্যবহার করে বোঝাচ্ছে যে, রণপ্রস্তুতি বিশেষ কোনও অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল নয়। বরং যখন যে ধরনের প্রতিরক্ষা-শক্তি কাজে আসে, তখন সেই রকম শক্তি অর্জন করা মুসলিমদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। সুতরাং সর্বপ্রকার আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রও এর অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া মুসলিমদের জাতীয়, সামাজিক ও সামরিক উন্নতির জন্য যত রকমের আসবাব-উপকরণ দরকার হয়, সে সবও এর মধ্যে পড়ে। আফসোস আজকের মুসলিম বিশ্ব এ ফরয আদায়ে চরম অবহেলা প্রদর্শন করেছে। ফলে আজ তারা অন্যান্য জাতির আশ্রিত ও বশীভূত জাতিতে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এ সূরতহাল থেকে পরিত্রাণ দিন।
          ৪৪. এর দ্বারা মুসলিমদের সেই সকল শত্রুকে বোঝানো হয়েছে, যারা তখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি, যেমন রোমান ও পারস্য জাতি। তারা প্রকাশ্য শত্রুতা করেছিল আরও পরে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের শেষ দিকে, খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে এবং তারপরেও তাদের সঙ্গে মুসলিমদের যুদ্ধ-বিগ্রহ চলে।​

          Comment

          Working...
          X