বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
Announcement
Collapse
No announcement yet.
সিরিয়ান মুজাহিদীন ও তাদের সন্তানাদিদের নিয়ে এরদোগান ও তার গোয়েন্দাদের বিস্তার করা চক্রান্তের জাল
সিরিয়ান মুজাহিদীন ও তাদের সন্তানাদিদের নিয়ে এরদোগান ও তার গোয়েন্দাদের বিস্তার করা চক্রান্তের জাল
কয়েক মাস আগে আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত আন-নাফির বুলেটিন ৪৩ সংখ্যা যারা পড়েছেন তাদের চোখ এই বুলেটিনের (শেষ অংশে এসে) আটকে পড়ার কথাঃ
পরিশেষে বলতে চাই, আল্লাহ জানেন, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে দ্বিধায় ছিলাম—এরদোয়ান ও তার গোয়েন্দা সংস্থার একটা গোপন অপরাধ প্রকাশ করবো কি করবো না। কিন্তু এটা এমন একটা গর্হিত কাজ, এমন একটা কলঙ্ক, যা শুনলে যেকোনো মুসলমানের হৃদয়ে আগুন ধরে যাবে। তাই বলতেই হলো, বিশেষ করে যখন তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিজে স্বীকার করে ফেলেছে বিষয়টা সিরিয়ার এক প্রাসাদে।
অপরাধটা কী? সে ব্যবহার করেছে মুজাহিদদের অনাথ সন্তানদের—তাদের চরিত্র নষ্ট করেছে, তাদেরকে টেনে নিয়েছে অন্ধকার গলির নোংরা দুনিয়ায়।যে দুনিয়া নিয়ে মুখ খুলতেও লজ্জা করে। উদ্দেশ্য ছিল একটাই—তাদেরকে গোয়েন্দা বানানো, যেন তারা মুসলিমদের রণক্ষেত্রে, সীমান্তে, সবখানে খবরদারি করে।
এটা সেই দায়িত্বেরই ধারাবাহিকতা, যেটা একসময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা করতো। হে আল্লাহ, আপনি তাদের হাত থেকে আমাদের হেফাজত করুন। আপনি এদেরকে একে একে গুনে নিন, আর আমাদের থেকে সরিয়ে দিন। এই জায়গা থেকে আমরা প্রত্যেক মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানাই, বিশেষ করে যাঁরা আলেম, দাঈ—তারা যেন এই মুনাফিক প্রতারকের ব্যাপারে সতর্ক করেন মানুষকে। সে তো কেবল কথা বলেই থেমে থাকে না ; বরং কাজের মাধ্যমেও উম্মাহর ক্ষতি সাধন করে। এ অপরাধ এখন এতটাই সীমা ছাড়িয়েছে যে, প্রতিরোধ করা ফরজ হয়ে গেছে।
চিত্রঃ দামেশকে উমাইয়া মসজিদে তুর্কী বর্তমান গোয়েন্দা প্রধান ইবরাহিম কালিন
গত আট বছর যাবত সিরিয়াতে তুর্কী গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকান্ডের ব্যাপারে আসা বিভিন্ন তথ্যাদি এবং বুলেটিনের ইনফরমেশন একত্রিত করলে অনুমিত হয়ঃ
১) ২০১৭/১৮ সালে জাওলানি তুর্কীকে সিরিয়াতে ওপেন একসেস দেয়ার পরে তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থা মুজাহিদীন নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
২) তুর্কি গোয়েন্দারা ১৭ সালের পর থেকেই লং টার্ম প্রজেক্ট হাতে নিয়ে বিভিন্ন মুজাহিদ কমান্ডার, সাধারণ মুজাহিদ টার্গেট করে রিচ করা শুরু করে। তাদেরকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের গোয়েন্দা বানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
তুর্কীর প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান(২০১০-২০২৩) ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী শয়তান হাকান ফিদান। সিরিয়ার জিহাদকে ধ্বংস করতে তার ভুমিকা অপরিসীম।
নিউ ইয়র্কে নেতানিয়াহুর সঙ্গে হাকান ফিদানের সাক্ষাতঃ
৩) মুজাহিদদের এতিম সন্তানাদি যারা তখনও কিশোর বা তরুণ, তাদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন আশ্বাস বা প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের সিলেক্টেড কোনো সাইট কিংবা তুর্কিতে নিয়ে যায়। তাদেরকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কিংবা জোরপূর্বক যিনা-ব্যভিচারে কিংবা সমকামীতায় লিপ্ত করায়।
জেনে রাখা ভালো যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাতে প্রচুর পরিমাণে প্রশিক্ষিত, প্রফেশনাল ও বাছাইকৃত বেশ্যা থাকে যারা যারা খুব দ্রুতই একজন মানুষকে হানি ট্র্যাপে ফেলে দিতে পারে।
চিত্রঃ দাবি করা হয়, ইবরাহিম কালিনকে গাড়ি ড্রাইভিং করে দামেশকের উমাইয়া মসজিদে নিয়ে যান জুলানি। ভিডিও ফুটেজেও তার আভাস মিলে। ভিডিও লিংক কমেন্টে।
৪) একবার হানি ট্র্যাপে ফেলার পরে তাদের এসব ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে তাদের জিম্মি করে নেয়া হয় ও গোয়েন্দাগিরির কাজে তাদের ব্যবহার করা হয়। একেকটা ছেলের চরিত্রকে নষ্ট করে জিম্মি করে তাদেরকে দিয়ে মুজাহিদদের ইনফরমেশন বের করার কাজ করাচ্ছে এরদোগানের কুখ্যাত গোয়েন্দা বাহিনী MIT।
৫) আসাদের পতনের পরেও সিরিয়াতে আমেরিকা ড্রোন হামলা চালিয়ে বিলুপ্ত হুররাস আদ দ্বীনের মুজাহিদদের হত্যা করেছে। আর ১৭ সাল থেকে তো তারা সেটা করেই আসছে প্রতিনিয়ত।
******
ধরুন এখন ২০১২ সাল। আপনি আপনার স্ত্রী ও ১০ বছর বয়সী সন্তান নিয়ে সিরিয়াতে হিজরত করেছেন জিহাদে অংশ গ্রহণের আশায়। সেখানে অংশ গ্রহণ করেছেন। এক পর্যায়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। আপনার পরিবার এখন সিরিয়ার মুজাহিদ নেতৃবৃন্দের জিম্মায়।
ভিডিওঃ ২০১৫ সালে শামের মুজাহিদদের (যাদের মধ্যে বন্দী ও শহীদও আছেন) সন্তানদের নিয়ে ভাইস নিউজের একটি ডকুমেন্টারির ট্রায়ালঃ
কিন্তু ২০১৭ সাল আসতেই ভিন্ন পট শুরু হলো। মুজাহিদ নেতৃবৃন্দ তাদের কেন্দ্রীয় উমারাদের হাত থেকে বাইয়াত ভঙ্গ করলেন। তুর্কিকে নিজেদের অধিকৃত ভূমিতে ওপেন একসেস দিয়ে দিলেন। শরীয়াহকামী মুজাহিদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করলেন। ছাড় দিলেন না মুহাজিরদেরকেও এই অবস্থায় শহীদদের এতিম সন্তানদের কি অবস্থা হবে?
চিত্রঃ দামেশকের প্রাসাদে জুলানি ও তুর্কী গোয়েন্দা প্রধান
এদিকে তুর্কি গোয়েন্দারা ইদলিবে আপনার সন্তানের কাছে রিচ করলো। সেটা সম্ভব, কারণ এখন ইদলিবের প্রতি ইঞ্চি মাটিতে তাদের একসেস আছে। একজন গোয়েন্দা সবসময় তার পিছনে থাকলো। তাকে কৌশলে নিয়ে যাওয়া হলো অন্ধকার জগতে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেশ্যার শিকার বানানো হলো। সেটাও সম্ভব, কারণ সে নতুন তরুণ ও অনভিজ্ঞ।
এরপর তাকে জিম্মি করে ব্যবহার করা হচ্ছে উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তথ্য বের করে ক্রুসেডার আমেরিকার মাধ্যমে তাদের হত্যার কাজে। সেটাও সম্ভব কারণ সে শহীদের সন্তান ও মুজাহিদের সন্তান হিসেবে পরিচিত থাকায় মুজাহিদীনের তার একটা ওজন আছে সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েদের চেয়ে।
কতটা গগনবিদারী সংবাদ হবে, যদি রুহের জগত থেকে আপনি তা জানতে পারেন!
ভিডিওঃ মার্কিন বাহিনী কর্তৃক একজন সিনিয়র মুজাহিদ কমান্ডারকে টার্গেট করার দৃশ্য।
এরদোগান এখানেই থেমে নেই, সে এখন চাচ্ছে শামের বিদেশী মুজাহিদীনকে নিজের প্রক্সি হিসেবে বাইরে চলমান বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেরণ করতে। বিদেশী মুজাহিদদের ব্যাপারে শামের নেতৃবৃন্দকে পশ্চিমাদের সঙ্গে সেও চাপ প্রয়োগ করছে।
সিরিয়ার মুজাহিদদেরকে হয়তো সামনে ইয়ামানের মুজাহিদদের মতোই জাসুসদের কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ তাদের হেফাজত করুন। বিজয় ততটা সহজ না, যতটা আমরা কল্পনা করি। অনেকে হয়তো ভাবছেন সেখানে একটা স্টেট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে-- এখন আগে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে আভির্ভূত হোক, তারপরে বাকিটা দেখা যাবে।
অর্থনীতি!! দামেশকের দুয়ারে ইসরায়েল, উত্তরে দখলদার লোভী তুর্কী, উত্তর পশ্চিমে নুসাইরিরা, উত্তর পূর্বে আমেরিকা ও তার কুর্দী এলাইরা সবাই মিলে ভালোভাবেই অর্থনীতি করে দিবে যদি আমেরিকা-তুর্কী-ইসরায়েলের স্বার্থের বাইরে কিছু করতে যায়।
আল্লাহ পাক সেখানকার প্রকৃত মুজাহিদদের বিপদের মধ্যে সবর করার তাওফিক দিন এবং জিহাদের রশিকে দাত কামড়ে ধরে রাখার তাওফিক দিন।
প্রশ্ন হচ্ছে তুর্কি কি চাইবে সিরিয়া শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হোক? উত্তর হলো না। কারণ সেক্যুলার তুর্কি কলোনিয়াল মাইন্ডসেটের কান্ট্রি। সে রক্তচোষা বাদুড়ের মত। আফ্রিকায় তার কার্যক্রম এটাই প্রমাণ করে। কলোনিয়ালিস্টরা কখনোই তাদের আশেপাশে কাউকে শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চায় না।
১৭ শো শতাব্দীর পর থেকে ইউরোপে জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মধ্যে কামড়াকামড়ি কিংবা বর্তমানে ইয়েমেনের প্রতি সৌদির আচরণ তারই প্রমাণ করে।
তবে কলোনিয়ালিস্টদের একটা কমন বৈশিষ্ট্য হলো তারা চায় অন্য ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত তাদের অনুগত শাসন যেনো শক্তিশালী হয়। যেহেতু সিরিয়ার বর্তমান শাসন তুর্কির অনুগত, তাই এই তুর্কি এই শাসনকে শক্তিশালী ও স্ট্যাবল করতে চাইবে। এবং এও চাইবে এটা যেনো হকপন্থী মুজাহিদ ও মুওয়াহ্হিদদের ওপর দমনপীড়নকারী এক জালিম স্বৈরশাসনে পরিণত হয়। সেই প্রেক্ষিতে তুর্কি সিরিয়ার বর্তমান মিলিটারি প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য চুক্তি করেছে (যার মধ্যে কাউন্টার টেরোরিজমের প্রশিক্ষণও রয়েছে) দেয়া শুরু করেছে।
যায়োনিস্টরা যেহেতু তাদের ভুমি দখল করেছে কাজেই তাদেরকে ভূমি ত্যাগের আল্টিমেটাম কিংবা যুদ্ধে জড়ানোটাই উত্তম হতো। যে ভুমি জায়োনিস্টদের হাতে ঢুকেছে তা আর নিকট ভবিষ্যতে সিরিয়া ফিরে পাবে না, যদি মিলিটারি স্ট্রাইক না করে।
যায়োনিস্টদের দখলকৃত অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করলে নিজেদের অহংকার রক্ষার্থে যায়োনিস্টরাও নতুন ফ্রন্টলাইন খুলে দিতে সিরিয়ার দিকে-- কিন্তু এতে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তো তারা। বিশেষ করে দুই ফ্রন্টলাইনে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধে জড়িয়ে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তো।
আর সিরিয়ার জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন থাকায় ও আসাদের পতন হওয়ায় মুজাহিদদের বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হতো না।
যায়োনিস্টরা দামেশক থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে মাউন্ট হারমনে তাদের ঘাটি গেড়েছে যেখান থেকে দামেশকের গতিবিধি লক্ষ করা যায়। দূরপাল্লার আর্টিলারির গোলার অধীনে পুরো দামেশক শহর রয়েছে। বিশেষ করে মাউন্ট হারমনে বেশ কিছু দূরপাল্লার আর্টিলারি ব্যাটারি স্থাপন করে কয়েকদিনের অবিরত ফায়ারিংয়ে দামেশক শহরকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা সম্ভব।
সিরিয়াকে এখন যা দখল হয়ে গেছে তার দাবি ছেড়ে দিয়ে সটকে পড়তে হবে, অন্যথায় যুদ্ধে জড়াতে হবে। তুর্কীর পরামর্শ ছিলো যা পেয়েছো তাতেই সন্তুষ্ট থাকো। তোমরা তো ছিলে ইদলিবে সীমাবদ্ধ। সেখান থেকে দামেশক, লাভ কম না তো। আপাতত তুর্কীর প্রেসক্রিপশনকেই মেনে নেয়া হয়েছে।
report on zionist position on Mount Hermon
- https://www.middleeastmonitor.com/20...golan-heights/
১) গতকাল মঙ্গলবার(আগস্ট ১৯, ২০২৫) সিরিয়ান জাওলানী রেজিমের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানির সঙ্গে ফ্রান্সের প্যারিসে আলোচনায় বসেছে ইসরায়েলি একটি ডেলিগেশন টিম। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলো স্ট্র্যাটেজিক এফেয়ার্স মিনিস্টার রন ডার্মার।
এই মিটিংয়ের আলোচ্য বিষয় ছিলো কিভাবে ১৯74 সালের ডিসএনগেজমেন্ট এগ্রিমেন্ট ফিরিয়ে আনা যায়। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ পোর্টাল(সানা)।
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে সিরিয়া ও ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌছায় যেখানে উভয় দেশের মাঝখানে বাফার জোন ঘোষনা করা হয়, এবং এই বাফার জোনের দায়িত্বে থাকে জাতিসংঘের বাহিনী।
আসাদের পতনের পর ইসরায়েলি বাহিনী বাফার জোন দখল করে নেয় এবং ঘোষণা দেয় যে "সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা" হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা এই চুক্তির মধ্যে নেই।
এতোদিন যাবত জাওলানী রেজিম আবার এই চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলো।
এই মঙ্গলবার এ নিয়ে অফিশিয়াল আলোচনায় বসলো জাওলানী রেজিম ও দখলদার ইসরায়েলের ডেলিগেশন টিম যেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আমেরিকা ও তুর্কী।
২) গত রাত্রে জাওলানী রেজিম, মার্কিন বাহিনী মিলে তুরস্কের আতমেহ বর্ডারের কাছে একটি জয়েন্ট অপারেশন চালিয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে । কার বিরুদ্ধে স্পষ্ট নয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
আল-বাকারা ২:২১৪ [তাওযীহুল কুরআন]
(হে মুসলিমগণ!) তোমরা কি মনে করেছ, তোমরা জান্নাতে (এমনিতেই) প্রবেশ করবে, অথচ এখনও পর্যন্ত তোমাদের উপর সেই রকম অবস্থা আসেনি, যেমনটা এসেছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। তাদেরকে স্পর্শ করেছিল অর্থ-সংকট ও দুঃখ-কষ্ট এবং তাদেরকে করা হয়েছিল প্রকম্পিত, এমনকি রাসূল এবং তাঁর ঈমানদার সঙ্গীগণ বলে উঠেছিল, আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? মনে রেখ, আল্লাহর সাহায্য নিকটেই।
ইসরায়েলের সঙ্গে "সিকিউরিটি চুক্তি" হবে এই বিষয়টা এবার কয়েক ঘন্টা আগে নিশ্চিত করেছেন জাওলানী নিজেই। আরব সাংবাদিকদেরকে একটা মিটিংয়ে বিষয়টা তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
তার ভাষ্যমতে তিনি এককালে কখনো এই কথা চিন্তাও করতে পারতেন না যে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। আজ তিনি "সিরিয়া" ও এই অঞ্চলের উপকার হয় এমন কোনো চুক্তি করতে কোনো প্রকার দ্বিধাবোধ করবেন না।
জানা যাচ্ছে যে চুক্তির ধারাগুলোর মধ্যে এরকম কিছু শর্ত রয়েছেঃ
১) গোলান হাইটসের "সিরিয়ান সাইড", যা ইসরায়েল নতুন দখল করেছে তা ডিমিলিটারাইজেশন করা হবে। এখানে সিরিয়ান বাহিনী বা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী কেউ থাকবে না।
২) ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয় এমন কোনো অস্ত্র সিরিয়াতে ঢুকতে পারবে না।
৩) ইহুদীদের সহযোগী দ্রুজ কাফিরদের ঘাটি, "জাবাল আদ দ্রুজ" পর্যন্ত "মানবিক করিডোর" তৈরী করবে ইসরায়েল ও আমেরিকা। রিসেন্টলি আপনারা হয়তো চট্টগ্রাম থেকে আরাকান পর্যন্ত "মানবিক করিডোরের" নাম শুনেছেন।
বিনিময়ে সিরিয়া যা পাবে--
৪) আমেরিকা ও আরবের যায়োনিস্ট রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে আরব আমিরাত মিলে সিরিয়াকে পুনর্গঠনে সাহায্য করবে।
------- চিত্রঃ জাওলানী ও ক্রুসেডার আমেরিকার তুরস্কের রাষ্ট্রদূত থমাস ব্যারাক
Comment