Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি প্রশ্ন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি প্রশ্ন

    প্যারাডক্সিকেল সাজিদ বা এনায়েতুল্লাহ আলদাতামাশের উপন্যাসে এমন অনেক ঘটনা আছে যেটা আদৌ ঘটে নি।এরকম কাল্পনিক ঘটনা বলা কতটুকু জায়েজ?
    আমি একটি বই লিখতে চাই যেটাতে এরকম কিছু কাল্পনিক প্রেমের ঘটনা থাকবে।এবং পরবর্তীতে প্রেম কে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিস্তারিত আলোচনা করবো এটা কি জায়েজ হবে?

  • #2
    আশা করি অভিজ্ঞ ভাইয়েরা এগিয়ে আসবেন।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      ১. উপদেশ মূলক গল্পের বৈধতা অবশ্যই আছে। হাদীসের কিতাবে বর্ণিত 'এগার বিবির কাহিনী', যা রসূল সা. আয়েশা রা. কে শুনিয়েছেন এর বড় দলীল।
      ২. কিন্তু উপন্যাস টাইপের কাহিনী, যা মন মানসিকতা নষ্ট করে এসবের সুযোগ নেই। ভুল প্রমাণের জন্য হলেও প্রেম কাহিনী রচনা অনুচিত। এখানে বৈধতার সীমা নির্ধারণ কঠিন।
      ৩. কোনো ধরণের অশালীন বর্ণনা ছাড়া যতটুকু সম্ভব হয় লেখা যায়। এক্ষেত্রে 'সংলাপ পদ্ধতি' বেশ ভালো। তবে বিতর্কিত কোনো বিষয়ে লিখার আগে প্রচুর অধ্যয়ন দরকার। যেন ফাঁক ফোকর না থাকে।


      Comment


      • #4
        ভাই আপনি তিনটি মত দিয়েছেন।কোনটা গ্রহন করলে ভালো হবে? যেহেতু আমি দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে লিখবো তাই হালকা কিছু প্রেমের ঘটনা লিখা যাবে না?
        যদি গল্পটা এনতুল্লাহ(এনায়েতুল্লাহ) আলতামাশের উপন্যাসের প্রেমের ঘটনা গুলোর কাছাকাছি হয় তাহলে লেখা যাবে তো?

        Comment


        • #5
          মুহতারাম ভাই! দাওয়াহ দেওয়ার উদ্দেশ্য হলে আপনি অন্যভাবেও করতে পারেন।
          আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে কুরআন হাদিসের গল্প সংকলন করতে পারেন।
          সোনালি যুগের মানুষদের ঘটনা সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারেন।
          আল বিদায় ওয়ান নিহায়া ইত্যদি কিতাব ফলো করেও লিখতে পারেন।
          এতে মনে হয় উম্মাহর বেশি ফায়দা হবে।

          দুআ করি! আল্লাহ আপনাকে উত্তম লেখা লেখার তাউফিক দিন। আমিন
          গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

          Comment


          • #6
            প্রিয় ভাই! মত তো আমি তিনখানা দেইনি, দেড়খানা দিয়েছি!
            এক নম্বরে আমার উদ্দেশ্য ছিল কাল্পনিক গল্পের বৈধতা প্রমাণ। এখানে মতের ব্যপার নেই।
            দুই নম্বরে আমি বলেছি মনকে বিক্ষিপ্ত করে এমন কিছু লেখা নিষিদ্ধ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এগারো বিবির হাদীসে কিছু সফট ল্যাঙ্গুয়েজ আছে যেটা কোনো জাহিল অশালীন ভাবতে পারে। বাস্তবে রসূল সা. থেকে অশালীন কিছু অকল্পনীয়। সুতরাং সফট ল্যাঙ্গুয়েজ বৈধ। আবার সফট হার্ড নির্ধারণ যার তার কাজ নয়।
            দুই নম্বরের মূল কথা হলো অশালীনতা থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন। আল তামাশের কাহিনী তো বিপদ সীমার অনেক ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়।
            তিন নম্বরে বলেছি বিপদ সীমার নিচে থেকে লিখতে পারেন। বাড়তি বলেছি সংলাপ স্টাইলে লেখা আমার কাছে সহজ মনে হয়। আর বিতর্কিত বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান অর্জন ছাড়া লিখাটা ঝুঁকিপূর্ণ।


            Comment

            Working...
            X