মানুষ স্বাধীনতাকে ভালোবাসে। আমরা সবাই চাই—যেন আমাদের জীবন আমাদের হাতে থাকে, আমাদের ইচ্ছামতো চলতে পারি। কিন্তু ভেবে দেখুন তো—কোনো সীমারেখা ছাড়া স্বাধীনতা কি সত্যিই স্বাধীনতা? নদীর দুই তীর যদি না থাকে, নদী কি তখন নদী থাকে? না—সে প্লাবন হয়ে যায়, গিলে ফেলে ঘর-বাড়ি, ফসল আর মানুষ। অথচ যখন তীর থাকে, তখনই নদী সুন্দরভাবে বইতে থাকে।
ঠিক সেভাবেই, নিয়ম ছাড়া মানুষের জীবনও ভেসে যায়—অরাজকতায়, ধ্বংসে। তাই প্রতিটি সভ্যতা, প্রতিটি রাষ্ট্রই নিয়ম চাপিয়েছে। আজ যারা বলে, শরীয়াহ নাকি মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়—তাদের বলি: প্রতিটি শাসনব্যবস্থাই নিয়ম চাপায়। আমরা যদি বর্তমান বিশ্বের তথাকথিত প্রগতিশীল রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকায়, তাহলে সেখানে প্রতিদিনই আমরা নিয়ম চাপানোর উদাহরণ পাই।
সংসদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা—এটা জনগণের উপর চাপানো একটি রাজনৈতিক নীতি। শিক্ষা ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট পাঠ্যবই নির্ধারণ—এখানে রাষ্ট্র ঠিক করে দেয় কোন বই পড়তে হবে, কোন বিষয়কে মূল্যবোধ হিসেবে মানতে হবে। অনেক দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট ড্রেসকোড রয়েছে—এতে নাগরিকরা নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারেন না, বরং রাষ্ট্র যে পোশাক বৈধ করেছে তাই পরতে হয়। (ইত্যাদি)
তাহলে কেন শুধু শরীয়াহকেই দোষারোপ করবেন?
শরীয়াহর আরোপ অন্যসব শাসনের মতো নয়। অন্য শাসনব্যবস্থা চাপায় নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের সীমিত ধারণা থেকে। কিন্তু শরীয়াহ চাপায় আল্লাহর নির্দেশে—যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি জানেন মানুষের প্রকৃত কল্যাণ কোথায়।
শরীয়াহ আমাদের প্রতিটি দিকের দিশা দেয়—ব্যক্তিজীবনে শরীয়াহ মানুষকে অহংকার, অবাধ ভোগবিলাস ও আত্মঘাতী জীবনযাপন থেকে মুক্তি দেয়। পরিবারে আনে ভালোবাসা আর দায়িত্ব। সামাজিক জীবনে শরীয়াহ ন্যায়বিচার, দানশীলতা, সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে। রাষ্ট্রীয় জীবনে শরীয়াহ শক্তিশালী নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ন্যায় ও দুর্নীতি প্রতিরোধ নিশ্চিত করে। আন্তর্জাতিক জীবনে শরীয়াহ মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা, শান্তি ও ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষা দেয়। এত ব্যাপক ও কল্যাণকর কাঠামো আর কোনো শাসনব্যবস্থা দেখাতে পারবে না।
প্রশ্ন হলো—এগুলো কি মানুষের ক্ষতির জন্য চাপানো হয়েছে, নাকি মানুষের প্রকৃত কল্যাণের জন্য?
সীমারেখা মানেই বন্ধন নয়। আমরা ভুলে যাই, সীমারেখা মানেই দাসত্ব নয়; বরং সীমারেখাই আসল স্বাধীনতার নিশ্চয়তা। খেলোয়াড়রা যখন মাঠে নামে, খেলার নিয়ম মানতে হয়—এই নিয়মই খেলাকে সুন্দর করে তোলে। গাড়িচালকরা যখন ট্রাফিক আইন মানে, তখনই রাস্তায় নিরাপত্তা থাকে। নদীর দুই তীর নদীকে আটকে রাখে না—বরং সঠিক পথে বয়ে নিয়ে যায়। ঠিক তেমনিভাবে শরীয়াহর সীমারেখা মানুষকে আবদ্ধ করে না, বরং মানুষকে বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা করে এবং প্রকৃত শান্তির দিকে নিয়ে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই শরীয়াহ নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। মনে করেন—“আহা, শরীয়াহ এত কিছু চাপিয়ে দেয়!” অথচ বাস্তবতা হলো—শরীয়াহ চাপিয়ে দেয় না, বরং পথ দেখায়। শরীয়াহ আমাদের অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত করে, অন্ধকার থেকে আলোয় আনে, উদ্দেশ্যহীন জীবন থেকে উদ্দেশ্যময় জীবনে ফিরিয়ে দেয়।
তাহলে হীনমন্য হওয়ার কী আছে? বরং গর্ব করার আছে—কারণ আমাদের শাসনব্যবস্থা কোনো মানুষ বানায়নি, কোনো ক্ষণস্থায়ী মতবাদ বানায়নি। শরীয়াহ এসেছে সরাসরি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছ থেকে।
তাই প্রশ্নটা “শরীয়াহ চাপিয়ে দেয় কি না”—এখানে নয়। কারণ প্রতিটি শাসনব্যবস্থাই নিয়ম চাপায়। আসল প্রশ্ন হলো—কোন শাসনব্যবস্থা মানুষের প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করে? কোন শাসনব্যবস্থার চাপিয়ে দেওয়া বিষয় গুলো গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে?
উত্তর স্পষ্ট—শরীয়াহ। কারণ এটি কেবল আইন নয়, এটি মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যকে পূর্ণ করে। আর সেই উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর ইবাদত করা, আর আল্লাহর ইবাদতই মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা ও কল্যাণের নিশ্চয়তা দেয়।
ঠিক সেভাবেই, নিয়ম ছাড়া মানুষের জীবনও ভেসে যায়—অরাজকতায়, ধ্বংসে। তাই প্রতিটি সভ্যতা, প্রতিটি রাষ্ট্রই নিয়ম চাপিয়েছে। আজ যারা বলে, শরীয়াহ নাকি মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়—তাদের বলি: প্রতিটি শাসনব্যবস্থাই নিয়ম চাপায়। আমরা যদি বর্তমান বিশ্বের তথাকথিত প্রগতিশীল রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকায়, তাহলে সেখানে প্রতিদিনই আমরা নিয়ম চাপানোর উদাহরণ পাই।
সংসদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা—এটা জনগণের উপর চাপানো একটি রাজনৈতিক নীতি। শিক্ষা ব্যবস্থায় নির্দিষ্ট পাঠ্যবই নির্ধারণ—এখানে রাষ্ট্র ঠিক করে দেয় কোন বই পড়তে হবে, কোন বিষয়কে মূল্যবোধ হিসেবে মানতে হবে। অনেক দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট ড্রেসকোড রয়েছে—এতে নাগরিকরা নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরতে পারেন না, বরং রাষ্ট্র যে পোশাক বৈধ করেছে তাই পরতে হয়। (ইত্যাদি)
তাহলে কেন শুধু শরীয়াহকেই দোষারোপ করবেন?
শরীয়াহর আরোপ অন্যসব শাসনের মতো নয়। অন্য শাসনব্যবস্থা চাপায় নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের সীমিত ধারণা থেকে। কিন্তু শরীয়াহ চাপায় আল্লাহর নির্দেশে—যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি জানেন মানুষের প্রকৃত কল্যাণ কোথায়।
শরীয়াহ আমাদের প্রতিটি দিকের দিশা দেয়—ব্যক্তিজীবনে শরীয়াহ মানুষকে অহংকার, অবাধ ভোগবিলাস ও আত্মঘাতী জীবনযাপন থেকে মুক্তি দেয়। পরিবারে আনে ভালোবাসা আর দায়িত্ব। সামাজিক জীবনে শরীয়াহ ন্যায়বিচার, দানশীলতা, সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে। রাষ্ট্রীয় জীবনে শরীয়াহ শক্তিশালী নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ন্যায় ও দুর্নীতি প্রতিরোধ নিশ্চিত করে। আন্তর্জাতিক জীবনে শরীয়াহ মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা, শান্তি ও ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষা দেয়। এত ব্যাপক ও কল্যাণকর কাঠামো আর কোনো শাসনব্যবস্থা দেখাতে পারবে না।
প্রশ্ন হলো—এগুলো কি মানুষের ক্ষতির জন্য চাপানো হয়েছে, নাকি মানুষের প্রকৃত কল্যাণের জন্য?
সীমারেখা মানেই বন্ধন নয়। আমরা ভুলে যাই, সীমারেখা মানেই দাসত্ব নয়; বরং সীমারেখাই আসল স্বাধীনতার নিশ্চয়তা। খেলোয়াড়রা যখন মাঠে নামে, খেলার নিয়ম মানতে হয়—এই নিয়মই খেলাকে সুন্দর করে তোলে। গাড়িচালকরা যখন ট্রাফিক আইন মানে, তখনই রাস্তায় নিরাপত্তা থাকে। নদীর দুই তীর নদীকে আটকে রাখে না—বরং সঠিক পথে বয়ে নিয়ে যায়। ঠিক তেমনিভাবে শরীয়াহর সীমারেখা মানুষকে আবদ্ধ করে না, বরং মানুষকে বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা করে এবং প্রকৃত শান্তির দিকে নিয়ে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই শরীয়াহ নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন। মনে করেন—“আহা, শরীয়াহ এত কিছু চাপিয়ে দেয়!” অথচ বাস্তবতা হলো—শরীয়াহ চাপিয়ে দেয় না, বরং পথ দেখায়। শরীয়াহ আমাদের অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত করে, অন্ধকার থেকে আলোয় আনে, উদ্দেশ্যহীন জীবন থেকে উদ্দেশ্যময় জীবনে ফিরিয়ে দেয়।
তাহলে হীনমন্য হওয়ার কী আছে? বরং গর্ব করার আছে—কারণ আমাদের শাসনব্যবস্থা কোনো মানুষ বানায়নি, কোনো ক্ষণস্থায়ী মতবাদ বানায়নি। শরীয়াহ এসেছে সরাসরি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার কাছ থেকে।
তাই প্রশ্নটা “শরীয়াহ চাপিয়ে দেয় কি না”—এখানে নয়। কারণ প্রতিটি শাসনব্যবস্থাই নিয়ম চাপায়। আসল প্রশ্ন হলো—কোন শাসনব্যবস্থা মানুষের প্রকৃত কল্যাণ নিশ্চিত করে? কোন শাসনব্যবস্থার চাপিয়ে দেওয়া বিষয় গুলো গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে?
উত্তর স্পষ্ট—শরীয়াহ। কারণ এটি কেবল আইন নয়, এটি মানুষের জীবনের উদ্দেশ্যকে পূর্ণ করে। আর সেই উদ্দেশ্য হলো—আল্লাহর ইবাদত করা, আর আল্লাহর ইবাদতই মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা ও কল্যাণের নিশ্চয়তা দেয়।
Comment