Announcement

Collapse
No announcement yet.

শুক্রাণু চুরি–নারীবাদের জঘন্য কৌশল ও শতাব্দীর জঘন্যতম অপরাধ!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শুক্রাণু চুরি–নারীবাদের জঘন্য কৌশল ও শতাব্দীর জঘন্যতম অপরাধ!

    শুক্রাণু চুরি–নারীবাদের জঘন্য কৌশল ও শতাব্দীর জঘন্যতম অপরাধ!


    ২০১৯ সালে চল্লিশ বছর বয়সী জেন তার সন্তানের ভরণপোষণের জন্য সন্তানের পিতার নামে মামলা করে। জেনের দাবি অনুযায়ী আটাশ বছর বয়সী মিলিয়নিয়ার ডেভিড (ছদ্মনাম) তার সন্তানের বাবা। বিপরীতে ডেভিডের মতে সে কখনো জেনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেনি, এমনকি তাদের সাথে পূর্বপরিচিত কোনো সম্পর্কও নেই। কাজেই সে কীভাবে উক্ত নারীর সন্তানের বাবা হতে পারে! উদ্ভূত ব্যাপার হলো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে জেনের কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়। সত্যিই ডেভিড উক্ত সন্তানের বাবা। তবে জেন একথাও স্বীকার করে যে ডেভিডের সাথে তার কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। তাহলে কীভাবে জেন তার সন্তান গর্ভধারণ করলো? জেন এক্ষেত্রে ফেমিনিস্টদের শেখানো একটি জঘন্য কৌশল ব্যবহার করেছে। শুক্রাণু চুরির মাধ্যমে গর্ভবতী হওয়ার কৌশল, আধুনিক ভাষায় যাকে বলা হয় “স্পার্ম জ্যাকিং”।

    জেন কীভাবে শুক্রাণু চুরি করলো তা জানার জন্য ২০১৫ সালে ফিরে যেতে হবে, যখন সে হোটেলের সামান্য একজন ক্লিনার ছিল। ছত্রিশ বছর বয়সী জেন আমেরিকার ভেগাসের একটি হোটেলে ক্লিনারের কাজ করতো। সে ছিল বেশ চতুর প্রকৃতির। জেন জানতো যেকোনোভাবে সম্পদশালী কোনো ব্যক্তির সন্তান গর্ভে ধারণ করলে ভরণপোষণ বাবদ আইনিভাবে বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ হাসিল করতে পারবে। তবে কীভাবে সে এই কাজ করবে?

    ভেগাসে নারীদেহ মিলে অহরহ, তাই কোনো মিলিয়নিয়ার সামান্য ক্লিনারের প্রতি নিশ্চয়ই ঝুঁকবে না। আর সামান্য টাকায় অতি কমবয়সী নারী যখন উপস্থিত তখন ছত্রিশ বছর বয়সী জেন স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্ব পাবেনা। তবে একদিন মিরাকেলি চতুর জেনের নিকট তার কাঙ্ক্ষিত সুযোগ আসে। চব্বিশ বছর বয়সী মিলিয়নিয়ার ডেভিড সামান্য সময় কাটানোর জন্য নারীসঙ্গী সমেত হাজির হয় ভেগাসের উক্ত হোটেলে। একইকালে জেন যখন তার রুমে উপস্থিত হয় তখন সে ডেভিডের ব্যবহৃত করা কনডম আবিষ্কার করে। মূলত এই কনডমের স্পার্মের মাধ্যমেই জেন গর্ভবতী হয়েছে।

    ঘটনার বেশ লম্বা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। জেনের সন্তানের বয়স এখন চার বছর। সে তার সন্তানের ভরণপোষণের জন্য আদালতের দারস্ত হয়। শুরুতে নানা আইনি জটিলতা ও তর্ক-বিতর্কের পর জেনের কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়। জেন স্পার্ম জ্যাকিং এর কথাও স্বীকার করে। তবে ফেমিনিজম প্রভাবিত সেক্যুলার আইন তার কাজের জন্য কোনো শাস্তি আরোপ করেনি। বরং সন্তানের তিন বছরের খরচ বাবদ কোর্ট ডেভিডকে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার প্রদানের নির্দেশ দেয়। ডেভিড যদিও বেশকিছু আইনি পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলো তবে তা সম্ভব
    হয়ে উঠেনি। জেন এখন আর হোটেলে কাজ করে না। ডেভিডের প্রদানকৃত টাকায় সে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করেছে। তবে খুব সম্ভবত ডেভিডের প্রতি মায়া দেখিয়ে বা সত্যিই ডেভিডের সন্তান বলে সে সন্তানের নাম ডেভিডের নামানুসারেই রেখেছে।

    পাশ্চাত্যের আধুনিক সমাজগুলোতে স্পার্ম জ্যাকিং বা শুক্রাণু চুরি নতুন কিছু নয়। বিত্তশালী ব্যক্তিদের সম্পদের প্রতি মোহ থেকে, শত্রুকে বশীকরনের জন্য কিংবা নিজেদের দোষ ঠেকাতে বহু আগে থেকেই শুক্রাণু চুরির কৌশল ব্যবহার করে আসছে ফেমিনিস্টরা। যৌনতা বিষয়ক একটি সার্ভের ২০১১ সালের তথ্য অনু্যায়ী আমেরিকান পুরুষদের প্রায় ১০% জীবনে একবার হলেও শুক্রাণু চুরির শিকার হয়েছে।

    পাশ্চাত্যের নারীদের শুক্রাণু চুরির প্রধান কারণ হলো নিজেকে গর্ভবতী করা, যেন সন্তানের ভরণপোষণের নামে বিত্তশালী লোকদের থেকে সম্পদ হাতিয়ে নেওয়া যায়। আর এই কাজের জন্য তাদের কোনো শাস্তি পর্যন্ত হয় না। আমেরিকান আইনে এটা মূলত কোনো অপরাধই না।আরও মারাত্মক ব্যাপার হলো কোনো নারী যদি কোনো পুরুষকে ধর্ষণ করে এবং গর্ভবতী হয় তবেও আইন অনুযায়ী সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব ভিক্টিম পুরুষকে নিতে হবে।

    আমেরিকার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ক্যালিফোর্নিয়াতেই সংখ্যাটা প্রায় ৩০%। অন্যদিকে এই নারীরা টাকার প্রতি এতই মোহসক্ত যে কোনো কিছুর পরোয়া করে না। “বৈবাহিক সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা এবং এর ভিক্টিম” বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে বিত্তশালী এক ধনকুবের প্রাক্তন স্ত্রী তার সন্তানদের লালন-পালনের জন্য বেশ মোটা অঙ্কের সম্পদ দাবি করে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় তার প্রাক্তন স্বামী মূলত উক্ত সন্তানদের জনকই নন। উক্ত নারী তার এক্সট্রা ম্যারিটিয়াল অ্যাফেয়ার গোপন করে ডিএনএ টেস্ট জালিয়াতি করেছিলো মাত্র।তবে প্রতিবেদকের মতে খুব বেশি ধনী না এরকম পুরুষদেরও একইরকম জালিয়াতির শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশ প্রবল। এখন উপরোক্ত ঘটনার সাথে বাংলাদেশের চিত্রটা মিলিয়ে দেখুন।

    পরিচিত। এরকম পোস্টগুলোতে একটি কমন প্যাটার্ন হলো স্বামী থাকা সত্ত্বেও পরকীয়ার জেরে গর্ভবতী হওয়ার পর কীভাবে তা স্বামীর ঘাড়ে চাপানো যায়। কিছু মিল পাচ্ছেন কি? মিল না পেলে পূর্বের প্যারাগুলো আরেকবার পড়ে আসুন।

    নারীবাদের প্রভাবে পাশ্চাত্যে পরকীয়া যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই অঞ্চলেও ঠিক সেভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একসময় নারীরা আইন সম্পর্ক জানতো না বিধায় তারা এডাল্টেরি থেকে দূরে ছিল। কিন্তু যুগের কারণে কিংবা মিডিয়ার কল্যাণে তারা নারীবান্ধব সেক্যুলার আইন সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তারা এটাও জানতে পেরেছে যে দেশীয় সেক্যুলার আইনে পরকীয়ার জন্য নারীরা মোটেও শাস্তির মুখোমুখি হয়না। ডিভোর্স হলে মোটা অঙ্কের কাবিনের টাকা তো আছেই। মূলত এই “পানিশমেন্ট এন্ড রিওয়ার্ড” মুছে ফেলার কারণেই যৌন বিষয়ক অপরাধগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই কাজকে আঞ্জাম দিচ্ছে ফেমিনিজম।

    একইভাবে শুধুমাত্র সম্পদের প্রতি মোহস্কত এবং এই আসক্তি পূরণ করতে সন্তানদের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। সন্তান ভরণ-পোষণের নামে বাবার থেকে সন্তানকে বিচ্ছিন্ন করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করাটাও এখন বেশ পুরোনো ট্রেন্ড।

    একজন মানুষকে অপরাধ থেকে দূরে রাখার প্রধান ফ্যাক্টরগুলো হলো রিওয়ার্ড ও পানিশমেন্ট। মানুষ অপরাধ থেকে দূরে থাকে রিওয়ার্ড বা পুরস্কার প্রাপ্তির আশায় এবং পানিশমেন্ট বা অপরাধের শাস্তির ভয়ে। সেক্যুলার আইন এই দুই প্রধান ফ্যাক্টরের ক্ষেত্রে মানুষের আধ্যাত্মিকতা ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে মানুষ শুধুমাত্র পার্ধিব পুরস্কার বা শাস্তিকেই প্রাধান্য দেয়। এরপর ফেমিনিজম এমন আইন প্রণয়ন করেছে যা নারীদের যৌনতা বিষয়ক সকল অপরাধের শুধুমাত্র শাস্তি মওকুফই করেনা বরং পুরষ্কারও দেয়। বহির্বিশ্বে ডিভোর্সের পর এলামনাইয়ের টাকা, দেশীয় আইনে ডিভোর্সের পর কাবিনের টাকা এগুলোই এই রিওয়ার্ড। একইভাবে অতীত মেটার করেনা এবং অতীত থাকার পরও বিশ্বস্ত পার্টনারের আশ্বাসও একটি রিওয়ার্ড।

    সেক্যুলার দেশ হলেও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সোসিয়াল নর্মসের কারণে বাংলাদেশ যৌন বিষয়ক অপরাধগুলো থেকে দূরে ছিল। কিন্তু এই ধর্মীয় মূল্যবোধ আর সোসিয়াল নর্মস এখন বিদায় নিতে শুরু করেছে।ফলাফল হুড়হুড় করে বাড়ছে জিনা, ব্যভিচার আর পরকীয়া। অদূর ভবিষ্যতে শুরু হবে শুক্রাণু চুরি। প্রশ্ন থাকতে পারে যে এগুলোর পিছনে ফেমিনিজম দায়ী কীভাবে? মানুষের ব্যক্তিগত কাজও তো হতে পারে। বব লুইস তার “ফেমিনিস্ট প্রোপাগান্ডা” বইয়ে আসল জিনিসই লিখেছেন,

    শুক্রাণু চুরি কিংবা ডিভোর্সের মাধ্যমে সম্পদ আত্মসাৎ ইত্যাদি কলাকৌশল নারীবাদীরা বহুকাল আগে থেকেই শিক্ষা দিয়ে আসছে। পাশ্চাত্যের নারীবাদীদের বইগুলোতে এইসব কলাকৌশল অহরহ। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নারীবাদীদের কলাকৌশল শেখানোর দায়িত্ব আঞ্জাম দিচ্ছে নারীবিষয়ক ফেসবুক গ্রুপগুলো। সেখানে প্রতিনিয়ত শেখানো হয় কীভাবে ছেলেদের সাথে প্রেম করে গভীর প্রেমে পৌঁছানোর পর ছেলের মন ভাঙতে হয়, কীভাবে রুমডেট করতে হয়, কীভাবে বিয়ের পূর্বের শারীরিক সম্পর্কগুলো পাত্রের কাছ থেকে গোপন রাখা যায় কিংবা ইসলামের নাম ব্যবহার করে লেগিটেমিসি দেওয়া যায়, পরকীয়ার ঘটনা স্বামী জেনে ফেললে কীভাবে নারী নির্যাতনের হুমকি দিয়ে তার বোবাকান্না বন্ধ করা যায়।

    পাশ্চাত্যে ফেমিনিস্টদের নিয়ে প্রচলিত একটা স্ল্যাং আছে। তারা ফেমিনিস্টদের বলে ফেমিনাজি, সরল বাংলা করলে এর অর্থ হতে পারে নারীবাদী নাৎসি। সত্যি বলতে ফেমিনিজম এবং ফেমিনিস্টদের সাথে এই নাম বেশ মানানসই। নাৎসি বাহিনী যেমন ধনকুবের ইহুদিদের অপরাধে সমগ্র ইহুদি জাতিকে ধ্বংস করতে উদ্ধত ছিল ফেমিনিস্টরা তেমনি নিতান্ত হাতে গোনা সামান্য কিছু পুরুষদের কারণে সমগ্র পুরুষ জাতির ধ্বংস কামনা করে। আর এর প্রতিক্রিয়া আমরা দেখতে পাই “স্টেম সেল থেকে ভ্রূণ” তৈরির রিসার্চকে পুরুষবিহীন ভ্রূণ তৈরির রিসার্চ মনে করে নারীবাদীদের উল্লাসে ফেটে পরা আর “মেট্রো-রেইলে পুরুষদের হেনস্তা করে” তা নিয়ে নারীবাদীদের আত্ম অহমিকার ঘটনায়।

    দিন যত যাবে ফেমিনিজমের ধূর্ত থাবা আরও বড় হবে। ফেমিনিজম শুরুতে নারীদের সাংসারিক কাজকে কাজকে গোলামি ও মূল্যহীন হিসেবে প্রচার করেছে। প্রতিষ্ঠা করেছে পুরুষবিদ্বেষী ন্যারেটিভ। এরপর ফেমিনিজমের এই থাবা আক্রমণ করেছে পরিবারকে এবং পরিবার ধ্বংসের পর আক্রমণ করছে স্বয়ং মাতৃত্বকে। যে মাতৃত্ব না থাকলে তাদের জন্মই হতো না কিংবা জন্ম হলেও কুকুর-ছানার মতো রাস্তায় পরে থাকতো সেই মাতৃত্বকেই ফেমিনিস্টরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তৈরি বলে ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। বাংলাদেশেও প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে তাদের এই ন্যারেটিভ, এর প্রমাণ মূলত পরকীয়া গোপন রাখতে সন্তানকে হত্যার ঘটনায় দেখা যায়। অদূর ভবিষ্যতে ফেমিনিজমের কল্যাণে এই অঞ্চলেও হবে “শুক্রাণু চুরি” আর এরপর ফেমিনিস্ট-নাৎসিবাদের জয় জয়কার।

    হে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, মুসলিম উম্মাহকে শুক্রাণু চুরির–নারীবাদের জঘন্য কৌশল ও শতাব্দীর জঘন্যতম অপরাধ!
    থেকে হিফাজত করুন‌-আমীন

    সংগৃহীত:

    তথ্য সূত্র:
    1.The National Intimate Partner and Sexual Violence Survey (NISVS): 2010
    2.Smith, Helen (2013), Men on Strike: Why Men Are Boycotting Marriage, Fatherhood, and the American Dream-And Why It Matters.
    3.https://www.azcentral.com/story/news...port/14951737/
    4.http://www.manchestereveningnews.co....group-12399580
    5.http://www.jstor.org/stable/25740556




Working...
X