পুলিশ শালা মাইরালা …|| ক্ষুদ্র কিছু পদক্ষেপ/মতামত
ফোরাম এ অনেকদিন থেকেই আছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু লিখনির যোগ্যতা, জ্ঞান না থাকাই কিছু লিখার সাহস পাই না। শায়েখদের বক্তব্য, বিভিন্ন অফিসিয়াল রিলিজ, ভাইদের লিখনি ইত্যাদি থেকে সুযোগ পেলে জ্ঞান আহরণ ও অন্তর প্রশান্ত রাখার চেষ্টা করি।
দেশের উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে মনে হল মনের ভিতর উদয় হওয়া কিছু কথা, অনুভূতি, ফিকির আপনাদের সাথে শেয়ার করি ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল প্রচেষ্টা , কাজ, ফিকির কবুল করুন। আমিন।
ভাইয়েরা আমরা সকলেই জানি বর্তমান দেশের কি পরিস্থিতি। সাধারণ জনগণের ভাষায় বললে দেশ এখন সম্পূর্ণ পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। যদিও দেশের সব সেক্টরেই অনিয়ম, দুর্নীতি , ঘুষ বাণিজ্য চলতেছে। হাসিনা ও হাসিনার আত্মীয়স্বজন লুটপাট সন্ত্রাস করে দেশের বাইরে টাকার পাহাড় জমিয়েছে। ফলে সব সেক্টর থেকে সীমাহীন লুটপাট, ঘুষ বাণিজ্য চলতেছে। হাসিনা চাইলেও সেটা কন্ট্রোল করতে পারতেছে না। যেহেতু হাসিনা নিজেই লুটপাট করে। সুতরাং এখন সব জায়গা থেকে এখন পূর্বের থেকে অনেক বেশি দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য চলতেছে।
আমাদের লাঠিয়াল (পুলিশ) বাহিনিও চরম মাত্রায় এই ঘুষ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হয়েছে। পুলিশ অনেক আগে থেকেই ঘুষ খায়। সেটা ছোট থেকেই দেখে আসছি। কিন্তু এখনের মত আমমভাবে (ব্যাপকভাবে) এমন আগে দেখা যাই নাই।
এই করোনাকালিন সময়ে সাধারণ জনগণ পুলিশের দ্বারা যে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে এটা সর্বজন স্বীকৃত । ব্যাপারটা এমন যে আপনার পকেট সার্চ করে যদি কোন পুলিশ দেখে যে কিছু টাকা আছে, তাহলে সে ওই টাকার উপর লোভ সামলাতে পারে না। কোন একটা ফন্দি করে সে আপনার টাকা-পয়সায় ভাগ বসাবে। পুলিশের এই নির্লজ্জ কর্মকাণ্ড দিনের আলোতে সকলের সামনেই হচ্ছে।
স্বার্থবাদী লকডাউন থেকে শুরু করে আলেম-ওলামাদের উপর নির্যাতন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি দাবার আন্দোলন দমন, ছাত্রদের আন্দোলন দমন ইত্যাদি সব জায়গায় সরকারের হয়ে এই লাঠিয়াল(পুলিশ) বাহিনী সরব ভুমিকা রেখেছে। বিশেষ করে এই পরিকল্পিত স্বার্থবাদী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এই লাঠিয়াল বাহিনী জনগণের উপর সীমাহীন জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে + চালাচ্ছে।
এখন আমাদের দাওয়াতি কাজে খাস করে পুলিশের বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেগুলোর কিছু লিস্ট করা যায় ইনশাআল্লাহ। হয়তো আমাদের এই পদক্ষেপে খুব বড় দৃশ্যমান ফায়দা দেখা নাও দেখা যেতে পারে। তবে আলোচনা দ্বারা কিছুটা হলেও এই বিষয়টা আমাদের মন মগজে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আর আমরা সাধারণত জানি যে বিষয়ে আপনার সুস্পষ্ট পরিকল্পনা, প্লান, ফিকির থাকবে সেটা সুযোগ পেলে আপনার জন্য বাস্তবায়ন দ্বারা করা সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
আমার ক্ষুদ্র ফিকিরে পুলিশের বিরুদ্ধে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া যায় –
১। পুলিশ শালা মাইরালা , পুলিশ পাইলে মার ইত্যাদি হ্যাশট্যাগ চালু করা। ( সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাদের সিকিউর আইডি আছে সেসব ভাইয়েরা করতে পারেন )
২। পুলিশের এই ঘুষ বাণিজ্য, জুলুম ইত্যাদির বিরুদ্ধে জনগণ কে সুযোগ পেলে ক্ষেপীয়ে(ক্ষেপিয়ে) তোলা । ( জনগণ অলরেডি ক্ষেপে আছে , আপনি সুযোগ পেলে জ্বালানোর স্ফুলিঙ্গটা দিবেন )
৩। গণধোলাই এর ব্যবস্থা করা। ( যদি আপনি আমমভাবে [ব্যাপকভাবে] থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশের পরিচিত মানুষদের পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে রাখুন। মানুষের মধ্যে এই চিন্তা থাকলে সুযোগ পেলে তারা পুলিশ মেরে দিবে )
৪,৫,৬,৭,…………..
মুহতারাম ভাইয়েরা আমার ক্ষুদ্র ফিকির এ যা ছিল আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত মতামত শেয়ার/জানাতে পারেন ইনশাআল্লাহ। আমরা অনেকেই হয়তো এসব কাজের মূল ভূমিকায় থাকতে পারবো না। তবে এরকম চিন্তা-ফিকির অন্যের কাছে পৌঁছানোর দ্বারাও মানুষের বড় একটা অংশের মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী বিদ্বেষ মনোভাব তৈরী হবে ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের কারো মাশোয়ারা থাকলে অবশ্যই জানাবেন ইনশাআল্লাহ।
শেয়ার করুন/ ছড়িয়ে দিন।
ওয়াসসালাম।
Comment