এই জাহিলী সমাজ তোমাকে ভালকিছু দিতে চায় না। বরং তোমাকে পাপের সাগরে ডুবাতে চায়। এইভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের চরিত্র। পারছি না যৌবনকে পবিত্র রাখতে। কারণ, হচ্ছে যৌবন এক ধরণের ক্ষুধা। ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবারের দরকার হয়, ঠিক তেমনি যৌবনের ক্ষুধা লাগলে বিয়ে/বউ দরকার হয়। কিন্তু জাহিলী সমাজ বলছে- আগে প্রতিষ্ঠিত হও। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসো।
অথচ এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন :
وَأَنكِحُوا الْأَيَامَىٰ مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ ﴿النور: ٣٢﴾
অর্থ: “তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” [সূরা নূর(২৪): ৩২]
মহান আল্লাহ যেন বলছেন- বিয়ে করো, তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি আল্লাহর...অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। ধনী হতে চাও বিয়ে করো। সুবহানাল্লাহ!!!!!!
অন্যদিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمْ: المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ العَفَافَ
তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তা‘আলার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়।
১। আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় জিহাদকারী,
২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়
৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।
হাদিসটি পাবেন- (তিরমিজি-১৬৫৫, নাসায়ি-৩২১৮, ৩১২০, সহিহ ইবনে হিব্বান-৪০৩০ প্রভৃতি)
অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু সময় পাওয়া যায়। তাহলে কেন বিয়ে করতে এতো দেরি করছেন! আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে আপনাকে বড়লোক/ধনী বানিয়ে দেবেন। তিনি তার ওয়াদা দিয়েছেন।
প্রিয় ভাই! শুধু খামোখা কেন দেরি করছেন, বিয়ে করুন......যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল অফারটাকে গ্রহণ করুন। আবারো বলছি- বিয়ে করুন...!
এবার আসুন আজকের মূল আলোচনায় যাই-
বিয়ে করলে যে যে উপকারিতা পাবেন। তা হলো-
# লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়।
# বিবাহ চক্ষু নিচু করে।
# তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া যায়।
# ইমান পরিপূর্ণ হয়।
# অসুস্থতা দূর হয়।
# ইবাদতে মজা পাওয়া যায়।
# আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
# মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
*এমন তৃপ্তি যেটা শুধু নিজের বউয়ের কাছে পাবেন। যিনা করতে গিয়েও তা পাবেন না।
#মেজাজ ঠান্ডা থাকে। মাথা কখনো হট হবে না।
# যৌবনের ক্ষুধা নিবারণ হয়।
আরো অনেক উপকারিতা আছে।
***
খাবার না পেলে যখন ক্ষুধার যন্ত্রনায় হারাম ভক্ষণ করে ফেলে। ঠিক সেই রকম বউ না থাকলে যৌবনের ক্ষুধার তাড়নায় অনেকে লজ্জাস্থান দিয়ে পরনারীর সাথে যিনা করে ফেলে। যা আল্লাহ হারাম করেছেন। তা আজ আমাদের জাহিলী সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে! আর আমাদের চারিদিকের কলুষিত পরিবেশের কথা তো কারো অজানা নয়।
তাই ভাই, বিয়েকে সহজ করুন! দেখবেন- সমাজ থেকে অনেক যিনা-ব্যভিচার কমে যাবে। চারিত্রিক শুদ্ধতার সুবাতাস প্রবাহমান হবে, ইনশাআল্লাহ।
ছেলে-মেয়েদের অভিভাবকদের বলছি- আপনারা অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিন/করান। ক্যারিয়ারের চিন্তা বাদ দিন। আগে তাদের মানুষ করুন তথা তাদের চরিত্রকে ঠিক রাখুন। পবিত্র রাখুন।
তাই মেয়ের বাবাদের বলছি- সময় থাকতে বিষয়টি বিবেচনায় নেন। কোন অঘটন ঘটে গেলে তখন আর আফসোস করে লাভ হবে না। আল্লাহ আপনাদের সুমতি দান করুন। আমীন
ছেলের বাবাদের বলছি- আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, বিয়ে করলে ধনী বানিয়ে দেবেন। তাই ছেলেকে বিয়ে করান, দেখবেন- আল্লাহর রহমতে আপনার ছেছে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। বেকারত্ব দূর হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ
সবশেষে হে যুবক ভাই, আপনার যদি বিয়ের জরুরত থাকে, আর মা-বাবা বিষয়টি বুঝতে না চান, তাহলে কোন রকম মা-বাবাকে রাযি করিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে নিজের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে ফেলুন! দেখবেন- আল্লাহ আপনাকে কখনো নিরাশ করবেন না। ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন
সংগ্রহীত ও সংযোজিত এবং পরিমার্জিত
*****
প্রথম পর্বের লিংক-
বিয়ে নিয়ে অগোছালো কিছু কথা ।। পর্ব-১ ।। বিয়ে করলে কি কি পরিবর্তন হয়-
https://dawahilallah.com/showthread.php?23281-
Comment