বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
=====================
নিঃসন্দেহে মুসলিম উম্মাহর প্রচুরসংখ্যক সফল ও উচ্চাকাঙ্খী লোকের প্রয়োজন ;কারণ, বর্তমান সময়ে বুদ্ধিবৃত্তি, শিল্প ও বাস্তবক্ষেত্রে মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাই এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কেননা, দুর্বল -চিত্তের লোকদের নিয়ে শক্তিশালী উম্মাহ গঠন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা খুব জরুরী, ইসলাম যেমন কোনো লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্ব দেয়, ঠিক তেমনই সেই লক্ষ্যে পৌছার মাধ্যমকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ কারণে -ই প্রকৃত সফলতার জন্য আমাদের দুটি বৈশিষ্ট্য মেনে অগ্রসর হতে হবে------
প্রথমতঃ আমাদের কাজগুলো পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হতে হবে, এবং তা অবশ্যই শরীয়িতসম্মত হতে হবে৷
দ্বিতীয়তঃ আমাদের কাজগুলো অবশ্যই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়ক হতে হবে। যেমনঃ দুনিয়াবী সফলতার দ্বারা আমরা যে অর্থ উপার্জন করে থাকি--তা যেন আমাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং মানুষের কল্যাণ ও দেশের সমৃদ্ধির -- সাধনে সাহায্য করে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ যুগের লোকেরা সফলতা আর অধিক উপার্জনের ফিতনায় পড়ে গেছে। দুনিয়াবি কোন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর যদি তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যক্তিগত খাতে কিংবা বৈধ বিনোদনেই ব্যয় হয়ে যায়, তবে তা প্রকৃত সফলতা নয় ; বরং একে সাময়িক সফলতা বলা চলে। দুনিয়ার এ জীবন খুব ছোট, আর একে উপভোগ করার সময়টাও সংক্ষিপ্ত। তাই এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, দুনিয়ায় আমরা যে সফলতা অর্জন করি, তার পরিসর একেবারেই সীমিত।
আরেক প্রকার সফলতা আছে। একে অবশ্য রূপক অর্থে সফলতা বলা হয়। সেটা হলো---- জোচ্চুরি, ধোঁকাবাজি, ঘুষ, অন্যের হক নষ্ট করা, প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করা ইত্যাদির মাধ্যমে সফল হওয়া। এটি মূলত মেকি সফলতা। এ সফলতা ব্যক্তির ওপর বোঝার মতো। আমাদের উচিত এমন ব্যক্তিদেরকে করুণার দৃষ্টিতে দেখা। তাদের জন্য হিদায়তের দু'আ করা ; তারা অসহায়। তারা জানে না, যে অর্জনকে তারা সফলতা মনে করছে, তা আদতে তাদের জন্য বড় ধরনের বিপদ।
মনে রাখতে হবে, আমাদের চিন্তা যেন সার্টিফিকেট, চাকরি বা অর্থসম্পদের মালিক হওয়ার মাঝেই আবদ্ধ না থাকে ; বরং আমরা সফল হতে চাইব নিজেদের, পরিবারের ও আশেপাশের মানুষের সুখ- শান্তির কথা ভেবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে নিজেদের অর্জনকে কল্যানমূলক কাজে ব্যয় করা, যাতে এর মাধ্যমে আমরা সাওয়াব অর্জন করতে পারি৷
আমরা যা অর্জন করতে চাই, তার বাস্তবায়নে যেন নিজেদের মাঝে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ না করে। তাই সবসময় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তিনি যেন আমাদের সব কাজে সমন্বয় সাধন করেন, আমাদেরকে হেফাজত করেন। ভুলে গেলে চলবে না------
বান্দার প্রতি যদি না থাকে রবের সমর্থন
ব্যর্থ হবে তার প্রয়াসের প্রতিটি অনুক্ষণ। '
সংগ্রহিত
=====================
নিঃসন্দেহে মুসলিম উম্মাহর প্রচুরসংখ্যক সফল ও উচ্চাকাঙ্খী লোকের প্রয়োজন ;কারণ, বর্তমান সময়ে বুদ্ধিবৃত্তি, শিল্প ও বাস্তবক্ষেত্রে মুসলিমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাই এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কেননা, দুর্বল -চিত্তের লোকদের নিয়ে শক্তিশালী উম্মাহ গঠন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা খুব জরুরী, ইসলাম যেমন কোনো লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্ব দেয়, ঠিক তেমনই সেই লক্ষ্যে পৌছার মাধ্যমকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ কারণে -ই প্রকৃত সফলতার জন্য আমাদের দুটি বৈশিষ্ট্য মেনে অগ্রসর হতে হবে------
প্রথমতঃ আমাদের কাজগুলো পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হতে হবে, এবং তা অবশ্যই শরীয়িতসম্মত হতে হবে৷
দ্বিতীয়তঃ আমাদের কাজগুলো অবশ্যই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়ক হতে হবে। যেমনঃ দুনিয়াবী সফলতার দ্বারা আমরা যে অর্থ উপার্জন করে থাকি--তা যেন আমাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং মানুষের কল্যাণ ও দেশের সমৃদ্ধির -- সাধনে সাহায্য করে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ যুগের লোকেরা সফলতা আর অধিক উপার্জনের ফিতনায় পড়ে গেছে। দুনিয়াবি কোন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের পর যদি তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যক্তিগত খাতে কিংবা বৈধ বিনোদনেই ব্যয় হয়ে যায়, তবে তা প্রকৃত সফলতা নয় ; বরং একে সাময়িক সফলতা বলা চলে। দুনিয়ার এ জীবন খুব ছোট, আর একে উপভোগ করার সময়টাও সংক্ষিপ্ত। তাই এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, দুনিয়ায় আমরা যে সফলতা অর্জন করি, তার পরিসর একেবারেই সীমিত।
আরেক প্রকার সফলতা আছে। একে অবশ্য রূপক অর্থে সফলতা বলা হয়। সেটা হলো---- জোচ্চুরি, ধোঁকাবাজি, ঘুষ, অন্যের হক নষ্ট করা, প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করা ইত্যাদির মাধ্যমে সফল হওয়া। এটি মূলত মেকি সফলতা। এ সফলতা ব্যক্তির ওপর বোঝার মতো। আমাদের উচিত এমন ব্যক্তিদেরকে করুণার দৃষ্টিতে দেখা। তাদের জন্য হিদায়তের দু'আ করা ; তারা অসহায়। তারা জানে না, যে অর্জনকে তারা সফলতা মনে করছে, তা আদতে তাদের জন্য বড় ধরনের বিপদ।
মনে রাখতে হবে, আমাদের চিন্তা যেন সার্টিফিকেট, চাকরি বা অর্থসম্পদের মালিক হওয়ার মাঝেই আবদ্ধ না থাকে ; বরং আমরা সফল হতে চাইব নিজেদের, পরিবারের ও আশেপাশের মানুষের সুখ- শান্তির কথা ভেবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে নিজেদের অর্জনকে কল্যানমূলক কাজে ব্যয় করা, যাতে এর মাধ্যমে আমরা সাওয়াব অর্জন করতে পারি৷
আমরা যা অর্জন করতে চাই, তার বাস্তবায়নে যেন নিজেদের মাঝে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ না করে। তাই সবসময় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তিনি যেন আমাদের সব কাজে সমন্বয় সাধন করেন, আমাদেরকে হেফাজত করেন। ভুলে গেলে চলবে না------
বান্দার প্রতি যদি না থাকে রবের সমর্থন
ব্যর্থ হবে তার প্রয়াসের প্রতিটি অনুক্ষণ। '
সংগ্রহিত