Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাহাদাত লাভের রহস্য -ওস্তাদ আহমেদ ফারুক (রহিমাহুল্লাহ)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাহাদাত লাভের রহস্য -ওস্তাদ আহমেদ ফারুক (রহিমাহুল্লাহ)

    শাহাদাত লাভের রহস্য
    ওস্তাদ আহমেদ ফারুক রহিমাহুল্লাহ
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
    এতবছর আরেকটি বিষয় আমি অনুধাবন করেছি, ছোট একটি বিষয় কিন্তু আপনারা প্রত্যেকে গভীরভাবে চিন্তা করুন, প্রত্যেক সাথেই যারা এখানে আসেন, তাদের মাঝে কোন কোন এক বা দুই টা মন্দ স্বভাব এক বা দুইটা গুনাহ এমন থাকে, যা তারা ছাড়তে পারে না।
    হয়তো তা কোনো গুনাহ হবে অথবা এমন কোন নেকি হবে যা করা উচিত তিনি করতে পারছেন না। সাধারণভাবে কোনো না কোনো গুনাহ এমন হবে যা মানুষ ছাড়তে পারে না।
    কারো জবান তেজ হয়, কারো স্বভাব মন্দ হয়, কেউ নামাজে অলস হয়, কেউ হয়তো তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয় না, প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন গুনাহ হয়ে থাকে, সে গুনাহ নফসের সাথে লেপ্টে থাকে এবং এমন ভাবে লেপ্টে থাকে তা দূর করতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়, দূর হতে চাইনা, স্বভাবে পরিণত হয়ে যায়।
    আর আমি আমার জিন্দেগীতে একটি বিষয় অনুধাবন করেছি যে, আমি যত সাথীকে নিকট থেকে দেখেছি, তারা শহীদ হওয়ার পূর্বে পূর্বে তাদের শাহাদাত তখনই লাভ করেছে, যারা উক্ত রোগ থেকে নিজেকে কয়েকদিনের মধ্যেই মুক্ত করে নিয়েছেন।
    কারো কারো ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে তিনি গতকালকে, উক্ত রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিয়েছেন, আর পরের দিনই তিনি শহীদ হয়েছেন, তিনি হয়তো আরো অনেক গুণাবলীর অধিকারী হবেন।কিন্তু একটা জিনিস এমন হবে, যাতে তিনি ফেঁসে রয়েছেন, তো কোনো কোনো সময় মনে হতো যে, অমুক ভাইয়ের অমুক দুর্বলতা ছিল, আরজে দিনই তিনি ওই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছেন, পরের দিনই তিনি আল্লাহর কাছে চলে গেছেন।
    এগুলো বুঝতাম কারণ অনেক সময় আমার সাথীদের উপর নজর রাখার সুযোগ হতো, এক ভাইকে দেখেছি যে সারা বছর থাকে এই দূর্বলতার ব্যাপারে বলা হতো যে তাওয়াজু অবলম্বন করুন, তাওয়াজু অবলম্বন করুন, আমি খেয়াল করলাম যে, ৪,৫ দিনের মধ্যেই তিনি চলে গেলেন।
    আরেকজন ভাই ছিলেন একই ইস্যুতে তার সাথে কথা হতো যে, সবর রহ্মন করুন অপরকে দেখানোর থেকে অবলম্বন করুন, অপরকে তেজ দেখানো থেকে সবর অবলম্বন করুন, অপরের ভুলত্রুটির ব্যাপারে সবর অবলম্বন করুন,(কারো ভুলত্রুটি দেখলে ওই স্থানে জবানকে নিয়ন্ত্রণ রাখবেন) যে দিনই ভাই জবানকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন, তার কয়েক দিনের মাথায় তিনি আল্লাহর কাছে চলে গেলেন।
    এর উপর মিলিয়ে নিন! উদাহরণ কম নয়। কোন কোন ভাইয়ের এবাদতের কিছু দুর্বলতা ছিল,যার ব্যাপারে তাদেরকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতো,প্রায় সারাবছরই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতো, যে দিনই তিনি দুর্বলতা কাটিয়ে এসেছেন,(সেদিনই তিনি কামিয়াব হয়েছেন) অনেক ভাই নিজের ব্যাপারে জানতেন।
    আমাকে বলতেন যে ভাই আমার মধ্যে এই সমস্যা, কিন্তু আমি ঠিক করতে পারছিনা, যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, প্রত্যেক ভাই নিজের ব্যাপারে চিন্তা করুন যে, আমার ভিতর কোন গুনাহ রয়েছে, যা আমার শাহাদাতের মাঝে প্রতিবন্ধক, চিন্তা করলে নিজেরই বুঝে আসবে।
    তিনি হয়তো অনেক ভালো কাজ করেন, কারও কারও জন্য কোন কোন নেকি অনেক সহজ, ছোটকাল থেকেই করে আসছেন, স্বভাবে পরিণত হয়েছে, তার কাছে সেটা কঠিন নয়, আর কোন কোন নেকি প্রত্যেকের অবস্থা অনুযায়ী তার জন্য কঠিন হয়ে থাকে, কারো জন্য তাহাজ্জুদ কঠিন হয়,কারো জন্য ইবাদত অনেক সহজ কিন্তু তার জবানকে নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক কঠিন।
    কারো জন্য জবানকে নিয়ন্ত্রণ রাখার সহজ কিন্তু গোস্বাকে কাবু রাকা, অনেক কঠিন। কারো জন্য অন্যান্য বিষয় কঠিন কারো জন্য পরিবার থেকে দূরে থাকা কঠিন, প্রত্যেকেরই নিজের কিছু পরীক্ষার বিষয় রয়েছে, যেদিনই আপনি সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবেন, হতে পারে আল্লাহতালা উক্ত পবিত্র জিনিস কে কবুল করবেন।
    এই ব্যাপারে প্রত্যেক ভাই অবশ্যই গভীরভাবে চিন্তা ফিকির করবেন, সফর অনেক সাদামাটা, আমাদের নজরে আসছে যে আমাদের কি কি দুর্বলতা রয়েছে।
    আমরা সমাধানও করছি না, ফলে সফর অনেক দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে, আর সেই সমস্যাগুলো সমাধান করতে হলে, আমাদের মেহনত করতে হবে, কষ্ট করতে হবে।
    (আমি এই লেখাটা ওস্তাদ আহমেদ ফারুক রহিমাহুল্লাহর একটি ভিডিওর বক্তব্যের সাবটাইটেল থেকে নিয়েছি)
    Last edited by Muhajir123; 07-22-2021, 12:42 AM. Reason: ভাইদের পরামর্শে,পোস্ট টি এডিট করা

  • #2
    প্রিয় পোস্টকারী ভাই!
    আপনি অনেক কষ্ট করে ভিডিও সাবটাইটেল থেকে এ প্রবন্ধটি লিখেছেন এবং ফোরামে পেশ করেছেন। সাবটাইটেল থেকে প্রবন্ধ লেখা একেবারে সহজ নয়। বরং অনেক সবরের পরিচয় দিতে হয়। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন এবং আপনার ইলমে ও আমলে বারাকাহ দান করুন। আমিন

    তবে ভাই একটি কথা না বললেই নয়। তা হলো-
    আপনি যে লেখাটি ফোরামে পেশ করেছেন-এভাবে পেশ না করে আরেকটু সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট করলে ভালো হতো। আপনি সব জায়গায় কমা ব্যবহার করেছেন শুধু কয়েক জায়গা ব্যতীত। অতিরিক্ত কমা ব্যবহার করেছেন। যা দেখতে খারাপ লাগছে। যতি বা ছেদ চিহ্ন (দাঁড়ি,কমা ইত্যাদি) ঠিকমত বসাতে হয়। তাহলে লেখার মান ভালো হয়। লেখা পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

    আশা করি-বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। পোস্টটি এডিট করে নিলে ভালো হবে। শুকরান
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

    Comment


    • #3
      সম্মানিত ভাই, আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বক্তব্যের ওয়ার্ডের কাজ করেছেন। মাশা আল্লাহ। জাযাকুমুল্লাহু খইরন। তবে ফোরামে এই কাজটি অনেক আগেই একজন বোন শেয়ার করেছিলেন। লিংক:


      তাই কোনো কাজ করার পূর্বে অন্য কেউ তা করেছেন কিনা ফোরামে একবার সার্চ করে দেখে নিলে উত্তম হবে, ইনশা আল্লাহ। হয়ে যাওয়া কাজে পুনরায় সময় ব্যয় করা সময়ের অপচয় হয়ে যায় হয়ত।

      আমার মনেহয়,
      আপনি যদি এমন কাজগুলো করতে চান, যেগুলো কেউ এখনো করেননি তবে করা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাহলে ফোরামের Video/PDF to Word প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করা সবচেয়ে উত্তম হবে।
      প্রজেক্ট: https://dawahilallah.com/showthread.php?23383

      শুধুমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে বলেছি কথাগুলো, আশাকরি কষ্ট নিবেন না।
      সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খাইরান
        মুহতারাম ভাই,আপনারা উত্তম পরামর্শ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা আপনাদের নেক আমলগুলোকে কবুল আর মঞ্জুর করে নিন।

        Comment

        Working...
        X