بسم الله الرحمٰن الرحيم
বেশকিছু দিন যাবৎ একটি নিউজ বার-বার সামনে আসছে এবং বিভিন্ন জন এই নিয়ে কথাও বলছে। আর তা হল চীন-বাংলাদেশ এর সম্পর্ক ও ভারত-বাংলাদেশ এর বিচ্ছেদ।
আমরা জানি যে, বিশ্বের বিশাল বড় একটি অংশের আমদানী-রপ্তানী হয়ে থাকে সমুদ্রের মাধ্যমে। এশিয়ায় বিশেষ করে মধ্য এশিয়ায় চীনের ব্যবসা করতে দীর্ঘ সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে হয়; যেমনটা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। যা চীনাদের সময়, অর্থ ও বিভিন্ন দিককে ক্ষতি করে থাকে। তাই তারা মায়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের সাথে সুসম্পর্ক করছে।
সুসম্পর্ক করার উদ্দেশ্যঃ
একঃ চীন থেকে মায়ানমারে স্থলপথ দিয়ে এসে মায়ানমারের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা। আপনি কি জানেন সেই সমুদ্র বন্দরটি কোথায়?
সেই সমুদ্র বন্দরটি আর কোথাও না সেটি আরাকান তথা রাখাইনে! এই জন্যই কি রোহিঙ্গাদের তাড়ানো হয়েছে?
দুইঃ চীন থেকে মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা।
তিনঃ চীন থেকে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা।
বেশকিছু দিন যাবৎ একটি নিউজ বার-বার সামনে আসছে এবং বিভিন্ন জন এই নিয়ে কথাও বলছে। আর তা হল চীন-বাংলাদেশ এর সম্পর্ক ও ভারত-বাংলাদেশ এর বিচ্ছেদ।
আমরা জানি যে, বিশ্বের বিশাল বড় একটি অংশের আমদানী-রপ্তানী হয়ে থাকে সমুদ্রের মাধ্যমে। এশিয়ায় বিশেষ করে মধ্য এশিয়ায় চীনের ব্যবসা করতে দীর্ঘ সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে হয়; যেমনটা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। যা চীনাদের সময়, অর্থ ও বিভিন্ন দিককে ক্ষতি করে থাকে। তাই তারা মায়ানমার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের সাথে সুসম্পর্ক করছে।
সুসম্পর্ক করার উদ্দেশ্যঃ
একঃ চীন থেকে মায়ানমারে স্থলপথ দিয়ে এসে মায়ানমারের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা। আপনি কি জানেন সেই সমুদ্র বন্দরটি কোথায়?
সেই সমুদ্র বন্দরটি আর কোথাও না সেটি আরাকান তথা রাখাইনে! এই জন্যই কি রোহিঙ্গাদের তাড়ানো হয়েছে?
মিয়ানমারের রাখাইনে গভীর সমুদ্র-বন্দর তৈরি করছে চীন
https://www.kalerkantho.com/online/w...8/10/01/686321
https://www.kalerkantho.com/online/w...8/10/01/686321
তিনঃ চীন থেকে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা।
মায়ানমারের সমুদ্র বন্দর --- সিত্তে বন্দর
বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর
এক. চট্টগ্রাম বন্দর --- (চট্টগ্রাম)
দুই. মংলা বন্দর --- (খুলনা)
তিন. পায়রা বন্দর --- (পটুয়াখালী)
চার. মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর
পাঁচ. মিরসরাই ইকোনমিক জোন সংলগ্ন প্রথম বেসরকারি সমুদ্রবন্দর
পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর
এক. করাচী বন্দর
দুই. গদর বন্দর
তিন. মুহম্মদ বিন কাসিম বন্দর
চার. Port Ormara
পাঁচ. Port Pasni
ছয়. Jiwani Port
এছাড়াও হয়তো আরো রয়েছে .......
বাংলাদেশকে চীন চায় আবার যুক্তরাষ্ট্রও চায় আর এই জন্যই যুক্তরাষ্ট্র আফগান থেকে সৈন্য সরিয়েছে। এটা এক ব্যক্তির কাছে শোনলাম। অথচ খোদ আমেরিকা নিজেই স্বীকার করেছে যে, তারা আফগানে গিয়ে ভুল করেছে। কিন্তু চাটুকারদের চাটামি আর গেল না।
দেখুন এই কথা থেকে কি বুঝা যায়?
এক. বাংলাদেশকে নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই সিরিয়াস।
দুই. প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য পাঠাবে।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরোধীতা করতে দুইটি বা তারও বেশি পদক্ষেপ নিতে পারে-
এক. যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে মায়ানমার তথা আরাকানে আক্রমণ চালাবে, ফলাফল দাঁড়াবে মায়ানমারে ব্যবসা বন্ধ সেই সাথে বাংলাদেশেও। কিন্তু কই? আপনারাই বলুন এর নাম কি সিরিয়াসলি? এখানে কিছু মানুষ বলবে দুইটি শক্তিধর রাষ্ট্রের মাঝে এমন যুদ্ধ গ্রহণ যোগ্য হবে না, কেননা এই অস্থিতিশীলতা বিশ্বকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবে।
তাহলে দুই. রোহিঙ্গাদের ট্রেনিং দিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। তবে এমনটা হয়তো আমেরিকা করবে না।
তাহলে তিন. পাহাড়ি ও আঞ্চলিক ডাকাত, বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র তুলে দেওয়া সেই সাথে আমেরিকার গোয়েন্দা ও কমান্ডো রাখা। কেননা মায়ানমারে অলরেডি এমন বিদ্রোহী আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে।
এই পদক্ষেপগুলো নিলে বুঝা যেতো যে, আমেরিকা সিরিয়াস। নাকি তারা করোনার ভেক্সিনের ব্যবসা করে অর্থনৈতিকভাবে সাবল্বী হয়ে পদক্ষেপ নিবে।
আমার কাছে ভিন্ন কিছু মনে হচ্ছে, আর তা হলঃ বাংলাদেশ হবে আগামীর উইঘুর সেই সাথে বাংলার জনগণ হবে অঘোষিত দাস!
কারণ একঃ বাংলাদেশের বিশাল বড় একটি অংশ মুসলিম আর সেটা নামে হউক বা কাজে!
কারণ দুইঃ যখন আমেরিকা, জাপান, ভারত, বাংলাদেশ সম্পর্কে ছিল তখন চীনের চাপে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে আর আমেরিকাও রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়ার কথা বলে। ফলে আরও মুসলিমদের এক জায়গায় আনা হল। তখন বাংলাদেশ চীনকে বলতে পারেনি মায়ানমারের কাছে সুপারিশ করতে বরং আমেরিকা ও জাপান নাম মাত্র সুপারিশ করেছিল।
কারণ তিনঃ এখন ভারত তার দেশের মুসলিমদের বাংলাদেশে প্রবেশ করাবে আর চীন বলবে ওদেরকে জায়গা দাও, ফলে আরও মুসলিমদের এক জায়গায় আনা হল! তখন মিডিয়া বলবে, বাংলাদেশ ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভারত বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে এমন করেছে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশে 25-30 কোটি মুসলিম হবে।
কারণ চারঃ বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো দেউলিয়া তথা বাংলাদেশে এই মুহূর্তে তেমন কোন সম্পদ নেই, তাহলে এই দেশের জনগণ দাস হতে বাধ্য।
কারণ পাঁচঃ বাংলাদেশের সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য আলেমগণও এক এক করে চলে যাচ্ছেন। বাংলার জনগণের বিচ্ছিন্নতাও একটি কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমেরিকা ও চীন মূলত একসাথেই, আর আমরা যে ভাগাভাগি দেখতে পাই তা মূলত রাজনীতি। কেননা তিনটি পার্টি ছাড়া যে খেলা জমে না (আমেরিকা-বাংলাদেশ-চীন)।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ খুশী এই জন্য যে, বাংলাদেশ ভারতের কবল থেকে চীন অভিমুখী হচ্ছে। কিন্তু আমরা তাওহীদবাদীগণ না ভারতকে পছন্দ করি আর না চীনকে। পাকিস্তানের টিটিপির মুজাহিদ, আরাকানের মুজাহিদ ও চট্টগ্রামের মুজাহিদ ভাইদের এই বিষয়ে স্বরব হওয়া উচিত।
বি.দ্র. তালেবানের সাথে চীনের সম্পর্ক নবী (সা.)-এর হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির মত বলা চলে আর আল-কায়দার সাথে চীনের সম্পর্ক সাহাবী আবুল বাছীর (রাঃ) ও তার সাথীদের পন্থার মত বলা চলে। সুতরাং এই বিষয়ে সংশয়ে পতিত হওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর
এক. চট্টগ্রাম বন্দর --- (চট্টগ্রাম)
দুই. মংলা বন্দর --- (খুলনা)
তিন. পায়রা বন্দর --- (পটুয়াখালী)
চার. মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর
পাঁচ. মিরসরাই ইকোনমিক জোন সংলগ্ন প্রথম বেসরকারি সমুদ্রবন্দর
পাকিস্তানের সমুদ্র বন্দর
এক. করাচী বন্দর
দুই. গদর বন্দর
তিন. মুহম্মদ বিন কাসিম বন্দর
চার. Port Ormara
পাঁচ. Port Pasni
ছয়. Jiwani Port
এছাড়াও হয়তো আরো রয়েছে .......
Top 6 Sea Ports and Harbours in Pakistan
https://www.pakistancargo4u.co.uk/bl...ours-pakistan/
https://www.pakistancargo4u.co.uk/bl...ours-pakistan/
বাংলাদেশকে চীন চায় আবার যুক্তরাষ্ট্রও চায় আর এই জন্যই যুক্তরাষ্ট্র আফগান থেকে সৈন্য সরিয়েছে। এটা এক ব্যক্তির কাছে শোনলাম। অথচ খোদ আমেরিকা নিজেই স্বীকার করেছে যে, তারা আফগানে গিয়ে ভুল করেছে। কিন্তু চাটুকারদের চাটামি আর গেল না।
দেখুন এই কথা থেকে কি বুঝা যায়?
এক. বাংলাদেশকে নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই সিরিয়াস।
দুই. প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য পাঠাবে।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরোধীতা করতে দুইটি বা তারও বেশি পদক্ষেপ নিতে পারে-
এক. যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে মায়ানমার তথা আরাকানে আক্রমণ চালাবে, ফলাফল দাঁড়াবে মায়ানমারে ব্যবসা বন্ধ সেই সাথে বাংলাদেশেও। কিন্তু কই? আপনারাই বলুন এর নাম কি সিরিয়াসলি? এখানে কিছু মানুষ বলবে দুইটি শক্তিধর রাষ্ট্রের মাঝে এমন যুদ্ধ গ্রহণ যোগ্য হবে না, কেননা এই অস্থিতিশীলতা বিশ্বকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাবে।
তাহলে দুই. রোহিঙ্গাদের ট্রেনিং দিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। তবে এমনটা হয়তো আমেরিকা করবে না।
তাহলে তিন. পাহাড়ি ও আঞ্চলিক ডাকাত, বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র তুলে দেওয়া সেই সাথে আমেরিকার গোয়েন্দা ও কমান্ডো রাখা। কেননা মায়ানমারে অলরেডি এমন বিদ্রোহী আছে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে।
এই পদক্ষেপগুলো নিলে বুঝা যেতো যে, আমেরিকা সিরিয়াস। নাকি তারা করোনার ভেক্সিনের ব্যবসা করে অর্থনৈতিকভাবে সাবল্বী হয়ে পদক্ষেপ নিবে।
আমার কাছে ভিন্ন কিছু মনে হচ্ছে, আর তা হলঃ বাংলাদেশ হবে আগামীর উইঘুর সেই সাথে বাংলার জনগণ হবে অঘোষিত দাস!
কারণ একঃ বাংলাদেশের বিশাল বড় একটি অংশ মুসলিম আর সেটা নামে হউক বা কাজে!
কারণ দুইঃ যখন আমেরিকা, জাপান, ভারত, বাংলাদেশ সম্পর্কে ছিল তখন চীনের চাপে মায়ানমার রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়েছে আর আমেরিকাও রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়ার কথা বলে। ফলে আরও মুসলিমদের এক জায়গায় আনা হল। তখন বাংলাদেশ চীনকে বলতে পারেনি মায়ানমারের কাছে সুপারিশ করতে বরং আমেরিকা ও জাপান নাম মাত্র সুপারিশ করেছিল।
কারণ তিনঃ এখন ভারত তার দেশের মুসলিমদের বাংলাদেশে প্রবেশ করাবে আর চীন বলবে ওদেরকে জায়গা দাও, ফলে আরও মুসলিমদের এক জায়গায় আনা হল! তখন মিডিয়া বলবে, বাংলাদেশ ভারত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভারত বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে এমন করেছে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশে 25-30 কোটি মুসলিম হবে।
কারণ চারঃ বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো দেউলিয়া তথা বাংলাদেশে এই মুহূর্তে তেমন কোন সম্পদ নেই, তাহলে এই দেশের জনগণ দাস হতে বাধ্য।
কারণ পাঁচঃ বাংলাদেশের সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য আলেমগণও এক এক করে চলে যাচ্ছেন। বাংলার জনগণের বিচ্ছিন্নতাও একটি কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমেরিকা ও চীন মূলত একসাথেই, আর আমরা যে ভাগাভাগি দেখতে পাই তা মূলত রাজনীতি। কেননা তিনটি পার্টি ছাড়া যে খেলা জমে না (আমেরিকা-বাংলাদেশ-চীন)।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ খুশী এই জন্য যে, বাংলাদেশ ভারতের কবল থেকে চীন অভিমুখী হচ্ছে। কিন্তু আমরা তাওহীদবাদীগণ না ভারতকে পছন্দ করি আর না চীনকে। পাকিস্তানের টিটিপির মুজাহিদ, আরাকানের মুজাহিদ ও চট্টগ্রামের মুজাহিদ ভাইদের এই বিষয়ে স্বরব হওয়া উচিত।
বি.দ্র. তালেবানের সাথে চীনের সম্পর্ক নবী (সা.)-এর হুদাইবিয়া সন্ধিচুক্তির মত বলা চলে আর আল-কায়দার সাথে চীনের সম্পর্ক সাহাবী আবুল বাছীর (রাঃ) ও তার সাথীদের পন্থার মত বলা চলে। সুতরাং এই বিষয়ে সংশয়ে পতিত হওয়া যাবে না।
Comment