সৎ কাজের আদেশ, অসৎ কাজের নিষেধ এবং আমাদের নেফাকি
আমরা সব সময়ই আমজনতাকে সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ বুঝাতে এই বলে নসীহা করি যে, কোন অসৎ কাজ হতে দেখলে হতে দেখলে শক্তি থাকলে হাত দ্বারা তা প্রতিহত করবেন, না পারলে জবান দ্বারা তা প্রতিহত করবেন, না পারলে অন্তরে ঘৃণা করবেন।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে - আমরা যারা রাজনীতি করি বিশেষ করে ইসলামের নামে রাজনীতি তারা সবাই সরাকার কোন গণবিরোধী বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিরোধী বা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের উপর কোন অন্যায়-আত্যাচার করলে মিছিল করি, মিটিং করি, মানববন্ধন করি, হরতাল-অবরোধ করি ।
কিন্তু সরকার যে রাষ্ট্র থেকে কুরআনকে বিদায় করে মানব রচিত সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এটা কি অন্যায় নয় ? শুধু কি অন্যায় নাকি জুলমে আজিম (শিরক) ? যদি এটা অন্যায় হয় এবং জুলমে আজিম (শিরক) হয় তাহলে আমাদের দেশের ইসলামী রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কি আজ পর্যন্ত এই ব্যাপারে অর্থাৎ রাষ্ট্র থেকে কুরআনকে বিদায় করে মানব রচিত সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ হয়েছে ? বা এর প্রতিবাদে কেউ কি কখনো কোন মিছিল বা মিটিং বা মানববন্ধন বা হরতাল বা অবরোধ করেছে ?
উত্তর যদি না হয় তাহলে আমরা কি নেফাকিতে লিপ্ত নই ?
এখানে উল্লেখ্য যে দ্বীন কায়েম বা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মানব রচিত সংবিধান বাতিল করে কুরাআনী সংবিধান কায়েমের লক্ষ্যে একমাত্র নববী পন্থা তথা জিহাদের কথা বললে আমাদের ইসলামী রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক অঙ্গনের ভাইয়েরা বলেন যে, আমাদের জিহাদ করার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই, লোকবল নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের এই দাবী {অর্থাৎ এই জুলমে আজিম (শিরক) হাত দ্বারা প্রতিহত করার ক্ষমতা বা জিহাদ করার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই, লোকবল নেই} তর্কের খাতিরে হলেও মেনে নেওয়া যেত যদি তারা সরকারের অন্যান্য জুলুম-অত্যাচারের ক্ষেত্রে যেভাবে রাজপথে মিছিল করে, মিটিং করে, মানববন্ধন করে বা হরতাল-অবরোধ করে অন্তত এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও যদি কখনো এই ধরনের কোন জবানী কর্মসূচী পালন করত।
আমরা সব সময়ই আমজনতাকে সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ বুঝাতে এই বলে নসীহা করি যে, কোন অসৎ কাজ হতে দেখলে হতে দেখলে শক্তি থাকলে হাত দ্বারা তা প্রতিহত করবেন, না পারলে জবান দ্বারা তা প্রতিহত করবেন, না পারলে অন্তরে ঘৃণা করবেন।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে - আমরা যারা রাজনীতি করি বিশেষ করে ইসলামের নামে রাজনীতি তারা সবাই সরাকার কোন গণবিরোধী বা রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিরোধী বা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের উপর কোন অন্যায়-আত্যাচার করলে মিছিল করি, মিটিং করি, মানববন্ধন করি, হরতাল-অবরোধ করি ।
কিন্তু সরকার যে রাষ্ট্র থেকে কুরআনকে বিদায় করে মানব রচিত সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে এটা কি অন্যায় নয় ? শুধু কি অন্যায় নাকি জুলমে আজিম (শিরক) ? যদি এটা অন্যায় হয় এবং জুলমে আজিম (শিরক) হয় তাহলে আমাদের দেশের ইসলামী রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কি আজ পর্যন্ত এই ব্যাপারে অর্থাৎ রাষ্ট্র থেকে কুরআনকে বিদায় করে মানব রচিত সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ হয়েছে ? বা এর প্রতিবাদে কেউ কি কখনো কোন মিছিল বা মিটিং বা মানববন্ধন বা হরতাল বা অবরোধ করেছে ?
উত্তর যদি না হয় তাহলে আমরা কি নেফাকিতে লিপ্ত নই ?
এখানে উল্লেখ্য যে দ্বীন কায়েম বা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মানব রচিত সংবিধান বাতিল করে কুরাআনী সংবিধান কায়েমের লক্ষ্যে একমাত্র নববী পন্থা তথা জিহাদের কথা বললে আমাদের ইসলামী রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক অঙ্গনের ভাইয়েরা বলেন যে, আমাদের জিহাদ করার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই, লোকবল নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের এই দাবী {অর্থাৎ এই জুলমে আজিম (শিরক) হাত দ্বারা প্রতিহত করার ক্ষমতা বা জিহাদ করার শক্তি নেই, সামর্থ্য নেই, লোকবল নেই} তর্কের খাতিরে হলেও মেনে নেওয়া যেত যদি তারা সরকারের অন্যান্য জুলুম-অত্যাচারের ক্ষেত্রে যেভাবে রাজপথে মিছিল করে, মিটিং করে, মানববন্ধন করে বা হরতাল-অবরোধ করে অন্তত এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেও যদি কখনো এই ধরনের কোন জবানী কর্মসূচী পালন করত।
Comment