উন্মুক্ত রচনা প্রতিযোগিতার বিশেষ লেখা
।। খোরাসানী বাহিনীর রাজকীয় উত্থানঃ রচিত হলো ইসলামী ইতিহাসের নতুন অধ্যায় ।।
- সাইফ আল হিন্দ
আইডি লিঙ্ক: https://82.221.139.217/member.php?28...B%26%232470%3B
__________________________________________________ _______________________________________
।। খোরাসানী বাহিনীর রাজকীয় উত্থানঃ রচিত হলো ইসলামী ইতিহাসের নতুন অধ্যায় ।।
- সাইফ আল হিন্দ
আইডি লিঙ্ক: https://82.221.139.217/member.php?28...B%26%232470%3B
__________________________________________________ _______________________________________
প্রশংসা সেই আল্লাহর, আসমান ও জমিনে এমন কেউ কি আছে, একক কিংবা সম্মিলিতভাবে যে বা যারা আল্লাহর রাজত্বে অংশীদারিত্ব স্থাপন করে? প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি মু'মিনদের বিজয়ের অঙ্গীকার দিয়েছেন। আল্লাহই কি সবচেয়ে সত্যবাদী নন?আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী আর কে আছে?
আলহামদুলিল্লাহ। গত ১৫ ই আগস্ট দীর্ঘ ২০ বছরের ক্রুসেড আগ্রাসন থেকে মুক্তি পায় আফগানিস্তান। এ বিজয়ের দ্বারা আল্লাহ তাআলা মুমিনদের অন্তর প্রশান্ত করেছেন। শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে ইসলামী ইমারতের শরীয়াহভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা। এ বিজয় আনন্দের হলেও এর পিছনে ছিল অনেক বীরের অবদান। এই ইতিহাসের পটভূমি শুরু হয় ২০০১ সালে। মুসলিম উম্মাহর বীর শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) মুসলিম ভূমিতে আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে আমেরিকার মাথায় আঘাত করার জন্য প্রস্তুত করেন কতিপয় বীর মুজাহিদদের। সংঘটিত হয় বরকতময় গাজওয়াতুল ম্যানহাটন। ফলস্বরূপ, আমেরিকা তার সুরক্ষাকেন্দ্র থেকে বের হয়ে আফগানে আসতে বাধ্য হয়, শুরু হয় কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের। তখন আফগানের ক্ষমতায় ছিলেন আমিরুল মুমিনীন মোল্লা উমর (রহিমাহুল্লাহ)। আমেরিকা মুজাহিদ নেতা উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) কে তাদের হাতে তুলে দিতে বললেও মোল্লা উমর (রহিমাহুল্লাহ) স্পষ্টভাবে তা নাকচ করে দেন। এতে আমেরিকা ও ন্যাটো সদস্যভুক্ত ৫০ এরও অধিক দেশ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে শুরু করে ক্রুসেড। মুজাহিদরা আফগান-পাকিস্তানের পাহাড়-জঙ্গলে থেকেই পরাশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান আল্লাহর বিজয়ের এ অঙ্গীকারকে সামনে রেখে-
وَ اَنۡتُمُ الۡاَعۡلَوۡنَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
“আর তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও।”
তালেবান ও আল-কায়েদা মুজাহিদীন চতুর্থ প্রজন্মের এক নতুন যুদ্ধকৌশলের দ্বারা যুদ্ধ চালিয়ে যান; যেখানে প্রতিবারেই তাঁরা সন্ত্রাসী আমেরিকা ও তার দোসরদের আল্লাহর তাওফীকে মারাত্মক আঘাতে জর্জরিত করতে থাকেন। কাফের সর্দাররা ময়দানে আল্লাহর সামান্য কিছু বান্দার সামনেও টিকে থাকতে পারেনা - আবারও তা প্রমাণিত হয়। আমেরিকা বিভিন্ন ময়দানে পরাজিত হওয়ার পর পালানোর পথ খুঁজতে থাকে। অবশেষে, দীর্ঘ দুই দশক সময় লড়াইয়ের পর আমেরিকা তার সহায়-সম্বল খুইয়ে রাতের আঁধারে চোরের মতো আফগান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ভেঙে পড়ে আমেরিকার বিশাল অর্থনীতি। গত শতাব্দীতে আফগানে তৎকালীন পরাশক্তি রাশিয়ার পরাজয়ের পরেও শিক্ষা না নেওয়া গর্দভ আমেরিকা তার সাম্রাজ্যের শেষ দিনগুলোই এখন প্রত্যক্ষ করছে। এদিকে, বিশাল ত্যাগ- তিতিক্ষা ও ধৈর্য্যের পরীক্ষায় তালেবান মুজাহিদীনরা উত্তীর্ণ হন। তাই আল্লাহ আবারও তাদের বিজয় দ্বারা সম্মানিত করেন। তারাই আল্লাহর কিছু নির্বাচিত বান্দা, শরীয়াহর অতন্ত্র প্রহরী।
এই ঘটনার প্রতিটি অংশই আমাদের জন্য শিক্ষায় পরিপূর্ণ। তালেবান মুজাহিদীনদের বিজয় এটাই প্রমাণ করে, জিহাদেই রয়েছে মুসলিম উম্মাহর লাঞ্ছনা থেকে মুক্তি ও বিজয়ের সুসংবাদ অথবা শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করার দুর্লভ সুযোগ। দুনিয়ার দিক-দিগন্তে শাহাদাতের বাজার খুলে দেয়া হয়েছে। অতএব, যার শ্রবণশক্তি আছে সে শুনে রাখুক, যার বোধশক্তি আছে সে বুঝে রাখুক, অচিরেই মুসলিম উম্মাহ বিজয়ের আনন্দে কাঁদবে। ইমাম মাহদীর পতাকাতলে খোরাসানী বাহিনীর সাথে সমবেত হবে উম্মাহর সাহসী যুবকেরা। কুফফারদের অহংকার খর্ব করে, তাদের সাম্রাজ্য পদদলিত করে উড্ডয়ন করবে কালিমা খচিত সেই কালো পতাকা, ঘোষণা করবে খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নুবুওয়্যাহ বিইযনিল্লাহ।
পরিশেষে, কবির ভাষায় বলছি-
“দেখ কালেমাখচিত কালো পতাকা
আঁকড়ে ধরে হাতে,
সেই খোরাসানী বাহিনী আসছে ছুটে
এসো শামিল হও তাতে।”
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সেই বিজয়ী ও সাহায্যপ্রাপ্ত কাফেলায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তাওফীক দিন। আমীন।
*******************
Comment