Announcement

Collapse
No announcement yet.

ত্রিমুখী আগ্রসনের মোহনায় বাঙালি মুসলিম : নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সাঃ) ওয়াদা সত্য

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ত্রিমুখী আগ্রসনের মোহনায় বাঙালি মুসলিম : নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সাঃ) ওয়াদা সত্য

    তালিবান মুজাহিদিন যখন আফগান বিজয়ে চূড়ান্ত অভিযান চালাচ্ছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে তখন এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে যা আমাদের নজর এড়ানো উচিৎ নয়; এই ঘটনাটি বৃহত্তর বাংলা ও আসামের প্রেক্ষাপটে মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য আসাম ও মিজোরামের মধ্যে সীমানা বিরোধের জেড়ে ঘটে যায় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে প্রাণ হারায় আসামের ৬ পুলিশ, আহত হয় প্রায় ৮০ জন।

    অভ্যন্তরীণ রাজ্যগুলোকে এক রাখতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে যে কি পরিমাণ বেগ পেতে হয়, এই গোলাগুলির ঘটনা সেই চেপে রাখা বাস্তবতাকেই- কিছুটা প্রকাশ করে দিয়েছে।

    আসামের সাথে সীমান্ত নিয়ে নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অরুণাচলেরও বিরোধ রয়েছে।
    ১৯৮৫ সালে এই আসামের সাথে সীমানা নিয়েই পার্শ্ববর্তী নাগাল্যান্ড রাজ্যও রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাতে জড়িয়েছিল।
    ত্রিপুরা ছাড়া উত্তর-পূর্বের বাকি রাজ্যগুলো মূলত আসামেরই অংশ ছিল; একে একসময় ব্রিটিশরা এবং পরবর্তীতে ভারত সরকার কয়েকটি ছোট ছোট রাজ্য- ভাগ করে ফেলে।

    তবে আসামের সাথে এর পূর্ব ও দক্ষিন পূর্বের রাজ্যগুলোর এই বিরোধের ঘটনা- বৃহত্তর বাংলা ও আসামের মুসলিমদের জন্য যথেষ্ট দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে বিবেচনা করার দাবি রাখে।

    বিষয়টা বুঝতে হলে আমাদেরকে আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার কিছু পরিসংখ্যান দেখে নিতে হবে-

    প্রথমত, যে চারটি রাজ্যের সাথে আসামের সীমানা-বিরোধ রয়েছে, তাদের মধ্যে- মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড রাজ্য দু'টি উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
    * ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মিজোরামের জনসংখ্যার -৮৭.২ ভাগ এবং নাগাল্যান্ডের জনসংখ্যার ৮৭.৯% খ্রিস্টান।
    ঐ একই বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অরুণাচল প্রদেশেও খ্রিস্টান জনসংখ্যা হিন্দু জনসংখ্যার চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। ২০১১ সালে অরুনাচলের জনসংখ্যার ৩০.২৬ ভাগ ছিল খ্রিস্টান, এবং শতকরা ২৯.৪০ ভাগ ভাগ ছিল হিন্দু।
    আগেকার তথ্যের ধারা অনুযায়ী, বর্তমানে- সেখানে খ্রিস্টান ও হিন্দু জনসংখ্যার পার্থক্য আরও বেড়ে যাওয়ারই কথা।

    * মনিপুর রাজ্যে, ২০১১ সালে- খ্রিস্টান জনসংখ্যা- হিন্দু জনসংখ্যার চেয়ে মাত্র, ০.১০ ভাগ পিছিয়ে ছিল। সেসময়, মনিপুরের খ্রিস্টান জনসংখ্যা ছিল- ৪১.২৯ ভাগ, এবং হিন্দু ছিল ৪১.৩৯ ভাগ। মনিপুরের -নিকট অতীতের, খ্রিস্টান জনসংখ্যা বৃদ্ধির -ধারা বিবেচনা করলে, ইতিমধ্যে, -মনিপুরেও- খ্রিস্টানদেরই, সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার কথা।

    আসামের পেটের ভেতরে থাকা বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা আরেক রাজ্য মেঘালয়; এখানেও মোট জনসংখ্যার- ৭৪.৬ ভাগ খ্রিস্টান। [১]

    * উল্লেখ্য, অপর খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য মিজোরামেরও কিন্তু বাংলাদেশের 'পার্বত্য চট্টগ্রামের' সাথে সীমান্ত রয়েছে।

    এবার কিছুদিন আগের ঘটনায় ফিরা যাক -

    পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি 'মুসলিম খেদাও' শ্লোগান তুলেছিল। বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীতে ভারত সয়লাব হয়ে যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ আরেক কাশ্মীর হতে যাচ্ছে, মমতা মুসলিম তোষণের রাজনীতি করে যাচ্ছে - এমন বহু শত অভিযোগ তারা তুলেছে।

    লক্ষণীয় বিষয় হল- দিল্লী, কেরালা বা অন্ধ্র প্রদেশে- মুসলিম বেড়ে গেলে হিন্দুত্ববাদীরা হৈচৈ করে, মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের ডেমোগ্রাফি বদলে দিতে চায় তারা; এমনকি হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা অজুহাতে তারা বাংলাদেশ দখল করে নেওয়ার হুমকিও দেয়!

    অথচ দেখুন, তাদের -নিজেদের দেশের ভিতরেই, তাদের নিজেদের অঙ্গরাজ্য অরুণাচল তাদেরই চোখের সামনে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল! মনিপুর খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায় বলে। ত্রিপুরায় হু হু করে বাড়ছে খ্রিস্টান জনসংখ্যা। মিজোরাম-মেঘালয়-নাগাল্যান্ড সবই খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেছে।
    - এসব নিয়ে কিন্তু তাদের মধ্যে কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়াই নেই!

    বাংলাদেশ ও পূর্বভারতের- খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের যে পশ্চিমা এজেন্ডা, এসম্পর্কে- ভারতের কথিত শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দাবাহিনী 'র' কি বেখবর.?! তাহলে এই বিষয়ে তারা নিশ্চুপ কেন?
    বিষয়টা নিয়ে কট্টর হিন্দুত্ববাদী ভারতের সকল পক্ষের এই অবাক নিরবতার পেছনে কোন দূরভিসন্ধি লুকিয়ে আছে কিনা, - এটা আমাদের সকলের অবশ্যই ভালো করে ভেবে দেখা উচিৎ।

    খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ মেঘালয়ের রাজ্যপুলিশ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ আসামের ৬ রাজ্যপুলিশকে গুলি করে হত্যা করলো; অথচ উগ্র হিন্দুত্ববাদী অমিত শাহ উভয় পক্ষকে শান্ত থেকে মিমাংসা করে নিতে বলল! এটা নিঃসন্দেহে অবাক করার মতো একটা ঘটনা! [২]

    এই ঘটনার কিছুদিন আগেও আসামের হিন্দু এমএলএ- রুপজ্যোতি কুরমি 'নাগাল্যান্ড থেকে অনুপ্রবেশ' ঠেকাতে গার্ডসহ আসাম নাগাল্যান্ড সীমান্তে গিয়েছিল। সেখান থেকে, সে নাগা বিদ্রোহীদের প্রবল গুলির মুখে দৌড়ে জীবন বাঁচিয়েছে। অথচ এই ঘটনা নিয়েও ভারত সরকার বা তাদের হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া তেমন কোনো উচ্চবাচ্যই করেনি; এই বিষয়টিও সচেতন মুসলিমদের গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখা উচিৎ।
    তাহলে কি হিন্দুত্ববাদী ভারত ব্রাহ্মণ্যবাদী শাসকগোষ্ঠী এই খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিয়ে চিন্তা-ফিকির ছেড়ে দিয়েছে.?! এটা কি অঘোষিত কোন চুক্তি.?!

    এসব দিক বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ নিয়ে- হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও খ্রিস্টানদের যৌথ ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে এব্যপারে কোন চুক্তি হয়ে থাকার সম্ভাবনাও বিবেচনা করা যেতে পারে।

    আমরা যদি পূর্বভারতের এসব ঘটনাপ্রবাহের সাথে পার্বত্যচট্টগ্রামের ঘটনাপ্রবাহকে মিলিয়ে দেখি, তাহলে এই দাবিগুলর পক্ষে জোড় সম্ভাবনা দেখা যায়।
    পাহাড়ি বিদ্রোহীরা বাঙালি মুসলিমদের প্রতি কি পরিমাণ খড়গহস্ত, তার প্রমাণ আমরা পাই - পাহাড়িদের দ্বারা বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত মুসলিম গণহত্যার ঘটনায় এবং সম্প্রতি বান্দরবনের ওমর ফারুক ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়। সেখানে হিন্দু হওয়া বা খ্রিস্টান হওয়া কোন সমস্যা নয়, তবে মুসলিম হওয়াটা যেন মস্ত বড় এক অপরাধ। এটা এমন এক অপরাধ, যার মাশুল দিতে হয় জীবন দিয়ে।

    পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী, যাদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে খ্রিস্টান হয়ে গেছে, এরা পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে তাদের কল্পিত জুম্মুল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। পূর্ব ভারতের খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মিলিশিয়ারা হয়তো এখনো তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেনি, তবে এটা কি নিছক সময়ের ব্যাপার নয়,- যেখানে এই গোষ্ঠীগুলোর জাতিসত্তা, ভাষা, দৈহিক গড়ন সবকিছু প্রায় এক!?

    এক্ষেত্রে তাদের মধ্যে, এবং- বাংলাদেশের বাকি অংশে, হিন্দুত্ববাদী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকারীদের মধ্যে, একটা সহাবস্থান বিরাজ করার প্রেক্ষাপট কিন্তু তৈরি বলেই মনে হচ্ছে।

    আমরা নিশ্চিত নই...ঘটনাপ্রবাহ এখনো আমাদের শতভাগ নিশ্চিত করে কিছু বলতে দিচ্ছেনা ...
    তবে, অদুর ভবিষ্যতে এধরনের একটা সম্ভবনা যে থাকতে পারে, সেটাও বোধয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা...

    আরেকটা বিষয় এখানে উল্লেখ না করলেই নয়, মিয়ানমারের ভারত লাগোয়া বেশিরভাগ অঞ্চলও কিন্তু খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ! আর এই অঞ্চলের মিলিশিয়া বাহিনীগুলো ইতিমধ্যে মিয়ানমার জান্তা সরকারের সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। আর এই ঘটনার আঁচ ইতিমধ্যে ভারতে পড়েছে; বাংলাদেশ সেখান থেকে কি খুব বেশি দূরে?!

    সম্মানিত পাঠক ভাইয়েরা, এই লিখার মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জাতির সামনের সমূহ বিপদের দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের সম্মিলিত আগ্রাসনের ঠিক আগেই দাড়িয়ে আছি আমরা। এখানকার সংঘটিতব্য যুদ্ধের ভয়াবহতা আমাদের একটু আঁচ করা প্রয়োজন, আর এর মোকাবেলায় আমাদের শারীরিক, মানসিক ও অন্যান্য প্রস্তুতি কতটুকু জোড়ালও হওয়া উচিৎ - তা আমাদের আরেকটু ভাবা উচিৎ বলে মনে করছি; আল্লাহু আ'লাম।
    লিখার কলেবর বৃদ্ধি করে আপনদের মনে ভয় তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। মুমিনরা তো শুধুমাত্র আল্লাহ্ তাআলাকেই ভয় করে; আর লোকেরা যখন বলে যে তাদের বিরুদ্ধে এক বিশাল বাহিনী জড়ো হয়েছে- সেটাতো শুধু মুমিনদের ঈমানই বৃদ্ধি করে।


    নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ও তার রাসূলের ওয়াদা সত্য, নিশ্চয়ই গায্বওয়াতুল হিন্দে মুসলিমদের বিজয়ের ওয়াদা সত্য।
    ইয়া আল্লাহ্, আপনি আমাদেরকে গায্বওয়াতুল হিন্দের অগ্রবর্তী বাহিনীর অন্তরভুক্ত করুণ - আমীন ইয়া রাব্ব।



    তথ্যসূত্র :
    -------
    [১] উইকিপিডিয়া
    [২] আসাম-মিজোরাম পুলিশের লড়াই, মৃত ছয় - https://tinyurl.com/yb92ncd3

  • #2
    মা শা আল্লাহ, এই এলাকাটা নিয়ে আরও এ্যানালিসিস আসা চাই।
    "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
    আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
    "

    Comment


    • #3
      Originally posted by Abdul Muqaddim View Post
      মা শা আল্লাহ, এই এলাকাটা নিয়ে আরও এ্যানালিসিস আসা চাই।
      জি ইনশাআল্লাহ্ সম্মানিত ভাই, অতি শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্।
      দোয়ার দরখাস্ত রইল মুহতারাম ভাই।

      Comment


      • #4
        বাংলাদেশসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের কুফফার জনসংখ্যা প্রায় ১৪ কোটির মত।সেভেন সিস্টার্সের বাকী অরুনাচল,মনিপুর, নাগাল্যান্ডের সকল এর জনসংখ্যা এর সাথে যোগ করলেও কিছু যায় আসে না, এ সংখ্যা সাড়ে ১৪ কোটির মত হবে।অপরদিকে, বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠী ১৬ কোটির মত। আসামের জনসংখ্যা ৩ কোটির মত যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি মুসলিম। সেভেন সিস্টার্সের আসাম বাদ দিয়ে বাকী ৬ টি রাজ্যের জনসংখ্যা মোটামুটি ১ কোটির মত। এ রাজ্যগুলো খ্রিস্টান অধ্যুষিত হলেও তা নিয়ে ভারত সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারন, ৬ টি রাজ্যে বিভক্ত মাত্র ১ কোটি জনসংখ্যা ভারতের মত বিশাল রাষ্ট্রের সাথে কিছু করতে পারবে না এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করেও পারছে না।তাদের সমস্যা বাংলাদেশ নিয়ে।বাংলাদেশের উপর দিয়ে নিরাপদ সামরিক ট্রানজিট আর সাপোর্ট না যুদ্ধকালীন সময়ে সেভেন সিস্টার্স রক্ষা করা শুধু যে কঠিন তা নয়, অসম্ভবও বটে। এজন্যে বাংলাদেশের মত ৭ টি রাজ্য ধরে রাখার জন্য ভারত যেকোন মূল্য দিতে প্রস্তুত।
        সূত্রঃ আদমশুমারী ২০১১

        Comment


        • #5
          নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ও তার রাসূলের ওয়াদা সত্য, নিশ্চয়ই গায্বওয়াতুল হিন্দে মুসলিমদের বিজয়ের ওয়াদা সত্য।

          ইয়া আল্লাহ্
          আপনি আমাদেরকে গায্বওয়াতুল হিন্দের অগ্রবর্তী বাহিনীর অন্তরভুক্ত করুণ - আমীন ।

          Comment


          • #6
            কাফেররা একে অপরের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছে একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি দেখানোর ফলে এবং একে অপরের প্রতি সমর্থন জানানোর কারণে । কিন্তু ইসলামের বিধানে এটা সম্পূর্ণ হারাম এবং কুফরি তাই কাফেরদের সাথে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধতা কখনো সম্ভব নয়। তাই এটা কখনো হবে না। এই জন্যই সকলে মুসলিমদেরকে টার্গেট করেছে। এতে আমাদের করনীয় হল যে খন্দকের যুদ্ধে বিভিন্ন কাফের দল যখন সম্প্রীতি জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং নাঈম ইবনে মাসউদ রা যেই কৌশলে তাদের ঐক্য ভেংগে দিয়েছেন আমাদেরকেও এখন ঠিক সেই কৌশলে তাদের ঐক্য ভেংগে দিতে হবে । এবং এখানে জ্ঞাতব্য বিষয় হল এই যে খন্দকের যুদ্ধে কাফেররা পরাজিত হবার পর যেমনি ভাবে তাদের কোমড় ভেংগে গিয়েছে এবং তারা আর আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করতে পারেনি বরং মুসলিমরাই আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করেছিল ঠিক এই যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হলে তাদের কোমড় ভেংগে যাবে এবং তারা আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করার পরিবর্তে আমরা আগ বাড়িয়ে যুদ্ধ করবো।
            পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

            Comment


            • #7
              সম্মানিত পাঠক ভাইয়েরা, এই লিখার মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জাতির সামনের সমূহ বিপদের দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের সম্মিলিত আগ্রাসনের ঠিক আগেই দাড়িয়ে আছি আমরা। এখানকার সংঘটিতব্য যুদ্ধের ভয়াবহতা আমাদের একটু আঁচ করা প্রয়োজন, আর এর মোকাবেলায় আমাদের শারীরিক, মানসিক ও অন্যান্য প্রস্তুতি কতটুকু জোড়ালও হওয়া উচিৎ - তা আমাদের আরেকটু ভাবা উচিৎ বলে মনে করছি; আল্লাহু আ'লাম।
              লিখার কলেবর বৃদ্ধি করে আপনদের মনে ভয় তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। মুমিনরা তো শুধুমাত্র আল্লাহ্ তাআলাকেই ভয় করে; আর লোকেরা যখন বলে যে তাদের বিরুদ্ধে এক বিশাল বাহিনী জড়ো হয়েছে- সেটাতো শুধু মুমিনদের ঈমানই বৃদ্ধি করে।


              নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ও তার রাসূলের ওয়াদা সত্য, নিশ্চয়ই গায্বওয়াতুল হিন্দে মুসলিমদের বিজয়ের ওয়াদা সত্য।
              ইয়া আল্লাহ্, আপনি আমাদেরকে গায্বওয়াতুল হিন্দের অগ্রবর্তী বাহিনীর অন্তরভুক্ত করুণ - আমীন ইয়া রাব্ব।
              ইয়া আল্লাহ্, আপনি আমাদেরকে গায্বওয়াতুল হিন্দের অগ্রবর্তী বাহিনীর অন্তরভুক্ত করুণ - আমীন ইয়া রাব্ব।
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment


              • #8
                নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ও তার রাসূলের ওয়াদা সত্য, নিশ্চয়ই গায্বওয়াতুল হিন্দে মুসলিমদের বিজয়ের ওয়াদা সত্য। ইয়া আল্লাহ্, আপনি আমাদেরকে গায্বওয়াতুল হিন্দের অগ্রবর্তী বাহিনীর অন্তরভুক্ত করুণ - আমীন ইয়া রাব্ব।
                فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

                Comment

                Working...
                X