তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা!
মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ সাহেব দা, বা,
মরুভূমি ও পাহাড়ের দেশ আফগানিস্তানকে যদি বলি ‘জলাশয়’, সবাই অবাক হবে। তবে এটাই এখন বাস্তব সত্য। হানাদার মার্কিন বাহিনীর জন্য আফগানিস্তান এখন সত্যি সত্যি কর্দমাক্ত এক বিরাট জলাশয়, যা থেকে বেরিয়ে আসার কোন উপায় সে খুঁজে পাচ্ছে না। শক্তির দম্ভে আমেরিকা হিংস্র হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ও তার জনগণের উপর। কিন্তু ইতিহাসের শুরু থেকেই আফগানিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে প্রবেশ করা সহজ, বেরিয়ে আসা কঠিন।
ভারতীয় গুপ্তচরদের কাজে লাগিয়ে আফাগান- যুদ্ধকে আমেরিকা পাকিস্তানের ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলো মূলত ঐ কর্দমাক্ত জলাশয় থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল হিসাবেই। তাতে ভারত যথেষ্ট লাভবান হলেও আমেরিকাকে দিতে হচ্ছে আরো চড়া মূল্য।
তথাকথিত গণতন্ত্রের নির্বাচনও আমেরিকাকে উদ্ধার করতে পারেনি, বরং আমেরিকার জন্য কারজাঈ এখন সত্যিকার অর্থেই বহন-অযোগ্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
লাজলজ্জা বাদ দিয়ে আমেরিকা এখন ‘সন্ত্রাসবাদী’ তালেবানদের দুয়ারে ধর্ণা দিতে শুরু করেছে। একেই বলে গরজ বড় বালাই। ‘সন্ত্রাস’ তাহলে ভালোই কাজ দেয়! অন্তত ‘গণতন্ত্র’ওয়ালাদের আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করে। কারজাঈ বেশ কিছু দিন থেকে তালেবানকে আলোচনায় বসার এবং ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন। এদিকে অতিসম্প্রতি আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন কমান্ডার ম্যাকক্রিস্টাল বলেছেন, ‘একজন সৈনিক হিসাবে আমার অনুভূতি হলো, যুদ্ধ অনেক হয়েছে, এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান। আর সে লক্ষ্যে আমাদেরকে তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।’
বিশ্বমিডিয়াই এখন স্বীকার করছে যে, রাজধানী কাবুল ছাড়া আফগানিস্তানের আর কোন অঞ্চলে কারজাঈর নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রায় সমগ্র আফগানিস্তান এখন কার্যত তালেবানদের দখলে। এমনকি খোদ রাজধানী কাবুলও এখন তালিবানী হামলায় বিপর্যস্ত। সম্প্রতি এক আত্মঘাতী হামলায় কাবুলে, সুরক্ষিত মার্কিন ঘাঁটির ভিতরে সিআইএ-এর বেশ কিছু গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে, যা হানাদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়।
এখন আলোচনায় বসা ছড়া আমেরিকার সামনে দ্বিতীয় কোন বিকল্প নেই, তবে আমেরিকার ভাগ্য ভালো যে, মুসলিম বিশ্বে তার সেবাদাসের কখনো অভাব হয়নি। সউদী আরবের রাজা সাহেব মধ্যস্থতার জন্য এগিয়ে এসেছেন, অবশ্য তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি। আসলে মধ্যস্থতার জন্য শুধু সেবাদাসত্ব যথেষ্ট নয়, কূটনৈতিক মেধারও প্রয়োজন, যা রয়েছে পাকিস্তানের। তাই জার্মান চ্যান্সেলর আ্যঞ্জেলা বলেছেন, পাকিস্তান যদি দায়িত্ব না নেয় তাহলে ঐ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে। কিন্তু আমেরিকার এই সেবাদাসটির কূটনৈতিক মেধা থাকলেও এখন সে মধ্যস্থতার অবস্থানে নেই। পাক-আফগান সীমান্তে তালেবানদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কয়েকটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে পাক- সেনাবাহিনী। তাতে তালেবানদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তালেবানরা এটাকে তাদের ‘পৃষ্ঠে ছুরিকাঘাত’ বলে মনে করে। নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে পাকবাহিনীর এ অভিযান ছিলো মূলত মার্কিন সমর- পরিকল্পনারই অংশ এবং মার্কিন মনিবকে খুশী করাই ছিলো এর প্রধান উদ্দেশ্য। সমরবিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনা এই যে, পাকিস্তান যদি আফগানযুদ্ধ থেকে নিজেকে দূরে রাখতো বা রাখতে পারতো তাহলে এতদিনে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর পরাজয় ছিলো সুনিশ্চিত। অর্থাৎ পাকিস্তান নিজের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে মার্কিনবাহিনীকে এক নিশ্চিত পরাজয় থেকে রক্ষা করেছে, যাতে সে আলোচনার মাধ্যমে মুখ রক্ষা করে ‘আফগানজলাশয়’ থেকে বের হয়ে আসতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান যদি এজন্য কোন কৃতজ্ঞতা আশা করে তাহলে বুঝতে হবে, জারদারি ভালো কারবারি নন।
মার্কিন প্রভুর ইঙ্গিতে নিজের গ্রহণযোগ্যতা পুনরুদ্ধারের জন্যই নতুন বছরের শুরুতে পাকিস্তান ঘোষণা দিয়েছে যে, সীমান্ত এলাকায় আর কোন অভিযান পরিচালনা করা হবে না।
তালিবানদের সাথে আলোচনা এবং পাকিস্তানের মধ্যস্থার সম্ভাবনায় সঙ্গত কারণেই ভারতের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। ভারতের আশঙ্কা, এতে কাবুলে আবার পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং ভারতকে সেখান থেকে তার গোয়েন্দাজাল গুটিয়ে নিতে হবে, আর তাতে পাকিস্তানকে আবার টুকরো করার জন্য এত কাঠখড় পুড়িয়ে তৈরী করা সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই আলোচনার সম্ভাবনা বানচাল করার জন্য ভারত উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে সে আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসার অর্থ হবে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করা।
নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের মত আমরাও মনে করি, পাকিস্তান যদি মার্কিন আনুগত্যের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে স্বাধীন কূটনীতির মাধ্যমে তালেবানদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয় তাহলে অবশ্যই একটি ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে, যা আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন জরুরি তেমনি জরুরি পাকিস্তানের স্থিতি- শীলতার জন্য। এক্ষেত্রে প্রথমেই পাকিস্তানকে ‘সীমান্ত অভিযান’ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং তালেবান যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত মাকিন হানাদার বাহিনীকে স্বীকার করে নিতে হবে যে, আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোটা ছিলো ভুল। বিনিময়ে তালেবান ন্যাটোবাহিনীর উপর হামলা চালানো বন্ধ করবে এবং তাদের নিরাপদে আফগানিস্তান ত্যাগ করার সুযোগ দেবে।
মার্কিন কমান্ডার ম্যাকক্রিস্টাল-এর ভাষায় আমরাও বলি, ‘যুদ্ধ অনেক হয়েছে এখন আলোচনাই একমাত্র উপায়।’ তবে আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সতর্ক করে দিতে চাই যে, আলোচনার নামে ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করা হলে তালেবান বাহিনী বলে বসতে পারে, ‘আলোচনা অনেক হয়েছে, এখন যুদ্ধই একমাত্র উপায়!’ আশা করি, রাশিয়ার পরিণতি থেকে শিক্ষা নেয়ার মত বাস্তব বুদ্ধি ‘মুসলিম’ পিতার সন্তান বারাক হোসেন ওবামার রয়েছে, যিনি মুসলিম বিশ্বের কাছে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সুত্রঃ
( মুহতারাম ! এই লেখাটি আজ থেকে আরও চার বছর পূর্বে লেখা হয়েছিল। আর বর্তমান তালেবান মুজাহিদদের বিজয় ও আমেরিকা এবং তার দোসরদের লেজ গুটিয়ে পলায়নের কেমন অবস্থা, তাতো সকলেই অবগত। ইনশা আল্লাহ্*অচিরেই খোরাসান বিজয় হতে যাচ্ছে........ )
মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ সাহেব দা, বা,
মরুভূমি ও পাহাড়ের দেশ আফগানিস্তানকে যদি বলি ‘জলাশয়’, সবাই অবাক হবে। তবে এটাই এখন বাস্তব সত্য। হানাদার মার্কিন বাহিনীর জন্য আফগানিস্তান এখন সত্যি সত্যি কর্দমাক্ত এক বিরাট জলাশয়, যা থেকে বেরিয়ে আসার কোন উপায় সে খুঁজে পাচ্ছে না। শক্তির দম্ভে আমেরিকা হিংস্র হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ও তার জনগণের উপর। কিন্তু ইতিহাসের শুরু থেকেই আফগানিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে প্রবেশ করা সহজ, বেরিয়ে আসা কঠিন।
ভারতীয় গুপ্তচরদের কাজে লাগিয়ে আফাগান- যুদ্ধকে আমেরিকা পাকিস্তানের ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলো মূলত ঐ কর্দমাক্ত জলাশয় থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল হিসাবেই। তাতে ভারত যথেষ্ট লাভবান হলেও আমেরিকাকে দিতে হচ্ছে আরো চড়া মূল্য।
তথাকথিত গণতন্ত্রের নির্বাচনও আমেরিকাকে উদ্ধার করতে পারেনি, বরং আমেরিকার জন্য কারজাঈ এখন সত্যিকার অর্থেই বহন-অযোগ্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
লাজলজ্জা বাদ দিয়ে আমেরিকা এখন ‘সন্ত্রাসবাদী’ তালেবানদের দুয়ারে ধর্ণা দিতে শুরু করেছে। একেই বলে গরজ বড় বালাই। ‘সন্ত্রাস’ তাহলে ভালোই কাজ দেয়! অন্তত ‘গণতন্ত্র’ওয়ালাদের আলোচনায় বসতে উদ্বুদ্ধ করে। কারজাঈ বেশ কিছু দিন থেকে তালেবানকে আলোচনায় বসার এবং ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার আহবান জানাচ্ছেন। এদিকে অতিসম্প্রতি আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন কমান্ডার ম্যাকক্রিস্টাল বলেছেন, ‘একজন সৈনিক হিসাবে আমার অনুভূতি হলো, যুদ্ধ অনেক হয়েছে, এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান। আর সে লক্ষ্যে আমাদেরকে তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।’
বিশ্বমিডিয়াই এখন স্বীকার করছে যে, রাজধানী কাবুল ছাড়া আফগানিস্তানের আর কোন অঞ্চলে কারজাঈর নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রায় সমগ্র আফগানিস্তান এখন কার্যত তালেবানদের দখলে। এমনকি খোদ রাজধানী কাবুলও এখন তালিবানী হামলায় বিপর্যস্ত। সম্প্রতি এক আত্মঘাতী হামলায় কাবুলে, সুরক্ষিত মার্কিন ঘাঁটির ভিতরে সিআইএ-এর বেশ কিছু গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে, যা হানাদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়।
এখন আলোচনায় বসা ছড়া আমেরিকার সামনে দ্বিতীয় কোন বিকল্প নেই, তবে আমেরিকার ভাগ্য ভালো যে, মুসলিম বিশ্বে তার সেবাদাসের কখনো অভাব হয়নি। সউদী আরবের রাজা সাহেব মধ্যস্থতার জন্য এগিয়ে এসেছেন, অবশ্য তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি। আসলে মধ্যস্থতার জন্য শুধু সেবাদাসত্ব যথেষ্ট নয়, কূটনৈতিক মেধারও প্রয়োজন, যা রয়েছে পাকিস্তানের। তাই জার্মান চ্যান্সেলর আ্যঞ্জেলা বলেছেন, পাকিস্তান যদি দায়িত্ব না নেয় তাহলে ঐ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে। কিন্তু আমেরিকার এই সেবাদাসটির কূটনৈতিক মেধা থাকলেও এখন সে মধ্যস্থতার অবস্থানে নেই। পাক-আফগান সীমান্তে তালেবানদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কয়েকটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে পাক- সেনাবাহিনী। তাতে তালেবানদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। তালেবানরা এটাকে তাদের ‘পৃষ্ঠে ছুরিকাঘাত’ বলে মনে করে। নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে পাকবাহিনীর এ অভিযান ছিলো মূলত মার্কিন সমর- পরিকল্পনারই অংশ এবং মার্কিন মনিবকে খুশী করাই ছিলো এর প্রধান উদ্দেশ্য। সমরবিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনা এই যে, পাকিস্তান যদি আফগানযুদ্ধ থেকে নিজেকে দূরে রাখতো বা রাখতে পারতো তাহলে এতদিনে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর পরাজয় ছিলো সুনিশ্চিত। অর্থাৎ পাকিস্তান নিজের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে মার্কিনবাহিনীকে এক নিশ্চিত পরাজয় থেকে রক্ষা করেছে, যাতে সে আলোচনার মাধ্যমে মুখ রক্ষা করে ‘আফগানজলাশয়’ থেকে বের হয়ে আসতে পারে। কিন্তু পাকিস্তান যদি এজন্য কোন কৃতজ্ঞতা আশা করে তাহলে বুঝতে হবে, জারদারি ভালো কারবারি নন।
মার্কিন প্রভুর ইঙ্গিতে নিজের গ্রহণযোগ্যতা পুনরুদ্ধারের জন্যই নতুন বছরের শুরুতে পাকিস্তান ঘোষণা দিয়েছে যে, সীমান্ত এলাকায় আর কোন অভিযান পরিচালনা করা হবে না।
তালিবানদের সাথে আলোচনা এবং পাকিস্তানের মধ্যস্থার সম্ভাবনায় সঙ্গত কারণেই ভারতের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। ভারতের আশঙ্কা, এতে কাবুলে আবার পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে এবং ভারতকে সেখান থেকে তার গোয়েন্দাজাল গুটিয়ে নিতে হবে, আর তাতে পাকিস্তানকে আবার টুকরো করার জন্য এত কাঠখড় পুড়িয়ে তৈরী করা সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই আলোচনার সম্ভাবনা বানচাল করার জন্য ভারত উঠে পড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে সে আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসার অর্থ হবে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করা।
নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের মত আমরাও মনে করি, পাকিস্তান যদি মার্কিন আনুগত্যের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে স্বাধীন কূটনীতির মাধ্যমে তালেবানদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয় তাহলে অবশ্যই একটি ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে, যা আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন জরুরি তেমনি জরুরি পাকিস্তানের স্থিতি- শীলতার জন্য। এক্ষেত্রে প্রথমেই পাকিস্তানকে ‘সীমান্ত অভিযান’ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং তালেবান যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত মাকিন হানাদার বাহিনীকে স্বীকার করে নিতে হবে যে, আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালানোটা ছিলো ভুল। বিনিময়ে তালেবান ন্যাটোবাহিনীর উপর হামলা চালানো বন্ধ করবে এবং তাদের নিরাপদে আফগানিস্তান ত্যাগ করার সুযোগ দেবে।
মার্কিন কমান্ডার ম্যাকক্রিস্টাল-এর ভাষায় আমরাও বলি, ‘যুদ্ধ অনেক হয়েছে এখন আলোচনাই একমাত্র উপায়।’ তবে আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সতর্ক করে দিতে চাই যে, আলোচনার নামে ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করা হলে তালেবান বাহিনী বলে বসতে পারে, ‘আলোচনা অনেক হয়েছে, এখন যুদ্ধই একমাত্র উপায়!’ আশা করি, রাশিয়ার পরিণতি থেকে শিক্ষা নেয়ার মত বাস্তব বুদ্ধি ‘মুসলিম’ পিতার সন্তান বারাক হোসেন ওবামার রয়েছে, যিনি মুসলিম বিশ্বের কাছে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সুত্রঃ
( মুহতারাম ! এই লেখাটি আজ থেকে আরও চার বছর পূর্বে লেখা হয়েছিল। আর বর্তমান তালেবান মুজাহিদদের বিজয় ও আমেরিকা এবং তার দোসরদের লেজ গুটিয়ে পলায়নের কেমন অবস্থা, তাতো সকলেই অবগত। ইনশা আল্লাহ্*অচিরেই খোরাসান বিজয় হতে যাচ্ছে........ )
Comment