ময়দান থেকে প্রিয়তমাকে চিঠি
আবু মুহান্না
বাদ সালামে কেমন আছো প্রিয়তমা?
ভাবছো তোমায় ভুলে গেছি? নেই কি প্রণয়?
এই মনে প্রেম শুধুই তোমার রাখছি জমা
তোমার স্মৃতিই সম্বল আমার, নয় অভিনয়।
তুমিই আমার স্বপ্ন-সুখের মূল ঠিকানা
তুমিই আমার অর্ধাঙ্গিনী, জীবন সাথী
তুমিই আমার প্রানপণা, আসল প্রেরণা
তুমিই আমার আঁধার রাতের প্রণয় বাতি।
তোমায় নিয়ে কতকিছু স্বপ্ন দেখি-
জান্নাতের ঐ বিলাস ঘরে থাকবো দু'জন
তুমি আমার খুব আদুরে ময়না পাখি
শাহাদাতের পরেই তবে আসবে সে ক্ষণ।
তাই কিছু ত্যাগ করছি স্বীকার এই দুনিয়ায়
দুই দেহে এক প্রাণ, তবুও থাকছি দূরে
তোমার-আমার এ ত্যাগ রবের দৃষ্টিসীমায়
যে যা-ই বলুক, নেই পরোয়া, দাঁড়াও ঘুরে।
ইতিহাসে পড়ছো সাহাবার জীবনী
শত মুসিবতেও তারা ছিলেন অনড়
সেই দৃঢ়তা চাচ্ছে আবার এই ধরণী
আজ ঈমানের পক্ষে নিজের নাড়াও অধর।
কেউ যদি চায় ফেরাতে এপথ থেকে
দ্বীনের কথা শুনাও, তবে না বুঝিলে?
তার থেকে নাও নিজেকে হালকা ঢেকে,
ফেতনা তোমায় না পায় যেন আর খুঁজিলে।
যদিও সে হয় পরিবার, খুব প্রিয়জন
তাদের ছেড়ে দ্বীনের কথা ভাবতে হবে
এই সময়ে অটল থাকা খুব প্রয়োজন
রবের কৃত ওয়াদা মনে রাখতে হবে।
এই জীবনে তুমিই আমার সহযোগী
আমি যদি হই খোবায়েব, সাইমা তুমি
দ্বীন কায়েমের জন্য হবো আত্মত্যাগী
তবেই আসবে খেলাফতে জন্মভূমি।
আত্মত্যাগে দু'জন যদি এক হয়ে যাই
রণাঙ্গনে জমা হবে শক্তি দিগুণ
রুখতে এলে পুড়ে হবে ভস্ম ও ছাই
কারো গায়ে লাগলে আমাদের এ আগুন।
বৃষ্টি, আঁধার, মরুপ্রান্ত সব ছাপিয়ে
জোর কদমে এগিয়ে যাবো আমরা দুজন
ভয় করে জয় পড়ব রণে ঠিক ঝাঁপিয়ে
গোলার শব্দে মাতবো যেন পাখির কূজন।
তোমার-আমার প্রণয় হবে রণাঙ্গনে
সেখান থেকেই জন্ম নিবে সালাহুদ্দীন
লড়বো দুজন ময়দানে ও মনাঙ্গনে
আর দূরে নয়, খুব অচিরেই আসবে সুদিন।
পরাজিত হবে ক্রুসেড, জায়নবাদী
মুক্ত হবে আকসা, আমার ফিলিস্তিন
পরাভূত হবে বিধান খোদাদ্রোহী
পোক্ত হবে ধরায় আবার রবের দ্বীন।
তুমি হবে বীরাঙ্গনা মুজাহিদা
আমি হবো বীর মুজাহিদ, একই সাথে
খোদার পথে তোমার-আমার জীবন ফিদা-
চুমুক দেবো শাহাদাতের পেয়ালাতে।
সবুজ পাখি হয়ে দুজন গাছের ডালে
ঝর্ণা বয়ে যাওয়ার তালে করব কূজন
আর দূরে নয়, খাবো সদা একই থালে
অনন্তকাল একই সাথে রবো দুজন।
আজ জিহাদের ময়দান থেকে বলছি আমি
আছি তবে গাজওয়ায় হিন্দের প্রস্তুতিতে
দ্বীন কায়েমের যুদ্ধে যাবার জন্য তুমি
নিজকে গুছাও, দাও হে বিদায় খুব খুশিতে।
২২-০৭-২৩ ইং.
০৩-০১-৪৫ হি.
শনিবার বিকাল- ৪:০০ মিনিট।
আবু মুহান্না
বাদ সালামে কেমন আছো প্রিয়তমা?
ভাবছো তোমায় ভুলে গেছি? নেই কি প্রণয়?
এই মনে প্রেম শুধুই তোমার রাখছি জমা
তোমার স্মৃতিই সম্বল আমার, নয় অভিনয়।
তুমিই আমার স্বপ্ন-সুখের মূল ঠিকানা
তুমিই আমার অর্ধাঙ্গিনী, জীবন সাথী
তুমিই আমার প্রানপণা, আসল প্রেরণা
তুমিই আমার আঁধার রাতের প্রণয় বাতি।
তোমায় নিয়ে কতকিছু স্বপ্ন দেখি-
জান্নাতের ঐ বিলাস ঘরে থাকবো দু'জন
তুমি আমার খুব আদুরে ময়না পাখি
শাহাদাতের পরেই তবে আসবে সে ক্ষণ।
তাই কিছু ত্যাগ করছি স্বীকার এই দুনিয়ায়
দুই দেহে এক প্রাণ, তবুও থাকছি দূরে
তোমার-আমার এ ত্যাগ রবের দৃষ্টিসীমায়
যে যা-ই বলুক, নেই পরোয়া, দাঁড়াও ঘুরে।
ইতিহাসে পড়ছো সাহাবার জীবনী
শত মুসিবতেও তারা ছিলেন অনড়
সেই দৃঢ়তা চাচ্ছে আবার এই ধরণী
আজ ঈমানের পক্ষে নিজের নাড়াও অধর।
কেউ যদি চায় ফেরাতে এপথ থেকে
দ্বীনের কথা শুনাও, তবে না বুঝিলে?
তার থেকে নাও নিজেকে হালকা ঢেকে,
ফেতনা তোমায় না পায় যেন আর খুঁজিলে।
যদিও সে হয় পরিবার, খুব প্রিয়জন
তাদের ছেড়ে দ্বীনের কথা ভাবতে হবে
এই সময়ে অটল থাকা খুব প্রয়োজন
রবের কৃত ওয়াদা মনে রাখতে হবে।
এই জীবনে তুমিই আমার সহযোগী
আমি যদি হই খোবায়েব, সাইমা তুমি
দ্বীন কায়েমের জন্য হবো আত্মত্যাগী
তবেই আসবে খেলাফতে জন্মভূমি।
আত্মত্যাগে দু'জন যদি এক হয়ে যাই
রণাঙ্গনে জমা হবে শক্তি দিগুণ
রুখতে এলে পুড়ে হবে ভস্ম ও ছাই
কারো গায়ে লাগলে আমাদের এ আগুন।
বৃষ্টি, আঁধার, মরুপ্রান্ত সব ছাপিয়ে
জোর কদমে এগিয়ে যাবো আমরা দুজন
ভয় করে জয় পড়ব রণে ঠিক ঝাঁপিয়ে
গোলার শব্দে মাতবো যেন পাখির কূজন।
তোমার-আমার প্রণয় হবে রণাঙ্গনে
সেখান থেকেই জন্ম নিবে সালাহুদ্দীন
লড়বো দুজন ময়দানে ও মনাঙ্গনে
আর দূরে নয়, খুব অচিরেই আসবে সুদিন।
পরাজিত হবে ক্রুসেড, জায়নবাদী
মুক্ত হবে আকসা, আমার ফিলিস্তিন
পরাভূত হবে বিধান খোদাদ্রোহী
পোক্ত হবে ধরায় আবার রবের দ্বীন।
তুমি হবে বীরাঙ্গনা মুজাহিদা
আমি হবো বীর মুজাহিদ, একই সাথে
খোদার পথে তোমার-আমার জীবন ফিদা-
চুমুক দেবো শাহাদাতের পেয়ালাতে।
সবুজ পাখি হয়ে দুজন গাছের ডালে
ঝর্ণা বয়ে যাওয়ার তালে করব কূজন
আর দূরে নয়, খাবো সদা একই থালে
অনন্তকাল একই সাথে রবো দুজন।
আজ জিহাদের ময়দান থেকে বলছি আমি
আছি তবে গাজওয়ায় হিন্দের প্রস্তুতিতে
দ্বীন কায়েমের যুদ্ধে যাবার জন্য তুমি
নিজকে গুছাও, দাও হে বিদায় খুব খুশিতে।
২২-০৭-২৩ ইং.
০৩-০১-৪৫ হি.
শনিবার বিকাল- ৪:০০ মিনিট।
Comment