শাইখের স্বপ্ন
ইয়েমেনী বাবা, সিরীয় মায়ের
প্রিয় সন্তান উসামা,
সৌদি জন্ম ভদ্র-শান্ত
ইমাম, উম্মাতে মুসলিমা।
ছেলেবেলা কেটেছে তাঁর
পূর্ণ মুসলিম রূপে,
ইসলাম চর্চায় ব্যতিব্যস্ত
সদা মালিকের নাম জপে।
বয়স যখন মাত্র নয়
প্রিয় এই শাইখের,
এমন আজীব স্বপ্ন দেখেন
যা কারণ তাঁর চমকের।
সৎ স্বপ্ন তো মালিকের পক্ষে
প্রিয় নবীজী বলেন,
নবুওয়াত, পয়তাল্লিশ ভাগের এক
সত্য হয়েই চলেন।
কি সে স্বপ্ন যার কারণে
তাঁর বাবাও পেরেশান,
তিন দিনই যখন একই স্বপ্ন
তখন ব্যাখ্যা জানতে যান।
বিজ্ঞ এক আলিমের কাছে
যান পিতা মুহাম্মাদ,
শ্রবণে চিন্তিত হয়ে উঠলেন
ওই শাইখ যাঁর আলেম পদ।
করলেন কিছু প্রশ্ন
আর জানলেন কিছু কথা,
কবলে ফজর স্বপ্ন দেখেন
তিন রাতে একই যথা।
আমি দেখলাম সমতল ভূমি
সবাই সাদা ঘোড়া সওয়ার,
কালো পাগড়ি মাথায় তাঁদের
এক সৈন্য হলেন দাড়।
উজ্জল চোখ বিশিষ্ট তাঁর
সত্যায়ন নিলেন নামের,
তিন বারই আমি বললাম তাঁকে
আমি উসামা, সন্তান লাদেনের।
এগিয়ে এসে পতাকা দিলেন
আল-কুদসে তুমি যাবে,
প্রবেশপথে মাহদীর হাতে
এটি তুলে দেবে!
পতাকা নিয়েই দেখলাম আমি
বাহিনীটা আমাকে ছেড়ে,
দেখতে দেখতে চলে গেলেন
আমার থেকে আগে বেড়ে।
আলিম পিতাকে জিজ্ঞাসা করলেন
এই সন্তান কি আপনার?
এই সন্তানই তো ওই সন্তান
যে খুলবে হকের দ্বার।
উসামাকে আলিম প্রশ্ন করলেন
বাবা! পতাকাটি কেমন ছিল?
সৌদির মতই তবে সবুজ নয়
উজ্জ্বল ছিল কালো।
সাদাকালিতে কি জানি একটা
লেখা ছিল তাতে,
যা ওই সৈন্য দিয়েছিলেন
তুলে আমার হাতে।
এ অবস্থায় কখনো দেখো কি
তুমি তোমাকে যুদ্ধরত?
তা তো আমি প্রায়শই দেখি
আমি যুদ্ধে অবরত।
ঠিক আছে বাবা, তুমি একটু দূরে
কুরআন তেলাওয়াত করো,
পিতাকে বললেন, পূর্বপুরুষ
কোথা থেকে হলেন জড়ো?
ওই ইয়েমেনের হাদারা-মাউতে
ছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ,
শানওয়াহ-কাহতানী গোত্র
শুনে প্রায়ই তিনি বেহুশ!
উচ্চস্বরে তাকবীর দিলেন
আর অঝোরে কাঁদতে ছিলেন
উসামাকে জড়িয়ে চুম্বন করে,
শেষ দিবসের লক্ষণ বললেন।
ইমাম মাহদীর সৈন্য প্রস্তুত
করবে এই উসামা,
খোরাসানে হিজরত করবে
পড়বে সবুজ জামা।
তোমার পাশে যে জিহাদ করবে
সেই হবে ভাগ্যবান,
যে তোমার বিরুদ্ধে যাবে
সে হবে না খাঁটি মুসলমান।
এটাই আমাদের প্রিয় শাইখ
রহিমাহুল্লাহর খাব,
তাঁর সাথে মিলিত হওয়া
তাঁর সৈন্য হওয়াতেই লাভ।
আমার দায়ী শোনান যেদিন
এই জীবন্ত গল্প প্রথম,
সেদিন থেকেই নিয়ত আমার
তাঁর সেনা হয়ে, হবো কুফফারের জম।
نصر من الله و فتح قريب و بشر المؤمنين
...✍️ উসামা আল হিন্দী
২১ এপ্রিল ২০২৪ ঈসায়ী
ইয়েমেনী বাবা, সিরীয় মায়ের
প্রিয় সন্তান উসামা,
সৌদি জন্ম ভদ্র-শান্ত
ইমাম, উম্মাতে মুসলিমা।
ছেলেবেলা কেটেছে তাঁর
পূর্ণ মুসলিম রূপে,
ইসলাম চর্চায় ব্যতিব্যস্ত
সদা মালিকের নাম জপে।
বয়স যখন মাত্র নয়
প্রিয় এই শাইখের,
এমন আজীব স্বপ্ন দেখেন
যা কারণ তাঁর চমকের।
সৎ স্বপ্ন তো মালিকের পক্ষে
প্রিয় নবীজী বলেন,
নবুওয়াত, পয়তাল্লিশ ভাগের এক
সত্য হয়েই চলেন।
কি সে স্বপ্ন যার কারণে
তাঁর বাবাও পেরেশান,
তিন দিনই যখন একই স্বপ্ন
তখন ব্যাখ্যা জানতে যান।
বিজ্ঞ এক আলিমের কাছে
যান পিতা মুহাম্মাদ,
শ্রবণে চিন্তিত হয়ে উঠলেন
ওই শাইখ যাঁর আলেম পদ।
করলেন কিছু প্রশ্ন
আর জানলেন কিছু কথা,
কবলে ফজর স্বপ্ন দেখেন
তিন রাতে একই যথা।
আমি দেখলাম সমতল ভূমি
সবাই সাদা ঘোড়া সওয়ার,
কালো পাগড়ি মাথায় তাঁদের
এক সৈন্য হলেন দাড়।
উজ্জল চোখ বিশিষ্ট তাঁর
সত্যায়ন নিলেন নামের,
তিন বারই আমি বললাম তাঁকে
আমি উসামা, সন্তান লাদেনের।
এগিয়ে এসে পতাকা দিলেন
আল-কুদসে তুমি যাবে,
প্রবেশপথে মাহদীর হাতে
এটি তুলে দেবে!
পতাকা নিয়েই দেখলাম আমি
বাহিনীটা আমাকে ছেড়ে,
দেখতে দেখতে চলে গেলেন
আমার থেকে আগে বেড়ে।
আলিম পিতাকে জিজ্ঞাসা করলেন
এই সন্তান কি আপনার?
এই সন্তানই তো ওই সন্তান
যে খুলবে হকের দ্বার।
উসামাকে আলিম প্রশ্ন করলেন
বাবা! পতাকাটি কেমন ছিল?
সৌদির মতই তবে সবুজ নয়
উজ্জ্বল ছিল কালো।
সাদাকালিতে কি জানি একটা
লেখা ছিল তাতে,
যা ওই সৈন্য দিয়েছিলেন
তুলে আমার হাতে।
এ অবস্থায় কখনো দেখো কি
তুমি তোমাকে যুদ্ধরত?
তা তো আমি প্রায়শই দেখি
আমি যুদ্ধে অবরত।
ঠিক আছে বাবা, তুমি একটু দূরে
কুরআন তেলাওয়াত করো,
পিতাকে বললেন, পূর্বপুরুষ
কোথা থেকে হলেন জড়ো?
ওই ইয়েমেনের হাদারা-মাউতে
ছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষ,
শানওয়াহ-কাহতানী গোত্র
শুনে প্রায়ই তিনি বেহুশ!
উচ্চস্বরে তাকবীর দিলেন
আর অঝোরে কাঁদতে ছিলেন
উসামাকে জড়িয়ে চুম্বন করে,
শেষ দিবসের লক্ষণ বললেন।
ইমাম মাহদীর সৈন্য প্রস্তুত
করবে এই উসামা,
খোরাসানে হিজরত করবে
পড়বে সবুজ জামা।
তোমার পাশে যে জিহাদ করবে
সেই হবে ভাগ্যবান,
যে তোমার বিরুদ্ধে যাবে
সে হবে না খাঁটি মুসলমান।
এটাই আমাদের প্রিয় শাইখ
রহিমাহুল্লাহর খাব,
তাঁর সাথে মিলিত হওয়া
তাঁর সৈন্য হওয়াতেই লাভ।
আমার দায়ী শোনান যেদিন
এই জীবন্ত গল্প প্রথম,
সেদিন থেকেই নিয়ত আমার
তাঁর সেনা হয়ে, হবো কুফফারের জম।
نصر من الله و فتح قريب و بشر المؤمنين
...✍️ উসামা আল হিন্দী
২১ এপ্রিল ২০২৪ ঈসায়ী
সকাল ৮ টা ১০ মিনিট।
Comment