ফিরবে কবে হুঁশ

[ঘুমন্ত জাতি]

উসমানী খেলাফত ধ্বংসের পর থেকে শুরু হলো অন্ধকারের এক নতুন যুগ। মুসলিম উম্মাহর উপর নেমে আসল অমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন,নিপীড়ন আর লাঞ্ছনা। । একের পর এক হাত ছাড়া হতে লাগল মুসলিম ভূমি। অভিশপ্ত ইহুদীরা দখল করে নিল মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল আকসা। পৃথিবীর প্রান্তর থেকে প্রান্তরে শুনা যাচ্ছে মুসলিম নারী, শিশুর আর্তনাদ। আকাশ বাতাস ভারি করে তুলছে তাদের চিৎকার। কারা বন্দিতে পড়ে আছে হাজার হাজার যুবক। অসহায়ত্বে দিনাতিপাত করছে লাখো লাখো বৃদ্ধ, বৃদ্ধা। কাঁদছে উইঘুর, কাশ্মীর, চেচনিয়া, বচনিয়া, ইয়েমেন , সিরিয়া। জ্বলছে আরাকান, ফিলিস্তিন, ইরাক, আফ্রিকা, ইন্ডিয়া। সন্ত্রাস দমনের নামে চলছে মুসলিম নিধন। ইসলামকে করা হচ্ছে বিকৃতি সাধন।

প্রিয় মুসলিম! আজ তুমি কোথায়? মিথ্যে মরীচিকার পিছনে ছুটে ভুলে গেলে তোমার পরিচয়। হারিয়ে গেলে গাফলতির চোরাবালিতে। উদাসীন হয়ে ভেসে বেড়ালে ফেতনার স্রোতে। আরেক দিকে তোমার মা,বোন মরছে ধুকে ধুকে।
আর কত লাশ হলে তোমার হৃদয়ে মাজলুমদের প্রতি মায়া সৃষ্টি হবে? আর কত রক্ত ঝরলে তাদের প্রতি ভালোবাসা জাগবে? আর কত লাঞ্ছিত হলে ইসলামের প্রতি তোমার অনুগ্রহ হবে? আর কত মসজিদ মন্দিরে রূপান্তরিত হলে দ্বীনের পথে ফিরে আসবে?!

অন্তরের চোখ খুলে দেখ কাফেরদের দিকে! তারা অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত তোমার দিকে। তারা শত্রু নিয়ে প্রস্তুত মুসলিম নিধনে, নবীর ইজ্জত লুন্ঠনে, ইসলাম ধ্বংসের অপপ্রচারে, তোমার উপাসনাগার দখলে।

তুমি কেন আজ এত ভীতু?
তাদের উপর পাল্টা আঘাত হানো।
তুমি তো ছিলে উদ্যমী, সাহসী এক নির্ভীক,
ছিলে আল্লাহর পথে লড়ে যাওয়া অতন্দ্র প্রহরী সৈনিক।
তুমি করতে না কোনো ভয়, মানতে না পরাজয়,
সম্মুখ পানে ছুটে চলতে জয় করে সব ভয়।
তোমার হুংকারে প্রকম্পিত ছিল বিশ্ব জাহান,
কারন তুমি ছিলে মোহাম্মদের পালোয়ান।

এবার জাগার পালা!
আবারো জেগে উঠো ওহে মুসলিম রণ বীর।
পাল্টা আঘান হানো মসনদে দিল্লির।
কুফুরি শক্তি ভেঙ্গে করো চুরমার,
এক আল্লাহ সাথী যে তোমার।

বল তুমি নারায়ে তাকবীর,
ফিরিয়ে আনতে মুসলিম ভূমি কাশ্মীর।
হাতে নাও তুমি খালিদের বর্শা, তলোয়ার,
ধ্বংস করতে সাপের মাথা আমেরিকার।
তোমার হাত ধরে আবারো আসবে খিলাফাহ,
তুমি লড়ে যাও আল্লাহর পথে সদা সদর্বা।

[Hamja Ibn Abdul muttalib]

মাশা-আল্লাহ,, খুব সুন্দর পোস্ট। ভাইজান নিয়মিত পোস্ট করার আহবান। খেলাফাহ পদ্ধতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে অধিকাংশ মুসলিমরা নাস্তিক্যবাদের দিকে ঝুকে পড়া। ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ না করা। প্রতিটি সঠিকভাবে যদি ইসলামের জ্ঞান মানার নিয়তে অর্জন করতো, তাহলে আজো খেলাফাহ প্রতিষ্ঠিত থাকতো। খেলাফার লাভ ক্ষতির জ্ঞানটুকু আজ অধিকাংশ মুসলিম জানে না। অঞ্চলভিত্তিক শাসন, সেকুলারিজমে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে মুসলিমরা। এ হচ্ছে অনেক বড় নিয়ামত বঞ্চিত হওয়ার একটি বড় ধরণের উপমা। আজ যদি সারা বিশ্বের মুসলিমরা এক থাকত, তাহলে সারা বিশ্বের কুফফাররা ভয় প্রকম্পিত হতো প্রতিনিয়ত। মুসলিমরা এক হওয়ার উপাদান তিনটি, ১/ তাওহীদ, ২/ ঐক্য, ৩/এক নেতৃত্ব।
তাওহীদই মুসলিমদের শক্তির মূল উৎস। অনেকের তাওহীদের জ্ঞান আছে, কিন্তু সত্যিকারের প্রয়োগ নাই। নিজের জীবনে তাওহীদের ব্যাতিত খেলাফার স্বাদ পাওয়ার দুষ্কর। আজো যদি কেও তাওহীদের সঠিক জ্ঞান নিজের মধ্যে প্রয়োগ করে তাহলে খিলাফার স্বাদ আজো পাবে।

[আবু যুবাইর]

আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভাল লাগল ভাই। জাযাকাল্লাহ