রক্তাক্ত কবিতা
রক্তমাখা একটি কবিতা
না! আমি লিখিনি; লিখেছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ সুতা।
লিখেছে ছেলেহারা শোকাহত কত মাতা,
লিখেছে ঐ ধর্ষিতা বোন, যার আর্তনাদ
শুনতে পায় কেবল তার জেলাবদ্ধ ভ্রাতা।
আর শুনেছিল হয়তো বীর শহিদান,
ঝাঁপিয়ে পড়ে বরণ করেছে শাহাদাহ।
বোনের আর্ত-চিৎকারে মুজাহিদের রক্ত ফুটে টগবগ করে
আর একদল হিংস্র জানোয়ার সেথায় অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।
লিখেছে কবিতাখানি, অসহায় ঐ শিশু,
মায়ের পেট ফেড়ে যাকে বের করেছে কিছু পশু!
অতঃপর তীক্ষ্ম তরবারি দ্বিখণ্ডিত করেছে যার দেহ,
আবার দানবের হাসি হেসেছে এ দৃশ্য দেখে কেহ!
অদ্ভূত!! খুবই অদ্ভূত একটি কবিতা!
স্বাধীন জাতির মুখেও শুনি,‘ চাই স্বাধীনতা!!’
কবিতার বুকে রক্ত, চিৎকার করে ডাকে,
হায়! সাড়া নেই কারো সেই হাঁকে!
যেন বধিরতায় আচ্ছন্ন এই জাতি,
ভালোবাসা নয়, চায় তাদের কেবলই খ্যাতি!
ধ্বংসস্তুপ সিরিয়া, দৌড়ে এলো এক শিশু...
চোখ বেয়ে বইছে পানি, আর দেহ থেকে রক্ত
আহত সে, মনে তার আতংক!
“কোথায় তোমার মা-বাবা?”-জানে না সে!
তবে কি কোন এক ধ্বংসস্তুপে হারিয়ে গেলো তারা!!!
কে সান্তনা দিবে এই শিশুকে!!?
কারাই বা তার চিৎকারে সাড়া দিবে!!?
বোমারু বিমানের শব্দ শোনা যায়,
আড়াল থেকে কিছু চোখ স্থির রয় নিজ বাড়ির আঙ্গিনায়;
স্ত্রী-সন্তান তার এখনও ঘরে, ‘আসছে না কেন?’
বিমানের শব্দ জোড়ালো হয়ে আসছে, যেন ভেঙ্গে পড়ছে আকাশ!
অতঃপর, ‘বোম! বোম! বোম!’ -কান্নার রোল পড়ে যায়,
আকাশ ছেয়ে যায় অগ্নিবর্ণের ধোয়ায়।
‘আর আড়ালে কেন!’ বাড়ির দিকে ছুটে,
ভয় নেই মৃত্যুর, কলিজা তার যাচ্ছে যেন ফেটে!
‘কোথায় আমার বাড়ি!?’ “কোথায় ওরা? আয়েশা! আব্দুল্লাহ!!”
সাড়া নেই, নিস্তব্ধ চারদিক; এ যেন অচিনপুরের পাতালপক্ষ!
শোকার্ত মুখ থেকে উচ্চকণ্ঠে বেরিয়ে এলো একটি পবিত্র বাণী-
(ওমা লাকুম লা- তুক্ব-তিলু-না ফী- সাবি-লিল্লাহ) وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
রক্তমাখা একটি কবিতা
না! আমি লিখিনি; লিখেছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ সুতা।
লিখেছে ছেলেহারা শোকাহত কত মাতা,
লিখেছে ঐ ধর্ষিতা বোন, যার আর্তনাদ
শুনতে পায় কেবল তার জেলাবদ্ধ ভ্রাতা।
আর শুনেছিল হয়তো বীর শহিদান,
ঝাঁপিয়ে পড়ে বরণ করেছে শাহাদাহ।
বোনের আর্ত-চিৎকারে মুজাহিদের রক্ত ফুটে টগবগ করে
আর একদল হিংস্র জানোয়ার সেথায় অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।
লিখেছে কবিতাখানি, অসহায় ঐ শিশু,
মায়ের পেট ফেড়ে যাকে বের করেছে কিছু পশু!
অতঃপর তীক্ষ্ম তরবারি দ্বিখণ্ডিত করেছে যার দেহ,
আবার দানবের হাসি হেসেছে এ দৃশ্য দেখে কেহ!
অদ্ভূত!! খুবই অদ্ভূত একটি কবিতা!
স্বাধীন জাতির মুখেও শুনি,‘ চাই স্বাধীনতা!!’
কবিতার বুকে রক্ত, চিৎকার করে ডাকে,
হায়! সাড়া নেই কারো সেই হাঁকে!
যেন বধিরতায় আচ্ছন্ন এই জাতি,
ভালোবাসা নয়, চায় তাদের কেবলই খ্যাতি!
ধ্বংসস্তুপ সিরিয়া, দৌড়ে এলো এক শিশু...
চোখ বেয়ে বইছে পানি, আর দেহ থেকে রক্ত
আহত সে, মনে তার আতংক!
“কোথায় তোমার মা-বাবা?”-জানে না সে!
তবে কি কোন এক ধ্বংসস্তুপে হারিয়ে গেলো তারা!!!
কে সান্তনা দিবে এই শিশুকে!!?
কারাই বা তার চিৎকারে সাড়া দিবে!!?
বোমারু বিমানের শব্দ শোনা যায়,
আড়াল থেকে কিছু চোখ স্থির রয় নিজ বাড়ির আঙ্গিনায়;
স্ত্রী-সন্তান তার এখনও ঘরে, ‘আসছে না কেন?’
বিমানের শব্দ জোড়ালো হয়ে আসছে, যেন ভেঙ্গে পড়ছে আকাশ!
অতঃপর, ‘বোম! বোম! বোম!’ -কান্নার রোল পড়ে যায়,
আকাশ ছেয়ে যায় অগ্নিবর্ণের ধোয়ায়।
‘আর আড়ালে কেন!’ বাড়ির দিকে ছুটে,
ভয় নেই মৃত্যুর, কলিজা তার যাচ্ছে যেন ফেটে!
‘কোথায় আমার বাড়ি!?’ “কোথায় ওরা? আয়েশা! আব্দুল্লাহ!!”
সাড়া নেই, নিস্তব্ধ চারদিক; এ যেন অচিনপুরের পাতালপক্ষ!
শোকার্ত মুখ থেকে উচ্চকণ্ঠে বেরিয়ে এলো একটি পবিত্র বাণী-
(ওমা লাকুম লা- তুক্ব-তিলু-না ফী- সাবি-লিল্লাহ) وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
পিকচার লিংক: https://s10.postimg.org/r5kqgmnpl/new_poem.jpg
Comment