Announcement

Collapse
No announcement yet.

কেমন আছে চীনের মুসলিমরা!!?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কেমন আছে চীনের মুসলিমরা!!?

    কেমন আছে চীনের মুসলিমরা!!?
    চীনে মুসলিমদেরকে জোর পূর্বকভাবে নাস্তিক বানানোর কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানদের রোজা রাখতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।মুসলিম কন্যাদেরকে নাস্তিকদের সাথে বাধ্যতামূলক বিবোহের আইন করেছে। নাস্তিক্যবাদ শিখানোর জন্য মুসলমানদের সন্তানদেরকে তাদের তৈরী শিক্ষাব্যবস্থায় পড়তে বাধ্য করছে। মসজিদে চীনা জাতীয়তাবাদী পতাকা এবং সরকারের ছবি লাগিয়ে রাখাকে আবশ্যক করে দিয়েছে। অনেক আলেমদের ফাঁসি দিয়েছে। যারা তাদের কথা অমান্য করে তাদেরকে গুম করে ফেলছে।
    এক দৈনিকে প্রকাশ. তুর্কি ভাষায় কথা বলা লাখো ইউঘুর যুবক জিনজিয়াং থেকে এভাবেই গায়েব হয়ে যান। তাঁদের পাঠানো হয় বহুদূরের কোনো এক ক্যাম্পে। এ ক্যাম্পগুলো মূলত ‘রি-এডুকেশন ক্যাম্প’ নামে পরিচিত। চীন সরকার এ রকম শত শত অজ্ঞাত রি-এডুকেশন ক্যাম্প তৈরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ক্যাম্পে মানবাধিকারহীন জীবন যাপন করতে হয় উইঘুরদের। তাদের কেন সেখানে পাঠানো হয়, উইঘুররা তা জানতেও পারে না। ওই ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়া একজনের অভিযোগ, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে ধন্যবাদ জানানো হয়, ততক্ষণ খাবার পান না কেউ।’
    উইঘুরদের বড় শহর কাশঘারে এ রকম চারটি বড় ক্যাম্প রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে ওই শহরের ক্যাম্পগুলোতে ১ লাখ ২০ হাজার জনকে ধরে এনে রাখা হয়েছে।
    মোটকথা, মুসলমানদের মৌলিক অধিকার পূরণ করতেও তারা রাজি নয়। এমনকি তেল-গ্যাসসমৃদ্ধ ভূমিটুকুর নিরঙ্কুশ মালিকানা মজবুত করে রাখতে হাজার বছর ধরে এ এলাকায় বসবাস করে আসা উইঘুর মুসলিমদের বিভিন্ন কৌশলে তাদের বাপ-দাদার ভিটা থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে চীনা ‘হান’দের প্রতিষ্ঠিত করছে। যেখানে ১৯৪৯ সালেও জিংজিয়াংয়ের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ ছিল ‘হান’ আর ৯৫ শতাংশই ছিল উইঘুর মুসলিম, সেখানে চীন কর্তৃক উইঘুর দখলের পর অন্যান্য স্থান থেকে ‘হান’দের এখানে এনে থাকতে দেওয়ায় এবং উইঘুর মুসলিমদের বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য করায় সেখানে বর্তমানে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে ‘হান’দের সংখ্যা। উইঘুরদের সহিংসতার ইতিহাস শুরু ২০০৯ সালে। ৫ জুলাই উরুমচিতে মুসলিম উইঘুর ও হান চীনাদের মধ্যে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। এতে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু উইঘুর মানুষ নিহত হন। কিছু সন্ত্রাসী ঘটনা শাসক যন্ত্রের দমনমূলক প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। ২০১৬ সালে চেন কুয়ানগো নতুন দলের প্রধান হিসেবে উঠে আসেন। প্রাদেশিক সরকার অর্থ খরচ করে আরও নিয়ন্ত্রণ বাড়ায়। এটি এখন পুরোপুরি পুলিশি রাজ্য। তাই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটেছে এখন।
    চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জিনজিয়াংয়ে সবার জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা সমান। তবে সেখানকার বাস্তবতা ভিন্ন। সেখানে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশিটির দক্ষিণ পশ্চিমে যেখানে উইঘুরদের বাস সেখানে নিরাপত্তার সরঞ্জাম বেশি স্থাপন করা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে হানদের বসবাস করা শিহেজিতে পুলিশি নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এতটা কঠোর নয়।
    চীনের কমিউনিস্ট শাসকেরা মনে করেন, তাঁদের নিয়ন্ত্রিত পুলিশি রাষ্ট্রব্যবস্থায় মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ দূর হয়েছে এবং সহিংসতা কমিয়েছে। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর বাস্তবচিত্র উল্টো। বাস্তবে তা হান ও উইঘুরদের মধ্যে মধ্যে বিভক্তি টেনে এবং একদিকে বেশি খরচ করে উত্তেজনা আরও বাড়ানো হয়েছে। এতে দুই পক্ষ আরও বেশি সহিংসতায় শিকার হচ্ছে উইঘুর মুসলিম জনগণ।
    প্রশ্ন হচ্ছে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য রাখা যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল দুনিয়াতে প্রাইভেসি থাকতে হবে। উদারপন্থী গণতন্ত্রের মতো উল্লেখযোগ্য কারণ ছাড়া নজরদারি করা যাবে না। স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও এনক্রিপশন থাকবে, যাতে কেউ ব্যক্তিগত তথ্যে উঁকি দিতে না পারে। জনগণের তথ্যে কেউ অনুমতি ছাড়া সংগ্রহ করলে তার জন্য শাস্তির বিধান রাখতে হবে। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ওপরেও নজরদারি করতে হবে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে অপরাধী সম্পর্কে আগাম পূর্বাভাসের যে পুলিশি পদ্ধতি আছে, তা নিখুঁত নয়। এর ওপর ভরসা না করে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে। নজরদারির ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং স্বচ্ছতা অবশ্যই রাখতে হবে।
    ২০১৫ সালে উইচ্যাটে উইঘুর যুবক হাসান লিখেছিলেন, ‘উইঘুর মুসলিম হওয়াটাই অপরাধ । আমি কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত তা জানি না। কিন্তু তাদের বিচার মানতে হবে। এ ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। যেখানে স্বাধীনতা নেই, সেখানে দুশ্চিন্তা। যেখানে দুশ্চিন্তা, সেখানেই কোনো ঘটনা। যেখানে ঘটনা সেখানেই পুলিশ। আর যেখানে পুলিশ, সেখানেই পরাধীনতা।

  • #2
    الهم انصر المسلمين

    Comment

    Working...
    X