প র্ব ১
মুসলমানদের শেষ আশা ভরসার দল হচ্ছে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল, এই দল থেকেই উত্থান হবে ইমাম মাহদীর। যদিও হাদিসে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন "বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে যোগ দেয়ার জন্"। কিন্তু ১৫০ কোটির বেশি মুসলিম থাকা সত্ত্বেও কেন খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের যোদ্ধার সংখ্যা মাত্র ৪/৫ হাজার হবে? এটা কী জানেন? উত্তর হচ্ছেঃ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে আমাদের সামনে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হবে? যাতে বেশিরভাগ মুসলিম এই দলটির নাম শুনলেই এক বাক্যে উত্তর দিয়ে দিবেঃ তারা হচ্ছে, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, নিরপরাধ মানুষ হত্যাকারী, ধর্ষণকারী, Terrorist, ঈসরাইলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী, ইহুদী খ্রিস্টানদের দালাল, আমরিকার পোষা বাহিনী!!!!
তাই খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি।
♦ আসলে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল কারা?
_________________________________________________
যেহেতু খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, তাই এখানে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল কোনটি? এব্যাপারে আলোচনা করব না। "খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ https://plus.google.com/101401526729...ts/2bbxUdeVM4r
⚫তবে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে সহজ ভাবে চিনতে হলে কয়েকটি বিষয় জাচাই করতে হবে। যেমনঃ
১, আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল বা, কুন্দুজ, জালালাবাদ প্রদেশ (তালোকান) অঞ্চলের মানুষ যে দলের সাথে সংযুক্ত থাকবে, তারাই হল সত্যিকারের খোরাসানের বাহিনী দল।
"দরিদ্র পীরিত তালোকান অঞ্চল(আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল) সেখানে স্বর্ন, রৌপ্যের খনি নেই কিন্তু আল্লাহ্*র রহমত দ্বারা পরিপূর্ণ। তারাই আল্লাহর রহমত দ্বারা স্বীকৃত, শেষ জমানায় তারাই হবে ইমাম মাহদীর সহযোগী "।
(লেখকঃ আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান)
২, মধ্য এশিয়ার জিহাদী দল গুলো যেমন, IMU - Islamic movement of Uzbekistan, Cacusas emirates, vilayat kavkaz, Terkistan Islamic parties(পূর্ব তুর্কিস্থান) , Anser Al furkan(ইরান) যে দলের সাথে সম্পর্ক যুক্ত থাকবে, তারাই হচ্ছে সত্যিকারের কালো পতাকাবাহী দল। তবে মুমিনদের জন্য সুখবর হল, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থানের সময়, বর্তমানে আল কায়দা ও ইসলামিক ইস্টেট(ISIS) এর মধ্যকার যে বিরোধ রয়েছে সেটি থাকবে না। বরং তখন এই অঞ্চলের সকল কালো পতাকাবাহী দল একত্রিত হয়ে সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
৩, ফিলিস্তিন ও তার আশেপাশে যে দলটি দিন দিন শক্তিশালী হবে? সেই দলটিই হল সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল। কারন, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার যুদ্ধের সময় পরাজিত হয়ে "শুয়াইব বিন সালেহ পালিয়ে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে চলে যাবে এবং মাহদীর জন্য একটি সুন্দর অবস্থান তৈরি করবে?" এরকম বর্ননা রয়েছে।
** হযরত যামরা ইবনে হাবীব (রহঃ) ও তার শাইখদের থেকে বর্ণিত যে, "অতপর (দ্বিতীয় বার) তাদের মাঝে ও সুফিয়ানীর অশ্বারোহীদের(ট্যাংক) মাঝে যুদ্ধ হবে। আর সে যুদ্ধে সুফিয়ানীর বিজয় হবে। আর হাশেমী পালায়ন করবে। আর শুয়াইব ইবনে সালেহ গোপনে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে বের হয়ে যাবে। সে মাহদীর আবাস স্থল গোছাতে থাকবে" (হাদিসের শেষ অংশটি উল্লেখ করা হয়েছে) [ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৫ ]
বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইসলামিক ইস্টেট (ISIS) ছোট ছোট পাঁচটি দল রয়েছে। যেমনঃ জাইশুল ইসলাম (গাজা), আনসার আল বাইতিল মাকদিস। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী মিশরের সিনাই উপত্যকার ইসলামিক ইস্টেট এর শাখা তো রয়েছেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যেই দলটির উপর আমাদের প্রত্যাশা ছিল সবচেয়ে বেশি সেই দলের কোন শাখাই ফিলিস্তিনে বর্তমানে নেই।
৪, সৌদি আরবে পরবর্তীতে যে কালো পতাকাবাহী দলটি দিন দিন শক্তিশালী হবে? সেই দলটিই হল সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল। কারন সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার যুদ্ধের সময় পরাজিত হয়ে মাহদী ও মনসুর কুফা (মসূল) শহর থেকে পালিয়ে মক্কায় চলে যাবে।
৫, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, "তারা এমন ঘোরতর হত্যাকাণ্ড চালাবে, যা ইতিপূর্বে কেউ চালায় নি?" (সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
তাই যে দলটি সুফিয়ানী বাহিনীর (শিয়াদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘোরতর হত্যাকাণ্ড চালাবে। তারাই হল, সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল। বর্তমানে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বানু কাল্ব গোত্রের শাসক বাশার আল আসাদের সহযোগী শিয়াদের বিরুদ্ধে কারা ঘোরতর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তা আর ডাক ঢোল পিটিয়ে বলে বেড়াতে হবে না,
মুসলমানদের শেষ আশা ভরসার দল হচ্ছে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল, এই দল থেকেই উত্থান হবে ইমাম মাহদীর। যদিও হাদিসে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন "বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে যোগ দেয়ার জন্"। কিন্তু ১৫০ কোটির বেশি মুসলিম থাকা সত্ত্বেও কেন খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের যোদ্ধার সংখ্যা মাত্র ৪/৫ হাজার হবে? এটা কী জানেন? উত্তর হচ্ছেঃ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে আমাদের সামনে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হবে? যাতে বেশিরভাগ মুসলিম এই দলটির নাম শুনলেই এক বাক্যে উত্তর দিয়ে দিবেঃ তারা হচ্ছে, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, নিরপরাধ মানুষ হত্যাকারী, ধর্ষণকারী, Terrorist, ঈসরাইলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী, ইহুদী খ্রিস্টানদের দালাল, আমরিকার পোষা বাহিনী!!!!
তাই খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি।
♦ আসলে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল কারা?
_________________________________________________
যেহেতু খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, তাই এখানে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল কোনটি? এব্যাপারে আলোচনা করব না। "খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ https://plus.google.com/101401526729...ts/2bbxUdeVM4r
⚫তবে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে সহজ ভাবে চিনতে হলে কয়েকটি বিষয় জাচাই করতে হবে। যেমনঃ
১, আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল বা, কুন্দুজ, জালালাবাদ প্রদেশ (তালোকান) অঞ্চলের মানুষ যে দলের সাথে সংযুক্ত থাকবে, তারাই হল সত্যিকারের খোরাসানের বাহিনী দল।
"দরিদ্র পীরিত তালোকান অঞ্চল(আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল) সেখানে স্বর্ন, রৌপ্যের খনি নেই কিন্তু আল্লাহ্*র রহমত দ্বারা পরিপূর্ণ। তারাই আল্লাহর রহমত দ্বারা স্বীকৃত, শেষ জমানায় তারাই হবে ইমাম মাহদীর সহযোগী "।
(লেখকঃ আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান)
২, মধ্য এশিয়ার জিহাদী দল গুলো যেমন, IMU - Islamic movement of Uzbekistan, Cacusas emirates, vilayat kavkaz, Terkistan Islamic parties(পূর্ব তুর্কিস্থান) , Anser Al furkan(ইরান) যে দলের সাথে সম্পর্ক যুক্ত থাকবে, তারাই হচ্ছে সত্যিকারের কালো পতাকাবাহী দল। তবে মুমিনদের জন্য সুখবর হল, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থানের সময়, বর্তমানে আল কায়দা ও ইসলামিক ইস্টেট(ISIS) এর মধ্যকার যে বিরোধ রয়েছে সেটি থাকবে না। বরং তখন এই অঞ্চলের সকল কালো পতাকাবাহী দল একত্রিত হয়ে সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।
৩, ফিলিস্তিন ও তার আশেপাশে যে দলটি দিন দিন শক্তিশালী হবে? সেই দলটিই হল সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল। কারন, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার যুদ্ধের সময় পরাজিত হয়ে "শুয়াইব বিন সালেহ পালিয়ে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে চলে যাবে এবং মাহদীর জন্য একটি সুন্দর অবস্থান তৈরি করবে?" এরকম বর্ননা রয়েছে।
** হযরত যামরা ইবনে হাবীব (রহঃ) ও তার শাইখদের থেকে বর্ণিত যে, "অতপর (দ্বিতীয় বার) তাদের মাঝে ও সুফিয়ানীর অশ্বারোহীদের(ট্যাংক) মাঝে যুদ্ধ হবে। আর সে যুদ্ধে সুফিয়ানীর বিজয় হবে। আর হাশেমী পালায়ন করবে। আর শুয়াইব ইবনে সালেহ গোপনে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে বের হয়ে যাবে। সে মাহদীর আবাস স্থল গোছাতে থাকবে" (হাদিসের শেষ অংশটি উল্লেখ করা হয়েছে) [ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৫ ]
বর্তমানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ইসলামিক ইস্টেট (ISIS) ছোট ছোট পাঁচটি দল রয়েছে। যেমনঃ জাইশুল ইসলাম (গাজা), আনসার আল বাইতিল মাকদিস। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী মিশরের সিনাই উপত্যকার ইসলামিক ইস্টেট এর শাখা তো রয়েছেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যেই দলটির উপর আমাদের প্রত্যাশা ছিল সবচেয়ে বেশি সেই দলের কোন শাখাই ফিলিস্তিনে বর্তমানে নেই।
৪, সৌদি আরবে পরবর্তীতে যে কালো পতাকাবাহী দলটি দিন দিন শক্তিশালী হবে? সেই দলটিই হল সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল। কারন সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বার যুদ্ধের সময় পরাজিত হয়ে মাহদী ও মনসুর কুফা (মসূল) শহর থেকে পালিয়ে মক্কায় চলে যাবে।
৫, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, "তারা এমন ঘোরতর হত্যাকাণ্ড চালাবে, যা ইতিপূর্বে কেউ চালায় নি?" (সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
তাই যে দলটি সুফিয়ানী বাহিনীর (শিয়াদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঘোরতর হত্যাকাণ্ড চালাবে। তারাই হল, সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল। বর্তমানে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বানু কাল্ব গোত্রের শাসক বাশার আল আসাদের সহযোগী শিয়াদের বিরুদ্ধে কারা ঘোরতর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তা আর ডাক ঢোল পিটিয়ে বলে বেড়াতে হবে না,
Comment