বর্তমান সময়ে মুসলমানদের প্রতি লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই, নবি মুহাম্মাদ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) আমাদের বলছেন: 'অচিরেই সব জাতিগুলো তাদের একে অপরকে তোমাদের বিরুদ্ধে আহবান করবে, যেভাবে খাদ্য গ্রহণকারীরা খাবারের থালার চতুর্দিকে পরস্পরকে আহবান করে।' সাহাবাদের একজন তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, 'ইয়া রাসুলাল্লাহ! তা কি আমাদের সংখ্যার স্বল্পতার কারণে হবে?' নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) উত্তর দিলেন, 'না, বরং তোমরা সংখ্যায় সেদিন বিশাল হবে; কিন্তু তোমরা হবে গুসা (অর্থাৎ প্লাবনের স্রোতে ভেসে যাওয়া খড়কুটোর মত)।' [সহিহ আবু দায়ুদ]
.
সুতরাং, আমরা এখন নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )-এর এই কথাকে সত্য হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি কিংবা তারও বেশি৷ কিন্তু এতদসত্ত্বেও আপনি এদের মাঝে খুব সামান্য সংখ্যক অনুসারীকে পাবেন, যারা মজবুতভাবে নবির শরিয়াহকে আঁকড়ে ধরেছে। মুসলিম সমাজগুলোতে এখন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে শরিয়াহর লেশমাত্রও নেই। এমনকি শরিয়াহ তাদের কাছে এতোই খারাপ যে, তাদের জনসাধারণ ও সমাজের জন্য তারা শত্রুদের বানানো আইনকে পছন্দ করেছে। যারা কিনা মুসলিমদের শত্রু, ইসলামের শত্রু! ইসলামকে দুর্বল করতে, এমনকি একে ধ্বংস করে দিতে যারা কঠোর সংগ্রামে লিপ্ত।
.
যেদিন থেকে আলোকময় বার্তার (ইসলাম) আবির্ভাব ঘটেছে, সেদিন থেকে আজ অবধি তারা (অর্থাৎ ইসলামের শত্রুরা) ইসলামকে দুর্বল ও ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করছে। কেননা নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )-কে বর্তমান যুগ পর্যন্ত প্রেরণ করা হয়েছে। তাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধবিগ্রহ, তাদের নানা বাতিল ও শয়তানি মতাদর্শ জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু এত বছর ও সময় অতিবাহিত হবার পরও, তারা তাদের লক্ষ্যপূরণে (ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে) সমর্থ হয়নি।
.
তবে বর্তমানে আমরা এমন একসময়ে বাস করছি, যখন আমাদের শত্রুরা আমাদের মধ্য থেকে মুনাফিকিন, নাস্তিক ও কাফিরদেরকে তাদের সহায়তাকারী হিসেবে পাশে পাচ্ছে। এরা মুসলিমদের সাথে মিশে তাদের মধ্যে অনৈক্য ও মতবিরোধ সৃষ্টি করতে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং ইসলাম ও শরিয়াহ সম্পর্কে মিথ্যা সন্দেহ ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে৷ প্রকাশনা, সাহিত্য, আইন, মানাহিয ইত্যাদি সব ধরণের প্রচার মাধ্যমগুলোতে তারা মত প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রাথমিক যুগের মুনাফিকরাও একই পথ অবলম্বন করতো। তারা কিছু নির্দিষ্ট আমল করে দাবি করতো যে, এর ফলে তারা কেবল কল্যাণই কামনা করে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, তারা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়। তারা নিজেদেরকে মুজাদ্দিদ দাবি করে কিন্তু ওয়াল্লাহি! তারাই হচ্ছে মুলহিদ। তাদের উদ্দেশ্য, ইসলামকে ধ্বংস করা এবং বিধর্মী দেশগুলোতে অবস্থানরত তাদের প্রভু (যায়নিস্ট-ক্রুসেডার)-দের শাসন কায়েম করা৷
.
সুতরাং মুসলিম উম্মাহ ও তার নেতাবর্গদের পক্ষে কিভাবে মেনে নেয়া সম্ভব যে, তাদের অধীনস্থ জনগণ (আত-তাহাকুম ইল্লা তাগুত) তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থনা করবে?
তারা মানবরচিত বিধান দিয়ে বিচার ফায়সালা করে৷ এগুলোই ওদের সংবিধান ও শরিয়াহ। সুতরাং উম্মাহর প্রত্যেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ন্যায়বিচার দাবি করতে জন্য তাগুত (মানবরচিত আইন) এর কাছে যেতে হয়। অধিকাংশ 'মুসলিম দেশের' এমনই অবস্থা।
তারা আল্লাহ ( ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ )-এর কিতাবে বর্ণিত আয়াতকে ভুলে গেছে যে, আল্লাহ বলছেন, {'আর যারাই আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দ্বারা বিচার ফায়সালা করে না – তারাই কাফির।'} [সুরা আল-মায়িদা, ৪৪]
.
আল্লাহ ( ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ) কর্তৃক এই বিধান কিংবা সতর্কবাণী কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী অথবা জাতির জন্য নয়। এটি সাধারণ ও সর্বজনীন বিধান, যা প্রতিটি দেশের সব জনগণের জন্য প্রযোজ্য।
যারাই কিতাবুল্লাহ ও রাসুল মুহাম্মাদ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ)-এর সুন্নাহ থেকে ফিরে যাবে এবং তার পরিবর্তে অন্য শরিয়াহ দ্বারা শাসন করবে, বিশেষ কিংবা সবিশেষ সকল অবস্থাতেই, তারা তাদের একজন হিসেবে গণ্য হবে। এদের ব্যাপারেই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, {'আর যারাই আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দ্বারা বিচার ফায়সালা করে না – তারাই কাফির।'} [সুরা আল-মায়িদা, ৪৪]
আমরা ইসলামের শত্রুদের চিনি: মুনাফিক, নাস্তিক, সেক্যুলার ও মডারেট এবং যারা এদের অনুসরণ ও সমর্থন করে। মুসলিম বিশ্বে পরিভ্রমণ করে এরা ওদের কাহিনি, কথা ও বক্তব্যগুলো ছড়িয়ে দেয়। এবং আমরা এমন কাউকে পাই না, যারা ওদেরকে বাঁধা দেয় কিংবা নিজেদেরকে ওদের থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এমনকি ওরা অন্যদেরকেও এথেকে বাঁচতে দেয় না, ওদের মিথ্যার বিরুদ্ধাচারণ করতে দেয় না।
.
তবে বাকিরা, যারা মুজাদ্দিদ, দা'ই (ইসলামের প্রতি আহবানকারী) এবং যারা নেককাজের আদেশ দানকারী, যারা উম্মাহকে শক্তিশালী করার আশা পোষণ করেন এবং নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )-এর শরিয়াহর বাস্তবায়ন ঘটাতে চান, লোকদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ শিক্ষা দিতে চান, এরাই হলেন তাঁরা যারা ওদের পথে বাধাদানকারী, এবং তাঁরা ওদেরকে ওদের প্রভু (তাগুত)-এর বার্তা প্রকাশ্যে ও উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করার সুযোগ দেয় না, যা কিনা এখন অধিকাংশ 'মুসলিম ভূমি'গুলোতে দেখা যাচ্ছে।
~শাইখ হামুদ বিন উক্বলা
.
[সোর্স: muwahhidmedia]
.
সুতরাং, আমরা এখন নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )-এর এই কথাকে সত্য হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি কিংবা তারও বেশি৷ কিন্তু এতদসত্ত্বেও আপনি এদের মাঝে খুব সামান্য সংখ্যক অনুসারীকে পাবেন, যারা মজবুতভাবে নবির শরিয়াহকে আঁকড়ে ধরেছে। মুসলিম সমাজগুলোতে এখন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে শরিয়াহর লেশমাত্রও নেই। এমনকি শরিয়াহ তাদের কাছে এতোই খারাপ যে, তাদের জনসাধারণ ও সমাজের জন্য তারা শত্রুদের বানানো আইনকে পছন্দ করেছে। যারা কিনা মুসলিমদের শত্রু, ইসলামের শত্রু! ইসলামকে দুর্বল করতে, এমনকি একে ধ্বংস করে দিতে যারা কঠোর সংগ্রামে লিপ্ত।
.
যেদিন থেকে আলোকময় বার্তার (ইসলাম) আবির্ভাব ঘটেছে, সেদিন থেকে আজ অবধি তারা (অর্থাৎ ইসলামের শত্রুরা) ইসলামকে দুর্বল ও ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করছে। কেননা নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )-কে বর্তমান যুগ পর্যন্ত প্রেরণ করা হয়েছে। তাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধবিগ্রহ, তাদের নানা বাতিল ও শয়তানি মতাদর্শ জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু এত বছর ও সময় অতিবাহিত হবার পরও, তারা তাদের লক্ষ্যপূরণে (ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে) সমর্থ হয়নি।
.
তবে বর্তমানে আমরা এমন একসময়ে বাস করছি, যখন আমাদের শত্রুরা আমাদের মধ্য থেকে মুনাফিকিন, নাস্তিক ও কাফিরদেরকে তাদের সহায়তাকারী হিসেবে পাশে পাচ্ছে। এরা মুসলিমদের সাথে মিশে তাদের মধ্যে অনৈক্য ও মতবিরোধ সৃষ্টি করতে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং ইসলাম ও শরিয়াহ সম্পর্কে মিথ্যা সন্দেহ ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে৷ প্রকাশনা, সাহিত্য, আইন, মানাহিয ইত্যাদি সব ধরণের প্রচার মাধ্যমগুলোতে তারা মত প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রাথমিক যুগের মুনাফিকরাও একই পথ অবলম্বন করতো। তারা কিছু নির্দিষ্ট আমল করে দাবি করতো যে, এর ফলে তারা কেবল কল্যাণই কামনা করে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, তারা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়। তারা নিজেদেরকে মুজাদ্দিদ দাবি করে কিন্তু ওয়াল্লাহি! তারাই হচ্ছে মুলহিদ। তাদের উদ্দেশ্য, ইসলামকে ধ্বংস করা এবং বিধর্মী দেশগুলোতে অবস্থানরত তাদের প্রভু (যায়নিস্ট-ক্রুসেডার)-দের শাসন কায়েম করা৷
.
সুতরাং মুসলিম উম্মাহ ও তার নেতাবর্গদের পক্ষে কিভাবে মেনে নেয়া সম্ভব যে, তাদের অধীনস্থ জনগণ (আত-তাহাকুম ইল্লা তাগুত) তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থনা করবে?
তারা মানবরচিত বিধান দিয়ে বিচার ফায়সালা করে৷ এগুলোই ওদের সংবিধান ও শরিয়াহ। সুতরাং উম্মাহর প্রত্যেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ন্যায়বিচার দাবি করতে জন্য তাগুত (মানবরচিত আইন) এর কাছে যেতে হয়। অধিকাংশ 'মুসলিম দেশের' এমনই অবস্থা।
তারা আল্লাহ ( ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ )-এর কিতাবে বর্ণিত আয়াতকে ভুলে গেছে যে, আল্লাহ বলছেন, {'আর যারাই আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দ্বারা বিচার ফায়সালা করে না – তারাই কাফির।'} [সুরা আল-মায়িদা, ৪৪]
.
আল্লাহ ( ﺳﺒﺤﺎﻧﻪ ﻭﺗﻌﺎﻟﻰ ) কর্তৃক এই বিধান কিংবা সতর্কবাণী কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী অথবা জাতির জন্য নয়। এটি সাধারণ ও সর্বজনীন বিধান, যা প্রতিটি দেশের সব জনগণের জন্য প্রযোজ্য।
যারাই কিতাবুল্লাহ ও রাসুল মুহাম্মাদ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ)-এর সুন্নাহ থেকে ফিরে যাবে এবং তার পরিবর্তে অন্য শরিয়াহ দ্বারা শাসন করবে, বিশেষ কিংবা সবিশেষ সকল অবস্থাতেই, তারা তাদের একজন হিসেবে গণ্য হবে। এদের ব্যাপারেই আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, {'আর যারাই আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দ্বারা বিচার ফায়সালা করে না – তারাই কাফির।'} [সুরা আল-মায়িদা, ৪৪]
আমরা ইসলামের শত্রুদের চিনি: মুনাফিক, নাস্তিক, সেক্যুলার ও মডারেট এবং যারা এদের অনুসরণ ও সমর্থন করে। মুসলিম বিশ্বে পরিভ্রমণ করে এরা ওদের কাহিনি, কথা ও বক্তব্যগুলো ছড়িয়ে দেয়। এবং আমরা এমন কাউকে পাই না, যারা ওদেরকে বাঁধা দেয় কিংবা নিজেদেরকে ওদের থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এমনকি ওরা অন্যদেরকেও এথেকে বাঁচতে দেয় না, ওদের মিথ্যার বিরুদ্ধাচারণ করতে দেয় না।
.
তবে বাকিরা, যারা মুজাদ্দিদ, দা'ই (ইসলামের প্রতি আহবানকারী) এবং যারা নেককাজের আদেশ দানকারী, যারা উম্মাহকে শক্তিশালী করার আশা পোষণ করেন এবং নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )-এর শরিয়াহর বাস্তবায়ন ঘটাতে চান, লোকদেরকে কুরআন ও সুন্নাহ শিক্ষা দিতে চান, এরাই হলেন তাঁরা যারা ওদের পথে বাধাদানকারী, এবং তাঁরা ওদেরকে ওদের প্রভু (তাগুত)-এর বার্তা প্রকাশ্যে ও উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করার সুযোগ দেয় না, যা কিনা এখন অধিকাংশ 'মুসলিম ভূমি'গুলোতে দেখা যাচ্ছে।
~শাইখ হামুদ বিন উক্বলা
.
[সোর্স: muwahhidmedia]
Comment