শেষ যামানায় রাসুলুল্লাহর (ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ) পরিবর্তে কেন ঈসা *(عليه السلام) অবতরণ করবেন?
-শাইখ আবু কাতাদাহ আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ্
.
আল্লাহ্ – মহামহিম – শেষ যামানায় আমাদের নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) পরিবর্তে ঈসাকে (عليه السلام) পাঠাবেন। কারণ আল্লাহ্ তায়ালা বলেন: {'…আর তোমার রব যা ইচ্ছা ও পছন্দ করেন তাই সৃষ্টি করেন। তাদের কোনো পছন্দের স্বাধীনতা নেই..'} [আল-কাসাস, ৬৮]
এবং এর পিছনে একটি হিকমাহ আছে। তা হলো, খ্রিষ্টান ও ইয়াহুদিরা ঈসাকে (عليه السلام) নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে। খ্রিষ্টানরা দাবি করে, তারা ঈসাকে (عليه السلام) হত্যা করেছে এবং আমাদের নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, শেষ যামানায় তিনি (ঈসা) অবতরণ করবেন। তিনি অবতরণ করলে আমরা এথেকে দুইভাবে উপকৃত হতে পারি,
.
প্রথমত, নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) বাণী সত্য এবং তিনি আখেরি নবি। তিনি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) তাঁর রবের পক্ষ হতে যা কিছু বলেন, সবই সত্য। কেননা এই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা সম্পর্কে তিনি আমাদের আগেই অবহিত করেছিলেন।
সুতরাং এ ঘটনার ফলে একথা সত্য প্রমাণিত হবে যে, নবি মুহাম্মাদ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) আখেরি নবি। যদি তিনিই আবার অবতরণ করতেন তাহলে বাড়তি কোনো উপকার থাকতো না। কিন্তু যখন ঈসা (عليه السلام) অবতরণ করবেন এবং আমাদের নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) শরিয়াহ্ অনুসরণ করবেন ও সেই অনুযায়ি শাসনকার্য পরিচালনা করবেন এবং নিজ ও অন্যদের উপর এর অনুসরণকে অত্যাবশকীয় করবেন – শুধু তাই নয়, বরং প্রত্যাশিত মাহদির পিছনে সালাত আদায় করবেন – তখনই তা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে যে, আমাদের নবি মুহাম্মাদ শেষ নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) এবং তাঁর শরিয়াহর পর আর কোনো ওয়াহি (বা শরিয়াহ্) নাযিল হবে না এবং ঈসার অনুসারিরাও – এমনকি যাদের কাছে ইঞ্জিলের মূল বা অবিকৃত সংস্করণ আছে, তারাও – তা থেকে উপকার লাভের দাবি করতে পারবে না যেহেতু, স্বয়ং ঈসা (عليه السلام) নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) শরিয়াহ্ অনুসরণ করবেন।
.
দ্বিতীয়ত, খ্রিষ্টানরা ঈসার ব্যাপারে বানোয়াট মিথ্যা রটনা করতো।
ঈসা (عليه السلام) অবতরণের ফলে মাসিহ দাজ্জাল প্রকৃত মাসিহর হাতে খুন হবে। যেহেতু মারইয়াম পুত্র ঈসা মিথ্যা মাসিহকে হত্যা করবেন – সুতরাং এর ফলে মুমিন মাসিহ দ্বারা কাফির মাসিহ ধ্বংস হবে৷
পাশাপাশি, ঈসা (عليه السلام) হচ্ছেন সেই নবি যার ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে যে, তিনি নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) ব্যাপারে সুসংবাদ জানিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ্ বলেন, {'...এবং একজন রাসুলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, তার নাম আহমাদ’।} [আস সফ, ৬]
.
ইঞ্জিলেও একইরকম বর্ণিত হয়েছে।
সুতরাং, তিনি অবতরণ করার পর দেখবেন যে, যারা নিজেদেরকে তার অনুসরণকারী হিসেবে দাবি করতো – তারা কি তাঁর এই সুসংবাদ শ্রবণ করেছিলো? কিংবা তারা কি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কুফরি ও জিদের উপর অটল ছিলো?
_
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্।
-শাইখ আবু কাতাদাহ আল ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ্
.
আল্লাহ্ – মহামহিম – শেষ যামানায় আমাদের নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) পরিবর্তে ঈসাকে (عليه السلام) পাঠাবেন। কারণ আল্লাহ্ তায়ালা বলেন: {'…আর তোমার রব যা ইচ্ছা ও পছন্দ করেন তাই সৃষ্টি করেন। তাদের কোনো পছন্দের স্বাধীনতা নেই..'} [আল-কাসাস, ৬৮]
এবং এর পিছনে একটি হিকমাহ আছে। তা হলো, খ্রিষ্টান ও ইয়াহুদিরা ঈসাকে (عليه السلام) নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে। খ্রিষ্টানরা দাবি করে, তারা ঈসাকে (عليه السلام) হত্যা করেছে এবং আমাদের নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, শেষ যামানায় তিনি (ঈসা) অবতরণ করবেন। তিনি অবতরণ করলে আমরা এথেকে দুইভাবে উপকৃত হতে পারি,
.
প্রথমত, নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) বাণী সত্য এবং তিনি আখেরি নবি। তিনি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) তাঁর রবের পক্ষ হতে যা কিছু বলেন, সবই সত্য। কেননা এই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা সম্পর্কে তিনি আমাদের আগেই অবহিত করেছিলেন।
সুতরাং এ ঘটনার ফলে একথা সত্য প্রমাণিত হবে যে, নবি মুহাম্মাদ ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) আখেরি নবি। যদি তিনিই আবার অবতরণ করতেন তাহলে বাড়তি কোনো উপকার থাকতো না। কিন্তু যখন ঈসা (عليه السلام) অবতরণ করবেন এবং আমাদের নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) শরিয়াহ্ অনুসরণ করবেন ও সেই অনুযায়ি শাসনকার্য পরিচালনা করবেন এবং নিজ ও অন্যদের উপর এর অনুসরণকে অত্যাবশকীয় করবেন – শুধু তাই নয়, বরং প্রত্যাশিত মাহদির পিছনে সালাত আদায় করবেন – তখনই তা দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে যে, আমাদের নবি মুহাম্মাদ শেষ নবি ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) এবং তাঁর শরিয়াহর পর আর কোনো ওয়াহি (বা শরিয়াহ্) নাযিল হবে না এবং ঈসার অনুসারিরাও – এমনকি যাদের কাছে ইঞ্জিলের মূল বা অবিকৃত সংস্করণ আছে, তারাও – তা থেকে উপকার লাভের দাবি করতে পারবে না যেহেতু, স্বয়ং ঈসা (عليه السلام) নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) শরিয়াহ্ অনুসরণ করবেন।
.
দ্বিতীয়ত, খ্রিষ্টানরা ঈসার ব্যাপারে বানোয়াট মিথ্যা রটনা করতো।
ঈসা (عليه السلام) অবতরণের ফলে মাসিহ দাজ্জাল প্রকৃত মাসিহর হাতে খুন হবে। যেহেতু মারইয়াম পুত্র ঈসা মিথ্যা মাসিহকে হত্যা করবেন – সুতরাং এর ফলে মুমিন মাসিহ দ্বারা কাফির মাসিহ ধ্বংস হবে৷
পাশাপাশি, ঈসা (عليه السلام) হচ্ছেন সেই নবি যার ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে যে, তিনি নবির ( ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ) ব্যাপারে সুসংবাদ জানিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ্ বলেন, {'...এবং একজন রাসুলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, তার নাম আহমাদ’।} [আস সফ, ৬]
.
ইঞ্জিলেও একইরকম বর্ণিত হয়েছে।
সুতরাং, তিনি অবতরণ করার পর দেখবেন যে, যারা নিজেদেরকে তার অনুসরণকারী হিসেবে দাবি করতো – তারা কি তাঁর এই সুসংবাদ শ্রবণ করেছিলো? কিংবা তারা কি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের কুফরি ও জিদের উপর অটল ছিলো?
_
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্।
Comment