Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাশ্মীরই বোনের প্রার্থনা কি মঞ্জুর হয়ে গেলে!!!!!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাশ্মীরই বোনের প্রার্থনা কি মঞ্জুর হয়ে গেলে!!!!!!

    নাফিসা উমরের প্রার্থনা কি মঞ্জুর হয়ে গেল!?
    ********************************

    নাফিসা উমর। কাশ্মিরের এক মেয়ে। যার একটি দোয়া (প্রার্থনা)-র কথা উল্লেখ করেছেন সাংবাদিক অরবিন্দ মিশ্র। কাশ্মিরে লকডাউন ছিল দীর্ঘ সাতমাস। এটা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা কথা উঠতে থাকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন সাংসদকে এনে কাশ্মির পরিদর্শন করানো হয়। এর আয়োজন ও ব্যবস্থা করে ভারত সরকার। সেই পরিদর্শকদলের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় দেশের কয়েকজন 'বাছাই করা' সাংবাদিককে, যাতে কাশ্মির নিয়ে রিপোর্টিং করা হলেও তা যেন সরকারের প্রতিকূলে না যায়। সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন ইকোনমিক টাইমসের অরবিন্দ মিশ্র। কয়েকদিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওই কাশ্মির ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেটি ভাইরাল হয়। এখানে পেশ করলাম সেই ভাইরাল হওয়া পোস্টটির সম্পাদিত বঙ্গায়ন :

    শ্রীনগরের এক গলির মুখে একটি বাড়ির জানালায় দেখতে পাই এক পর্দানশীন মেয়েকে। মেয়েটি আওয়াজ দিতে আমি থেমে যাই। আমাকে দেখে বলেন, 'ভাইয়া ! আপনি বিলালের বন্ধু, দিল্লিতে থাকেন, তাই না?'
    আমি বললাম, হ্যাঁ।
    তখন মেয়েটি বললেন, 'বিলাল আপনার খুব তারিফ করে। বলে, আপনি খুব বুঝদার মানুষ। মানুষের দুঃখ বোঝেন। আমি নাফিসা উমর। বিলালের ফুফাতো বোন...'

    সময়ের স্বল্পতা বুঝে মেয়েটি তাড়াহুড়ো করে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তাঁর সেই কথাগুলো শুনে আমি কয়েকদিন ঘুমাতে পারিনি। আর সেই কথাগুলো আজ আপনাদের কাছে বলাটা জরুরি মনে করছি। নাফিসা বলেছিলেন :

    'যদি কোনো জায়গায় লাগাতার সাত মাস ধরে কারফিউ চলে,
    বাড়ি থেকে বের হওয়া দূরের কথা, বাইরে উঁকি দেওয়াও কঠিন হয়,
    এলাকাজুড়ে ৮–৯ লক্ষ সেনা মোতায়েন থাকে,
    ইন্টারনেট বন্ধ থাকে,
    মোবাইল বন্ধ থাকে,
    ল্যান্ডলাইন ফোনও বন্ধ থাকে,
    বাড়ি বাড়ি থেকে শিশু-যুবক-বৃদ্ধসহ হাজারো বেকসুরদের গ্রেফতার করা হয়ে থাকে,
    ছোট-বড় সমস্ত নেতাদের জেলবন্দি করা হয়ে থাকে,
    স্কুল-কলেজ-দপ্তর সব বন্ধ থাকে,
    তাহলে কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে মানুষ?
    তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে? অসুস্থদের অবস্থা কী হবে?
    এসব কথা ভাবার মতো কেউ নেই।
    যদি এলাকার জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ অবসাদে ভুগতে ভুগতে মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে পড়ে,
    বাচ্চারা আতঙ্কিত হয়ে থাকে,
    ভবিষ্যৎ থাকে অন্ধকারে,
    নির্যাতন-নিপীড়ন চরমে পৌঁছয়,
    আলোর কোনো রেখা দেখা না যায়,
    অবস্থা ভালো করার মতো কেউ যদি না থাকে
    এবং গোটা দুনিয়া চুপচাপ তামাশা দেখতে থাকে...'

    নাফিসা এরপর কাঁদতে কাঁদতে বলেন :

    'আমরা সব সহ্য করছি। যথেষ্ট সহ্য করছি। কিন্তু ওই সময় অন্তর কেঁদে ওঠে, মনটা বড়ো ছটফট করে, যখন শুনতে হয়, ওদিকের কিছু লোক বলে, ''ভালোই হয়েছে, ওদের সঙ্গে এরকমই হওয়া দরকার ছিল''! তবুও আমরা ওদের জন্য, কিংবা অন্য কারোর জন্যেও, কখনো বদদোয়া করিনি, অভিশাপ দিইনি। কারোর খারাপ চাইনি। শুধু একটাই দোয়া/প্রার্থনা করেছি, যাতে সমস্ত মানুষ এবং গোটা দুনিয়া আমাদের অবস্থা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারে। অরবিন্দ ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার প্রার্থনা খুব শীঘ্রই মঞ্জুর হবে।'

    এবার আমি জানতে চাইলাম, 'আপনি কী প্রার্থনা করেছেন, বোন?'

    তখন নাফিসা ডুকরে ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে যা বলেছিলেন—আমার কানে অনেক দিন বেজেছে—এখন চোখের সামনে দেখতেও পাচ্ছি—তাঁর ব্যথা অনুভব করার চেষ্টা করবেন, হুবহু তাঁর কথাগুলোই তুলে ধরছি :

    'ইয়া আল্লাহ ! যাকিছু আমাদের ওপর হচ্ছে তা যেন অন্য কারোর উপর না হয়, শুধু তুমি এমন একটা কিছু করে দাও যাতে গোটা পৃথিবী কিছুদিনের জন্য নিজেদের ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে বাধ্য হয়, সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায়। তাহলে হয়তো দুনিয়া এটা অনুভব করতে পারবে যে, আমরা বেঁচে আছি কেমন করে !'

    আজ আমরা সবাই যে যার ঘরে বন্দি। আমার কানে নাফিসার সেই কথাগুলো যেন বাজছে—

    'ভাইয়া, আপনি দেখে নেবেন, আমার দোয়া খুব শীঘ্রই কবুল হবে...!'

    (কপি:ফেসবুক)

  • #2
    আহ বোনটি, কত বেদনার্ত তোমার কথামালা! কতইনা কঠিন তেমাদের বিপদ-মসিবত! আমরা কাপুরুষরা যদি বেঁচে না থাকতাম তোমাদের এই অবস্থা নীরবে অবলোকন করতে!...
    যদি জন্মই না হতো আমাদের!...
    হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

    Comment


    • #3
      সুবহানাল্লাহ!!! ঘটনা বাস্তব হয়ে থাকলে তো দু’আটি হুবহু কবুল হয়েছে।

      Comment


      • #4
        দূর্বলদের সাহায্য এটা কুরআনের শিক্ষা নয় কি?
        এটা হাদিসের শিক্ষা নয় কি?

        আসুন !দেখি এব্যাপারে আল্লাহর বাণী কি?
        আল্লাহ তাআলা বলেন
        সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৭৫

        وَمَا لَكُمْ لَا تُقَٰتِلُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلْوِلْدَٰنِ ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ ٱلْقَرْيَةِ ٱلظَّالِمِ أَهْلُهَا وَٱجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَٱجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا


        অর্থঃ আর তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান করো; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
        ( বিশ্বব্যাপী মুসলমানগণ তাদের দায়িত্ব অর্থাৎ ক্বিতাল ছেড়ে দেওয়া, ভূলে যাওয়া ও ঘৃণার পাত্র বানানোর পর যখন বিভিন্নস্থানে মুসলমানদের উপর নির্যাতন শুরু হল , আর দূর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা আল্লাহ তাআলার দরবারে " ওলী ও নাসির " চাওয়া শুরু করল , ঐসময় উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মুসলমানের দায়িত্ব ছিল তাদের সহযোগিতা করা। উভয় গ্রুপ তারাতো সহযোগিতা করেইনি।
        বরং মুজাহিদরা যখন "ওলী ও নাসিরের " কাজগুলো করতে লাগল, ঐসময় ইয়াহুদ, খৃষ্টান অর্থাৎ সকল বিধর্মী তাদেরকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, জি এম বি, নানান ধরনের কুৎসা রটাতে লাগল, এদের সাথে দরদ দেখাতে গিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাজা বাদশারা তাদের হাতে হাত মিলিয়ে, তাদের সুরে সুর মিলিয়ে তারাও মুজাহিদদেরকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন ভাবে মন্দ বলতে লাগল। ক্ষমতাশীলদের খুশি করতে সম্মানিত উলামায়ে কেরাম ও তাদের সুরে সুর মিলাল।
        "ওলী ও নাসির " এদের সহযোগিতার জন্য আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন সহযোগী বাকি রইল না । একারণেই আল্লাহ তাআলা তার কোটি কোটি গুন ভাইরাস হতে তাদের সহযোগিতার জন্য মাত্র একটি ভাইরাস প্রেরণ করেছেন।
        আর এর কারনেই আজ সারা বিশ্ব নিরব ও নিস্তব্ধ।

        "বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ "
        হে উলামায়ে কেরাম!
        " বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ " এর ব্যপারে আপনাদের মতামত কি?
        এটি আল্লাহর পক্ষ হতে গজব নয় কি?

        এখনো সময় আছে আজই আল্লাহর দরবারে তাওবা করে উক্ত আয়াতের উপর আমল শুরু করুন।
        হাতে তরবারি নিন। বিভিন্নভাবে মুজাহিদদের সহযোগিতা করুন।
        দূর্বল পুরুষ, নারী, শিশুদের পাশে দাঁড়ান আল্লাহ তাআলা " বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ "
        সত্তরই দূর করে দিবেন ইনশা'আল্লাহ।
        হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলের হিদায়েত নসীব কর। আমিন।

        মানুষ মৃত্যু হতে বাঁচার চেষ্টা করে, অথচ তা সম্ভব নয়, ইচ্ছা করলে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারে কিন্তু তা করে না।"

        Comment


        • #5
          আহঃ বোন আমার!! আপনার দোয়া বাস্তবে কতইনা মিল,
          হে আল্লাহ্ মুসলিম উম্মাহকে হেফাযত করুন,
          মিডিয়ার ভাইদের নিরাপদ রাখুন আমিন।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তাআলা হয়তো এই বোনের দোআ ই কবুল করেছেন তাই তিনি পূরো বিশ্ববাসীকে এখন ঘরবন্দি করে রেখেছেন৷ বোনটি বলেছিল মানুষ যেন সামান়্য হলেও তাদের কষ্ট টা অনুভব করতে পারে৷

            Comment


            • #7
              এটি শুধু নাফিসা উমারের প্রার্থনা নয়, এটি প্রত্যেক মুসলিম কাশ্মীরীর প্রার্থনা। কাশ্মীরের মুসলিমদের উপর লাগা প্রতিটা আঘাত আমাদেরই উপর আঘাত। ইয়া আল্লাহ! জালিম মালাউন মুশরিকদের গুনে গুনে হত্যা করুন।
              মুসলিম উম্মাহ তো জিহাদের উম্মাহ!

              Comment


              • #8
                হে বোন ...। আমরা আপনার আর্তনাদগুলো আজও বুঝতে পারছিনা । আজ হয়ত আমাদের রব আপনার আর্তনাদ কবুল করেছেন , তাই আজ আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে তার সামান্য এক্তটু উপলব্দি করার জন্য করোনা ভাইরাস নামক মহামারী দিয়েছেন । আল্লাহ আপনি আমাদের কে ক্ষমা করে দিন, আমিন...।
                হয় শাহাদাহ না হয় বিজয়!

                Comment


                • #9
                  পোস্টটি পরে চোখের অশ্রু প্রবাহিত হয়েছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। জানি না, আল্লাহ্ তার দোয়ার অংশীদার বানিয়ে নেন কি না। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, আশ্রয় চাই। আল্লাহ্ আমাদের হিদায়াত দান করুন, একদেহসম মুসলিমদের অন্তরাত্মা জাগিয়ে তুলুন। আলোর দিশা দিন। যথোপযুক্ত কর্মপন্থা অবলম্বনের তাওফীক্ব দান করুন। আমীন ইয়া আরহামার রাহিমীন।

                  Comment

                  Working...
                  X