Announcement

Collapse
No announcement yet.

সূরা কা’হফ এর শিক্ষা এবং পাঠের ফযীলাতঃ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সূরা কা’হফ এর শিক্ষা এবং পাঠের ফযীলাতঃ

    সূরা কা’হফ এর শিক্ষা এবং পাঠের ফযীলাতঃ

    এই সূরাটিতে মোট চারটি শিক্ষণীয় ঘটনা আছে, প্রতিটি ঘটনাতেই আছে বুদ্ধিমান লোকদের জন্য উপদেশ। আসুন সেই ঘটনাগুলো ও তার শিক্ষাগুলো কি জানার চেষ্টা করিঃ

    ১) গুহাবাসী যুবকদের ঘটনাঃ সূরার শুরুতেই সেই গুহাবাসী যুবকদের ঘটনার বর্ণণা দেয়া হয়েছে যারা এমন একটি জনপদে বসবাস করত যার অধিবাসীরা ছিল অবিশ্বাসী ও সীমালংঘনকারী। কাজেই যুবকেরা সেই নষ্ট সমাজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, ‘এদের সাথে আর নয়’। তারা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও আল্লাহর দীনের প্রতি ভালোবাসা থেকে উজ্জিবীত হয়ে সেখান থেকে হিজরত করলেন। আল্লাহ তাদেরকে গুহাতে আশ্রয় দিলেন এবং সূর্যালোক থেকে নিরাপদে রাখলেন। বহু বছর পর যখন তাদের ঘুম ভাঙ্গলো তাঁরা দেখলেন সেই জনপদের অবিশ্বাসী লোকেরা বিদায় নিয়েছে এবং ভালো লোকদের দ্বারা মন্দ লোকেরা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

    শিক্ষাঃ ঈমানের উপর পরীক্ষা।

    ২) দুইটি বাগানের মালিক ব্যক্তির ঘটনাঃ একজন লোক যাকে আল্লাহ দুইটি প্রাচুর্যময় সুন্দর বাগান দিয়ে ধন্য করেছিলেন, কিন্তু লোকটি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে গেল এমনকি পরকালের অস্তিত্ব সম্পর্কে আল্লাহর ওয়াদার উপর সন্দেহ পোষণ করল। কাজেই, এই অকৃতজ্ঞ লোকটির বাগানকে আল্লাহ তায়ালা বিরান করে দিলেন-সে অনুতপ্ত হল, কিন্তু ইতোমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং তার এই অসময়ের অনুশোচনা তার কোন উপকারে আসল না।

    শিক্ষাঃ সম্পদের উপর পরীক্ষা।

    ৩) খিজির ও মুসা আলাইহি সালাম এর ঘটনাঃ যখন মূসা আলাইহি সালামের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “এই পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে?” তিনি উত্তর করেছিলেন, “আমি” কিন্তু আল্লাহ তাঁর কাছে উন্মোচন করে দিলেন যে, এমন এক ব্যক্তি আছেন যাকে আল্লাহ তাঁর চেয়েও বেশি জ্ঞান দান করেছেন। মুসা আলাইহি সালাম সেই ব্যক্তির সাথে ভ্রমণ করলেন এবং দেখলেন, শিখলেন কিভাবে অনেক সময় আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞানের কারণে এমন অনেক ঘটনা ঘটান যেগুলো আমাদের চোখে খারাপ বলে মনে হয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেগুলো মানুষের ভালোর জন্যেই করা হয়।

    শিক্ষাঃ জ্ঞানের উপর পরীক্ষা।

    ৪) যুলকারনাইনঃ এটা সেই ক্ষমতাধর বাদশাহর ঘটনা যাকেএকই সাথে জ্ঞান এবং ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিল এবং তিনি সেই উভয় দানের শুকরিয়াস্বরুপ মানুষের উপকারে এবং কল্যাণে তা ব্যয় করতেন। তিনি জনপদের লোকদের ইয়াজুজ মাজুজ এর সমস্যার সমাধান করে দিলেন এবং একটি বিশাল প্রাচীর নির্মাণ করে দিলেন।

    শিক্ষাঃ ক্ষমতার উপর পরীক্ষা।

    আসুন, এবারে জেনে নেয়া যাক, সূরা কাহাফ এবং দাজ্জালের মধ্যে কিসের সম্পর্ক?

    দাজ্জাল আবির্ভুত হবে শেষ সময়ে কিয়ামতের একটি বড় লক্ষণ হিসেবে, সে এই চারটি ফিতনা একত্রে নিয়ে আসবেঃ

    ক) সে মানুষকে আদেশ করবে যেন আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার ইবাদত করে ঈমানের উপর পরীক্ষা।

    থ) তাকে বৃষ্টি বর্ষণ/ অনাবৃষ্টি সৃষ্টির ক্ষমতা দেয়া হবে এবং সে মানুষকে তার সম্পদ দিয়ে লোভ দেখাবে সম্পদের উপর পরীক্ষা।

    গ) সে মানুষকে পরীক্ষায় ফেলে দিবে তার ‘জ্ঞান’ এবং নানারকম সংবাদ প্রদান করে জ্ঞানের উপর পরীক্ষা।

    ঘ) সে পৃথিবীর এক বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করবে ক্ষমতার উপর পরীক্ষা।


    এই সূরায় বর্ণিত আসহাফে কাহাফের ঘটনায় আরো যে সমস্ত শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছেঃ

    ১) তাওহীদকে মেনে নেওয়া মানুষের ফিতরাতি তথা সৃষ্টিগত স্বভাব। অর্থাৎ কোন মানুষকে যদি তার স্বভাজাত ধর্মের উপর ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাইরের কোন গোমরাহ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাকে বিভ্রান্ত না করে, তাহলে সে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দিবে, তারই এবাদত করবে এবং তাঁর এবাদতে অন্য কিছুকে শরীক করবে না। যেমনটি হয়েছেলি ঘটনায় বর্ণিত যুবকদের ক্ষেত্রে।

    ২) পৃথিবীতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠায় যুবকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ৩) মূর্তি পূঁজা, অলী-আওলীয়াদের পূঁজা এবং শির্কের পক্ষে কোন দলীল নেই।

    ৪) প্রয়োজনে সত্য গোপন করা জায়েয আছে। কিন্তু তা সকল সময়ের জন্য নয়।

    ৫) সাহসের সাথে তাওহীদের বাণী প্রকাশ্যে প্রচার করা জরুরী।

    ৬) নিজ দেশে দ্বীন পালন করতে গিয়ে ফিতনার ভয় থাকলে দ্বীন নিয়ে পলায়ন করা আবশ্যক।

    ৭) আসহাবে কাহাফের ঘটনা আল্লাহর বিশেষ একটি বড় নিদর্শন। তবে তার চেয়েও বড় নিদর্শন হচ্ছে, আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্যের সৃষ্টি এবং দিবা রাত্রির আগমণ ও প্রস্থান।

    ৮) বিপদাপদে একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করা এবং তাঁর দয়া কামনা করা জরুরী।

    ৯) কোন মতবাদ, মাজহাব ও আমল গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কারও অন্ধ অনুসরণ না করে দলীল অনুসন্ধান করা জরুরী।

    ১০) আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দাদের খেদমতের জন্য বড় বড় মাখলুককে বাধ্য করেন।

    ১১) একজন দাঈ প্রয়োজনে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। বিশেষ করে যখন তাঁর পিছনে শত্রুরা ষড়যন্ত্র শুরু করে।

    ১২) সুখে-দুঃখে হালাল রুজী অনুসন্ধান করা জরুরী।

    ১৩) চিন্তা ও গবেষণা করে কুরআন ও কুরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলো অধ্যয়ন করা উচিৎ।

    ১৪) বিনা প্রয়োজনে মতভেদ করা অর্থহীন। যেমন গুহাবাসীদের নাম, কুকুরটির নাম ও তার রং সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করে কোন লাভ নেই।

    ১৫) ভবিষ্যতে কোন কাজ করতে ইচ্ছা করলে প্রথমে ইনশা-আল্লাহ্ বলতে হেব।

    ১৬) প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সত্যের উপর অবিচল থাকার গুরুত্ব অপরিসীম।

    ১৭) আসহাবে কাহাফের স্থান ও কাল কুরআন ও সহীহ হাদীছে উল্লেখ করা হয় নি। সুতরাং তা খুঁজে বেড়ানোতে আমাদের কোন লাভ নেই। ঘটনাটি ঐ প্রকার গায়েবের অন্তর্ভূক্ত, যা আল্লাহ তাআলা তাঁর নবীকে জানিয়েছেন। তবে তার স্থান ও কাল আমরা জানতে পারি নি।

    ১৮) নবী সাল্লাল্লাহু গায়েবের সকল খবর জানতেন না। যদি জানতেন, তাহলে অহীর অপেক্ষায় না থেকে প্রশ্ন করার সাথে সাথেই তাদেরকে ঘটনাটি বলে দিতেন।

    ১৯) আসহাবে কাহাফগণ যে গুহায় অবস্থান করেছিলেন তাও গায়েবের অন্তর্ভূক্ত। এর ঠিকানা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেন না। কেউ যদি এর স্থান নির্দিষ্ট করে বলে সে আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনাকারীর অন্তর্ভূক্ত হবে।

    ২০) কারামতে আওলীয়া সত্য। তাতে বিশ্বাস করা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদাহর অন্তর্ভূক্ত।

    ২১) তাওহীদ ও শির্কের মধ্যে পার্থক্য করার যোগ্যতা অর্জন করা জরুরী। অন্যথায় তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা সম্ভব নয়।

    ২২) তিন শত নয় বছর পর তাদেরকে জীবিত করা এটাই প্রমাণ করে যে মৃত্যুর পর পুনরুত্থান সত্য, কিয়ামত সত্য। এতে কোন সন্দেহ নেই।

    ২৩) রূহ এবং দেহ উভয়েরই পুনরুত্থান হবে। কেননা আসহাবে কাহাফগণ এভাবেই জীবিত হয়েছিলেন।

    ২৪) রক্তের সম্পর্কের চেয়ে ঈমানের সম্পর্ক অধিক মজবুত হওয়া আবশ্যক। ঘটনায় বর্ণিত যুবকদের মধ্যে রক্তের কোন সম্পর্ক না থাকলেও ঈমান ও তাওহীদের বন্ধনে তারা আবদ্ধ হয়ে একই পথের পথিক হয়ে যান।

    ২৫) হেদায়াত আল্লাহর পক্ষ হতে তাঁর বান্দার প্রতি বিরাট একটি নেয়ামত। বান্দার উচিত সর্ব অবস্থায় আল্লাহর কাছে হেদায়াত প্রার্থনা করা।

    ২৬) ঘরের মধ্যে কুকুর রাখা নিষিদ্ধ। তাই কুকুরটিকে গুহার বাইরে রাখা হয়েছিল।

    ২৭) ভাল লোকের সঙ্গে থাকলে ভাল বলে হওয়া যায় এবং ভাল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া যায়। কুকুরটি তাদের সাথে থাকার কারণে কুরআনে তার নাম উল্লেখিত হয়েছে। অপর পক্ষে অসৎ লোকের সঙ্গে থাকলে অসৎ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে নিরাপদ নয়।

    ২৮) কবরের উপর মসজিদ বা গম্বুজ নির্মাণ করা আমাদের শরীয়তে নিষিদ্ধ।

    ২৯) বাতিল পন্থীরা সন্দেহ এবং অনুমানের অনুসরণ করে থাকে। সঠিক কোন দলীল তাদের হাতে নেই।

    ৩০) বয়স বৃদ্ধি হলে এবং অভিজ্ঞতা দীর্ঘ হলেই মানুষ জ্ঞানী হয়ে যায় না। এই যুবকগণ বয়সে কম হলেও তারা সত্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছেন। অথচ সেই জাতির মধ্যে অসংখ্য বয়স্ক ও অভিজ্ঞ লোক থাকা সত্ত্বেও সঠিক পথের সন্ধান পায় নি।

    ৩১) এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে সূর্য চলমান; স্থির নয়। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডানদিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়।

    ৩২) প্রহরী হিসেবে কুকুর প্রতিপালন করা জায়েয আছে।

    ৩৩) কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে তা আল্লাহর দিকে সোপর্দ করে বলতে হবে আল্লাহই ভাল জানেন।

    ৩৪) আল্লাহ কখনও দ্বীনের দাঈদের ঈমানী শক্তি পরীক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে শত্রুদেরকে শক্তিশালী করে দেন। তখন দাঈদের উচিত ধৈর্য ধারণ করা।

    ৩৫) তারা সংখ্যায় ছিলেন সাত জন। কারণ আল্লাহ তাআলা প্রথম দু’টি সংখ্যার প্রতিবাদ করে তৃতীয়টির ক্ষেত্রে কিছুই বলেন নি। এতে বুঝা গেল শেষ সংখ্যাটিই সঠিক।

    ৩৬) যে ব্যক্তি ফতোয়া দেয়ার যোগ্য নয়, তার কাছে ফতোয়া চাওয়া ঠিক নয়।

    সূরা কা’হফ পাঠের ফযীলাতঃ

    ১. হযরত আবুদারদা থেকে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে” (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মুসনাদে আহমদ)

    ২. হযরত সাহল ইবনে মুয়াজ থেকে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলি পাঠ করে, তার জন্য তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ পাঠ করে, তার জন্য যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।” (মুসনাদে আহমদ) অন্য বরণায় আছে, “যে ব্যক্তি শুক্রবার সূরা কাহফ তেলাওয়াত করে, তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কিয়ামতের দিন আলো দেবে এবং বিগত জুমা থেকে এই জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।” (ইমাম ইবনে কাসির এই রেওয়াতটিকে মওকুফ বলেছেন)

    ৩. হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ যে জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয়, তবে সে তার ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।” (হাফেজ জিয়া মুকাদ্দাসী ‘মুখতারাহ’)

    ৪. হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ “সূরা কাহফ সম্পূর্ণটুকু এক সময়ে নাযিল হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা এর সঙ্গে আগমন করেছেন, এতে এর মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়।” (রুহুল মা’আনী)

    আসুন আমরা সূরা কাহাফের শিক্ষা গ্রহণ করি এবং সাপ্তাহে একদিন শুক্রবার সূরা কা’হফ পাঠের অভ্যাস গড়ি, এবং এর সাওয়াব অর্জনে সচেষ্ট হয়।


  • #2
    ইনশাআল্লাহ

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, অনেক উপকারী পোস্ট, আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!!!
      Said al hindi

      Comment


      • #4
        ماشاءالله جزاكم الله احسن الجزاء....

        Comment


        • #5
          عَنْ زَيدِ بنِ خَالِدٍ قَالَ : صَلَّى بِنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ صَلاَةَ الصُّبْحِ بِالحُدَيْبِيَّةِ فِي إِثْرِ سَمَاءٍ كَانَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ هَلْ تَدْرُونَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ ؟ قَالَوا : اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ قَالَ قَالَ : أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ فَأَمَّا مَنْ قَالَ : مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللهِ وَرَحْمَتِهِ فَذٰلِكَ مُؤْمِنٌ بِي كَافِرٌ بِالكَوْكَبِ وَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا بِنَوءِ كَذَا وَكَذَا فَذٰلِكَ كَافِرٌ بِي مُؤْمِنٌ بِالكَوْكَبِ متفق عليه৩০০৪) যায়েদ ইবনে খালেদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা হুদাইবিয়াতে রাতে বৃষ্টি হলে আমাদেরকে ফজরের নামায পড়ানোর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকলের দিকে মুখ করে বসে বললেন, তোমরা জান কি, তোমাদের প্রতিপালক কী বলেন? সকলে বলল, ‘আল্লাহ ও তদীয় রসূল ভাল জানেন।’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাদের মধ্যে কিছু বান্দা মু’মিন হয়ে ও কিছু কাফের হয়ে প্রভাত করেছে। সুতরাং যে ব্যক্তি বলেছে যে, ‘আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায় আমাদের উপর বৃষ্টি হল’, সে তো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী (মু’মিন)ও নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী (কাফের)। আর যে ব্যক্তি বলেছে যে, ‘অমুক অমুক নক্ষত্রের ফলে আমাদের উপর বৃষ্টি হল’, সে তো আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসী (কাফের) এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাসী (মু’মিন)। সুতরাং নক্ষত্রের কারণে বৃষ্টি হয়েছে বলা যেমনি ভাবে কুফরি তেমনি ভাবে দাজ্জালের কারণে অর্থাৎ দাজ্জাল বৃষ্টি দিয়েছে তাও বলা কুফরি এবং আল্লাহ তায়ালা বলেন
          [21] وَإِن مِن شَيءٍ إِلّا عِندَنا خَزائِنُهُ وَما نُنَزِّلُهُ إِلّا بِقَدَرٍ مَعلومٍ
          [21] আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি নির্দিষ্ট পরিমানেই তা অবতরণ করি। এবং তিনি আরো বলেন
          [12] لَهُ مَقاليدُ السَّمٰوٰتِ وَالأَرضِ ۖ يَبسُطُ الرِّزقَ لِمَن يَشاءُ وَيَقدِرُ ۚ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيءٍ عَليمٌ
          [12] আকাশ ও পৃথিবীর চাবি তাঁর কাছে। তিনি যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করেন এবং পরিমিত করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী।তাই কুফরি বাক্য উচ্চারণ করতে সাবধান কারণ এতে অন্তরে কুফরি প্রবেশের অধিক সম্ভাবনা রয়েছে।

          Comment


          • #6
            থ) তাকে বৃষ্টি বর্ষণ/ অনাবৃষ্টি সৃষ্টির ক্ষমতা দেয়া হবে এবং সে মানুষকে তার সম্পদ দিয়ে লোভ দেখাবে সম্পদের উপর পরীক্ষা। যেহেতু উক্ত উক্তির পূর্বে
            ((দাজ্জাল আবির্ভুত হবে শেষ সময়ে কিয়ামতের একটি বড় লক্ষণ হিসেবে, সে এই চারটি ফিতনা একত্রে নিয়ে আসবেঃ)) এই উক্তিটি যোগ করে দিয়েছেন যেটি আমি পূর্বে লক্ষ্য করতে পারি নি তাই এটি তার প্রকৃত অর্থ থেকে স্মরে গিয়েছে তাই এটি তার আসল অর্থ প্রদান করে না তাই এটি শিরিক হবে না অন্যথায় শিরিক হত ।তাই আমি দুঃখিত।

            Comment


            • #7
              অর্থাৎ উক্ত উক্তি কে যেহেতু আগেই ফেতনা হিসেবে বলে দিয়েছেন তাই বুঝিয়েছেন এগুলো মূলত প্রকৃত অবস্থা না এর প্রকৃত অবস্থা হল এসব কিছু আল্লাহই করেছেন অন্য কেউ করছে না তাই বিষয়টি শিরিক হবে না।তাই আমি দুঃখিত আমি বিষয়টি আগে লক্ষ্য করতে পারিনি।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আপনার ইলমে বারাকাহ দিন। আমিন।
                لن تركع أمة قائدها محمد (صلى الله عليه و سلم)

                Comment


                • #9
                  জাযাকাল্লাহ ভাই,
                  আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। আমিন

                  Comment

                  Working...
                  X