বিষয়ঃ সত্যিকারের খারেজি কারা❓
আমরা যখন বলি
'হাসিনা খালেদা,এরদোগান বা তথাকথিত 'মুসলিম দাবিদার তাগুত শাসকের বিরুদ্ধে কিতাল করে শরীয়াহ কায়েম করতে,
তখন একশ্রেণির আহলে ইলমগন আমাদেরকে বলে থাকেন
'আমরা নাকি খারেজী।
কারণ'
ইমাম আবু হানিফা রাহিঃ
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহিঃ এনাদের সময়কার শাসকরাও তাদেরকে বন্দী করেছে,
শাস্তি দিয়েছে তবুও তারা শাসকের বিরুদ্ধে উম্মাহকে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেননি।
এমনকি আফ্রিকার বিজেতা
'মুসা বিন নুসাইরকে যখন বন্দী করা হয় তখনও তিনি সেই জালিম শাসকের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করেননি।
অথচ,
তোমরা এই যুগে শাসকদের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহের দিকে মানুষকে ডাকছো, আর এটাইহলো
'খাওয়ারেজদের আলামত।
এই অভিযোগগুলো একশ্রেণীর আহলে ইলমদের পক্ষ থেকে আমাদের উপর পেশ করা হয়েছে।
আমরা এখানে সামান্য কিছু কথা বলবো—
১) আবু হানিফার মতে জালিম শাসকের বিরুদ্ধে জবান দিয়ে প্রতিবাদ করতেই হবে
যদি তারা না থেমে যায় তাহলে তরবারি দ্বারা তাদেরকে প্রতিহত করা আবশ্যক,
(এখানে কাফের তো দূরের কথা,জালিম হলেই আবু হানিফাহ এই মত পোষণ করেছেন)
২) ইমাম আবু বকর আল-জাসসাস রাহিঃ এর—ও একই মত,
কোন শাসক জালিম হলে তার নেতৃত্বই থাকেনা,
আবু হানিফা ও আবু বকর আল-জাসসাস রাহিঃ এর একই মত,
—দেখুন
দলিল-
('আহকামুল কুরআন
/১ম খন্ড-৮৫ পৃষ্ঠা)
হ্যাঁ আমরা বলি যে,
আবু হানিফা ও আবু বকর আল-জাসসাস রাহিঃ
এনাদের মত এটা হলেও জমহুরের মত এটার ভিন্ন।
কিন্তু আমরা উল্লেখ করলাম শুধু দেখানোর জন্য যে,
আমাদের বিরুদ্ধাচারণরত আহলে ইলমগন আবু হানিফা রাহিঃ এর নামে কি জেনেশুনেই মিথ্যা প্রচার করছে? নাকি তারা জানেই না??
৩) আমরা কোন জালিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে বলিনা।
কারণ দেখুন-
“তদানিন্তন সময়ের শাসকরা 'শরীয়াহ দিয়ে দেশ পরিচালনা করতো,
কিন্তু কিছুটা জুলুম করতো আর কিছু ক্ষেত্রে শরীয়াহ কায়েমে শিথিলতা দেখাতো”
এগুলোকে আমরা কখনই কুফর বলিনি আর বলবোওনা।
তবে বর্তমান যুগের শাসকরা কি তাদের মত?
☞ এরা মদের লাইসেন্স দিয়েছে,
☞ সুদের লাইসেন্স দিয়েছে,
☞ বেশ্যাবৃত্তির লাইসেন্স দিয়েছে,
☞ চোরের হাত কাটার বিধান সম্পূর্ণ বাতিল করেছে,
☞ জিনার বিধান সম্পূর্ণ বাতিল করেছে,
☞ সলাতকে আবশ্যিক করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকছে,
☞ পর্দার বিরুদ্ধে পূর্ণ অবস্থান নিয়েছে,
☞ গনতন্ত্র গ্রহন করেছে,
☞ ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহন করেছে,
☞ জাতীয়তাবাদ গ্রহন করেছে,
☞ কুফফারদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন করেছে,
☞ কোরআন ও সুন্নাহকে ছুড়ে মেরেছে,
☞ পর্দা নিয়ে কটুক্তি করেছে,
☞ হিন্দুধর্মের ধর্মীয় বিষয়ে সন্তুষ্টচিত্তে অংশগ্রহণ এবং
☞ কুফরের সাথে ঐক্যতা দেখানো, ☞ মুজাহিদেরকে তিরস্কার করা,
☞ জিহাদকে অবজ্ঞা করা,
☞ জিহাদের কিতাবকে অবজ্ঞা করে কোরআনের আয়াতকে অস্বীকার,
☞ মুজাহিদের বিরুদ্ধে গিয়ে কুফফারদের পক্ষাবলম্বন করা,
☞ বিধাণের ক্ষেত্রে আল্লাহর হকে হস্তক্ষেপ করা
(নাউজুবিল্লাহ)
এরকম আরো অনেক কুফর রয়েছে যা স্পষ্ট
আর আগের যুগের শাসকরা এমন ছিলইনা,
তাহলে কেন তাদের সাথে এদেরকে মিলানো হবে?
সুতরাং এর কারণেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি,,
এগুলো স্পষ্ট হওয়ার পরেও যদি কেউ আমাদেরকে খারেজি বলে,চরমপন্থী বলে,
আমাদেরকে তিরস্কার করে তাহলে আমরা আমাদের বিরুদ্ধাচারণ কারীদেরকে বলবো
হে ভাই!
নিজের কাজের উপর শুধু তুমি আফসোসই করতে পারো,
তাতে আমাদের আর কিছু আসবেও না আর যাবেওনা,
কথাগুলো অগোছালো, আরো অনেক কথা ও ব্যথা চেপে রেখে আজ এখানেই রাখছি,
আপনাদের নেক দেয়ায় স্মরণ রাখবেন ইনশাআল্লাহ,
—————————
✍️ এক মুওয়াহিদ
আমরা যখন বলি
'হাসিনা খালেদা,এরদোগান বা তথাকথিত 'মুসলিম দাবিদার তাগুত শাসকের বিরুদ্ধে কিতাল করে শরীয়াহ কায়েম করতে,
তখন একশ্রেণির আহলে ইলমগন আমাদেরকে বলে থাকেন
'আমরা নাকি খারেজী।
কারণ'
ইমাম আবু হানিফা রাহিঃ
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রাহিঃ এনাদের সময়কার শাসকরাও তাদেরকে বন্দী করেছে,
শাস্তি দিয়েছে তবুও তারা শাসকের বিরুদ্ধে উম্মাহকে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেননি।
এমনকি আফ্রিকার বিজেতা
'মুসা বিন নুসাইরকে যখন বন্দী করা হয় তখনও তিনি সেই জালিম শাসকের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করেননি।
অথচ,
তোমরা এই যুগে শাসকদের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহের দিকে মানুষকে ডাকছো, আর এটাইহলো
'খাওয়ারেজদের আলামত।
এই অভিযোগগুলো একশ্রেণীর আহলে ইলমদের পক্ষ থেকে আমাদের উপর পেশ করা হয়েছে।
আমরা এখানে সামান্য কিছু কথা বলবো—
১) আবু হানিফার মতে জালিম শাসকের বিরুদ্ধে জবান দিয়ে প্রতিবাদ করতেই হবে
যদি তারা না থেমে যায় তাহলে তরবারি দ্বারা তাদেরকে প্রতিহত করা আবশ্যক,
(এখানে কাফের তো দূরের কথা,জালিম হলেই আবু হানিফাহ এই মত পোষণ করেছেন)
২) ইমাম আবু বকর আল-জাসসাস রাহিঃ এর—ও একই মত,
কোন শাসক জালিম হলে তার নেতৃত্বই থাকেনা,
আবু হানিফা ও আবু বকর আল-জাসসাস রাহিঃ এর একই মত,
—দেখুন
দলিল-
('আহকামুল কুরআন
/১ম খন্ড-৮৫ পৃষ্ঠা)
হ্যাঁ আমরা বলি যে,
আবু হানিফা ও আবু বকর আল-জাসসাস রাহিঃ
এনাদের মত এটা হলেও জমহুরের মত এটার ভিন্ন।
কিন্তু আমরা উল্লেখ করলাম শুধু দেখানোর জন্য যে,
আমাদের বিরুদ্ধাচারণরত আহলে ইলমগন আবু হানিফা রাহিঃ এর নামে কি জেনেশুনেই মিথ্যা প্রচার করছে? নাকি তারা জানেই না??
৩) আমরা কোন জালিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে বলিনা।
কারণ দেখুন-
“তদানিন্তন সময়ের শাসকরা 'শরীয়াহ দিয়ে দেশ পরিচালনা করতো,
কিন্তু কিছুটা জুলুম করতো আর কিছু ক্ষেত্রে শরীয়াহ কায়েমে শিথিলতা দেখাতো”
এগুলোকে আমরা কখনই কুফর বলিনি আর বলবোওনা।
তবে বর্তমান যুগের শাসকরা কি তাদের মত?
☞ এরা মদের লাইসেন্স দিয়েছে,
☞ সুদের লাইসেন্স দিয়েছে,
☞ বেশ্যাবৃত্তির লাইসেন্স দিয়েছে,
☞ চোরের হাত কাটার বিধান সম্পূর্ণ বাতিল করেছে,
☞ জিনার বিধান সম্পূর্ণ বাতিল করেছে,
☞ সলাতকে আবশ্যিক করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকছে,
☞ পর্দার বিরুদ্ধে পূর্ণ অবস্থান নিয়েছে,
☞ গনতন্ত্র গ্রহন করেছে,
☞ ধর্মনিরপেক্ষতা গ্রহন করেছে,
☞ জাতীয়তাবাদ গ্রহন করেছে,
☞ কুফফারদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন করেছে,
☞ কোরআন ও সুন্নাহকে ছুড়ে মেরেছে,
☞ পর্দা নিয়ে কটুক্তি করেছে,
☞ হিন্দুধর্মের ধর্মীয় বিষয়ে সন্তুষ্টচিত্তে অংশগ্রহণ এবং
☞ কুফরের সাথে ঐক্যতা দেখানো, ☞ মুজাহিদেরকে তিরস্কার করা,
☞ জিহাদকে অবজ্ঞা করা,
☞ জিহাদের কিতাবকে অবজ্ঞা করে কোরআনের আয়াতকে অস্বীকার,
☞ মুজাহিদের বিরুদ্ধে গিয়ে কুফফারদের পক্ষাবলম্বন করা,
☞ বিধাণের ক্ষেত্রে আল্লাহর হকে হস্তক্ষেপ করা
(নাউজুবিল্লাহ)
এরকম আরো অনেক কুফর রয়েছে যা স্পষ্ট
আর আগের যুগের শাসকরা এমন ছিলইনা,
তাহলে কেন তাদের সাথে এদেরকে মিলানো হবে?
সুতরাং এর কারণেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি,,
এগুলো স্পষ্ট হওয়ার পরেও যদি কেউ আমাদেরকে খারেজি বলে,চরমপন্থী বলে,
আমাদেরকে তিরস্কার করে তাহলে আমরা আমাদের বিরুদ্ধাচারণ কারীদেরকে বলবো
হে ভাই!
নিজের কাজের উপর শুধু তুমি আফসোসই করতে পারো,
তাতে আমাদের আর কিছু আসবেও না আর যাবেওনা,
কথাগুলো অগোছালো, আরো অনেক কথা ও ব্যথা চেপে রেখে আজ এখানেই রাখছি,
আপনাদের নেক দেয়ায় স্মরণ রাখবেন ইনশাআল্লাহ,
—————————
✍️ এক মুওয়াহিদ
Comment