Announcement

Collapse
No announcement yet.

কারা ইমাম মাহদির সঙ্গ দিবেন?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কারা ইমাম মাহদির সঙ্গ দিবেন?

    কারা ইমাম মাহদির সঙ্গ দিবেন?
    ---------------------------------------------

    মুখলিস মুসলিম যারা, তারা সবাই হৃদয়ে স্বপ্ন লালন করেন। ইমান মাহদি আবির্ভূত হলে, আমরা তাঁর দলভুক্ত হয়ে জিহাদ করব। অনেকে তো সুস্পষ্ট বলেই বেড়ান, ইমাম মাহদি আসলে, সবার আগে আমরাই তাঁর দলে থাকব। বিশেষত, যারা বর্তমান জিহাদ ও কিতালের বিরোধিতা করেন,তাদেরকে এমনটি বলতে বেশি শোনা যায়। একজন মুমিনের দিলে এমন তামান্না খুবই স্বাভাবিক এবং প্রশংসনীয়। কিন্তু এখানে চিন্তা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আছে অবস্থাদৃটে মনে হয়, সেটা আমরা অনেকই মাথায়ই রাখি না।
    তাই এ পর্যায়ে আমরা সকল মুসলিমের কল্যাণ কামনা থেকে ; তাদের প্রতি একটি বিনীত আবেদন করতে চাই। আশা করি বিষয়টি হৃদয় দিয়ে পড়বেন একমাত্র আল্লাহর জন্য এবং আপনার আখেরাতের জন্য একটু হৃদয় দিয়ে চিন্তা করবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই ফিতনার যামানায় সহীভাবে দ্বীন বুঝার এবং তার মানশা ও মরযি মোতাবেক আমল করার তাওফিক দান করুন। এবিষয়ক হাদীসগুলো থেকে যে বিষয়টি পরিস্কার হয়, তা হল ইমাম মাহদি আ. পৃথিবীতে আসবেন, যখন পৃথিবী জুলুম অত্যাচারে ভরে যাবে। তিনি এসে মানব জাতিকে জালেম ও কাফেরদের জুলুম থেকে মুক্ত করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবেন। স্বভাবতই জালেমেরা তার জন্য এমনিতেই নিজেদের রাজ্য- রাজত্ব সব ছেড়ে দেবে না। তিনি জিহাদের মাধ্যমেই জালেম কাফেরদের থেকে কৃর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিবেন। যেমনটি আমাদের উদ্ধৃত সহীহ মুসলিমের হাদীসটি থেকেও পরিস্কার বুঝা যায়। যেখানে বলা হয়েছে, এই উম্মত সর্বদা সত্যের উপরে থেকে কিতাল করতে থাকবে এবং সর্বশেষ ঈসাআ. দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
    ইমাম মাহদি আ.র আগমনের পর এক সময় ইসলামের বিজয় দেখে সব মুসলিমই তার অনুসরণ করবে। কিন্তু শুরুতে যখন তাকে জিহাদ করে ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে, তখনকার কঠিন মুহূর্তে কারা তার সঙ্গ দিবেন, কারা জিহাদে শরীক হবেন, তা বলার আগে একটু চিন্তা করা দরকার, আসলেই তা সম্ভব ও বাস্তবসম্মত কি না? বিষয়টি কি এমন যে ইমাম মাহদি আ. আসলেই সিএনএন, বিবিসি -রয়টার্স - এপি আমাদেরকে সঠিক সংবাদ দিয়ে দিবে? তরপর পকেটে টাকা থাকলে, বিমানের টিকেট করে মক্কায় চলে যাব এবং একজন মুজাহিদের ভুমিকায় তার সঙ্গ যুক্ত হয়ে যাব? বাস্তবতা ও হাদীসের ইঙ্গিত থেকে কিন্তু তা বুঝা যায় না ; বরং ভিন্ন কিছুরই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ইমাম মাহদি আসলে, অলৌকিকভাবে সব কিছু ঘটে যাবে, এমন কোনো কথা কুরআন সুন্নাহ'য় নেই। সুতরাং দারুল আসবাব ও উপায় উপকরণের দুনিয়ায় সব কিছু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঘটবে, এটা স্বাভাবিক যদি সে সময়ও তাদের সক্ষমতা বর্তমানের মতো থাকে, তাহলে স্বভাবতই বর্তমান তাগুতি মিডিয়া ইমাম মাহদির আগমনের বিষয়টি ঘোলাটে করার চেষ্টা করার কথা। আর তখন যদি তারা আরো উন্নত ও ডিজিটাল হয়, তাহলে হয়তো আমাদের বর্তমান ধারণা থেকে আরেকটু বেশি এবং আরো সূক্ষ্ম কোনো ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করবে। তাহলে আমাদের মধ্যে যাদের তথ্য সংগ্রহ উংসই হল তাগুতি মিডিয়া, এর বাইরে সঠিক সংবাদ সংগ্রহের বিশ্বস্ত কোনো সূত্র বা সক্ষমতা যাদের নেই, তারা কীভাবে নিশ্চিত হব, ইমাম মাহদির আগমনের বিষয়টি? একইভাবে ইমাম মাহদির দলভুক্ত হবার পথে আন্তর্জাতিক তাগুতি শক্তি ও দাজ্জালের বাহিনীর বাধা সৃষ্টি করা খুবই স্বাভাবিক! স্থানীয় শাসকদেরও সে পথেই হাটার কথা! সুতরাং, ইমাম মাহদির সঙ্গে যুক্ত হবার পথটা আমার জন্য মসৃণ হওয়ার কথা নয়! একটু চিন্তা করে দেখেন তো আজ যদি আপনি জিহাদে অংশ গ্রহনের জন্য আফগান, সিরিয়া, ইরাক,কাশ্মীর,সোমালিয়া, মালি,ফিলিস্তিনে যেতে চান, তাহলে তা আপনার জন্য কত কঠিন? আল্লাহ সহজ করুন। কিন্তু বাহ্যত ইমাম মাহদি আ.র বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার পথটা তার চেয়েও কঠিন হওয়ার কথা। সম্ভবত এদিকে ইঙ্গিত করার জন্যই এক হাদিসে

    রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,:- إذا رأيتموه فبايعوه و لو حبوا على الثلج
    তাকে দেখলে, বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাকে বাইয়াহ দিবে!

    জানা কথা, বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে যাওয়া সহজ বিষয় নয়! মাহদি আ.র কাছে পৌঁছা যে কঠিন ও কষ্টসাধ্য হবে, রুপক অর্থে সে ইঙ্গিতই হয়তো দেয়া হয়েছে এই হাদীসে। ইমাম বায়হাকি রহ. ও হাফেজ যাহাবি রহ. বর্ণনাটি কে সহীহ বলছেন। এবং বলছেন হাদীসটি ইমাম বুখারী রহ. ও ইমাম মুসলিম রহ. শর্তে উত্তীর্ণ। যদিও কেউ এই হাদিসের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্নও তুলছেন। তাছাড়া ইমাম মাহদির বাহিনী হবে একটি জিহাদী ও সামরিক বাহিনী। তো একটি সামরিক বাহিনীর প্রাথমিক সদস্য হওয়ার জন্য যেসব যোগ্যতা ও প্রস্তুতি থাকতে হয়, তার নূন্যতম যোগ্যতা ও প্রস্তুতি কি আমার মধ্যে আছে? মোটামুটি সাবাই-ই-তো এখন মাহদির অপেক্ষায় আছেন! নির্জনে বসে একটু দিলকে জিজ্ঞেস করে দেখুন তো, এই মূহুর্তে যদি বিশ্বস্তু সূত্রে সংবাদ পান,ইমাম মাহদির আবির্ভাব ঘটেছে, তাহলে কি পিতা,মাতা,স্ত্রী, সন্তান, আত্নীয় স্বজন, ব্যবসা বাণিজ্য ও বাড়ি ঘর ছেড়ে, মৃত্যুর পরোয়ানা হাতে নিয়ে বের হয়ে যেতে পারবেন? ভিসার তো প্রশ্নই আসে না! বরং সব তাগুতের সশস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবং তাদের গোয়েন্দা ফাঁক ফাঁকি দিয়ে, মাহদির কাফেলায় যুক্ত হতে হবে। সেই হিম্মত ও মনোবল কি আছে আমার হৃদয়ে? যদি নাই থাকে, তাহলে ইমাম মাহদি আসলে, সবার আগে আমরাই তার দলে থাকব, এমন কথা আত্মা প্রবচনা ছাড়া আর কী? ইমাম মাহদির জিহাদি কাফেলায় যুক্ত হতে হলে অবশ্যই আমাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতি ছাড়া জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা আছে বলে দাবি করা, আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য নয়,

    আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন :-

    وَلَوْ اَرَا دُوْا الْخُـرُوْجَ لَاَ عَدُّوْا لَهٗ عُدَّةً وَّلٰـكِنْ كَرِهَ اللّٰهُ انْبِۢعَا ثَهُمْ فَثَبَّطَهُمْ وَقِيْلَ اقْعُدُوْا مَعَ الْقٰعِدِيْنَ

    "(যুদ্ধাভিযানে) বের হওয়ার তাদের যদি ইচ্ছেই থাকত তবে তারা সেজন্য অবশ্যই প্রস্ত্ততি নিত। কিন্তু তাদের অভিযানে গমনই আল্লাহর পছন্দ নয়, কাজেই তিনি তাদেরকে পশ্চাতে ফেলে রাখেন আর তাদেরকে বলা হয়, ‘যারা (নিস্ক্রিয় হয়ে) বসে থাকে তাদের সাথে বসে থাক’।"
    (সূরা তাওবাহ 9: আয়াত 46)


    তথ্য সূত্র :- ইমাম মাহদির আগমন : সংশয় ও বাস্তবতা।
    বি.দ্র : লেখার সাথে নতুন কিছু শব্দ যোগ করা হয়ছে।



    ​​​​​
    ​​​​​

  • #2
    মাশাল্লাহ সুন্দর আলচনা
    আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সকল ভাই-বোনকে সঠিক উপলব্ধি দান করুন, আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন

    Comment

    Working...
    X