Announcement

Collapse
No announcement yet.

জাতীয় শিক্ষাক্রমে নাস্তিক্যবাদী "বিবতর্নবাদ থিওরী " অন্তুরভূক্তি শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিকতার বীজ বপণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জাতীয় শিক্ষাক্রমে নাস্তিক্যবাদী "বিবতর্নবাদ থিওরী " অন্তুরভূক্তি শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিকতার বীজ বপণ

    আস ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু,,

    নবম-দশম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ে ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষার আধুনিকায়নের নামে নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণার ‘বিবর্তনবাদ’ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

    পাঠ্যবইয়ে বিবর্তন শিক্ষার নামে নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণার প্রতি উদ্দীপ্ত করে এবং আল্লাহর অস্তিত্ব, পরকাল ও ধর্মের প্রতি অবিশ্বাসী এবং ভোগবাদের প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে- এমন পাঠ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়ানো হচ্ছে।

    একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে ধর্মকে উল্লেখ করেছে ‘নিরক্ষর সমাজের সরল মানুষের চিন্তা- চেতনার ফসল’ হিসেবে।

    তিনি বলেন, এই বিবর্তনবাদের শিক্ষা কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই যে গুরুতর আপত্তিকর এমন নয়, বরং পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ ডক্টরাল বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

    তারা নিশ্চিত করেছেন, পৃথিবীতে কখনো এভাবে বিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটেনি।

    বিবর্তন ঘটে প্রজাতির বয়স, আকৃতি, বৈশিষ্ট্য-এর উপরে।

    কিন্তু বিবর্তনের দ্বারা নতুন প্রজাতির কখনো উদ্ভব হয় না।

    পৃথিবীর প্রায় ৯৯% চিকিৎসা বিজ্ঞানী মানুষ ও বানরের পূর্বপুরুষ যে এক; এটা স্বীকার করেন না।


    কোষ বিজ্ঞান বা আণবিক বিজ্ঞান দ্বারা বিবর্তনকে প্রমাণ করা যায় না

    বিবর্তন যদি কোন প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক বিষয়বস্তু হতো,

    তবে উন্নত দেশসমূহ যেমন- আমেরিকা, তুরস্ক, রুমানিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া প্রমুখ দেশে বির্বতন শিক্ষাকে বাতিল করা হতো না।

    খোদ ভারতের শিক্ষা কারু কালাম থেকে বিবর্তনবাদ তত্ত্ব কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাতিল করা হয়েছে

    বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাঠ্যবইয়ে পড়ানো হচ্ছে-

    “বিবর্তনের বিপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    জীব-জগৎ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান যতই সমৃদ্ধ হচ্ছে,

    বিবর্তনকে অস্বীকার করা ততই অসম্ভব হয়ে পড়ছে”।
    ( জীব বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণী, ২৭৬ পৃষ্ঠা)।

    নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের ১১২ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে-

    “পৃথিবীর সব বিজ্ঞানীকে নিয়ে একবার একটা জরিপ নেওয়া হয়েছিল,

    জরিপের বিষয়বস্তু ছিল পৃথিবীর নানা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ কোনটি।

    বিজ্ঞানীরা রায় দিয়ে বলেছিলেন, বিজ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ তত্ত্ব হচ্ছে ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব”।

    কত ভয়ংকর ভুল তত্ত্ব আমাদের সন্তানদেরকে পড়ানো হচ্ছে।

    একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ‘জীববিজ্ঞান’ বইয়ের ২৯২ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে-

    “বিবর্তনের ক্ষেত্রে ডারউইনের মতবাদ নি:সন্দেহে একটি যুগান্তকারী ও সাড়া জাগানো অবদান”।
    (নাউযুবিল্লাহ )

    ২৯৪ পৃষ্ঠায় আছে-
    “বিবর্তনের স্বপক্ষে প্রাপ্ত প্রমাণগুলো একত্র করলে কারও পক্ষে এর বিরুদ্ধে কোনো যুক্তি তৈরি বা উত্থাপন করা সম্ভব হবে না”।

    এভাবে নবম শ্রেণী থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত ৯২% মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের মনে বিবর্তনবাদ বিষয়ক পাঠের মাধ্যমে এইরূপ বদ্ধমূল ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে,

    মানব জাতির বর্তমান অবয়ব বিবর্তনের মধ্য দিয়েই বর্তমান অবস্থায় এসেছে।

    মানুষ এবং বানরের পূর্বপুরুষ একই রকম ছিল।

    এমন ধারণা বা বিশ্বাস একজন মুসলিম ছাত্রের জন্য স্পষ্টত: কুফরী

    কারণ,,
    পবিত্র কুরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    আদমই প্রথম মানব এবং মানুষকে মৃত্তিকা দ্বারাই তৈরি করা হয়েছে।

    বিবর্তনের শিক্ষা কুরআনের এসব আয়াতকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, (নাউযুবিল্লাহ)

    ২০১৩ সালের পর থেকে
    গত ৬ বছর ধরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকোত্তর স্তরে বিবর্তনবাদ পড়ানো হচ্ছে।

    যার কারণে ইতিমধ্যেই আমরা লক্ষ্য করছি,

    দেশের তরুণ শিক্ষিত শ্রেণীর একটা অংশের মধ্যে নাস্তিক্যবাদি চিন্তা-চেতনা প্রচুর বেড়েছে।

    এখন যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা এগুলো পড়ছেন তারা আগামীতে বাবা-মা হবেন।

    বাবা-মা যদি সৃষ্টিকর্তার ধারণায় সন্ধিহান থাকেন,

    তবে সন্তানরা কী করবে?

    অর্থাৎ ,
    পরবর্তী প্রজন্ম সবগুলো মাধ্যম থেকে নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণার শিক্ষা পাবে।

    এরাও এক সময়ে ধর্মীয় বিধিনিষেধ মানবে না। ধর্মীয় বিয়ে মানবে না। বিয়ের বহুবিধ দায়বদ্ধতা ছাড়াই লিভটুগেদারে আগ্রহী হবে।

    মদ, জুুয়ার বিধিনিষেধ মানবে না। সমকামিতার বৈধতা নিয়ে আন্দোলন হবে। আল্লাহ, রাসূল, ইসলাম নিয়ে কটূক্তি বাড়তে থাকবে।

    আলেম-উলামা, ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্মভীরু মানুষকে বাধা ও বিরক্তিকর ভাবতে শুরু করবে।

    ইসলামী ধর্মবিশ্বাস মতে বিবর্তনবাদের পাঠ কুফরী শিক্ষা।


    দেশের জাতীয় শিক্ষায় এই কুফরী শিক্ষার সন্নিবেশ ঘটিয়ে পুরো জাতিকে নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণায় গড়ে তোলার সর্বনাশা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সুপরিকল্পিত ভাবে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক যুব সমাজ বিনির্মাণের জন্য

    এ বিষয়ে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক, সুশীল সমাজ ও ইসলাম চিন্তাবিদের এগিয়ে আসতে হবে উম্মাহ'কে সতর্ক ও সাবধান করতে হবে

    এ কুফরী ইসলাম বিদ্বেষী তত্ত্বের বিরুদ্ধে ইনশা-আল্লাহ

    এ ধরনের ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মনোভাব পূর্ণ তত্ত্ব গুলো কে সমূলে উৎপাটন করার জন্য

    জাতীয় শিক্ষা নীতি ও ব্যবস্থাপনা পূর্ণতা শয়তানের বাচ্চা জাফর ইকবালদের প্রাপ্য পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সমূলে উচ্ছেদ করতে হবে ইনশাআল্লাহ

    এ ধরনের নাস্তিকতার পৃষ্ঠপোষকদের
    জাহান্নামে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে

    জাতি সমাজ আমাদের তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজকে নাস্তিকতার নখর থাবা থেকে মুক্তি ও পরিত্রাণ পেতে পারে ইনশাআল্লাহ

    জাতির রাহবাররা ,,
    ইনশা-আল্লাহ
    শয়তানের বাচ্চা নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক জাফর ইকবালদের তাদের পূর্ব উওরসূরি

    মুরতাদ হুমায়েন আজাদ ও তাদের অনুগত থাবা বাবা
    ব্লগার রাজীব হায়দার ও তার অনুসারীদের ন্যায়,,

    এ চরম ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষকদের যথাপযুক্ত প্রাপ্য শাস্তি ইনশা-আল্লাহ শ্রীঘ্রই বুঝিয়ে দিব

    ✍️ নীরবতার প্রাচীর
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন
Working...
X