Announcement

Collapse
No announcement yet.

শাসকরা কিভাবে আলেম ও দ্বাঈদের তাদের দায়িত্ব ও মূলপথ থেকে বিচ্যুত করে দেয় !❓

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শাসকরা কিভাবে আলেম ও দ্বাঈদের তাদের দায়িত্ব ও মূলপথ থেকে বিচ্যুত করে দেয় !❓


    (শাসকদের কূটকৌশল অনুধাবন)
    _______________________

    ধাপ-১/ এই ধাপে শাসকেরা দ্বাঈদের কাছে নিজেদের দ্বীনের কল্যাণকামীরুপে প্রদর্শিত করে। তারপর একসঙ্গে দ্বীনের খেদমত করতে চায় এইধরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের মন যুগিয়ে নেয়। না চাইতেও অনেক সুবিধা ইচ্ছে করেই দিতে চায়।

    দ্বীনের কল্যাণের স্বার্থে, ক্ষমতাসীন শাসকের এই ফাঁদে হাতেগোনা কিছু দ্বাঈ ছাড়া সবাই পা দেন।
    .
    ধাপ-২/ প্রথম ধাপের পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর শাসকেরা দ্বীনের ওপর দ্বাঈদের আপসহীন অবস্থানের হালকা কিছু "ছাড়" চায়। এই ছাড় দিলে দ্বীনের অনেক উপকার হবে, দ্বীন দ্রুত প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এইরকম যুক্তি দেখায়।

    দ্বীনের কল্যাণ হবে এই ভেবে, দ্বাঈগণ শাসকদের এই ফাঁদেও পা দিয়ে বসেন।
    .
    ধাপ-৩/ কিন্তু শাসকেরা এতে তুষ্ট হয় না। তারা থামবেনা, যতক্ষণ দ্বাঈদের পুরোপুরি হটানো যাচ্ছে।

    যত দিন যেতে থাকে দ্বাঈদের তাদের "ছাড়" চাওয়ার পরিমাণ বাড়তেই থাকে।

    ধাপ-২ এ একবার পা দিলে দ্বাঈদের জন্য ধাপ-৩ তেও পা দিতে বাধ্য হন।

    কারণ দ্বাঈদের চিন্তায় থাকে,
    "খুব দ্রুতই ফলাফল চলে আসবে, আরেকটু ছাড় দেই" ,

    "এখন পিছিয়ে গেলে দ্বীনের ক্ষতি হবে, দু-কূল হারাতে হবে।"
    শাসকদের চাহিদা অনুযায়ী বিচ্যুতি চলতেই থাকে।
    .
    ধাপ-৪/ দীর্ঘদিন পর দাঈগণ বুঝতে পারেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে শাসকদের সাথে সহাবস্থান করতে গিয়ে তিনি ইতোমধ্যে দ্বীনের মূল পথ থেকে বহু দূরে চলে গেছেন।

    এখন হুট করে ফিরে আসার সুযোগ নেই। কারণ আসতে চাইলেই তাকে শাসকের রোষানলে পড়তে হবে। তখন তার জন্য নিম্নোক্ত পথগুলো খোলা থাকেঃ
    .
    ১। পশ্চাদপসারণ। নিজের ভূলের অনুতাপ ও মূলধারায় ফিরে না আসতে পারার কাফফারাস্বরুপ নিজেকে দ্বীনের মঞ্চ ও মুসলিম জনসাধারণের কাছ থেকে গুটিয়ে নেয়া, এবং আড়ালে চলে যাওয়া।
    .
    ২। ফোর্সলি মূলধারায় ফিরে আসা। এতে তাঁকে শাসকদের রোষানলে পড়তে হবে। জেল-জুলুম খাটতে হবে

    তবে তার হঠাৎ এমন আচরণে তার অবস্থান সাধারণ মুসলিমদের কাছে কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

    শাসকেরা তখন তার ইমেজ ক্ষুন্ন করার চেষ্টাও করে।
    .
    ৩। অথবা দ্বাঈকে বিচ্যুত অবস্থানেই নীরবে পড়ে থাকা। শাসকদের সকল অপকর্মের নীরব সমর্থন করে যাওয়া। শাসকের চাহিদা অনুযায়ী দ্বীনকে খন্ডিত ও ব্যবহার করার মতো জঘণ্য লেভেলের কাজ করা।
    .
    ত্বাগুত শাসকেরা নিজেদের পথের কাঁটা হক্বপন্থী আলেম ও দ্বাঈদেরকে এভাবেই তাদের পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়।
    .
    বেশিদূর যাওয়া লাগবে না, ক্বওমী মাদ্রাসাগুলোকে সরকারী স্বীকৃতি ও শোকরানা মাহফিল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সকল ঘটনাবলীর দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে তাকালে, এই কূটকৌশলের একটা সুক্ষ্ম বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন।

    আল্লাহ পাক আমাদেরকে ত্বাগুতদের ফাঁদ ও বিশুদ্ধ তাওহীদের পথ থেকে বিচ্যুতি থেকে হেফাযত করুন।

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    অনেক সুন্দর আলোচনা। জাযাকাল্লাহ
    আমরা তো শাহাদাতের জন্যই মায়ের উদর থেকে জন্ম নিয়েছি।

    Comment


    • #3
      জাঝাকাল্লাহ খায়রান প্রিয়,, খুবই ভাল লেখক আপনি "আপনার
      সত্যের কলম সর্বদা জাগ্রত থাকুক। আমিন
      সর্বোত্তম আমল হলো
      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

      Comment


      • #4
        জাযাকুমুল্লাহু খাইরান প্রিয় ভাই।
        মাশা আল্লাহ, অনেক সুন্দর ও গোছানো লিখা। আল্লাহ আমাদের মেনে চলার তাওফিক দান করেন।
        Last edited by tahsin muhammad; 01-13-2023, 04:03 PM.

        Comment

        Working...
        X