ইমাম মাহদী (আ সম্পর্কে একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তর
----- মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব (দাঃবাঃ)
প্রশ্নঃ ড. আহমদ আমীন তার ‘দুহাল ইসলাম’-এ বলেন, মাহদী আ.-এর আগমনের বিশ্বাস নাকি শীয়াদের মাহদীবাদ থেকে গৃহীত। সহীহাইনে নাকি এ সংক্রান্ত কোনো হাদীস নেই। আর হাদীসের অন্যান্য কিতাবে এ সংক্রান্ত যেসব হাদীস আছে সেগুলোর সনদও আপত্তিমুক্ত নয়। অথচ আমরাও তো মাহদী আ.-এর আগমনে বিশ্বাস করি। প্রকৃত বিষয়টি কী এবং এ বিষয়ে কোনো কিতাব আছে কি না জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তরঃ ইমাম মাহদী রা.-এর আবির্ভাবের বিষয়টি অনেক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং উম্মতের‘তালাক্কী বিল কবুল’ দ্বারা সুপ্রতিষ্ঠিত। সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে শুরু করে আহলে সুন্নত ওয়ালজামাতের প্রায় সকল আলিম এ বিষয়ে একমত।*
কিয়ামতের পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আহলে বাইতের মধ্য হতে এমন একজন ব্যক্তির আগমন হবে যার নাম ও পিতার নাম হবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম ও পিতার নামের অনুরূপ। অর্থাৎ মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ। যার উপাধি হবে ‘মাহদী’।
ইমাম আবুল হুসসাইন মুহাম্মাদ বিন হুসাইন আল আবুরী রাহ. (৩৬৩ হি.) বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তাওয়াতুর পরিমাণের প্রচুর হাদীসে মাহদীর আলোচনা এসেছে। একথাগুলিও খুবই বিশ্বস্তভাবে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি আহলে বাইত থেকে হবেন। তিনি সাত বছর পৃথিবীর বুকে হুকুমত করবেন, অন্যায়-অবিচারে নিমজ্জিত পুরো ভূখন্ডে ইনসাফ ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। আসমান থেকে হযরত ঈসা আ.-এর অবতরণের পর তিনিও ইমাম মাহদীকে দাজ্জালের সাথে যুদ্ধে সহযোগিতা করবেন। তিনি উম্মতের ইমামতি করবেন এবং হযরত ঈসা আ.ও তাঁর পিছনে নামায আদায় করবেন।’ (আলমানারুল মুনীফ ১৪২)
এ বিষয়ে সহীহ-হাসান ও নির্ভরযোগ্য পর্যায়ের এত প্রচুর হাদীস রয়েছে যে, অনেক আলিম একে‘মুতাওয়াতির’ বলেছেন। ইমাম মাহদী ও তাঁর আগমন সংক্রান্ত বহু মৌলিক এবং বহু খুটিনাটি বিষয়ও এইসব হাদীসে রয়েছে। কোনো হাদীসে তাঁর শাসনামলের কথা, কোনো হাদীসে ঈসা আ.-এর সাথে তাঁর মোলাকাত ও ইমামতির কথা, কোনো হাদীসে তাঁর নাম ও বংশ পরিচয়, কোনো হাদীসে তাঁর গুণ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। এভাবে হাদীসের প্রায় সব ধরনের কিতাবেই এই হাদীসগুলো বর্ণিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘সহীহাইন’ও ব্যতিক্রম নয়। নাম উল্লেখ ছাড়াই ঈসা আ.কে নিয়ে তাঁর ‘ইমামত’ সংক্রান্ত একাধিক হাদীস সহীহাইনেও বর্ণিত হয়েছে। (দেখুন : সহীহ বুখারী হাদীস : ৩৪৪৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৫৫, ১৫৬, ২৯১৯, ২৯১৪)
এসব হাদীসে ‘আমীরুহুম’, ‘ইমামুকুম’ ও ‘খলীফা’ ইত্যাদি শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্য ইমাম মাহদী। এই হাদীসগুলোরই নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েতে ‘আমীরুহুম আলমাহদী’ শব্দ উল্লেখিত হয়েছে। (দেখুন : আলমানারুল মুনীফ ১৪৭-১৭৮) তাছাড়া অন্যান্য সহীহ হাদীসে তো এই ব্যাখ্যা একেবারেই সুস্পষ্ট।
‘ইমামাতুল মাহদী’ নিয়ে হাদীসের প্রায় সকল কিতাবে স্বতন্ত্র অধ্যায় থাকার পরও শুধু সহীহাইনের হাদীসগুলোর কথা বিশেষভাবে বলার কারণ এই যে, হাদীসের এই দুটি কিতাব সাধারণ মানুষের মাঝেও প্রসিদ্ধ এবং অবশ্যই সহীহ হাদীসের সংকলন হিসেবে এই কিতাব দুটির যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, কোনো বিষয় প্রমাণিত হওয়ার জন্য সহীহাইন কিংবা বিশেষ কোনো কিতাবে থাকা অপরিহার্য। বরং এ ধরনের চিন্তা অহেতুক হঠকারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। ইমাম বুখারী রাহ. ও ইমাম মুসলিম রাহ.-এর কেউই এমন দাবী করেননি যে, সকল সহীহ হাদীস তাঁরা তাঁদের কিতাবে একত্র করেছেন বা একত্র করার ইচ্ছা করেছেন; বরং ইমাম বুখারী রাহ, নিজেই বলেন,
لم أخرج في هذا الكتاب إلا صحيحا وما تركت من الصحاح أكثر
আমি এই কিতাবে শুধু সহীহ হাদীস সংকলন করেছি। এর বাইরেও অনেক সহীহ হাদীস আছে। (তারীখে বাগদাদ ২/৯)
তেমনি একথাও সহীহ সনদে প্রমাণিত যে, ইমাম মুসলিম রাহ.-এর কিতাব তাঁরই উস্তাদ ইমাম আবু যুরআ রাযী এবং ইবনে ওয়ারা রাহ.-এর হাতে পৌঁছলে তাঁরা বলেছিলেন, তুমি সহীহ নামে কিতাব লিখে বিদআতীদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে। যখন তাদের সামনে কোনো সহীহ হাদীস পেশ করা হবে তখন তারা এই বলে প্রত্যাখ্যান করবে যে, এটি তো সহীহ মুসলিমে নেই।
ইমাম মুসলিম তখন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন যে, আমি তো শুধু আমার ও আমার নিকট যারা হাদীস শিখতে আসবে তাদের স্মরণ রাখার সুবিধার্থে কিছু হাদীস সংকলন করেছি। আমি বলিনি যে, এই সংকলনের বাইরের সকল হাদীস দুর্বল; বরং আমি শুধু এটুকু বলি যে, এই সংকলনের হাদীসগুলো সহীহ। (তারীখে বাগদাদ ৪/২৭৪)
অতএব কোনো বিষয় সহীহাইনে নেই তাই প্রমাণিত নয়-এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও অযৌক্তিক। যাহোক, সহীহাইনের বাইরেও সহীহ ও নির্ভরযোগ্যতার মানদন্ডে উত্তীর্ণ অনেক হাদীস রয়েছে, যেখানে ইমাম মাহদীর নাম, বংশ-পরিচয় এবং তার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এমনকি খোদ ইমাম বুখারীর বিখ্যাত শাগরিদ ইমাম তিরমিযী রাহ. এই ধরনের একাধিক হাদীস সম্পর্কে ‘হাসান-সহীহ’ বলেছেন। (দেখুন : জামে তিরমিযী, হাদীস : ২২৩০-২২৩২)
সংক্ষিপ্ত পরিসরে সব হাদীস উল্লেখ করা এবং সেগুলোর সনদগত মান আলোচনা করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আলাদা কিতাব লেখা হয়েছে এবং এখনও লেখা হচ্ছে। এখানে প্রকাশিত কয়েকটি কিতাবের নাম লিখা হল।
১. আলবায়ান ফী আখবারি ছাহিবিয যামান, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইউফুফ (মৃত্যু : ৬৫৮ হি.)
২. ইকদুর দুরার মিন আখবারিল মাহদিয়্যিল মুনতাযার, শায়খ ইউসুফ ইবনে ইয়াহইয়া আসসুলামী
৩. আলআরফুল ওয়ারদী ফী আখবারিল মাহদী, জালালুদ্দীন সুয়ূতী (৯১১ হি,)
৪. তালখীসুল বায়ান ফী আলামাতি মাহদিয়্যি আখিরিয যমান, প্রাগুক্ত
৫. আলকাওলুল মুখতাছার ফী আলামাতিল মাহদিয়্যিল মুনতাযার, ইবনে হাজার হাইতামী (৯৭৪ হি.)
৬. আলবুরহান ফী আলামাতি মাহদিয়্যি আখিরিয যামান, শায়খ আলী আলমুত্তাকী আলহিন্দী (৯৭৫ হি.)
৭. ইবরাযুল ওয়াহমিল মাকনূন মিন কালামি ইবনি খালদূন, শায়খ আহমদ আলগুমারী (১৩২০-১৩৮০ হি.)
৮. আলমাহদিয়্যিউল মুনতাযার, শায়খ আবদুল্লাহ আলগুমারী
৯. আলআহাদীসুল ওয়ারিদাহ ফিল মাহদী ফী মিযানিল জারহি ওয়াত তাদীল, ড. আবদুল আলীম আলবাসতাবী আলহিন্দী
১০. আকীদাতু আহলিল আছার ফিল মাহদিয়্যিল মুনতাযার, শায়খ আবদুল মুহসিন ইবনে হামদ আলআববাদ
১১. আলইহতিজাজু বিলআছার আলা মান আনকারাল মাহদিয়্যাল মুনতাযার, শায়খ হামূদ ইবনে আবদুল্লাহ তুয়াইজারী
১২. আকীদায়ে যুহুরে মাহদী আহাদিস কি রৌশনি মে, ড. মাওলানা নিযামুদ্দীন শামযী রাহ.।
তবে একথাও সত্য যে, সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসের বাইরে এ বিষয়টিতে জাল, অতি দুর্বল, ও অনির্ভরযোগ্য বর্ণনার সংখ্যাও কম নয়, কিন্তু এই কারণে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত বিষয়ে কোনো প্রভাব পড়তে পারে না। সহীহ হাদীসে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো এতই সুস্পষ্ট যে, সময়ে সময়ে গোলাম আহমদ কাদিয়ানির মত কিছু বিকৃত চিন্তার মানুষের মাহদী হওয়ার মিথ্যা দাবিতেও কিছু যায় আসে না।
সাথে সাথে একথাও সুস্পষ্ট যে, অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ও সুস্পষ্ট আলামত সম্বলিত ইমাম মাহদী রা.-এর সাথে শিয়া-রাফেযীদের কথিত মাহদীবাদের দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। তাদের মতবিশ্বাসটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বরং ইবনুল কাইয়িমের ভাষায়, ‘পুরো মানবজাতির জন্য লজ্জাকর ও সকল বুদ্ধিমানের কাছে হাস্যকর’ শিয়া-রাফেযীদের এই মাহদীবাদ বিশ্বাসের মূল কথা হল, প্রায় বার শত বছর পূর্বে তাদের বিশ্বাস মতে-নবীদের মতো নিষ্পাপ বারজন ইমামের সর্বশেষ জন জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, যার নাম মুহাম্মাদ বিন হাসান আসকারী। কিশোর বয়সে তিনি ইরাকের সামরো বা সুররা মান রাআ শহরে পানির গভীরে জলজ কুঠিরে আত্মগোপন করে গেছেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গেলেও বারশত বছর পরও তিনি পানিতে জীবিত! তারা প্রতিদিন তার জন্য অপেক্ষা করে কথিত জলজ কুঠিরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে!! সারাদিন চিৎকার করে তাকে আহবান করতে থাকে!!!
এবার আপনিই বলুন, ইমাম মাহদী সংক্রান্ত প্রশ্নের শুরুতে উল্লেখিত ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কোন কথাটির সাথে শীয়াদের এই অলীক কল্পনার মিল আছে??
শীয়াদের এই আকীদা সম্পর্কে হাফেয যাহাবী রাহ. বলেছেন, ‘বিবেকহীনতা থেকে আল্লাহর পানাহ! পূর্ব যুগে এমন কিছু ঘটেছিল বলে যদি ক্ষণিকের জন্য মেনেও নেয়া হয়, তখন প্রশ্ন হল, এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কে? এতদিন পরও তিনি জীবিত আছেন-এরই বা সূত্র কি? এ কথাই বা কে বলেছে যে, তিনি নিষ্পাপ ও সর্বজ্ঞানীও। এসব অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের দ্বারা যদি চিন্তাশক্তিকে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়, তাহলে তো বাস্তব-অবাস্তবের পার্থক্যই হারিয়ে যাবে এবং সকল অসম্ভবকে সম্ভব মনে করার পথ খুলে যাবে!!
মিথ্যা ও অবাস্তব; বরং অসম্ভব বিষয়কে দলীল মনে করা এবং এর দ্বারা ন্যায় ও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা থেকে আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করুন, যা ইমামিয়া ফের্কার বৈশিষ্ট্য।’(সিয়ারু আলামিন নুবালা ১৩/১২১-১২২)
অতএব ইমাম মাহদীর আগমনের সহীহ আকীদা এবং শীয়াদের ঐ অলীক বিশ্বাসকে এক মনে করা অজ্ঞতা ও জাহালত ছাড়া আর কিছু নয়।
এখানে সংক্ষিপ্ত কয়েকটি কথা আরজ করলাম। বিস্তারিত জানার জন্য এই বিষয়ের কিতাবাদি মুতআলাআ করা যেতে পারে।
তবে এখানে যে কথাটি বিশেষভাবে বলা প্রয়োজন, তা হল, মিসরের ড. আহমদ আমীন সমকালীন আরবী ভাষা ও সাহিত্যের পন্ডিত ছিলেন বটে, কিন্তু হাদীস ও ইসলামের ইতিহাসসহ অন্যান্য ইসলামী উলূমে তার ধারণা ছিল খুবই সামান্য ও ভাসাভাসা। আর এই ধারণার অধিকাংশই তিনি গ্রহণ করেছিলেন অনির্ভরযোগ্য কিছু মাসাদির ও খ্রিস্টান প্রাচ্যবিদদের রচনাবলি থেকে। ফলে তিনি ছিলেন ঐ সব চিন্তাবিদদের অন্যতম, যাদের ধ্যান-ধারণা পশ্চিমা-প্রভাবিত এবং যাদের চিন্ত-চেতনা প্রাচ্যবাদিতায় আক্রান্ত। এই কারণে তার রচনাবলিতে এত প্রচুর পরিমাণ এমন স্খলন রয়েছে যে, শুধু এর তালিকা করলেও একটি আলাদা রিসালা তৈরি হয়ে যাবে। ইসলামের ইতিহাস নিয়ে তার সিরিজ রচনা-ফজরুল ইসলাম, জুহরুল ইসলাম ও দুহাল ইসলামের পাতায় পাতায় যার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। ইমাম মাহদী রাহ. সম্পর্কেও তার বক্তব্য ঐসব সুস্পষ্ট স্খলনের অন্তর্ভুক্ত।
তার এসব স্খলন ও বিচ্যুতি নিয়ে ড. মুস্তফা সিবায়ী ‘আসসুন্নাতু ওয়ামাকানাতুহা ফিত তাশরীয়িল ইসলামী’ নামে একটি ঐতিহাসিক ও চমৎকার গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা সকলের পড়ার মতো।
এখানে এই কথাও মনে রাখা জরুরি যে, একজন তালিবে ইলম বরং একজন সাধারণ মানুষের জন্যও যে কোনো ধরনের লেখা কিংবা যে কোনো লেখকের বইপত্র পড়তে যাওয়া উচিত নয়। কী পড়বে, কী পড়বে না- এ বিষয়ে তালীমী মুরববী বা কোনো অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ গ্রহণ করা অবশ্য কর্তব্য। ষ
টীকা : * আল্লামা সাফফারিনী রাহ. (১১১৪ হি.-১১৮৮ হি.) তাঁর আকীদা বিষয়ক কিতাব‘লাওয়ামেউল আনওয়ার আলবাহিয়্যাহ’ যা শরহে আকীদাতিত সাফফারিনী নামে প্রসিদ্ধ। এই কিতাবে (২/৮৪) তিনি লিখেন-
وقد كثرت بخروجه الروايات حتى بلغت حد التواتر المعنوي وشاع ذلك بين علماء السنة حتى عد من معتقداتهم وقد روي عمن ذكر من الصحابة وغير من ذكر منهم رضي الله عنهم بروايات متعددة وعن التابعين من بعدهم ما يفيد مجموعه العلم القطعي فالإيمان بخروج المهدي واجب كما هو مقرر عند أهل العلم ومدون في عقائد أهل السنة والجماعة
সুত্রঃ
----- মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব (দাঃবাঃ)
প্রশ্নঃ ড. আহমদ আমীন তার ‘দুহাল ইসলাম’-এ বলেন, মাহদী আ.-এর আগমনের বিশ্বাস নাকি শীয়াদের মাহদীবাদ থেকে গৃহীত। সহীহাইনে নাকি এ সংক্রান্ত কোনো হাদীস নেই। আর হাদীসের অন্যান্য কিতাবে এ সংক্রান্ত যেসব হাদীস আছে সেগুলোর সনদও আপত্তিমুক্ত নয়। অথচ আমরাও তো মাহদী আ.-এর আগমনে বিশ্বাস করি। প্রকৃত বিষয়টি কী এবং এ বিষয়ে কোনো কিতাব আছে কি না জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তরঃ ইমাম মাহদী রা.-এর আবির্ভাবের বিষয়টি অনেক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং উম্মতের‘তালাক্কী বিল কবুল’ দ্বারা সুপ্রতিষ্ঠিত। সাহাবা-তাবেয়ীন থেকে শুরু করে আহলে সুন্নত ওয়ালজামাতের প্রায় সকল আলিম এ বিষয়ে একমত।*
কিয়ামতের পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আহলে বাইতের মধ্য হতে এমন একজন ব্যক্তির আগমন হবে যার নাম ও পিতার নাম হবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম ও পিতার নামের অনুরূপ। অর্থাৎ মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ। যার উপাধি হবে ‘মাহদী’।
ইমাম আবুল হুসসাইন মুহাম্মাদ বিন হুসাইন আল আবুরী রাহ. (৩৬৩ হি.) বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তাওয়াতুর পরিমাণের প্রচুর হাদীসে মাহদীর আলোচনা এসেছে। একথাগুলিও খুবই বিশ্বস্তভাবে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি আহলে বাইত থেকে হবেন। তিনি সাত বছর পৃথিবীর বুকে হুকুমত করবেন, অন্যায়-অবিচারে নিমজ্জিত পুরো ভূখন্ডে ইনসাফ ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। আসমান থেকে হযরত ঈসা আ.-এর অবতরণের পর তিনিও ইমাম মাহদীকে দাজ্জালের সাথে যুদ্ধে সহযোগিতা করবেন। তিনি উম্মতের ইমামতি করবেন এবং হযরত ঈসা আ.ও তাঁর পিছনে নামায আদায় করবেন।’ (আলমানারুল মুনীফ ১৪২)
এ বিষয়ে সহীহ-হাসান ও নির্ভরযোগ্য পর্যায়ের এত প্রচুর হাদীস রয়েছে যে, অনেক আলিম একে‘মুতাওয়াতির’ বলেছেন। ইমাম মাহদী ও তাঁর আগমন সংক্রান্ত বহু মৌলিক এবং বহু খুটিনাটি বিষয়ও এইসব হাদীসে রয়েছে। কোনো হাদীসে তাঁর শাসনামলের কথা, কোনো হাদীসে ঈসা আ.-এর সাথে তাঁর মোলাকাত ও ইমামতির কথা, কোনো হাদীসে তাঁর নাম ও বংশ পরিচয়, কোনো হাদীসে তাঁর গুণ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। এভাবে হাদীসের প্রায় সব ধরনের কিতাবেই এই হাদীসগুলো বর্ণিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘সহীহাইন’ও ব্যতিক্রম নয়। নাম উল্লেখ ছাড়াই ঈসা আ.কে নিয়ে তাঁর ‘ইমামত’ সংক্রান্ত একাধিক হাদীস সহীহাইনেও বর্ণিত হয়েছে। (দেখুন : সহীহ বুখারী হাদীস : ৩৪৪৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৫৫, ১৫৬, ২৯১৯, ২৯১৪)
এসব হাদীসে ‘আমীরুহুম’, ‘ইমামুকুম’ ও ‘খলীফা’ ইত্যাদি শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্য ইমাম মাহদী। এই হাদীসগুলোরই নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েতে ‘আমীরুহুম আলমাহদী’ শব্দ উল্লেখিত হয়েছে। (দেখুন : আলমানারুল মুনীফ ১৪৭-১৭৮) তাছাড়া অন্যান্য সহীহ হাদীসে তো এই ব্যাখ্যা একেবারেই সুস্পষ্ট।
‘ইমামাতুল মাহদী’ নিয়ে হাদীসের প্রায় সকল কিতাবে স্বতন্ত্র অধ্যায় থাকার পরও শুধু সহীহাইনের হাদীসগুলোর কথা বিশেষভাবে বলার কারণ এই যে, হাদীসের এই দুটি কিতাব সাধারণ মানুষের মাঝেও প্রসিদ্ধ এবং অবশ্যই সহীহ হাদীসের সংকলন হিসেবে এই কিতাব দুটির যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, কোনো বিষয় প্রমাণিত হওয়ার জন্য সহীহাইন কিংবা বিশেষ কোনো কিতাবে থাকা অপরিহার্য। বরং এ ধরনের চিন্তা অহেতুক হঠকারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। ইমাম বুখারী রাহ. ও ইমাম মুসলিম রাহ.-এর কেউই এমন দাবী করেননি যে, সকল সহীহ হাদীস তাঁরা তাঁদের কিতাবে একত্র করেছেন বা একত্র করার ইচ্ছা করেছেন; বরং ইমাম বুখারী রাহ, নিজেই বলেন,
لم أخرج في هذا الكتاب إلا صحيحا وما تركت من الصحاح أكثر
আমি এই কিতাবে শুধু সহীহ হাদীস সংকলন করেছি। এর বাইরেও অনেক সহীহ হাদীস আছে। (তারীখে বাগদাদ ২/৯)
তেমনি একথাও সহীহ সনদে প্রমাণিত যে, ইমাম মুসলিম রাহ.-এর কিতাব তাঁরই উস্তাদ ইমাম আবু যুরআ রাযী এবং ইবনে ওয়ারা রাহ.-এর হাতে পৌঁছলে তাঁরা বলেছিলেন, তুমি সহীহ নামে কিতাব লিখে বিদআতীদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে। যখন তাদের সামনে কোনো সহীহ হাদীস পেশ করা হবে তখন তারা এই বলে প্রত্যাখ্যান করবে যে, এটি তো সহীহ মুসলিমে নেই।
ইমাম মুসলিম তখন আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন যে, আমি তো শুধু আমার ও আমার নিকট যারা হাদীস শিখতে আসবে তাদের স্মরণ রাখার সুবিধার্থে কিছু হাদীস সংকলন করেছি। আমি বলিনি যে, এই সংকলনের বাইরের সকল হাদীস দুর্বল; বরং আমি শুধু এটুকু বলি যে, এই সংকলনের হাদীসগুলো সহীহ। (তারীখে বাগদাদ ৪/২৭৪)
অতএব কোনো বিষয় সহীহাইনে নেই তাই প্রমাণিত নয়-এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ ভুল ও অযৌক্তিক। যাহোক, সহীহাইনের বাইরেও সহীহ ও নির্ভরযোগ্যতার মানদন্ডে উত্তীর্ণ অনেক হাদীস রয়েছে, যেখানে ইমাম মাহদীর নাম, বংশ-পরিচয় এবং তার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। এমনকি খোদ ইমাম বুখারীর বিখ্যাত শাগরিদ ইমাম তিরমিযী রাহ. এই ধরনের একাধিক হাদীস সম্পর্কে ‘হাসান-সহীহ’ বলেছেন। (দেখুন : জামে তিরমিযী, হাদীস : ২২৩০-২২৩২)
সংক্ষিপ্ত পরিসরে সব হাদীস উল্লেখ করা এবং সেগুলোর সনদগত মান আলোচনা করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আলাদা কিতাব লেখা হয়েছে এবং এখনও লেখা হচ্ছে। এখানে প্রকাশিত কয়েকটি কিতাবের নাম লিখা হল।
১. আলবায়ান ফী আখবারি ছাহিবিয যামান, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইউফুফ (মৃত্যু : ৬৫৮ হি.)
২. ইকদুর দুরার মিন আখবারিল মাহদিয়্যিল মুনতাযার, শায়খ ইউসুফ ইবনে ইয়াহইয়া আসসুলামী
৩. আলআরফুল ওয়ারদী ফী আখবারিল মাহদী, জালালুদ্দীন সুয়ূতী (৯১১ হি,)
৪. তালখীসুল বায়ান ফী আলামাতি মাহদিয়্যি আখিরিয যমান, প্রাগুক্ত
৫. আলকাওলুল মুখতাছার ফী আলামাতিল মাহদিয়্যিল মুনতাযার, ইবনে হাজার হাইতামী (৯৭৪ হি.)
৬. আলবুরহান ফী আলামাতি মাহদিয়্যি আখিরিয যামান, শায়খ আলী আলমুত্তাকী আলহিন্দী (৯৭৫ হি.)
৭. ইবরাযুল ওয়াহমিল মাকনূন মিন কালামি ইবনি খালদূন, শায়খ আহমদ আলগুমারী (১৩২০-১৩৮০ হি.)
৮. আলমাহদিয়্যিউল মুনতাযার, শায়খ আবদুল্লাহ আলগুমারী
৯. আলআহাদীসুল ওয়ারিদাহ ফিল মাহদী ফী মিযানিল জারহি ওয়াত তাদীল, ড. আবদুল আলীম আলবাসতাবী আলহিন্দী
১০. আকীদাতু আহলিল আছার ফিল মাহদিয়্যিল মুনতাযার, শায়খ আবদুল মুহসিন ইবনে হামদ আলআববাদ
১১. আলইহতিজাজু বিলআছার আলা মান আনকারাল মাহদিয়্যাল মুনতাযার, শায়খ হামূদ ইবনে আবদুল্লাহ তুয়াইজারী
১২. আকীদায়ে যুহুরে মাহদী আহাদিস কি রৌশনি মে, ড. মাওলানা নিযামুদ্দীন শামযী রাহ.।
তবে একথাও সত্য যে, সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসের বাইরে এ বিষয়টিতে জাল, অতি দুর্বল, ও অনির্ভরযোগ্য বর্ণনার সংখ্যাও কম নয়, কিন্তু এই কারণে সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত বিষয়ে কোনো প্রভাব পড়তে পারে না। সহীহ হাদীসে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো এতই সুস্পষ্ট যে, সময়ে সময়ে গোলাম আহমদ কাদিয়ানির মত কিছু বিকৃত চিন্তার মানুষের মাহদী হওয়ার মিথ্যা দাবিতেও কিছু যায় আসে না।
সাথে সাথে একথাও সুস্পষ্ট যে, অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ও সুস্পষ্ট আলামত সম্বলিত ইমাম মাহদী রা.-এর সাথে শিয়া-রাফেযীদের কথিত মাহদীবাদের দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। তাদের মতবিশ্বাসটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বরং ইবনুল কাইয়িমের ভাষায়, ‘পুরো মানবজাতির জন্য লজ্জাকর ও সকল বুদ্ধিমানের কাছে হাস্যকর’ শিয়া-রাফেযীদের এই মাহদীবাদ বিশ্বাসের মূল কথা হল, প্রায় বার শত বছর পূর্বে তাদের বিশ্বাস মতে-নবীদের মতো নিষ্পাপ বারজন ইমামের সর্বশেষ জন জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, যার নাম মুহাম্মাদ বিন হাসান আসকারী। কিশোর বয়সে তিনি ইরাকের সামরো বা সুররা মান রাআ শহরে পানির গভীরে জলজ কুঠিরে আত্মগোপন করে গেছেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গেলেও বারশত বছর পরও তিনি পানিতে জীবিত! তারা প্রতিদিন তার জন্য অপেক্ষা করে কথিত জলজ কুঠিরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে!! সারাদিন চিৎকার করে তাকে আহবান করতে থাকে!!!
এবার আপনিই বলুন, ইমাম মাহদী সংক্রান্ত প্রশ্নের শুরুতে উল্লেখিত ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কোন কথাটির সাথে শীয়াদের এই অলীক কল্পনার মিল আছে??
শীয়াদের এই আকীদা সম্পর্কে হাফেয যাহাবী রাহ. বলেছেন, ‘বিবেকহীনতা থেকে আল্লাহর পানাহ! পূর্ব যুগে এমন কিছু ঘটেছিল বলে যদি ক্ষণিকের জন্য মেনেও নেয়া হয়, তখন প্রশ্ন হল, এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কে? এতদিন পরও তিনি জীবিত আছেন-এরই বা সূত্র কি? এ কথাই বা কে বলেছে যে, তিনি নিষ্পাপ ও সর্বজ্ঞানীও। এসব অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের দ্বারা যদি চিন্তাশক্তিকে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়, তাহলে তো বাস্তব-অবাস্তবের পার্থক্যই হারিয়ে যাবে এবং সকল অসম্ভবকে সম্ভব মনে করার পথ খুলে যাবে!!
মিথ্যা ও অবাস্তব; বরং অসম্ভব বিষয়কে দলীল মনে করা এবং এর দ্বারা ন্যায় ও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা থেকে আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করুন, যা ইমামিয়া ফের্কার বৈশিষ্ট্য।’(সিয়ারু আলামিন নুবালা ১৩/১২১-১২২)
অতএব ইমাম মাহদীর আগমনের সহীহ আকীদা এবং শীয়াদের ঐ অলীক বিশ্বাসকে এক মনে করা অজ্ঞতা ও জাহালত ছাড়া আর কিছু নয়।
এখানে সংক্ষিপ্ত কয়েকটি কথা আরজ করলাম। বিস্তারিত জানার জন্য এই বিষয়ের কিতাবাদি মুতআলাআ করা যেতে পারে।
তবে এখানে যে কথাটি বিশেষভাবে বলা প্রয়োজন, তা হল, মিসরের ড. আহমদ আমীন সমকালীন আরবী ভাষা ও সাহিত্যের পন্ডিত ছিলেন বটে, কিন্তু হাদীস ও ইসলামের ইতিহাসসহ অন্যান্য ইসলামী উলূমে তার ধারণা ছিল খুবই সামান্য ও ভাসাভাসা। আর এই ধারণার অধিকাংশই তিনি গ্রহণ করেছিলেন অনির্ভরযোগ্য কিছু মাসাদির ও খ্রিস্টান প্রাচ্যবিদদের রচনাবলি থেকে। ফলে তিনি ছিলেন ঐ সব চিন্তাবিদদের অন্যতম, যাদের ধ্যান-ধারণা পশ্চিমা-প্রভাবিত এবং যাদের চিন্ত-চেতনা প্রাচ্যবাদিতায় আক্রান্ত। এই কারণে তার রচনাবলিতে এত প্রচুর পরিমাণ এমন স্খলন রয়েছে যে, শুধু এর তালিকা করলেও একটি আলাদা রিসালা তৈরি হয়ে যাবে। ইসলামের ইতিহাস নিয়ে তার সিরিজ রচনা-ফজরুল ইসলাম, জুহরুল ইসলাম ও দুহাল ইসলামের পাতায় পাতায় যার অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। ইমাম মাহদী রাহ. সম্পর্কেও তার বক্তব্য ঐসব সুস্পষ্ট স্খলনের অন্তর্ভুক্ত।
তার এসব স্খলন ও বিচ্যুতি নিয়ে ড. মুস্তফা সিবায়ী ‘আসসুন্নাতু ওয়ামাকানাতুহা ফিত তাশরীয়িল ইসলামী’ নামে একটি ঐতিহাসিক ও চমৎকার গ্রন্থ রচনা করেছেন, যা সকলের পড়ার মতো।
এখানে এই কথাও মনে রাখা জরুরি যে, একজন তালিবে ইলম বরং একজন সাধারণ মানুষের জন্যও যে কোনো ধরনের লেখা কিংবা যে কোনো লেখকের বইপত্র পড়তে যাওয়া উচিত নয়। কী পড়বে, কী পড়বে না- এ বিষয়ে তালীমী মুরববী বা কোনো অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ গ্রহণ করা অবশ্য কর্তব্য। ষ
টীকা : * আল্লামা সাফফারিনী রাহ. (১১১৪ হি.-১১৮৮ হি.) তাঁর আকীদা বিষয়ক কিতাব‘লাওয়ামেউল আনওয়ার আলবাহিয়্যাহ’ যা শরহে আকীদাতিত সাফফারিনী নামে প্রসিদ্ধ। এই কিতাবে (২/৮৪) তিনি লিখেন-
وقد كثرت بخروجه الروايات حتى بلغت حد التواتر المعنوي وشاع ذلك بين علماء السنة حتى عد من معتقداتهم وقد روي عمن ذكر من الصحابة وغير من ذكر منهم رضي الله عنهم بروايات متعددة وعن التابعين من بعدهم ما يفيد مجموعه العلم القطعي فالإيمان بخروج المهدي واجب كما هو مقرر عند أهل العلم ومدون في عقائد أهل السنة والجماعة
সুত্রঃ
Comment