Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিমের রক্ত আজ সস্তা কেন? || ড. ইয়াদ কুনাইবী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিমের রক্ত আজ সস্তা কেন? || ড. ইয়াদ কুনাইবী

    মুসলিমের রক্ত আজ সস্তা কেন?

    [১]


    মিডিয়ার অন্তহীন প্রপাগ্যান্ডা আমাদের মানসিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। আমাদের অজান্তেই। ম্যাস মিডিয়ার মায়াজালে আটকে পড়ে একসময় অবশ হয়ে আসে আমাদের অনুভূতিগুলো। আমরা অবচেতনভাবে ভাবতে শুরু করি মুসলিমদের রক্ত সস্তা। আর অন্যদের রক্ত দামি।

    সিরিয়া, বার্মা, কাশ্মীর, ইরাক, আফগানিস্তান, মিসর, আরাকান, ফিলিস্তিন, পূর্ব তুর্কিস্তান—পৃথিবীর নানা প্রান্তে মুসলিমদের নিয়মমাফিক হত্যা করা হয় প্রতিদিন। অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে, ‘ডজনের বেশি নিহত’ কথাটার বিশেষ কোনো অর্থ আর আজ আমাদের কাছে নেই। আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমরা অবশ হয়ে গেছি। আমাদের বিবেকের পাল্লায় কয়েক ডজন মুসলিম লাশ তেমন একটা ভারী মনে হয় না। কারণ, আমরা প্রতিদিন দেখি ম্যাস মিডিয়া ভাবলেশহীন মুখে মুসলিম নিধনের খবর দিয়ে যাচ্ছে। দিকে দিকে মুসলিমদের খুন করা হলেও, সবাই এটাকে ধরে নিয়েছে স্বাভাবিক হিসেবে। যেন এতে চিন্তিত হবার কিছু নেই। উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। এটাই রুটিন।

    অন্যদিকে একজন কাফির মারা গেলে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে পুরো পৃথিবী। ইস্রাইলি সন্ত্রাসী বাহিনীর সৈনিক গিলাদ শালিত যখন বন্দী হয়েছিল তখন ইস্রাইল কী করেছিল? সেনাবাহিনী আর বিমানবাহিনীর পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গাযার ওপর। হত্যা করেছিল এক হাজারের বেশি মুসলিমকে। কারাগারে বন্দী মুসলিমদের ওপর চালাচ্ছিল নতুন নতুন সব টর্চার। আর এই টর্চারগুলোর নাম দিয়েছিল, ‘শালিতের জন্য শাস্তি’। শালিতকে নিয়ে বন্দী-বিনিময় চুক্তি হবার আগে ফিলিস্তিনের শত শত মুসলিমদের বন্দী করেছিল ইহুদীরা। এই সবকিছু করা হয়েছিল, শুধু একজন ইহুদী সন্ত্রাসীর জন্য।

    ওরা আসলে আমাদের একটা মেসেজ দিচ্ছিল। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে দিচ্ছিল একটা বার্তা—একজন ইহুদী বন্দীর দাম হাজারো মুসলিমের প্রাণের চেয়ে বেশি। তাদের একজন তো পত্রিকায় কলাম লিখে বলেওছিল, ‘অনস্বীকার্য সত্য হলো, আমাদের একজনের দাম ওদের হাজার জনের সমান।’

    কোন মূর্খ সেক্যুলারিস্ট কিংবা ‘মুক্তমনা’ যখন ইসলামকে আক্রমণ করে, তখন সে পশ্চিমের চোখের মণি হয়ে যায়। ‘সত্যের মশালধারী’-কে নিয়ে শুরু হয়ে যায় আদিখ্যেতা। তার জন্য চলে আসে ইউরোপের ভিসা। রাতারাতি সে বনে যায় ‘বিজ্ঞানী’ কিংবা মহান চিন্তক। আজ যেকোনো আরব কিংবা বাদামি চামড়ার মুসলিমের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে ওঠার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ইসলামকে আক্রমণ করা। এটা করে ফিরিঙ্গি বাবুর জাতে ওঠা যায় একেবারে শর্টকাটে।

    এ ধরনের মানুষদের নিয়ে পশ্চিমাদের এত মাথাব্যথা কেন? তথাকথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কেন শুধু এদের নিরাপত্তা নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়? অ্যামেরিকান সেনারা যখন আফগানিস্তানে আমাদের মুসলিমদের ভাইদের হাতের আঙুল কেটে নেয়, হত্যা করার পর তাঁদের মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়, তাঁদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে, তাঁদের শরীরের গোশত নিজেদের কুকুরদের খেতে দেয়, তখন তো টুঁ শব্দটা শোনা যায় না। তখন কেন পশ্চিমারা কথা বলতে ভুলে যায়? আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তখন কোথায় থাকে? মানবতার গালভরা বুলি তখন কোথায় হারিয়ে যায়?

    বরং এসব ব্যাপারে অ্যামেরিকান সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তারা ভাবলেশহীন মুখে জবাব দেয়, ‘আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।‘ প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় অ্যামেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইটকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ যুদ্ধে প্রায় ৫ লক্ষ ইরাকি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এই যে পাঁচ লক্ষ শিশুর জীবন দিতে হলো, যুদ্ধের লাভ-ক্ষতির হিসেবে তা কি উপযুক্ত মনে করেন?

    জবাবে সে বলেছিল, ‘আমার মতে এটা বেশ কঠিন একটা সিদ্ধান্ত। তবে আমরা মনে করি যে, বিনিময়ে আমরা যা পাচ্ছি তার তুলনায় এই দাম ঠিকই আছে।’

    অর্থাৎ অ্যামেরিকান সাম্রাজ্যের প্রসারের জন্য যদি ৫ লাখ মুসলিম শিশুকে হত্যা করতে হয়, তবে তাই সই। এতে ওদের কোনো সমস্যা নেই। কোনোরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত ওরা নিতে। এই হলো আমাদের শত্রুর নৈতিকতার অবস্থা। ওরা যুদ্ধ করে এমন নিয়মে। ওরা আমাদের রক্ত নিয়ে তামাশা করে। কারণ, মুসলিমদের রক্ত ওদের কাছে সস্তা। পানির চেয়েও সস্তা।

    এ তো গেল ওদের কথা। কিন্তু আমাদের কী অবস্থা? আমাদের কাদেরকে নিয়ে চিন্তা করা উচিত? সিরিয়া, আরাকান, কাশ্মীর কিংবা পূর্ব তুর্কিস্থানে খুন হওয়া মুসলিম শিশু কিংবা ধর্ষিত মুসলিম নারী? নাকি ওইসব পশ্চিমা লোকজন, যাদের নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর মিডিয়া? কোন রক্তের মূল্য আমাদের কাছে বেশি?

    আবু গ্বুরাইব আর গুয়ানতানামোর ছবিগুলো দেখিয়ে কাফিররা আসলে আমাদের বলছে—

    ‘ও মুসলিম, এই যে দেখো আমরা তোমাদের ন্যাংটো করে গলায় শেকল দিয়ে ঘোরাচ্ছি। আমাদের এক নারী সৈনিক শেকল ধরে টানছে। আর তোমরা তার পেছনে কুকুরের মতো হামাগুড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছ। এই হলো আমাদের সামনে তোমাদের অবস্থা। উলঙ্গ, অপমানিত। এই হলো আমাদের ক্ষমতা। তোমরা আমাদের কাছে কুকুরেরও অধম।

    এখন কী করবে করো। যা পারো করে দেখাও। পারলে আমাদের ঠেকাও।’

    দিনের পর দিন মিডিয়া থেকে আমরা যখন এই মেসেজগুলো পাই তখন এর ছাপ পড়ে আমাদের চিন্তার ওপর। দিনের পর দিন আমরা যখন মুসলিমনিধনকে স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপিত হতে দেখি আর আগ্রাসনের প্রতিরোধকে সন্ত্রাস হিসেবে, তখন ধীরে ধীরে সেটা আমাদের মাথায় গেঁথে যায়। এ বিষয়গুলো আজ আমাদের এতটাই প্রভাবিত করেছে যে, মিসরে যখন শত শত মুসলিমকে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন আমাদের মধ্যে অনেকে সেটাকে সমর্থন করছিল। এর ফলে জনজীবন নাকি আবার ‘স্বাভাবিক’ হবে।

    মিডিয়ার চতুর মেসেজিং আমাদের মনকে প্রভাবিত করে। অবচেতনভাবে আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করি যে মুসলিমদের জান সস্তা। মুসলিমদের রক্ত মূল্যহীন। আর কাফিরদের জান-মাল-সম্মান খুব দামি কিছু একটা। আর এভাবে একসময় আমাদের পুরো চিন্তাভাবনা বদলে যায়। হিসেবনিকেশ উল্টো হয়ে যায়। মুসলিমদের রক্ত আমাদের কাছে সস্তা হয়ে যায়, আর কাফিরের রক্ত দামি। মুসলিমদের হত্যা করা হবে, আমাদের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যারা ধর্ষিত হবে, আমাদের সন্তানরা পঙ্গু হবে, অনাথ হবে, নিহত হবে—এটাই স্বাভাবিক। কাফির মরলে সেটা অস্বাভাবিক। মুসলিম মার খাবে, এটা স্বাভাবিক। মুসলিম প্রতিরোধ করলে, পালটা আঘাত করলে, সেটা অস্বাভাবিক।

    আমাদের নির্যাতিত মুসলিম ভাইবোনদের নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করে দিই আমরা। প্রতিরোধ আর প্রতিশোধের স্বপ্ন দেখতেও ভুলে যাই। কখন যেন অভিযোগের তীর তাক হয় আমাদের দিকে—সব সময় আশঙ্কায় থাকি । যখন একজন কাফিরেরও কোনো ক্ষতি হয় তখন আমরা রক্ষণাত্মক হয়ে যাই। কাফিরের আগে আমরা ছুটে যাই ‘নিন্দা জানানোর’ মুখস্থ স্ক্রিপ্ট নেই। পাছে কাফির কিছু বলে!

    আমার ভাই ও বোনেরা, এই মনস্তাত্ত্বিক আগ্রাসন থেকে নিজেদের বাঁচাতে হবে। এই মানসিক বিচ্যুতির ব্যাপার সতর্ক হতে হবে। সামরিক আগ্রাসনের চেয়েও মনস্তাত্ত্বিক এ আগ্রাসন বেশি ভয়ংকর।

    [২]


    শরীয়াহতে একজন মুসলিমের জীবনের দাম কত, সেটা বুঝতে হবে, মনে রাখতে হবে। মুসলিমের জান-মাল-সম্পদের নিরাপত্তা শরীয়াহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর একটি। যদি আপনি জানতে চান কোনো রাষ্ট্র আসলেই শরীয়াহ দ্বারা শাসিত হয় কি না, তাহলে সেই রাষ্ট্রে মুসলিমের রক্তের মূল্য কত, সেটা দেখুন।

    আজকের তথাকথিত উন্নত বিশ্ব গর্ব করে বলে, তারা নাকি মানবাধিকার রক্ষায় সেনাবাহিনী পাঠায়। কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি মহান দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন রাসূলুল্লাহ ﷺ। মদীনার ইহুদী গোত্র বনু কায়কুনার কয়েকজন মিলে একজন মুসলিম নারীর পর্দা সরিয়ে দিয়েছিল। প্রতিবাদে একজন মুসলিম এগিয়ে আসায় তাঁকে হত্যা করেছিল এই ইহুদীরা। এ অপরাধের কারণে রাসূলুল্লাহ ﷺ মুসলিম বাহিনী নিয়ে পুরো বানু কায়নুকাকে গোত্রকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন, তারপর মদীনা থেকে বিতাড়িত করেছিলেন। আজ যখন আমাদের মুসলিম বোনদের ধর্ষিত হবার খবর শুনবেন তখন এ দৃষ্টান্তের কথা মনে রাখবেন।

    হুদাইবিয়ার সন্ধির আগে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, মক্কার মুশরিকরা উসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে হত্যা করেছে। শুধু একজন মুসলিমের রক্তের প্রতিশোধ নিতে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন তাঁর সাহাবী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম)-দের কাছ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই করার শপথ নেন। ইতিহাসে এ ঘটনা বাইয়াতুর রিদ্বওয়ান নামে প্রসিদ্ধ।

    মু’তার যুদ্ধের আগে গ্বাসসান গোত্র যখন বসরায় পাঠানো রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর দূতকে হত্যা করে, তখন তিনি এক সেনাবাহিনী পাঠান। তিনি ﷺ জানতেন যে এ এক অসম যুদ্ধ হবে। কাফিরদের সংখ্যা ছিল অনেক, অনেক বেশি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তবুও মুসলিম বাহিনীকে পাঠিয়েছিলেন। কারণ, একজন মুসলিমের জীবনের গুরুত্ব এবং একজন মুসলিম আক্রান্ত হলে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত, তার দৃষ্টান্ত পুরো পৃথিবী এবং পরবর্তী প্রজন্মগুলোর জন্যে তিনি ﷺ রেখে যেতে চেয়েছিলেন।

    মা’আন অঞ্চলের গর্ভনর ফারওয়া বিন আমার আল জুদানী খ্রিষ্ট ধর্ম ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন তাঁকে হত্যা করে রোমানরা। এই হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রস্তুত করেন উসামা বিন যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর বাহিনীকে।

    ইসলামী রাষ্ট্রে আর কেউ একজন মুসলিমের চেয়ে বেশি মূল্যবান না। এমনকি যেসব মুসলিম খালিফাহরা যুলুম করতেন তারাও শত্রুর সামনে মুসলিমের রক্তের এই পবিত্রতা টিকিয়ে রাখতেন। আব্বাসী খালিফাহ আল-মু’তাসিম যালিম শাসক হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু একজন মুসলিম নারী যখন রোমানদের হাতে বন্দী হবার পর চিৎকার করে বললেন, ওয়া মু’হতাসিমা! হে মু’হতাসিম! তুমি কোথায়? তখন একজন মুসলিম নারীর জন্য তিনি এক সেনাবাহিনী পাঠিয়েছিলেন।

    কিছু মূর্খ মু’হতাসিমের সাথে আজকের শাসকদের তুলনা করতে চায়। তারা বলতে চায়—মুহ’তাসিমও যুলুম করত আর আজকের শাসকেরাও যুলুম করে। তাই তারা একই শ্রেণির। তাদের প্রতি আমাদের আচরণ একই রকম হওয়া উচিত। কী নির্বোধের মতো কথা! ‘হে মু’হতাসিম’, এর মতো চিৎকার আজ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। পৃথিবীর নানান কোণায় আকাশে-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আমাদের নির্যাতিত বোনদের আর্তনাদ। সেই আর্তনাদের ধ্বনি আজকের এ শাসকদের কানেও পৌঁছেছে। কিন্তু তা তাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেনা। অন্যদিকে সেই মুসলিম নারীর আর্তনাদ স্পর্শ করেছিল মু’হতাসিমের হৃদয়কে। একজন মুসলিম নারীর চিৎকারে প্রকম্পিত হয়েছিল মু’তাসিমে বুক। জ্বলে উঠেছিল আগুন। কিন্তু আজ হাজার হাজার মুসলিম বোনের চিৎকার শোনার পরও এসব শাসকদের অন্তরে মর্যাদাবোধ, ক্রোধ আর প্রতিশোধস্পৃহা জাগে না।

    যখন নাভার রাজ্যের খ্রিষ্টানরা আন্দালুসের তিন জন মুসলিম নারীকে বন্দী করেছিল তখন তাঁদের মুক্ত করার জন্য একটি বাহিনী পাঠিয়েছিলেন আল-হাজ্জ বিন মানসুর। তাই ইউরোপ তাঁকে সম্মান করত। ভয় পেত। তার মৃত্যুর পর তখন ইউরোপ উৎসব করেছিল। আজকের কোন শাসক মারা গেলে কাফিররা উৎসব করবে? বরং এসব শাসকদের কেউ যখন অসুস্থ হয় তখন পশ্চিমারা তার জন্য প্রাইভেট জেট পাঠিয়ে দেয়। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ইউরোপের সেরা হাসপাতালে। যেন সুস্থ-সবল করে তাকে আবার মুসলিমদের খুন করতে আর আল্লাহ-এর দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠানো যায়।

    মুসলিমের রক্তের প্রকৃত মূল্য আমার মনে রাখতে হবে। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমাদের জানতে হবে শরীয়াহতে একজন মুসলিমের রক্ত কতটা মূল্যবান। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ মুসলিমের সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে কী বলেছেন, সেটা জানতে হবে, পরস্পরকে জানাতে হবে। সত্যিকারের ইসলামী রাষ্ট্রে প্রতিটি মুসলিমের জীবন, সম্পদ ও সম্মান সুরক্ষিত থাকে। যখন সে আক্রান্ত হয় তখন তার প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসে রাষ্ট্র। যখন কেউ তার অধিকার ছিনিয়ে নেয়, রাষ্ট্র তখন সেই হামলাকারীর কাছ থেকে তার অধিকার ফিরিয়ে আনে।

    আমরা এই শরীয়াহ এবং এমন ইসলামী রাষ্ট্রের দিকেই আহ্বান করি।

    * * *

    ✍️
    Collected
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    মিডিয়ার চতুর মেসেজিং আমাদের মনকে প্রভাবিত করে। অবচেতনভাবে আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করি যে মুসলিমদের জান সস্তা। মুসলিমদের রক্ত মূল্যহীন। আর কাফিরদের জান-মাল-সম্মান খুব দামি কিছু একটা।
    আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের এই মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের ময়দানে বিজয়ী করুন, কুফফারদের প্রোপাগান্ডাগুলো আমাদের সকল মুসলিম ভাই বোনদের বুঝার তাওফিক দান করুন, আমীন

    Comment


    • #3
      Originally posted by Sabbir Ahmed View Post

      আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের এই মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের ময়দানে বিজয়ী করুন, কুফফারদের প্রোপাগান্ডাগুলো আমাদের সকল মুসলিম ভাই বোনদের বুঝার তাওফিক দান করুন, আমীন
      ছুম্মা আমীন। জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X