ব্যাপকভাবে আলিমদের জাহিল বলা যাবে কিনা। বা এটা কতটা যুক্তিযুক্ত।
বিষয়টা এসেছে এক মুহতারামের পোস্ট কে কেন্দ্র করে।
তিনি বলেছেন, যে আলিম সেক্যুলারদের সমর্থন করে তারা জাহিল।
আসলেই কি জাহিল?
হ্যা তারা আসলেই জাহিল, তবে এখানে কিন্তু আছে,
বিষয়টা হল সেক্যুলাররা যে কাফির এই জিনিস অধিকাংশ আলিমের নিকট স্পষ্ট না, তাদের কারোর নিকট হাসিনার যে সব মন্ত্রীরা ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে তারাও মুসলিম, এইক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হল তাদের অন্তর কি চিড়ে দেখেছ?
নিঃসন্দেহে এগুলো ইরজাবাদ।
কিন্তু মূল সমস্যা হল আরব এবং অনারব আলিমদের মধ্যে পরিবেশ, পরিস্থিতি, অবস্থার মধ্যকার ভিন্নতা থাকার কারনে।
সেক্যুলাররা কাফির, এদের রিদ্দাহ আরব আলিমদের কাছে যতটা স্পষ্ট, অনারবদের কাছে বিশেষ করে ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশে ততটাই অস্পষ্ট।
মিছাল হিসেবে আমরা ১৯ শতকের শুরুর দিকে মিশর, ইরাক, শামের রাজনীতির দিকে তাকাতে পারি, তৎকালীন ইখওয়ানুল মুসলিমীন বনাম মোনাফিক, মুর্তাদ সেনাশাসন যথেষ্ট উদাহরণ। এরা ধর্মের চমকপ্রদ সব স্লোগান, আর আলিমদের নিয়ে মিটিং মজমা, সমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় যেত, কিন্তু কাম করত হাসিনা আর পারভেজ মোশাররফের মত।
প্রাথমিক ভাবে তখনকার আলিমরা তাদের ধার্মিকতায় ধোঁকা খেয়েছেন, এই ভূমির আলিমরা এখন যেটা খায় তারা তখন সেই ধোঁকা খেয়েছে।
যেমন সায়্যিদ শহীদ হাসানুল হক্ব বান্না রহিমাহুল্লাহ মিশরের রাজা ফারুককে আমিরুল মুমিনিন বলেছেন, আমাদের অভিভাবক বলে সম্মোধন করতেন।
যদিও তিনি পরবর্তীতে রুজু করেছিলেন।
কারন হল হাসিনা খালেদা, এরশাদের চেয়ে কয়েকগুণ বড় বড় বুজুর্গ সেজে আরব আলিমদের সামনে হাটু গেড়ে বসত এই মুর্তাদরা৷ এতবড় আল্লাহর অলী কি গোমরাহ হতে পারে! কিন্তু তারা সেটা চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন।
এমনিভাবে পরবর্তীতে ইখওয়ানের ঘাড়ে চড়ে জামাল আব্দুন নাসের মিশরের প্রেসিডেন্ট হয় কিন্তু তার দরবেশি বেশিদিন গোপন রইলনা।
শুরু হল ইখওয়ানের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার আর ধরপাকড়।
এরপর আনুয়ার সাদাত, সর্বশেষ ইখওয়ানের সদস্য ই/য়া/হু/দী আব্দেল ফাত্তাহ সিসি।
তাকে সেনাবাহিনীর ২৬ তম গ্রেড পদবী থেকে মার্শাল জেনারেল পদবী দিয়ে সেনাপ্রধান বানায় ২০১২ সালে ইখওয়ানের ডঃ মোহাম্মদ মুরসী প্রশাসন।
কিন্তু এই লোক ফারুক, জামাল আব্দুন নাসের, আনুয়ার সাদাত,হুসনি মোবারককে ছাড়িয়ে যায়, সে ব্রাদার হোল্ডকে একেবারে কোমড় ভেঙ্গে দিয়ে মিশর ছাড়া করে,তাদের সর্বোচ্চ নেতাকে শহীদ করে।
৬০/৭০ এর দশকে তখন আরবে কমিউনিজমের জয়জয়কার, বিশেষ করে মিশর, ইরাক, সিরিয়ায়।
মাইকেল আফলাক ( সাদ্দাম, হাফেজ আল আসাদের উস্তাদ) সাদ্দাম, হাফেজ আল আসাদ, গাদ্দাফিরা এককজন একেক ভূখন্ডের রব দাবি করে বসে।
জামাল আব্দুন নাসেরের কৌশলি সেক্যুলারিজম এরা প্রকাশ্যে আনতে শুরু করে৷ সাদ্দাম হোসেন জামাল আব্দুন নাসেরের মত দরবেশ সেক্যুলার ছিল না।
২০০১ পরবর্তীতে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে এটা আল্লাহই জানেন৷
আরব এবং অনারব আলিমদের মধ্যে পার্থক্য হল, আরবে ফিরআউনের উত্তরসূরীরা নিজেদের সরূপ উন্মোচন করে আত্মপ্রকাশ করে, ফিরআউনী কায়দায় নির্যাতনের স্টিমরোলার চালায় ইসলাম ও মুসলিমদের উপর।
বাংলাদেশের আলিমরা যেটা ২০১৩ সালে বুঝতে শুরু করেছেন মিশরের আলিমরা সেটা ১৯৬০ সালে বুঝে ফেলেন। আর তা হল সেক্যুলাররা মুসলিম নয়, এরা কাফির।
আবার সবাই যে বুঝেছেন বিষয়টা এমন নয় , সংখ্যাটা খুবই কম।
এখন বাংলাদেশের আলিম বুঝতে শুরু করেছেন , ৫ মে এর পর ক্লিয়ার হওয়া শুরু হয়েছে, একটা অংশ স্বীকার করেছেন যে সেক্যুরা কাফির, ।
আরবের আলিমরা বুঝতে পেরেছেন ট্র্যাজেডির পর, তাদের উপর নিদারুণ জুলুম করেছে, সেক্যুলাররা তাদের পূর্ণ চরিত্র প্রকাশ করেছিল, যার দরুন আরবের শ্রেষ্ট আলিমরা কলম ধরেছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল ফরিদুদ্দিন মাসউদের জাহালত আর সাধারণ আলিমদের জাহালতে তারতম্য আছে কিনা?
জি তারতম্য আছে, ফরিদুদ্দিন মাসউদ স্পষ্ট মোনাফিক গোমরাহ, সে যা বুঝে সাধারণরা তা বুঝে না।
আর সে যে পথে গিয়েছে দুনিয়ার কোন আলিমই তাকে ফিরাতে পারবে বলে আমার মনে হয়না, একমাত্র আল্লাহর অদৃশ্য শক্তি ছাড়া সে ফিরে আসবে না।
প্রক্ষান্তরে যারা জেলাপর্যায়ে আছে, আপনার মসজিদের ইমাম তাদের ব্রেন ফউমার মত বিষাক্ত হয়নি, তাদেরকে যদি বুঝানো হয় তাহলে তারা বুঝে।
এখন কয়েকটি হালত খেয়াল করুন।
১) যারা জেনে-বুঝেই গোঁড়ামি করে,যেমন ফরিদুদ্দিন মাসউদ গ্রুপ।
২) যারা মনে করে মাদ্রাসা মসজিদ বাঁচাতে হেকমতের নামে তাদের সাথে মুআমালাত করা উচিৎ।
৩) যারা দরসি কিতাবের বাইরে আর কিছু পড়েনি, বা ফারেগিন হয়েই খিদমতে লেগে গেছে, দুনিয়াতে কি হচ্ছে সেটার প্রতি তাদের কোন গুরুত্ব নেই।
৪) যারা এসব স্পর্শকাতর ফাতওয়ার জন্য বড় বড় ফাতওয়া বোর্ড ও বড় বড় মান্যবর আলিমদের মুখপানে চেয়ে থাকে৷
এখানে প্রথমটা নিঃসন্দেহে জাহিল নিফাকে আক্রান্ত। দুই নাম্বারে যারা আছে তারা মনে করে আমরা যদি সেক্যুলারদের বানানো ইসলামের বাইরে চিন্তা করি তাহলে যতটুকু খিদমত হচ্ছে তাও বন্ধ হবে,তাই আমরা হেকমতের সাথে কাজ করি।
তিন নাম্বারের সংখ্যাটা বিশাল, এদেরকে চাইলে আমরা কাজে লাগাতে পারি, আপনার কাছে কুফর তাকফির স্পষ্ট, তাহলে আপনার কাজ হল স্থানীয় এসব ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে মিশে তাদের বুঝানো,ইনশাআল্লাহ নববী দাওয়াতের মূলনীতির আলোকে বুঝালে তারা অবশ্যই বুঝবে।
চার নাম্বারের আলিমরা ছোটখাটো আলিম না, এরা হল বড় বড় আলিম, লেখক বক্তা পাবলিক ফিগার শ্রেনি, এরা সবকিছু নিজের ঘাড়ে নিতে চায়না,তাদের আছে বড় বড় মসজিদ,মাদ্রাসার মুহতামিম পদ পদবী যা তারা ছাড়তে চাইনা, এই জন্য তারা চেয়ে থাকে তাদের অনুসরণীয় আলিমদের মুখের দিকে, তারা ফাতওয়া দিবে আর তারা সেটা নকল করবে।
এমন আলিমদের কতিপয় সত্যকে আকড়ে ধরেছেন,তারা পদ পদবীর তোয়াক্কা না করে বাতিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সংখ্যাটা নিতান্তই কম। ইনশাআল্লাহ আমরা আশাকরি এটা বাড়বে।
অরাজকতা ছাড়া বিপ্লব হয়না, বিপ্লবী তৈরি হয়না, আজ থেকে একশত বছর আগে খিলাফত বিলুপ্ত হয়েছে, উসমানীয়দের থেকে আরব হাত ছাড়া হবার পরে যারা শাসক হয়েছে তারা দালাল ক্ষমতালোভী হলেও সরাসরি তারা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেইনি, যেমনটা আজকে সৌদি আমিরাত, জর্ডান করে যাচ্ছে।
স্থানীয় জনগন, আলিমরা মনে করেছে সব তো ঠিকই আছে। আমরা সালাত, হজ্ব যাকাত সব করতে পারি,নিরাপত্তার সাথে আছি, আর সমস্যা কি। তবুও কিন্তু ৯০ দশকে আন্দোলন হয়েছে একদল সত্যবাদী সব সময় থাকবেই।
আর ভারতে তখন ইংরেজ শাসন, খেলাফতের অধীনে থাকা প্রজন্ম বিদায় নিয়েছে শত বছর আগে, নতুন প্রজন্মের কাছে যে ইসলাম এসেছে সেটা শরঈ শাসন মিশ্রিত ছিল না, দুইশত বছর পর ৪৭ এর পরে স্বাধীন হলে আমরা মনে করলাম নামাজ পড়ি হজ্ব করি,যাকাত দিই এই তো ইসলাম। হিসাব করুন ১৯০+৭৫
আমরা দেখিনি আরঙ্গজেবের শাসন, দেখিনি বখতিয়ারের বঙ্গ বিজয়ের পরবর্তী অবস্থা। দেখিনি শাহ ই বাঙ্গাল ইলিয়াস শাহের শাসন।
এরজন্যই আমাদের আলিমরা ব্যর্থ হয়েছেন শরঈ উলিল আমরের মানদণ্ড নির্ধারণের৷ হাসিনাসহ তার মন্ত্রীরা যখন আল্লাহ সর্বশক্তিমান বলে বক্তব্য শুরু করে তখন তারা মনে করে আরে তারা তো রবের কুওয়াতকে স্বীকৃতি দিচ্ছে তাই তারা সর্বোচ্চ ফাসেক ও মোনাফিক।
মনে রাখা চাই, সেক্যুলাররা যখন টুপি মাথায় দেয়, পাঞ্জাবি গায়ে মসজিদে যায়, ধর্মের চমকপ্রদ বাণী প্রসব করে তাহলে বুঝে নিবেন জান্নাত থেকে বিতাড়িত শয়তান কাবির তার মাথায় সওয়ার হয়েছে, তখন আদতে তাকে তাসবিহ হাতে,যায়নামাজে বসে থাকা হাসিনা ও হাসানুল হক্ব ইনু দেখা গেলেও সে মূলত ইবলিশ কোবরা। তখন বুঝে নিতে হবে শয়তান এভাবেই ছদ্মবেশ ধারন করে মুমিনদের ধোঁকা দেয়।
বিষয়টা এসেছে এক মুহতারামের পোস্ট কে কেন্দ্র করে।
তিনি বলেছেন, যে আলিম সেক্যুলারদের সমর্থন করে তারা জাহিল।
আসলেই কি জাহিল?
হ্যা তারা আসলেই জাহিল, তবে এখানে কিন্তু আছে,
বিষয়টা হল সেক্যুলাররা যে কাফির এই জিনিস অধিকাংশ আলিমের নিকট স্পষ্ট না, তাদের কারোর নিকট হাসিনার যে সব মন্ত্রীরা ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে তারাও মুসলিম, এইক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হল তাদের অন্তর কি চিড়ে দেখেছ?
নিঃসন্দেহে এগুলো ইরজাবাদ।
কিন্তু মূল সমস্যা হল আরব এবং অনারব আলিমদের মধ্যে পরিবেশ, পরিস্থিতি, অবস্থার মধ্যকার ভিন্নতা থাকার কারনে।
সেক্যুলাররা কাফির, এদের রিদ্দাহ আরব আলিমদের কাছে যতটা স্পষ্ট, অনারবদের কাছে বিশেষ করে ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশে ততটাই অস্পষ্ট।
মিছাল হিসেবে আমরা ১৯ শতকের শুরুর দিকে মিশর, ইরাক, শামের রাজনীতির দিকে তাকাতে পারি, তৎকালীন ইখওয়ানুল মুসলিমীন বনাম মোনাফিক, মুর্তাদ সেনাশাসন যথেষ্ট উদাহরণ। এরা ধর্মের চমকপ্রদ সব স্লোগান, আর আলিমদের নিয়ে মিটিং মজমা, সমর্থন আদায় করে ক্ষমতায় যেত, কিন্তু কাম করত হাসিনা আর পারভেজ মোশাররফের মত।
প্রাথমিক ভাবে তখনকার আলিমরা তাদের ধার্মিকতায় ধোঁকা খেয়েছেন, এই ভূমির আলিমরা এখন যেটা খায় তারা তখন সেই ধোঁকা খেয়েছে।
যেমন সায়্যিদ শহীদ হাসানুল হক্ব বান্না রহিমাহুল্লাহ মিশরের রাজা ফারুককে আমিরুল মুমিনিন বলেছেন, আমাদের অভিভাবক বলে সম্মোধন করতেন।
যদিও তিনি পরবর্তীতে রুজু করেছিলেন।
কারন হল হাসিনা খালেদা, এরশাদের চেয়ে কয়েকগুণ বড় বড় বুজুর্গ সেজে আরব আলিমদের সামনে হাটু গেড়ে বসত এই মুর্তাদরা৷ এতবড় আল্লাহর অলী কি গোমরাহ হতে পারে! কিন্তু তারা সেটা চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন।
এমনিভাবে পরবর্তীতে ইখওয়ানের ঘাড়ে চড়ে জামাল আব্দুন নাসের মিশরের প্রেসিডেন্ট হয় কিন্তু তার দরবেশি বেশিদিন গোপন রইলনা।
শুরু হল ইখওয়ানের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার আর ধরপাকড়।
এরপর আনুয়ার সাদাত, সর্বশেষ ইখওয়ানের সদস্য ই/য়া/হু/দী আব্দেল ফাত্তাহ সিসি।
তাকে সেনাবাহিনীর ২৬ তম গ্রেড পদবী থেকে মার্শাল জেনারেল পদবী দিয়ে সেনাপ্রধান বানায় ২০১২ সালে ইখওয়ানের ডঃ মোহাম্মদ মুরসী প্রশাসন।
কিন্তু এই লোক ফারুক, জামাল আব্দুন নাসের, আনুয়ার সাদাত,হুসনি মোবারককে ছাড়িয়ে যায়, সে ব্রাদার হোল্ডকে একেবারে কোমড় ভেঙ্গে দিয়ে মিশর ছাড়া করে,তাদের সর্বোচ্চ নেতাকে শহীদ করে।
৬০/৭০ এর দশকে তখন আরবে কমিউনিজমের জয়জয়কার, বিশেষ করে মিশর, ইরাক, সিরিয়ায়।
মাইকেল আফলাক ( সাদ্দাম, হাফেজ আল আসাদের উস্তাদ) সাদ্দাম, হাফেজ আল আসাদ, গাদ্দাফিরা এককজন একেক ভূখন্ডের রব দাবি করে বসে।
জামাল আব্দুন নাসেরের কৌশলি সেক্যুলারিজম এরা প্রকাশ্যে আনতে শুরু করে৷ সাদ্দাম হোসেন জামাল আব্দুন নাসেরের মত দরবেশ সেক্যুলার ছিল না।
২০০১ পরবর্তীতে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে এটা আল্লাহই জানেন৷
আরব এবং অনারব আলিমদের মধ্যে পার্থক্য হল, আরবে ফিরআউনের উত্তরসূরীরা নিজেদের সরূপ উন্মোচন করে আত্মপ্রকাশ করে, ফিরআউনী কায়দায় নির্যাতনের স্টিমরোলার চালায় ইসলাম ও মুসলিমদের উপর।
বাংলাদেশের আলিমরা যেটা ২০১৩ সালে বুঝতে শুরু করেছেন মিশরের আলিমরা সেটা ১৯৬০ সালে বুঝে ফেলেন। আর তা হল সেক্যুলাররা মুসলিম নয়, এরা কাফির।
আবার সবাই যে বুঝেছেন বিষয়টা এমন নয় , সংখ্যাটা খুবই কম।
এখন বাংলাদেশের আলিম বুঝতে শুরু করেছেন , ৫ মে এর পর ক্লিয়ার হওয়া শুরু হয়েছে, একটা অংশ স্বীকার করেছেন যে সেক্যুরা কাফির, ।
আরবের আলিমরা বুঝতে পেরেছেন ট্র্যাজেডির পর, তাদের উপর নিদারুণ জুলুম করেছে, সেক্যুলাররা তাদের পূর্ণ চরিত্র প্রকাশ করেছিল, যার দরুন আরবের শ্রেষ্ট আলিমরা কলম ধরেছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল ফরিদুদ্দিন মাসউদের জাহালত আর সাধারণ আলিমদের জাহালতে তারতম্য আছে কিনা?
জি তারতম্য আছে, ফরিদুদ্দিন মাসউদ স্পষ্ট মোনাফিক গোমরাহ, সে যা বুঝে সাধারণরা তা বুঝে না।
আর সে যে পথে গিয়েছে দুনিয়ার কোন আলিমই তাকে ফিরাতে পারবে বলে আমার মনে হয়না, একমাত্র আল্লাহর অদৃশ্য শক্তি ছাড়া সে ফিরে আসবে না।
প্রক্ষান্তরে যারা জেলাপর্যায়ে আছে, আপনার মসজিদের ইমাম তাদের ব্রেন ফউমার মত বিষাক্ত হয়নি, তাদেরকে যদি বুঝানো হয় তাহলে তারা বুঝে।
এখন কয়েকটি হালত খেয়াল করুন।
১) যারা জেনে-বুঝেই গোঁড়ামি করে,যেমন ফরিদুদ্দিন মাসউদ গ্রুপ।
২) যারা মনে করে মাদ্রাসা মসজিদ বাঁচাতে হেকমতের নামে তাদের সাথে মুআমালাত করা উচিৎ।
৩) যারা দরসি কিতাবের বাইরে আর কিছু পড়েনি, বা ফারেগিন হয়েই খিদমতে লেগে গেছে, দুনিয়াতে কি হচ্ছে সেটার প্রতি তাদের কোন গুরুত্ব নেই।
৪) যারা এসব স্পর্শকাতর ফাতওয়ার জন্য বড় বড় ফাতওয়া বোর্ড ও বড় বড় মান্যবর আলিমদের মুখপানে চেয়ে থাকে৷
এখানে প্রথমটা নিঃসন্দেহে জাহিল নিফাকে আক্রান্ত। দুই নাম্বারে যারা আছে তারা মনে করে আমরা যদি সেক্যুলারদের বানানো ইসলামের বাইরে চিন্তা করি তাহলে যতটুকু খিদমত হচ্ছে তাও বন্ধ হবে,তাই আমরা হেকমতের সাথে কাজ করি।
তিন নাম্বারের সংখ্যাটা বিশাল, এদেরকে চাইলে আমরা কাজে লাগাতে পারি, আপনার কাছে কুফর তাকফির স্পষ্ট, তাহলে আপনার কাজ হল স্থানীয় এসব ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে মিশে তাদের বুঝানো,ইনশাআল্লাহ নববী দাওয়াতের মূলনীতির আলোকে বুঝালে তারা অবশ্যই বুঝবে।
চার নাম্বারের আলিমরা ছোটখাটো আলিম না, এরা হল বড় বড় আলিম, লেখক বক্তা পাবলিক ফিগার শ্রেনি, এরা সবকিছু নিজের ঘাড়ে নিতে চায়না,তাদের আছে বড় বড় মসজিদ,মাদ্রাসার মুহতামিম পদ পদবী যা তারা ছাড়তে চাইনা, এই জন্য তারা চেয়ে থাকে তাদের অনুসরণীয় আলিমদের মুখের দিকে, তারা ফাতওয়া দিবে আর তারা সেটা নকল করবে।
এমন আলিমদের কতিপয় সত্যকে আকড়ে ধরেছেন,তারা পদ পদবীর তোয়াক্কা না করে বাতিলের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সংখ্যাটা নিতান্তই কম। ইনশাআল্লাহ আমরা আশাকরি এটা বাড়বে।
অরাজকতা ছাড়া বিপ্লব হয়না, বিপ্লবী তৈরি হয়না, আজ থেকে একশত বছর আগে খিলাফত বিলুপ্ত হয়েছে, উসমানীয়দের থেকে আরব হাত ছাড়া হবার পরে যারা শাসক হয়েছে তারা দালাল ক্ষমতালোভী হলেও সরাসরি তারা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেইনি, যেমনটা আজকে সৌদি আমিরাত, জর্ডান করে যাচ্ছে।
স্থানীয় জনগন, আলিমরা মনে করেছে সব তো ঠিকই আছে। আমরা সালাত, হজ্ব যাকাত সব করতে পারি,নিরাপত্তার সাথে আছি, আর সমস্যা কি। তবুও কিন্তু ৯০ দশকে আন্দোলন হয়েছে একদল সত্যবাদী সব সময় থাকবেই।
আর ভারতে তখন ইংরেজ শাসন, খেলাফতের অধীনে থাকা প্রজন্ম বিদায় নিয়েছে শত বছর আগে, নতুন প্রজন্মের কাছে যে ইসলাম এসেছে সেটা শরঈ শাসন মিশ্রিত ছিল না, দুইশত বছর পর ৪৭ এর পরে স্বাধীন হলে আমরা মনে করলাম নামাজ পড়ি হজ্ব করি,যাকাত দিই এই তো ইসলাম। হিসাব করুন ১৯০+৭৫
আমরা দেখিনি আরঙ্গজেবের শাসন, দেখিনি বখতিয়ারের বঙ্গ বিজয়ের পরবর্তী অবস্থা। দেখিনি শাহ ই বাঙ্গাল ইলিয়াস শাহের শাসন।
এরজন্যই আমাদের আলিমরা ব্যর্থ হয়েছেন শরঈ উলিল আমরের মানদণ্ড নির্ধারণের৷ হাসিনাসহ তার মন্ত্রীরা যখন আল্লাহ সর্বশক্তিমান বলে বক্তব্য শুরু করে তখন তারা মনে করে আরে তারা তো রবের কুওয়াতকে স্বীকৃতি দিচ্ছে তাই তারা সর্বোচ্চ ফাসেক ও মোনাফিক।
মনে রাখা চাই, সেক্যুলাররা যখন টুপি মাথায় দেয়, পাঞ্জাবি গায়ে মসজিদে যায়, ধর্মের চমকপ্রদ বাণী প্রসব করে তাহলে বুঝে নিবেন জান্নাত থেকে বিতাড়িত শয়তান কাবির তার মাথায় সওয়ার হয়েছে, তখন আদতে তাকে তাসবিহ হাতে,যায়নামাজে বসে থাকা হাসিনা ও হাসানুল হক্ব ইনু দেখা গেলেও সে মূলত ইবলিশ কোবরা। তখন বুঝে নিতে হবে শয়তান এভাবেই ছদ্মবেশ ধারন করে মুমিনদের ধোঁকা দেয়।
Comment