হামাসের নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন আল আকসা ফ্লাড এর ১০০ তম দিন উপলক্ষে হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা হাফিযাহুল্লাহ এই অপারেশন কি উদ্দেশ্যে পরিচালনা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেন। আর তাহল- অতি অল্পদিনের ভিতরই ইহুদিরা পবিত্র 'মসজিদ আল আকসা' কে ভেঙ্গে সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে যাচ্ছে। অভিশপ্ত ইহুদিদের এই জঘন্য কর্মকাণ্ড ঘটানো থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে হামাসসহ ফিলিস্তিনের ছোট বড় প্রায় সকল দল মিলে একযোগে এই হামলা পরিচালনা করেছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লা তাদের সাহায্য করুন, অবিচল রাখুন, বিজয় দান করুন।
ছবিঃ টেম্পল ইনস্টিটিউট, রেড হেইফার বলিদানের পিছনের দল, তাদের কল্পিত টেম্পল মাউন্টের একটি নতুন ছবি পোস্ট করেছে৷ যেখানে কোন গম্বুজ ( ডোম অফ দ্য রক ) নেই। মসজিদ আল-আকসা নেই। তারা "কম্পাউন্ড ভাগ করে নেওয়ার" বা এটিকে "সকলের উপাসনার জন্য একটি পবিত্র স্থান" হিসাবে দাবি করে না। তারা মসজিদ ধ্বংস করে পুরোটাই নিজেদের জন্য নিতে চায়। এছাড়াও লক্ষণীয় হল এই ছবিতে টেম্পল মাউন্ট থেকে জলপাই পর্বত পর্যন্ত ব্রিজটি যেখানে লাল গাভীর বলিদান করা হবে, তা দেখানো হয়েছে।
ইহুদিদের বিশ্বাস তারা সামগ্রিকভাবে এখন অপবিত্র অবস্থায় আছে। সম্পূর্ণ লাল রঙের পূর্ণ ৩ বছর বয়স্ক গাভী বা RED HEIFER যার একটা পশমও লাল ছাড়া অন্য রঙয়ের হতে পারবে না, এমন গরু হত্যা করে, তা পুড়িয়ে, তার ছাইয়ের পানি দিয়ে গোসল করে পবিত্র হওয়ার পর তারা মসজিদে আকসার জমিতে ঢুকতে পারবে। তারপর সেটা ভেঙ্গে থার্ড টেম্পল বানালে তাদের প্রতীক্ষিত মাসীহাহ'র (পড়ুন আদ-দাজ্জাল) আবির্ভাব হবে। যে ইহুদিদের নিয়ে সারাবিশ্ব এই টেম্পল মাউন্ট থেকে শাসন করবে। এবং সারাবিশ্বে কথিত শান্তি ফিরিয়ে আনবে।
আমাদের ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ভাইদের গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া একটি খবর এখন দুনিয়া জুড়ে ভাইরাল, তাহল- ইহুদিরা আমেরিকা থেকে এই কর্মযজ্ঞের উদ্দেশ্যে ৫ টি লাল গরু আনিয়ে বায়তুল মাকদিসের নিকটবর্তী কোন এক স্থানে গোপনভাবে সেগুলো লালন পালন করেছে।
আর এই রামাদানের শেষ দশকে বা ঈদের দিন তারা তাদের কথিত পবিত্র হওয়ার রিচুয়ালটি পালন করতে যাচ্ছে। অর্থাৎ তারপর যেকোন সময়েই এই অভিশপ্ত ইহুদিরা আল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডকে গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে তাদের কথিত থার্ড টেম্পল বানানোর কাজ শুরু করবে। যার প্রচারণা এবং তোড়জোড় তারা অনেক আগে থেকেই শুরু করেছে।
মসজিদে আকসা কে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এই অভিশপ্ত ইহুদিরা বহু আগে থেকেই প্রত্নতাত্ত্বিক খননের নামে আল আকসা কম্পাউন্ডের নিচে সুরঙ্গ খুঁড়ে এর ভিত্তিমূল ধ্বসিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সমগ্র মুসলিম উম্মাহ প্রতি আমাদের প্রথম কিবলা, ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র মিরাজের স্মৃতিবিজড়িত স্থান, নবী আলাহিমুসসালামদের পুণ্যভূমি রক্ষার আবেদন বারবার জানিয়ে আসছিলো হামাসের নেতৃত্ব এবং আল আকসা মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বাকি মুসলিম বিশ্ব থেকে আমরা দু'টাকার প্যাডে একটু বিবৃতি দেয়া আর কিছু রোমান্টিক র্যালি ব্যাতিত কার্যকর কিছুই করতে পারি নাই। এমনকি গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের আজ প্রায় ২০০ দিন হয়ে গেলেও হামলা গণহত্যা বন্ধের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা দূরে থাক, মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ত্রাণের ট্রাকগুলো ঢুকার ব্যবস্থা করতেও অক্ষম হয়েছি আমরা ২০০ কোটি মুসলিম দাবিদার।
আমাদের অনেকে বসে আছি মুসলিম বিশ্বের শাসকদের দিকে তাকিয়ে যে, তারা কিছু করবে। কোন পদক্ষেপ নিবে। আর এটা তো এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, এই শাসকরা মূলত জায়োনিস্ট ইহুদিদেরই পুতুল। তারা জনগণ যখনই এই ইহুদিদের বিরুদ্ধে গনআন্দোলনে নেমে পড়ে, তখন ইহুদিদের আজ্ঞাবহের মতো সর্ব প্রকারের হামলা মামলা নিজ জনগণের উপরই করে। এমনকি ইহুদিবাদীদের রক্ষা করতে নিজ জনগণকে গুলি করে হত্যা করতে পর্যন্ত কুণ্ঠিত হয় না। তারা ইহুদিদের পণ্য সরবরাহের জন্য বর্ডার উন্মুক্ত করে দিতে পারে, মুসলিম দেশের ভূখণ্ড ইসরাইলকে পণ্য সামগ্রী পরিবহনের জন্য খুলে দিতে পারে। কিন্তু গাজার মুজাহিদদের কোন সাহায্য করতে পারে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মদিনায় হিজরতের বহু আগে থেকেই মদিনায় ইহুদিদের তিনটা গোত্র বসবাসরত ছিল এই আশায় যে তাদের ধর্মগ্রন্থের ভবিষ্যৎবানী অনুযায়ী মদিনায় তথা ইয়াসরিবে শেষ নবীর আগমন ঘটবে। যিনি তাদের দুরবস্থা থেকে মুক্তি দান করে অন্য সকল জাতি ও ধর্মের উপর ইহুদিদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করবেন। তারা নবীর বংশধর, নবীদের সন্তান, তাই তারা শ্রেষ্ঠ, এমন বর্ণবাদী ধারণা তাদের পূর্বে যেমন ছিল, আজও তেমনই আছে।
তবে তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ভবিষ্যৎবানীকৃত বহু প্রতীক্ষিত সেই ত্রাণকর্তা, উদ্ধারকারী, মাসীহাহ'র আজও আগমন ঘটে নাই। অথচ বাস্তবতা হল, তাদের ধর্মগ্রন্থের ভবিষ্যৎবানী মতেই ঈসা ইবনে মারিয়াম এসেছিলো, কিন্তু তারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি হত্যা করতে পর্যন্ত উদ্যত হয়েছে, যদিও আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা নবী ঈসা আলাহিস সালামকে তাদের চক্রান্তের জাল থেকে উদ্ধার করে আসমানে তুলে নিয়েছেন।
তারমানে আপনাকে বলা হল যে, আপনাকে একটা উপহার দেয়া হবে সামনে। আপনি আশায় বসে রইলেন। কিছু সময় পর আপনাকে সেই উপহার দেয়া হল, আর আপনি তা অবজ্ঞা ভরে ফেলে দিয়ে গোঁ ধরে বসে রইলেন শুধু এইকারনেই যে, কেন আপনাকে আপনার চাহিদা মতো বস্তু উপহাররূপে দেয়া হয় নাই। কারণ, অনুগ্রহ করে আগে যেটা দেয়া হয়েছে, সেটা আপনার পছন্দ হয় নাই।
যাইহোক, ইহুদিদের সেই মাসীহাহ'র আশায় বসে থাকা শুধুমাত্র আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়। আর আমরা রাসুলুল্লাহ'র থেকে জানি, তাদের সেই প্রতীক্ষিত মাসীহাহ মূলত মাসীহ আদ-দাজ্জাল।
ইহুদিরা স্বভাবগতভাবেই কুটিল। মদিনায় অবস্থানকালে তারা মদিনার স্থানীয় দুই ভাতৃপ্রতিম গোত্র আওস এবং খাজরাজ এর মাঝে সর্বদা যুদ্ধ বাধিয়ে রাখতো। কখনোবা যদি আওস আর খাজরাজ পরস্পরের মধ্যে সন্ধি করে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করতো, এই অভিশপ্ত ইহুদির দল নিজে থেকে গুপ্তহামলা করে, তার দায় অন্য গোত্রের উপর কৌশলে চাপিয়ে যুদ্ধ কখনো বন্ধ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতো। আর এই যুদ্ধের উসিলায় অস্ত্র বিক্রি, চড়া সুদের ঋণ দিয়ে দায়গ্রস্থ করে রাখাসহ নানা উপায়ে স্বার্থ হাসিল করার ব্যাপার তো ইহুদিদের মজ্জাগত এমন গুণ, যার লিগ্যাসি তারা হাজার হাজার বছর ধরে ধরে রেখেছে।
এই কথাগুলো কেন আনলাম? এজন্যই যে, বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিগন প্রবলভাবে ধারণা করেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত করার পেছনের মূল কারিগর এই অভিশপ্ত ইহুদিরা। আর আপনি যদি তাদের এই মাসীহাহ কে দিয়ে জেরুজালেম কেন্দ্রিক বিশ্ব শাসন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পিছে তাদের শত শত বছরের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের সাথে আজ পর্যন্ত ঘটনাবলীকে মেলান, তাহলে দিবালোকের মতো স্পষ্ট দেখবেন তাদের এই হীন স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সম্পূর্ণ মানবজাতিকে কি ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে তারা ঠেলে দিয়েছে।
আপনি হয়তো এই খবর দেখেছেন বা জানেন, বিশ্বের নামকরা যত পর্ণগ্রাফিক সাইট আছে, তার প্রায় বেশিরভাগের মালিকানা এই ইহুদিদের। আজ আমাদের সোশাল মিডিয়ায় আসক্ত করে ফেলা হয়েছে, যার বেশিরভাগের মালিক ইহুদিরা, নয়তো ফান্ডিং করে পলিসি নিয়ন্ত্রণ করে। বিশ্বকে মূল্যহীন কাগুজে নোটের আর সুদি ব্যাংকিং ব্যবস্থার জালে আবদ্ধ করে ফেলার পিছনের কারিগরও এই ইহুদিরাই। আর এই অর্থব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করেই বিশ্বের দুর্নীতিবাজ নেতাদের হাতের মুঠে রেখে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের বাগ নিজেদের হাতে রেখেছে এই অভিশপ্ত ইহুদিরা।
আপনি দেখবেন তাদের পুতুল নাচের আসরের মতো মঞ্চের পেছনে থেকে সুতা নাড়তে। আর তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের দেখবেন কেউ আবোল তাবোল বলে, কেউ হেঁটে হেঁটে ঘুমায়। এরা সব খ্রিস্টান। আর প্রেসিডেন্ট নামের পুতুলের পিছে বা পাশে থেকে সুতা নাড়ানো সু-চতুর কারিগর হয় সেক্রেটারি অব স্টেট বা AIPAC এর মতো গোপন ইহুদি লবি। যেখানে থাকে এন্টোনি ব্লিঙ্কেন আর হেনরি কিসিঞ্জারের মতো ইহুদি।
কোরআন মাজিদে ইহুদিদের এই কুটিল স্বভাব বেশ ভালো ভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে। আবার খ্রিস্টানদের নিকট নবী ঈসা আলাইহিস সালামের কথিত হত্যার পিছে এই অভিশপ্ত ইহুদিদের জড়িত থাকার কারণে বিশ্বের মেজরিটি জনসংখ্যার নিকট এরা ধিকৃত এবং ঘৃণিত। যারফলে কয়েক হাজার বছর ধরে তারা নিজ ধর্ম পরিচয়ে সরাসরি কিছুই করতে পারে নাই। এর জন্য তাদের কোথাও কোথাও অন্য ধর্মের পরিচয়ে চলতে হয়েছে, যেথা পরিচয় প্রকাশ পেলেই হতে হয়েছে বিতাড়িত। ইহুদিদের গোয়েন্দাগিরি তে পারদর্শী হওয়ার এটাও সম্ভবত একটা কারণ। উগ্র শ্রেষ্ঠত্ববোধ আর ধর্ম পরিচয় নিয়ে এমন সংকটের কারণেই সম্ভবত তারা সারাবিশ্ব থেকে মানুষদের ধর্ম পালন বা ধর্ম পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার সিস্টেমটাকেই সেকুলারিজম দিয়ে বদলে দিয়েছে। তারা ব্যাতিত বাকি বিশ্বের মানুষদের হেদায়াতের আলোবিহীন উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরার জন্য মহান আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্ত্ব কে বিবর্তনবাদ দিয়ে পরিবর্তন করে আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লাকে চেনার নিদর্শনগুলোর উপর বিভ্রান্তির জাল জড়িয়ে দিয়েছে। আপনি এসবের পিছনের মূল ঘটক হিসেবে ইহুদিদেরকেই পাবেন। এরাই বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য পারমানবিক বোমার উদ্ভাবন করেছে। পর্দার আড়ালে কাজ করার কারণে এদের অসংখ্য গুপ্ত এজেন্ডা আজও অনেকের সামনে ধোঁয়াশা বা অস্পষ্ট।
আল্লাহ্র লানত এই অভিশপ্ত ইহুদিদের উপর। সুরাহ ফাতিহায় আমরা মাগদুবি 'আলাইহিম বলে প্রতিনিয়ত এই ইহুদিদের পরিণাম থেকেই আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই। কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন, কেন আল্লাহ্ তা'লা ইহুদিদের পরিণাম থেকে আশ্রয় চাওয়াকে আমাদের জন্য অপরিহার্য করে দিয়েছেন?
এই ইহুদিরা মক্কার মুশরিকদের বুঝাতো 'তোমরা হকের উপর আছো', ফলে মক্কাবাসীর জন্য দ্বীন গ্রহণ কঠিন করে তুলেছিল। আবার মদিনার একদল মুনাফিক এদেরই নানান তৎপরতার কারণে তৈরি হয়েছিলো। মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকার পরও এরা গোপনে কুফফারদের সাহায্য সমর্থন করতো। নিজেদের নবীদেরকেই শুধু অন্যায়ভাবে হত্যা করে নাই, আমাদের নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও পর্যন্ত বিষ প্রয়োগে, যাদু করে, পাথর ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদের একদলকে মদিনা থেকে বিতাড়িত করে, আরেকদলের যুদ্ধে সক্ষম সকল পুরুষদের হত্যা, নারী ও শিশুদের দাস বানিয়ে তবেই মক্কা বিজয় করেছিলেন। তার পরবর্তী দশ-পনের বছরের মধ্যেই রোম এবং পারস্য সম্রাজ্য মুসলিমদের পদানত হয়। এর মানে এই না যে, এই ইহুদিরা অনেক শক্তিশালী, বরং তারা ছিল কূটকৌশলী।
আজও আমাদের অনেকে মনে করে ইহুদিরা অনেক শক্তিশালী, অনেক জ্ঞানী, অনেক বুদ্ধিমান। কারণ তারা এইভাবে চলে, এই ঐ খায় ইত্যাদি। অথচ বাস্তবতা হল, তারা বিশ্বের মেধাগুলোকে সামান্য অর্থের বিনিময়ে কিনে নিজেদের নামে চালিয়ে নিচ্ছে। নয়তো গড়পড়তা মেধা ইহুদিদের তুলনায় অন্যদের বেশি। তারা শুধু কূটকৌশলেই শ্রেষ্ঠ। কারণ এমন কূটকৌশল বাকি মানবসমাজের নিকট অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেমন- পর্ণগ্রাফি, সমকামিতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ছড়িয়ে যুবক যুবতিদের চরিত্রকে, বংশবৃদ্ধির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার মাধ্যমে ইহুদি এবং তাদের আজ্ঞাবহ বাদে অন্য যেকোন জাতির কর্মক্ষম জনশক্তিকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এর দ্বারা সুদি ব্যবস্থা ও মূল্যহীন কাগুজে মুদ্রার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সিস্টেম কব্জা করা। আর এই মূল্যহীন কাগজ দ্বারা বাকি বিশ্বের নেতৃত্বগুলোকে, মেধাবী ব্যক্তিগুলোকে কিনে ফেলা। নয়তো- 'তুমি আমার নও তো কারো নও' এই নীতি তে গুম করে, গুপ্তহত্যা করে অন্যদের অগ্রগতি রুখে দেয়া। মানবসমাজকে ধর্মহীন করে ফেলা, ইত্যাদি। এসব এমন ধ্বংসাত্মক কৌশল যার পাল্টা প্রয়োগ করে ইহুদিদের উপর বিজয়ী হওয়ার উপযুক্ত তারচেয়েও নিকৃষ্ট ব্যক্তি বিশ্ব জুড়ে পাওয়া বিরল। আর এটাই বর্তমানে ইহুদিদের শ্রেষ্ঠত্বের গোপন তত্ত্ব।
ছবিঃ টেম্পল ইনস্টিটিউট, রেড হেইফার বলিদানের পিছনের দল, তাদের কল্পিত টেম্পল মাউন্টের একটি নতুন ছবি পোস্ট করেছে৷ যেখানে কোন গম্বুজ ( ডোম অফ দ্য রক ) নেই। মসজিদ আল-আকসা নেই। তারা "কম্পাউন্ড ভাগ করে নেওয়ার" বা এটিকে "সকলের উপাসনার জন্য একটি পবিত্র স্থান" হিসাবে দাবি করে না। তারা মসজিদ ধ্বংস করে পুরোটাই নিজেদের জন্য নিতে চায়। এছাড়াও লক্ষণীয় হল এই ছবিতে টেম্পল মাউন্ট থেকে জলপাই পর্বত পর্যন্ত ব্রিজটি যেখানে লাল গাভীর বলিদান করা হবে, তা দেখানো হয়েছে।
ইহুদিদের বিশ্বাস তারা সামগ্রিকভাবে এখন অপবিত্র অবস্থায় আছে। সম্পূর্ণ লাল রঙের পূর্ণ ৩ বছর বয়স্ক গাভী বা RED HEIFER যার একটা পশমও লাল ছাড়া অন্য রঙয়ের হতে পারবে না, এমন গরু হত্যা করে, তা পুড়িয়ে, তার ছাইয়ের পানি দিয়ে গোসল করে পবিত্র হওয়ার পর তারা মসজিদে আকসার জমিতে ঢুকতে পারবে। তারপর সেটা ভেঙ্গে থার্ড টেম্পল বানালে তাদের প্রতীক্ষিত মাসীহাহ'র (পড়ুন আদ-দাজ্জাল) আবির্ভাব হবে। যে ইহুদিদের নিয়ে সারাবিশ্ব এই টেম্পল মাউন্ট থেকে শাসন করবে। এবং সারাবিশ্বে কথিত শান্তি ফিরিয়ে আনবে।
আমাদের ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ভাইদের গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া একটি খবর এখন দুনিয়া জুড়ে ভাইরাল, তাহল- ইহুদিরা আমেরিকা থেকে এই কর্মযজ্ঞের উদ্দেশ্যে ৫ টি লাল গরু আনিয়ে বায়তুল মাকদিসের নিকটবর্তী কোন এক স্থানে গোপনভাবে সেগুলো লালন পালন করেছে।
আর এই রামাদানের শেষ দশকে বা ঈদের দিন তারা তাদের কথিত পবিত্র হওয়ার রিচুয়ালটি পালন করতে যাচ্ছে। অর্থাৎ তারপর যেকোন সময়েই এই অভিশপ্ত ইহুদিরা আল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডকে গুড়িয়ে দিয়ে সেখানে তাদের কথিত থার্ড টেম্পল বানানোর কাজ শুরু করবে। যার প্রচারণা এবং তোড়জোড় তারা অনেক আগে থেকেই শুরু করেছে।
মসজিদে আকসা কে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এই অভিশপ্ত ইহুদিরা বহু আগে থেকেই প্রত্নতাত্ত্বিক খননের নামে আল আকসা কম্পাউন্ডের নিচে সুরঙ্গ খুঁড়ে এর ভিত্তিমূল ধ্বসিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সমগ্র মুসলিম উম্মাহ প্রতি আমাদের প্রথম কিবলা, ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র মিরাজের স্মৃতিবিজড়িত স্থান, নবী আলাহিমুসসালামদের পুণ্যভূমি রক্ষার আবেদন বারবার জানিয়ে আসছিলো হামাসের নেতৃত্ব এবং আল আকসা মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বাকি মুসলিম বিশ্ব থেকে আমরা দু'টাকার প্যাডে একটু বিবৃতি দেয়া আর কিছু রোমান্টিক র্যালি ব্যাতিত কার্যকর কিছুই করতে পারি নাই। এমনকি গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের আজ প্রায় ২০০ দিন হয়ে গেলেও হামলা গণহত্যা বন্ধের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা দূরে থাক, মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ত্রাণের ট্রাকগুলো ঢুকার ব্যবস্থা করতেও অক্ষম হয়েছি আমরা ২০০ কোটি মুসলিম দাবিদার।
আমাদের অনেকে বসে আছি মুসলিম বিশ্বের শাসকদের দিকে তাকিয়ে যে, তারা কিছু করবে। কোন পদক্ষেপ নিবে। আর এটা তো এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, এই শাসকরা মূলত জায়োনিস্ট ইহুদিদেরই পুতুল। তারা জনগণ যখনই এই ইহুদিদের বিরুদ্ধে গনআন্দোলনে নেমে পড়ে, তখন ইহুদিদের আজ্ঞাবহের মতো সর্ব প্রকারের হামলা মামলা নিজ জনগণের উপরই করে। এমনকি ইহুদিবাদীদের রক্ষা করতে নিজ জনগণকে গুলি করে হত্যা করতে পর্যন্ত কুণ্ঠিত হয় না। তারা ইহুদিদের পণ্য সরবরাহের জন্য বর্ডার উন্মুক্ত করে দিতে পারে, মুসলিম দেশের ভূখণ্ড ইসরাইলকে পণ্য সামগ্রী পরিবহনের জন্য খুলে দিতে পারে। কিন্তু গাজার মুজাহিদদের কোন সাহায্য করতে পারে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মদিনায় হিজরতের বহু আগে থেকেই মদিনায় ইহুদিদের তিনটা গোত্র বসবাসরত ছিল এই আশায় যে তাদের ধর্মগ্রন্থের ভবিষ্যৎবানী অনুযায়ী মদিনায় তথা ইয়াসরিবে শেষ নবীর আগমন ঘটবে। যিনি তাদের দুরবস্থা থেকে মুক্তি দান করে অন্য সকল জাতি ও ধর্মের উপর ইহুদিদের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করবেন। তারা নবীর বংশধর, নবীদের সন্তান, তাই তারা শ্রেষ্ঠ, এমন বর্ণবাদী ধারণা তাদের পূর্বে যেমন ছিল, আজও তেমনই আছে।
তবে তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী ভবিষ্যৎবানীকৃত বহু প্রতীক্ষিত সেই ত্রাণকর্তা, উদ্ধারকারী, মাসীহাহ'র আজও আগমন ঘটে নাই। অথচ বাস্তবতা হল, তাদের ধর্মগ্রন্থের ভবিষ্যৎবানী মতেই ঈসা ইবনে মারিয়াম এসেছিলো, কিন্তু তারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এমনকি হত্যা করতে পর্যন্ত উদ্যত হয়েছে, যদিও আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা নবী ঈসা আলাহিস সালামকে তাদের চক্রান্তের জাল থেকে উদ্ধার করে আসমানে তুলে নিয়েছেন।
তারমানে আপনাকে বলা হল যে, আপনাকে একটা উপহার দেয়া হবে সামনে। আপনি আশায় বসে রইলেন। কিছু সময় পর আপনাকে সেই উপহার দেয়া হল, আর আপনি তা অবজ্ঞা ভরে ফেলে দিয়ে গোঁ ধরে বসে রইলেন শুধু এইকারনেই যে, কেন আপনাকে আপনার চাহিদা মতো বস্তু উপহাররূপে দেয়া হয় নাই। কারণ, অনুগ্রহ করে আগে যেটা দেয়া হয়েছে, সেটা আপনার পছন্দ হয় নাই।
যাইহোক, ইহুদিদের সেই মাসীহাহ'র আশায় বসে থাকা শুধুমাত্র আত্মপ্রবঞ্চনা ছাড়া কিছু নয়। আর আমরা রাসুলুল্লাহ'র থেকে জানি, তাদের সেই প্রতীক্ষিত মাসীহাহ মূলত মাসীহ আদ-দাজ্জাল।
ইহুদিরা স্বভাবগতভাবেই কুটিল। মদিনায় অবস্থানকালে তারা মদিনার স্থানীয় দুই ভাতৃপ্রতিম গোত্র আওস এবং খাজরাজ এর মাঝে সর্বদা যুদ্ধ বাধিয়ে রাখতো। কখনোবা যদি আওস আর খাজরাজ পরস্পরের মধ্যে সন্ধি করে যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করতো, এই অভিশপ্ত ইহুদির দল নিজে থেকে গুপ্তহামলা করে, তার দায় অন্য গোত্রের উপর কৌশলে চাপিয়ে যুদ্ধ কখনো বন্ধ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতো। আর এই যুদ্ধের উসিলায় অস্ত্র বিক্রি, চড়া সুদের ঋণ দিয়ে দায়গ্রস্থ করে রাখাসহ নানা উপায়ে স্বার্থ হাসিল করার ব্যাপার তো ইহুদিদের মজ্জাগত এমন গুণ, যার লিগ্যাসি তারা হাজার হাজার বছর ধরে ধরে রেখেছে।
এই কথাগুলো কেন আনলাম? এজন্যই যে, বিশেষজ্ঞ ব্যাক্তিগন প্রবলভাবে ধারণা করেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংগঠিত করার পেছনের মূল কারিগর এই অভিশপ্ত ইহুদিরা। আর আপনি যদি তাদের এই মাসীহাহ কে দিয়ে জেরুজালেম কেন্দ্রিক বিশ্ব শাসন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পিছে তাদের শত শত বছরের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের সাথে আজ পর্যন্ত ঘটনাবলীকে মেলান, তাহলে দিবালোকের মতো স্পষ্ট দেখবেন তাদের এই হীন স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সম্পূর্ণ মানবজাতিকে কি ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে তারা ঠেলে দিয়েছে।
আপনি হয়তো এই খবর দেখেছেন বা জানেন, বিশ্বের নামকরা যত পর্ণগ্রাফিক সাইট আছে, তার প্রায় বেশিরভাগের মালিকানা এই ইহুদিদের। আজ আমাদের সোশাল মিডিয়ায় আসক্ত করে ফেলা হয়েছে, যার বেশিরভাগের মালিক ইহুদিরা, নয়তো ফান্ডিং করে পলিসি নিয়ন্ত্রণ করে। বিশ্বকে মূল্যহীন কাগুজে নোটের আর সুদি ব্যাংকিং ব্যবস্থার জালে আবদ্ধ করে ফেলার পিছনের কারিগরও এই ইহুদিরাই। আর এই অর্থব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করেই বিশ্বের দুর্নীতিবাজ নেতাদের হাতের মুঠে রেখে বিশ্ব রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের বাগ নিজেদের হাতে রেখেছে এই অভিশপ্ত ইহুদিরা।
আপনি দেখবেন তাদের পুতুল নাচের আসরের মতো মঞ্চের পেছনে থেকে সুতা নাড়তে। আর তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের দেখবেন কেউ আবোল তাবোল বলে, কেউ হেঁটে হেঁটে ঘুমায়। এরা সব খ্রিস্টান। আর প্রেসিডেন্ট নামের পুতুলের পিছে বা পাশে থেকে সুতা নাড়ানো সু-চতুর কারিগর হয় সেক্রেটারি অব স্টেট বা AIPAC এর মতো গোপন ইহুদি লবি। যেখানে থাকে এন্টোনি ব্লিঙ্কেন আর হেনরি কিসিঞ্জারের মতো ইহুদি।
কোরআন মাজিদে ইহুদিদের এই কুটিল স্বভাব বেশ ভালো ভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে। আবার খ্রিস্টানদের নিকট নবী ঈসা আলাইহিস সালামের কথিত হত্যার পিছে এই অভিশপ্ত ইহুদিদের জড়িত থাকার কারণে বিশ্বের মেজরিটি জনসংখ্যার নিকট এরা ধিকৃত এবং ঘৃণিত। যারফলে কয়েক হাজার বছর ধরে তারা নিজ ধর্ম পরিচয়ে সরাসরি কিছুই করতে পারে নাই। এর জন্য তাদের কোথাও কোথাও অন্য ধর্মের পরিচয়ে চলতে হয়েছে, যেথা পরিচয় প্রকাশ পেলেই হতে হয়েছে বিতাড়িত। ইহুদিদের গোয়েন্দাগিরি তে পারদর্শী হওয়ার এটাও সম্ভবত একটা কারণ। উগ্র শ্রেষ্ঠত্ববোধ আর ধর্ম পরিচয় নিয়ে এমন সংকটের কারণেই সম্ভবত তারা সারাবিশ্ব থেকে মানুষদের ধর্ম পালন বা ধর্ম পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার সিস্টেমটাকেই সেকুলারিজম দিয়ে বদলে দিয়েছে। তারা ব্যাতিত বাকি বিশ্বের মানুষদের হেদায়াতের আলোবিহীন উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরার জন্য মহান আল্লাহ্র সৃষ্টিতত্ত্ব কে বিবর্তনবাদ দিয়ে পরিবর্তন করে আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'লাকে চেনার নিদর্শনগুলোর উপর বিভ্রান্তির জাল জড়িয়ে দিয়েছে। আপনি এসবের পিছনের মূল ঘটক হিসেবে ইহুদিদেরকেই পাবেন। এরাই বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য পারমানবিক বোমার উদ্ভাবন করেছে। পর্দার আড়ালে কাজ করার কারণে এদের অসংখ্য গুপ্ত এজেন্ডা আজও অনেকের সামনে ধোঁয়াশা বা অস্পষ্ট।
আল্লাহ্র লানত এই অভিশপ্ত ইহুদিদের উপর। সুরাহ ফাতিহায় আমরা মাগদুবি 'আলাইহিম বলে প্রতিনিয়ত এই ইহুদিদের পরিণাম থেকেই আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাই। কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন, কেন আল্লাহ্ তা'লা ইহুদিদের পরিণাম থেকে আশ্রয় চাওয়াকে আমাদের জন্য অপরিহার্য করে দিয়েছেন?
এই ইহুদিরা মক্কার মুশরিকদের বুঝাতো 'তোমরা হকের উপর আছো', ফলে মক্কাবাসীর জন্য দ্বীন গ্রহণ কঠিন করে তুলেছিল। আবার মদিনার একদল মুনাফিক এদেরই নানান তৎপরতার কারণে তৈরি হয়েছিলো। মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকার পরও এরা গোপনে কুফফারদের সাহায্য সমর্থন করতো। নিজেদের নবীদেরকেই শুধু অন্যায়ভাবে হত্যা করে নাই, আমাদের নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও পর্যন্ত বিষ প্রয়োগে, যাদু করে, পাথর ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদের একদলকে মদিনা থেকে বিতাড়িত করে, আরেকদলের যুদ্ধে সক্ষম সকল পুরুষদের হত্যা, নারী ও শিশুদের দাস বানিয়ে তবেই মক্কা বিজয় করেছিলেন। তার পরবর্তী দশ-পনের বছরের মধ্যেই রোম এবং পারস্য সম্রাজ্য মুসলিমদের পদানত হয়। এর মানে এই না যে, এই ইহুদিরা অনেক শক্তিশালী, বরং তারা ছিল কূটকৌশলী।
আজও আমাদের অনেকে মনে করে ইহুদিরা অনেক শক্তিশালী, অনেক জ্ঞানী, অনেক বুদ্ধিমান। কারণ তারা এইভাবে চলে, এই ঐ খায় ইত্যাদি। অথচ বাস্তবতা হল, তারা বিশ্বের মেধাগুলোকে সামান্য অর্থের বিনিময়ে কিনে নিজেদের নামে চালিয়ে নিচ্ছে। নয়তো গড়পড়তা মেধা ইহুদিদের তুলনায় অন্যদের বেশি। তারা শুধু কূটকৌশলেই শ্রেষ্ঠ। কারণ এমন কূটকৌশল বাকি মানবসমাজের নিকট অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেমন- পর্ণগ্রাফি, সমকামিতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ছড়িয়ে যুবক যুবতিদের চরিত্রকে, বংশবৃদ্ধির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার মাধ্যমে ইহুদি এবং তাদের আজ্ঞাবহ বাদে অন্য যেকোন জাতির কর্মক্ষম জনশক্তিকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এর দ্বারা সুদি ব্যবস্থা ও মূল্যহীন কাগুজে মুদ্রার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সিস্টেম কব্জা করা। আর এই মূল্যহীন কাগজ দ্বারা বাকি বিশ্বের নেতৃত্বগুলোকে, মেধাবী ব্যক্তিগুলোকে কিনে ফেলা। নয়তো- 'তুমি আমার নও তো কারো নও' এই নীতি তে গুম করে, গুপ্তহত্যা করে অন্যদের অগ্রগতি রুখে দেয়া। মানবসমাজকে ধর্মহীন করে ফেলা, ইত্যাদি। এসব এমন ধ্বংসাত্মক কৌশল যার পাল্টা প্রয়োগ করে ইহুদিদের উপর বিজয়ী হওয়ার উপযুক্ত তারচেয়েও নিকৃষ্ট ব্যক্তি বিশ্ব জুড়ে পাওয়া বিরল। আর এটাই বর্তমানে ইহুদিদের শ্রেষ্ঠত্বের গোপন তত্ত্ব।
Comment