Announcement

Collapse
No announcement yet.

হিজবুল্লাহ অফিসিয়ালদের পেজার বিস্ফোরণ - আমাদের যে বার্তা দেয়...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • হিজবুল্লাহ অফিসিয়ালদের পেজার বিস্ফোরণ - আমাদের যে বার্তা দেয়...

    ঘটনাঃ গত ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ মঙ্গলবার, লেবাননের স্থানীয় সময় বিকাল ৩.৩০ থেকে শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত লেবানন ভিত্তিক শিয়া মিলিশিয়া সংগঠন 'হিজবুল্লাহ'র বিভিন্ন শ্রেণী ও পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়মিত ব্যবহার করা পেজার একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ জন নিহত এবং ২৮০০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। নিহত আহতদের কারো হাত উড়ে গেছে, কারো পেট, কারো মুখে ভয়াবহ রকমের জখম সৃষ্টি হয়েছে। এসময় প্রায় পুরো বৈরুত জুড়ে এম্বুলেন্সের সাইরেন আর রাস্তায় রাস্তায় আহতদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।

    ইসরাইলি নজরদারি প্রযুক্তি থেকে বাঁচার জন্য হিজবুল্লাহ নিজ দলের সদস্যদের সেলফোন ব্যবহারের বদলে 'পেজার' নামক অপেক্ষাকৃত অনুন্নত প্রযুক্তির মেসেজিং ডিভাইস তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলো নামক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে
    Rugged Pager AR-924 নামক মডেলের প্রায় ছয় হাজার ডিভাইস আমদানি করে প্রায় পাঁচমাস ধরে ব্যবহার করে আসছিল।

    পেজারঃ যা বীপার নামেও পরিচিত, এক ধরনের ওয়্যারলেস টেলিযোগাযোগ ডিভাইস যা আলফা-নিউমেরিক (টেক্সট) অথবা ভয়েস বার্তা গ্রহণ এবং প্রদর্শন করে। এগুলি 1980 এর দশকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। এই ডিভাইসগুলো আকারে খুব ছোট হয়, যাতে ক্যালকুলেটরের মতো একটা ছোট ডিসপ্লে, শর্ট মেসেজ লিখা ও সেন্ড করার উপযোগী কয়েকটা বাটন থাকে। ভিতরে থাকে একটা ছোট ব্যাটারি ও উপযোগী মাদারবোর্ড আর রেডিও সিগনাল আদান-প্রদানের ব্যবস্থা।



    বিস্ফোরকঃ এতো ছোট আটোসাটো একটা ডিভাইসে এক্সট্রা বিস্ফোরক রাখার ব্যবস্থা প্রায় অসম্ভবের বরাবর। আর তাই অনেক বিশেষজ্ঞ মতামত দিচ্ছেন যে- এটা ওয়্যারলেস ভাবে ডিভাইসের সফটওয়ারে বিশেষ ধরনের সিগনাল প্রেরণের মাধ্যমে ভিতরে থাকা লিথিয়াম ব্যাটারিকে উত্তপ্ত করে বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।

    তবে বিভিন্ন ফুটেজ দেখে বিস্ফোরণের ধরন এবং অতীত ব্যবহারের ইতিহাস আমলে নিয়ে বলা যায় ডিভাইসটির ভিতর এক্সট্রা বিস্ফোরক মজুদ থাকতে পারে। তারসাথে সে বিস্ফোরক কে ডেটোনেট করে বিস্ফোরণ তৈরি করার জন্য উপযোগী সিগনাল গ্রহণ করে তা প্রসেস করার মত সফটওয়ার এবং হার্ডওয়্যার ডিভাইসটিতে মজুদ ছিল। অথচ ডিভাইসটি আমদানি করা এবং অব্যাহত তিন থেকে পাঁচ মাস ধরে ব্যবহার করেও এমন কিছুর সন্দেহ অভিজ্ঞ হিজবুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ানদের হয় নাই। হতে পারে লিথিয়াম ব্যাটারির একটা কম্পার্টমেন্ট বিস্ফোরকপূর্ণ ছিল, যা স্ক্যানার মেশিনে ব্যাটারি হিসেবে শো করছিলো। আর ব্যাটারি খুলেই বা আর ক'জন দেখে।

    ভাবার বিষয়, কোন দুনিয়ায় বাস করছি আমরা, ক্যালকুলেটরের চেয়ে ছোট একটা ডিভাইস, যাতে কোন এপ্লিকেশন নাই। শুধু এক দু'লাইনের একটা টেক্সট মেসেজ আর সময় তারিখ শো করে। এমন একটা সাধারণ ডিভাইস দ্বারা হিজবুল্লাহ'র নীতিনির্ধারক ও সংগঠনের মাথাওয়ালা ব্যাক্তিদের এক ঘণ্টার মধ্যে নিউট্রালাইজড করে ফেললো ইসরাইল।

    চিন্তা করে দেখুন, হিজবুল্লাহ'র মোবাইল ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত, বদলে পেজার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত, পেজার তাইওয়ান থেকে আমদানির মাঝে ইসরাইল কীভাবে ঢুকে গেল। পেজারটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলো বিস্ফোরণ সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠাতা, হু চিং-কুয়াং বলেন, তার কোম্পানি একটি ইউরোপীয় ভিত্তিক কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ডিভাইসগুলি তৈরি করতে এবং তার কোম্পানির নাম ব্যবহার করতে। অর্থাৎ এই বর্বর যায়োনিস্ট গোষ্ঠী হয়তো শেয়ার কিনে ভিন্ন দেশের একটা প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যায়, নয়তো নিজস্ব লোক ঢুকিয়ে দেয়, নয়তো তথ্য চুরি করে কোন না কোন উপায়ে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করার প্রচেষ্টায় থাকেই।

    উদ্বেগের বিষয় দুনিয়ার প্রতিটি মানুষের জন্য, খাস করে আমরা যারা দুনিয়াকে এই জালিমদের কবল থেকে মুক্ত করার এবং আল্লাহ্‌র দ্বীন কায়েমের ফরজিয়াত পালনের কাজে নেমেছি। ফোন কলে আড়িপাতা, ইন্টারনেটে ফিল্টার বসিয়ে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, ফোন ট্র্যাকিং, স্পায়িং এর মত জঘন্য বিষয়গুলোর মাধ্যমে জায়োনিস্টদের দ্বারা আমরা আগে থেকেই নিষ্পেষিত হয়ে আছি। এখন নতুন যুক্ত হলো যেকোন সময় হাতের ডিভাইসটি বিস্ফোরিত হয়ে জীবনের ঝুঁকি বিষয়টি। আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামিন আমাদের হিফাজত করুন।

    প্রিয় ভাইয়েরা, অত্যাধুনিক ডিভাইসগুলো ব্যবহারের সময় আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এই প্রযুক্তিগুলো শত শত বছর ধরে গবেষণা করে জায়োনিস্ট ইহুদি লবি নিয়ন্ত্রিত ব্রিটেন এবং আমেরিকা তৈরি করেছে এবং ডেভেলপিং করেছে বিশ্বকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। আমাকে আপনাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য। দাজ্জালের হুকুমত কায়েমের জন্য। আমরা যেন এই ডিভাইসগুলো নিরাপদ ও নিরাপত্তার অনুভূতি নিয়ে ব্যবহার না করি। এই প্রযুক্তিগুলোকে যত উপকারী বলেই এডভার্টাইজ করুক না কেন, এসবের পিছনে মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের নিয়ন্ত্রণ অথবা আরও বেশি দুনিয়ামুখী বানানো এবং আল্লাহ্‌ রব্বুল ইজ্জতের সাথে আমাদের আরও বেশি সম্পর্কহীন করা।​

  • #2
    মুহতারাম ভাই, আপনি একটি সুন্দর ও জরুরী বিষয় তুলে এনেছেন। উম্মাহকে একটি সুন্দর সতর্ক ম্যাসেজ দিয়েছেন। বারাকাল্লাহু ফীক।

    Comment


    • #3
      দাজ্জালের হুকুমত কায়েমের জন্য। আমরা যেন এই ডিভাইসগুলো নিরাপদ ও নিরাপত্তার অনুভূতি নিয়ে ব্যবহার না করি। এই প্রযুক্তিগুলোকে যত উপকারী বলেই এডভার্টাইজ করুক না কেন, এসবের পিছনে মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের নিয়ন্ত্রণ অথবা আরও বেশি দুনিয়ামুখী বানানো এবং আল্লাহ্‌ রব্বুল ইজ্জতের সাথে আমাদের আরও বেশি সম্পর্কহীন করা।​
      মাশা-আল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। অনেক দিন পর আপনার পোস্ট পেলাম। আপনি সম্ভবত শেষ মে মাসে ফোরাম ভিজিট করেছিলেম। আপনার পোস্ট না পেয়ে একটু হতাশ হয়েছিলাম। ভাই আপনার প্রতি অনুরোধ আপনার ভাইদের ভুলে যাবেন না।

      আল্লাহ তা'আলা আপনাকে জি'হাদের এই বরকতময় পথে অবিচল রাখুক।

      Comment


      • #4
        এ ক্ষেত্রে করণীয় বলতে আমাদের কেবল আল্লাহ মুখিই হতে হবে।
        আমরা শুধু ডিভাইস ওএস টর ইত্যাদিকেউ নিরাপত্তা ভাববনা, বরং আমাদের মূল নিরাপত্তা দাতাতো হলেন রব্বে কারীম, ওয়াসীলা হলো সকাল সন্ধ্যার আজকার এবং যথাসাধ্য আসবাব গ্রহণ। আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চ গবেষণার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ মাধ্যম গ্রহণ করব এটা এ জন্য যে রব্ব হুকুম করেছেন। আর আমরা আশা রাখব রব্বই সকল কল্যাণ ও ক্ষতির মালিক তিনি চাইলে এসব আসবাব ছাড়াও কল্যাণ ও ক্ষতি সাধন করতে পারেন।

        সব মিলিয়ে, ইসলামের মূল কথা হলো আমাদের জন্য নির্ধারিত বিপদ গুলো আমাদের উপর আসবেই, এর ভয়ে দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে থাকা যাবেনা। বরং এজন্য আরো উৎসাহী হয়ে দায়িত্ব আদায়ে মনোনিবেশ করতে হবে যে, আমরা দায়িত্ব আদায় নাকরলেও বিপদে পড়বো তারচেয়ে দায়িত্ব আদায় করেই বিপদে পড়ি, এতে রব্বেকারীম বেশীই সন্তুষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ।

        হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে তাওফিক দিন যেন জালিমদেরকে আমরা প্রতিহত করতে পারি এবং জুলুম থেকে বেঁচে থাকতে পারি আমীন ইয়া রব্বাল 'আলামীন।

        জাযাকাল্লাহ খইরন আহসানাল জাযা মুহতারাম ভাই।
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Qa'qaa' View Post

          হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে তাওফিক দিন যেন জালিমদেরকে আমরা প্রতিহত করতে পারি এবং জুলুম থেকে বেঁচে থাকতে পারি আমীন ইয়া রব্বাল 'আলামীন।
          আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন

          Comment


          • #6
            আমার বিষয়টি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। যখন হিজবুল্লা ডিভাইসগুলো অর্ডার করে তখন ঐ কম্পানি ইসরাইলকে জানিয়ে দেয়, ফলে ইসরায়েলের গোয়েন্দারা সূক্ষভাবে পরিকল্পনা করে ডিভাইসগুলোতে অত্যাধুনিকভাবে বিষ্ফুরক সেট করে দেয়। এটিই বাস্তবতা মনে হচ্ছে। এখন থেকে ভাবতে হবে অন্যদের দ্বারা ইলেক্ট্রনিক / ডিভাইস প্রস্তুত করার ব্যাপারে। মুসলিমদের জন্য উচিত নিজেদের এলগরিদম প্রোগ্রাম নিয়ে আসা।

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, জাযাকাল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা ভাইদের লিখনির মাধ্যমে আমাদেরকে আরো উপকৃত করুন।

              Comment


              • #8
                মাশা-আল্লাহ, খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

                Comment


                • #9
                  আমাদের কিছু বিষ্যয়ে জেনে নেয়া দরকার । এখনকার সময়ের গোপন অস্ত্রের ব্যাপারে।
                  (১) ই এম পি যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে (২) হভানা সিন্ড্রোম ।

                  (১) ই এম পি যুদ্ধাস্তঃ আমার পাওয়া
                  সবচেয়ে কার্যকর রিপোর্ট - ২০১৯ সালের পেন্টাগনের প্রকাশিত। চিনের সামর্থ্যের উপর।
                  (২) হাভানা সিন্ড্রোমঃ ২০২১ সালে মুম্বায়ে গোপনীয় বৈঠকের আসা সি আই ইয়ের কর্মকর্তাদের সহ - সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সি আই ই -য়ের অন্যান্য কর্মকর্‌তাদের একসাথে আক্রমণ করে অসুস্থ করে দেয়। কেউ দায়িত্ব নেয় নাই। কিন্তু চিনের এ বিষয়ক সক্ষমতা এখানে ধারত্যব্য।

                  অন্যান্য আন-কনভেনশনাল যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে আমরা কৃত্রিম ভূমিকম্প, বন্যা , দাবানল সৃষ্টিকারী ব্যাবস্থাকে হিসেবে নিতে পারি। কিছুদিন আগে তুরস্কের ব্যাপক ভূমিকম্প, পাকিস্তানের উপর বন্যা এবং দুনিয়া ব্যাপী দাবানল গুলোর ব্যাপারে ধারনা করা হয় প্রযুক্তির প্রয়োগে এই গুলও ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। (
                  HAARP Technology )
                  মাওলানা আসেম ওমর (রহিমুল্লাহ) সাহেবের লেখা বই গুলোতে এই ধরনের ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছিল। আল্লাহই সম্যক অবগত। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে শত্রুর তৈয়ারি জানা দায়িত্ব হিসেবেই বুঝার চেষ্টা করছি। আল্লাহর মদদের সামনে এই সব কিছুই মাকড়সার জাল। আল্লাহ আফগানি শাহজাদাদের দিয়ে দেখায় দিয়েছেন। আল্লাহ হামাস দিয়ে দেখাই দিছেন।
                  Last edited by Rakibul Hassan; 2 days ago.
                  দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

                  Comment

                  Working...
                  X