Announcement

Collapse
No announcement yet.

মালহামাতুল কোবারার পদধ্বনি সিরিজ-2 (ভয়ানক আশঙ্কা)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মালহামাতুল কোবারার পদধ্বনি সিরিজ-2 (ভয়ানক আশঙ্কা)



    জায়নবাদী বিশ্বমোড়লের উত্থানের ডেমনিক কাল্টঃ


    জারজ হায়েনার ফাঁদের চক্রান্তে পারস্যের কৌশলঃ
    ইতিহাস প্রসিদ্ধ সুপার পাওয়ার জাতি পারস্য আজ পশ্চিমি ও জায়নদের চক্রান্তে ধুকতেছে! ইরানীয় সীমান্ত গ্রেটার ইজরায়েলের মানচিত্রের অধিভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও ইরান কেন ইজরায়েলের প্রধান শত্রু তার উত্তর নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক ভাষণেই সুস্পষ্ট- পারসিয়ান জাতি বলে উদ্ধৃত করে এই জনগণকে ইরানীয় ইসলামী বিপ্লবের গোষ্ঠী থেকে সসম্মানে পৃথক করে নিয়ে পারসিয়ান জাতির সাথে তার সহাবস্থানের বার্তা! এই জায়নিস্ট- পশ্চিমা আত্মার মিত্র পশ্চিমে খ্রিস্টবাদের যেমন কবর রচনা করেছে, এই অঞ্চলেও ইসলামী সভ্যতার কবর রচনা করে তাদের দেওয়া নব্য ইসলামী সভ্যতার সূচনা করতে চায়, যা আদতে ইসলাম নয়, জায়নদের তোড়ায় বর্ণিত তাদের দাসের জাতি! পারস্য বোদ্ধারা শয়তানদের এই চক্রান্ত ঠিক ই ধরতে পেরেছে, আর পেরেছে বলেই, এতো শত অপূরণীয় আঘাত প্রতিক্রিয়াহীনভাবে নীরবে সহ্য করে নিজের প্রক্সি কৌশল ও নিজেকে শক্তিশালি করার দিকেই ফোকাসড। কিন্তু রেড লাইনের পরেও ক্রিটিকাল রেড লাইন থাকে, আসলে যার পরে শত চাইলেও নিজেকে রক্ষার পর্যায়ে আর চুপ থাকা যায় না। ইরান তাই করল! কাজেই, ইরান ইজরায়েলে আগ্রাসন চালায় নি; বরং তাকে এই প্রতিক্রিয়া দেখাতে একরকম বাধ্য করা হয়েছে, আর বাধ্য যেহেতু করা হয়েছে, সেহেতু আমরা ইজরায়েলের এই বাধ্যকরনের নেপথ্য ও উদ্দেশ্য কি তা দেখার অপেক্ষায়...
    সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ গতিপথঃ
    পশ্চিমা ও ইজরায়েলের কিছু পক্ষ থেকে দাবি তোলা হচ্ছে- গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, প্রতিদিন পুরোদমে পুনর্গঠন কাজ চালালেও তা অন্তত ১৫ বছর সময় নিবে। সুতরাং, বুমেরাং হওয়ার আগে ইজরায়েলের উচিৎ যা কিছু ভূমি দখলে নিয়েছে তার সর্বোচ্চটুকু দখলে রেখে একটা শান্তি চুক্তিতে পৌঁছে যাওয়া। ইজরায়েলের এই যুদ্ধের নেপথ্য না জানা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে এমন বিলাস আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ইজরায়েলের নীতিনির্ধারণী শক্তি খুব ভালমতোই জানে বনের রাজা হওয়ার যুদ্ধে নেমে যাবার পরে তা থেকে সরে আসার আর কোন পথ থাকে না। কাজেই, এটা তাদের বনের রাজা সিংহ হবার লড়াই, যেটা থেকে শান্তিচুক্তির নামে সরে পড়া মানেও এই দাঁড়াবে লেজ গুটিয়ে পালানো! সুতরাং, অটো এই অঞ্চলের পরবর্তী রাজ হয়ে যাবে ইরান। আর একবার পরাজিত হওয়া শক্তি ২য় বার মাথা তুলে দাড়িয়ে হুংকার দিতেও সে এক সুদীর্ঘ পরিক্রমা! বিশ্ব শাসনের স্বপ্নে শুরু হওয়া এই প্রকল্প পুনর্বার অ্যামেরিকার কোলে বাঁচবে, অথচ খোদ অ্যামেরিকাই তো এখন এই অঞ্চলকে ফার্স্ট প্রায়োরিটি পলিসি বিদায় নেওয়ার সাতকলা পূর্ণ করেছে। কাজেই, আমরা তো মন থেকে চাইবই এই এই শান্তিচুক্তি হয়ে যাক, যা ইজরায়েলের বিদায় ঘণ্টা! কিন্তু এই শান্তিচুক্তি আমাদের আরেকটি নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে এনে দাড় করাবে, আখেরুজ্জামানের সুফিয়ানির ফেতনার আশংকা!
    যাইহোক, জায়নবাদি শক্তি বেচে থাকতে এই তবকায় তাদের প্রস্থান হতে দিবে না, আর দিতে চাইলে তো এই যুদ্ধকে ইরান পর্যন্ত এইভাবে উস্কানো এতো জরুরি ছিল না, একটা রওয়া-সওয়া পর্যায়েই থাকত। আর অ্যামেরিকা বেচারা জায়ন শক্তির চাহাদের বাহিরে গিয়ে কাজ করবার স্বাধীনতা আশুকালেই পেয়ে যাবে বলেও কোনভাবেই মনে হচ্ছে না, কাজেই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় তাকে এই যুদ্ধে জড়াতেই হবে। ইজরায়েলে কোনভাবেই এই অঞ্চলে নিজের আধিপত্য নিশ্চিত না করে অ্যামেরিকাকে চীনের পেছনে চলে যেতে দিবে না। বাকি থাকে উপদ্বীপের স্বীকৃতির বিনিময়! যা আপাত রাজনীতির কৌশলে অবাস্তব চাওয়া। সুতরাং, প্রবল সম্ভাবনা এই যে বিশ্ব এই মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক একটা মহাবিস্ফোরণ দেখার সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে, যা অবশ্যম্ভাবী।
    অচিরেই কি কি হতে পারেঃ
    কি হতে পারে তা বুঝার জন্য আগে আমাদের জানতে হবে এই যুদ্ধের নেপথ্য কি এবং কারা কারা এতে জড়িত ও বিস্ফোরণ পরবর্তী অবস্থায় কারা কারা এতে জড়িয়ে পড়ার ফ্রন্ট লাইনে। এটা মূলত ইজরায়েল শুরু করেছে তার গ্রেটার ইজরায়েল প্রজেক্টের অংশ হিসেবে, যার প্রাইমারি লক্ষ্য হচ্ছে- জেরুজালেম শহর কেন্দ্রিক তার ইহুদি রাষ্ট্র এবং সেই অভিষ্ঠে সফল হওয়ার স্বার্থে নিজেকে আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। আঞ্চলিক পরাশক্তির খেলায় ৪ জন প্রতিযোগী আছে- ইরান, তুরস্ক, সৌদি আরব ও শয়তান ইজরায়েল। ইরানের মত তুরস্ককে নিজের পরাশক্তির খায়েশ মিটাতেই বিস্ফোরণ পরবর্তী ফিল্ডে আসতে হবে আর চুপ থেকে ফায়দা লুটতে চাওয়া ইজরায়েলের অঘোষিত মিত্র সৌদি আরব না চাইলেও ইরান এমনকি প্রয়োজন দৃষ্টিগোচর হলে তুরস্কও তাকে বাধ্য করবে তার স্বঅবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে আসতে, কারণ পরাশক্তির এই দৌড়ে কেউই চাইবে না তার প্রতিদ্বন্দ্বী বহাল তবিয়তে থাকুক। চলুন দেখি, এই বিস্ফোরণের পর ইরান ও তুরস্ককে কেন যুদ্ধে ব্রত হতে হবে-
    ১। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জনগণের কাছে তাদের যে প্রমিস এবং ক্ষমতায় থাকার পেছনে তাদের যে ডক্ট্রিন তা রক্ষার স্বার্থে বিস্ফোরণ পরবর্তী যুদ্ধে তাকে জড়াতেই হবে। আর রাষ্ট্রীয় ডক্ট্রিনই যে রাজত্বের মুকুট সেটা কে না জানে।
    ২। নিজেদের পরাশক্তি হিসেবে এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন অর্জন তো বটেই বরং উদ্ভূত বাস্তবতায় সেই স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জেই এই যুদ্ধে ব্রত হওয়া আবশ্যক।
    ৩। এই যুদ্ধে জায়নরা জয়ী হলে আগত গ্রেটার ইজরায়েলের ঝড় একেবারে তাদের দোরগোড়ায় এসে সভ্যতা হিসেবে তাদের বিদায়ী ঘণ্টা বাজাতে থাকবে। সাথে ভূমি হারানোর শতভাগ নিশ্চয়তা!
    ৪। এমন আগ্রাসী রাষ্ট্রের প্রতিবেশী হওয়ার চেয়ে শান্তি পেতে চাইলে মরে যাওয়াও ভালো, তদুপরি সফল গ্রেটার ইজরায়েল জায়নবাদিদের বিশ্ব পরাশক্তির সুস্পষ্ট বার্তা, কিভাবে বিশ্বরাজনীতির এই ২ খেলোয়াড় চুপ মেরে বসে থাকে।
    ৫। জায়নবাদের বিজয়োত্তর ফ্রি কুর্দিস্তান রাষ্ট্রের নিশ্চয়তা আর তাতে ইরান, তুরস্ক ও রয়ে যাওয়া ইরাককে জবরদখল! অন্তত কুর্দি বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জে তো নিজ দেশের সীমায় যুদ্ধে নামতে হবে।
    সুতরাং, বিস্ফোরণ পরবর্তী সংঘাত অনিবার্য আর তাতে ইরানীয় বলয়ের সাথে তুর্কি বলয়ও যুক্ত হতে বাধ্য, যদি না তারা স্বেচ্ছায় উপরোক্ত ক্ষতিগুলোকে বরণ করে নিয়ে আবহমানকালের গর্বিত জাতি হিসেবেই বেচে থাকার রীতি বিসর্জন না দেয়। তবে অপেক্ষা শুধু সময়ের, যা এখনকার পরিস্থিতিতে নির্ধারণের ভার ইজরায়েলের হাতেই সোপর্দ হয়ে আছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হচ্ছে না, ইজরায়েল এখনই বিস্ফোরণের কাজটা করবে, করলে এতদিনে করে ফেলত; কারণ অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঘটাতে চাইলে আগুনের মধ্যেই পেট্রোল ঢালতে হয়, নিভু নিভু আগুনের অবশিষ্ট ছাইয়ে নয়। কাজেই, তারা কৌশলী আক্রমণ ই করবে, যা তারা করে আসতেছে। চূড়ান্ত লড়াইয়ের গতিপথ ও সময় নির্ধারিত হবে, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের পর- নতুন নেতৃত্বে, নতুন পরিকল্পনায়!
    আর যুদ্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত পরে যখন তারা যুদ্ধের মঞ্চে উপবিষ্ট হবে, তখন ইরান নিশ্চয় সৌদিকে গোপনে ইজরায়েলের খেদমত করতে দিবে না। বাধ্য করবে এই অঞ্চলে ক্ষমতার লড়াইয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে ফিল্ডে নিয়ে আসতে, কেননা এই যুদ্ধ তখন কেবল ইজরায়েলের সাথেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং হবে ইরান বনাম জায়নবাদি গোটা পশ্চিমা জোট! আর যদি যুদ্ধ এই পর্যায়ে চলে যায়, তখন এই অঞ্চল মালহামার দরজায় প্রবেশ করে গেল। কাজেই, এই যুদ্ধ হয়ে যাবে আঞ্চলিক পরাশক্তিদের সিংহ রাজের লড়াই থেকে বিশ্ব পরাশক্তিদের সিংহাসনের লড়াই! খুব সহজেই অনুমেয়, চিন-রাশিয়া অ্যামেরিকাকে নিজের ঘরে মোকাবিলার চেয়ে বরং তুলনামূলক তার ঘরে এসে মোকাবিলা করার সুযোগটা হাতছাড়া করবে না। কিন্তু, বেচারা রাশিয়া কি পারবে ইউক্রেনে ফেঁসে যাওয়া যুদ্ধ থেকে নিজেকে নিবৃত করে বিশ্বশাসনের যাদু কাঠি মধ্যপ্রাচ্যের অধিকারী বনার খেলায় মনোনিবেশ করতে। হায়রে, বেচারা চাইলেও তো তাকে তা দেওয়া হবে না, বরং জায়নবাদিদের বন্ধু পশ্চিমা বিভিন্ন জোট আরও বেশি সেই অঞ্চলে জড়িয়ে যাবে তাকে আটকে ফেলার খেলায়। কাজেই, ইরান কি পাবে তার প্রতীক্ষিত মিত্র রাশিয়া থেকে তার আশা করা সাহায্য! কিন্তু মিত্র চিনের জন্য কিন্তু এটা বিরাট সুযোগ মধ্যপ্রাচ্য থেকে অ্যামেরিকাকে সরিয়ে নিজে এই অঞ্চলে প্রক্সি সাম্রাজ্য কায়েম করার। but again, চীন কি পারবে আসতে এই যুদ্ধে ব্রত হতে?? এশিয়ার রাজনীতি ও সমরনিতি থেকে সুস্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, চীনকে ঐ অঞ্চলে আটকে ফেলতে জায়নবাদিদের খুব বড় বেগ পেতে হবে না, যদিও বা এখন পশ্চিমের পরিকল্পিত সময় নয়; কিন্তু জায়নবাদিরা কি তার স্বার্থ রেখে পশ্চিমের স্বার্থ দেখতে বসে আছে? সুতরাং, ইরান ও তুরস্ককে মাথায় রাখতে হবে, যে জোটকে মিত্র বা শ্ত্রুকে প্রতিহতকরনে তারা পাশে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেছে, বাস্তবতা কিন্তু পরিশেষে খুবি ভিন্ন!
    মধ্যপ্রাচ্যে বিস্ফোরণ পরবর্তী সম্ভাব্য পশ্চিমা পদক্ষেপঃ
    / রাশিয়াকে সীমান্তবর্তী ইউরোপিয়ান এবং মোটা দাগে গোটা EU কে নিয়ে আটকে ফেলা। প্রয়োজনে এক সময় পরাজিত ক্লান্ত-শ্রান্ত ভঙ্গুর সাদা ভল্লুক রাশিয়াকে নিজেদের অনুকূলে কাজে লাগানো, সিরিয়ার বিনিময়ে ইউক্রেনে ছাড়, তার জন্য এক সময় লোভনীয় চুক্তি হতে পারে as like end of cold war in 1990s.
    / ব্রিটেনকে সাথে নিয়ে অ্যামেরিকার সরাসরি নেতৃত্বে ফ্রন্ট লাইনে ভারতকে রেখে চিন-ভারত যুদ্ধ, যেখানে অষ্ট্রলিয়াসহ পূর্ব এশিয়ার বিশাল অঞ্চল চিনের বিরুদ্ধে অ্যাক্টিভ যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে, এমনকি তিব্বত থেকে তুরকিস্তান, তাইওয়ান তো বটেই হংকং ও হতে পারে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ও 7 sisters সঙ্কট এবং এশিয়ান ন্যাটো খুবি প্রাসঙ্গিক।
    (বি.দ্রঃ রাজনীতির জ্ঞান রাখে এমন কে না জানে বাংলাদেশের এই ২য় স্বাধীনতার কারিঘর অ্যামেরিকা! চিকেন নেকের চাপে ভারতকে অ্যামেরিকা বাধ্য করবে তার লাইনে চলতে, পরিণতি তো সামনেই- বিদ্রোহের দানা ভারতজুড়ে! পরাশক্তির স্বপ্ন দেখা ভারত কথা না ই মানতে পারে, যেমনটা করে আসতেছে সে রাশিয়ার সাথে সবচেয়ে বন্ধুবৎসল সুসম্পর্ক বজায় রাখার ধারাবাহিকতায়, সে ক্ষেত্রে ভারত নিজ স্বার্থে তার বাংলাদেশ নিয়ে নানা কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাক বা নাই চালাক অবশেষে সে দেখবে সে যুদ্ধের ফাঁদে পড়ে গেছে। চারদিকে বিদ্রোহ, মিয়ানমারের লেলিহান আগুনে বাংলাদেশে একদিন আগুন লেগে যাওয়া, আর সেই আগুনে ভারত না চাইতেও জড়িয়ে যাবে, সেই সুযোগ চীনও হাতছাড়া করবে না, পাকিস্তানের কাশ্মীরের এই তো সুযোগ, আর তখন ভারত বেচারা নিজেকে অ্যামেরিকার বলির পাঠা হতে বাধ্য হবে। অ্যামেরিকা ভারতকে দিয়ে চীনের বেড়ে যাওয়া ভাঁড় কেটে ছাটাই করে দিবে! এই জন্যেই বলা হয় অ্যামেরিকার বন্ধু যারা তাদের কি আর শ্ত্রু লাগে। মিয়ানমারের সংঘাত তাদের কেবল অভ্যন্তরীণ ভেবে যারা বসে আছে, তাদের যেন বোধ আসে, এটা এই অঞ্চলের একটা মাস্টার প্ল্যান! সুতরাং, ভারত যে পথে হাটতেছে, যেমনটা সাম্প্রতিক কাজান; প্রথম ভুক্তভোগী আমরাই হতে পারি- মিয়ানমারের লেলিহান আগুনের হল্কা আমাদের অভিমুখে থাবা মারতে মারতে একদিন দেখব বৃক্ষরাজির পাহাড়ে একদিন শিখার দহন লেগেই গেছে। )​

    / the central clash- burning middle east:
    অ্যামেরিকা সমস্ত শক্তি নিয়ে এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। জায়োনিস্ট লভির প্রভাব আছে এমন সব দেশ এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে আর কিছু পরোক্ষভাবে যুক্ত হবে। সুতরাং, এই ধ্বংসযজ্ঞের যুদ্ধে আরবের ময়দান কেমন হবে তার স্বরূপঃ
    ) ইরানঃ চিন-রাশিয়া জোট সাহায্যে প্রয়োজনে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত এগিয়ে আসতে না পারলে, ইরান কোনভাবেই পশ্চিমা জোটকে রুখতে সক্ষম নয়। সত্যিকার অর্থে, ইরান আধুনিক মুসলিম সভ্যতায় রাষ্ট্র হিসেবে idle, যারা বিপ্লবোত্তর সময় থেকে নিরন্তর সকল প্রকার অবরোধ মোকাবিলা করেও নিজেকে ক্ষমতার এমন মহীরুহে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু ম্যাসাকার হতে যাওয়া এই যুদ্ধে আসলে আগ্রাসী শক্তির সাথে জমিনের মোকাবিলায় সম্ভব নয়। তবে স্পষ্টতই, ইরান উপদ্বীপকে টারগেট করবে, যার ফলে পশ্চিম তাকে ম্যাসাকার না করে আস্তে ধীরে চলতে বাধ্য হবে, যেমনটা রাশিয়াকে পশ্চিম করতেছে পরমাণু শক্তির কারণে।
    ) তুরস্কঃ তুরস্ক যুদ্ধে নামতে গিয়ে দেখবে তাকে পায়ে ধরে টেনে- হিঁচড়ে আটকে রাখছে, পশ্চিমের পোষা তার জনগণ। পরবর্তী ধাপে আসবে সাইপ্রাস ফাঁদে তুরস্ককে আটকে ফেলার খেলা! নর্থ সাইপ্রাসে সাইপ্রাস রাষ্ট্রের যেকোন প্রকার আগ্রাসন সেটা এমনকি হতে পারে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র, তুর্কি জনগণ থেকে সরকার তখন মধ্যপ্রাচ্য নয়, এখানেই ব্যপকভাবে জড়িয়ে যাবে, সরকারের হাজারো উচ্চাকাঙ্ক্ষা তখন ক্ষুদার নিচে চাপা পড়ে যাবে। তাতেও না হলে, গ্রীসকে ফ্রন্টলাইনে রেখে তুর্কি-গ্রীস যুদ্ধও অস্বাভাবিক নয়!আর তাতে কি আর বলা লাগে, তুরস্ক বনাম পূর্ব ইউরোপ; তবে সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো এই শ্ত্রুতার নেতৃত্ব দেওয়া এরদোগান বা বর্তমান তুরস্কের রাজনৈতিক দর্শন আদতে টিকবে কি না বেশিক্ষণ! কতজন বসে আছে বিদ্রোহের আত্মায় করে ভর, আগুন লেগে গেলে অভ্যন্তরে থাকা খড়খড়ে কাঠগুলো সব জ্বলে উঠবে একের পর এক।

    আর ইরান-তুরস্ক উভয়ের জন্যে তো আছেই কুর্দিদের প্রক্সি খেলা! মিয়িয়ে পরা এই শক্তিকে ভাববার কারণ নাই, নিঃশেষ হয়ে গেছে, তাদের পরিপোষক প্রভু অ্যামেরিকা জায়নরা অনুমতি দিলেই তাদের আগুন লাগতে শুরু করবে একে একে।

    ) সৌদি-মিশর বা উপদ্বীপঃ প্রকৃতপক্ষে, এই দল অন্তত জায়নদের সাথে আঁতাত না করে যদি নিরপেক্ষও থাকত, তাও গাজার অনেক লাভ হত। কিন্তু, মনে হয় অ্যামেরিকা যদি ইউরোপকে নিয়ে মাঠে নামে তাহলে এই বলয় তার জনগণের হৃৎস্পন্দনের সাথেও গাদ্দারি করে পশ্চিমা জোটেই যোগ দিবে; আর ন্যারেটিভ তা আসলে যে কোন পরিস্থিতিতে একটা বানানো যায় ই। খুব সহজ ন্যারেটিভ হবে- ইরান আমাদের প্রধানতম শত্রু, দেখ- ইজরায়েল আমাদের হামলা করে নাই, হামলা করেছে- ই পারস্যবাদি ইরান! আল্লাহ, হেদায়াত দান করুন এবং এই চূড়ান্ত নিকৃষ্ট পথে ধাবিত না করুন।
    বি.দ্র.ঃ এই যুদ্ধটায় পশ্চিম-জায়ন অক্ষের বাহিরে very much actively সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হবে খ্রিস্টীয় ক্রুসেড শক্তি, তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। কাজেই, এটা একদিকে যেমন ইহুদি-খ্রিষ্টান বনাম মুসলিমদের ধর্মযুদ্ধ হয়ে গেল, যা এখনো তেমন ভাবে শুরু হয় নাই; অন্যদিকে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর- দক্ষিণ সমগ্র মানব সভ্যতার সভ্যতার সংঘাতেরও কেন্দভুমি হয়ে উঠবে এবং উঠতেছে, যে clash of civilization সেই আমেরিকান বুদ্ধিজীবী থিসিস করে বলেছিলেন অ্যামেরিকার একক ক্ষমতায়নের সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে।

    সুতরাং, এই মালহামা শুধু এক বিস্ফোরণের অপেক্ষায়। আর এই বিস্ফোরণ ঘটা ও না ঘটার সাথে অ্যামেরিকার নির্বাচনও অনেক বেশিই প্রাসঙ্গিক।

    প্রথম পর্ব লিঙ্কঃ

    https://dawahilallah.com/forum/%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2-%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE/%E0%A6%86%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A 6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE% E0%A6%A8/201204-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A 6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A 6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A 6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A7%A7





    ​​

    Last edited by al walid al Ḥaḍramī; 10-26-2024, 01:01 AM. Reason: কিছু বিষয় বড় হয়ে বিরক্তিকর ঠেকবে ভেবে অতি সংক্ষিপ্ত করে ফেলেছিলাম, তার কিছু বর্ণনা করলাম। আর সাথে পূর্বের পর্বের লিংকটা

  • #2
    মাশাআল্লাহ, সুন্দর বিশ্লেষণ

    এডিট করে পোস্টের নিচে আগের পর্বের লিঙ্ক দিয়ে দিলে সুবিধা হবে ইনশাআল্লাহ

    Comment


    • #3
      এ লেখাটি কার লেখা ভাই? ইনার কি অন্য কোন লেখা আছে?

      Comment

      Working...
      X