Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিশ্ব এখন মুমিনকে আহ্বান করছে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিশ্ব এখন মুমিনকে আহ্বান করছে

    পৃথিবীর সৃষ্টি থেকেই একটি বিষয় ধ্রুব সত্য যে, দুনিয়া যখন অন্যায়-অবিচারের গভীর অন্ধকার কূপে নিমজ্জিত হয়। পাপাচারে ছেয়ে যায় প্রতিটি জনপদ। পৃথিবী নামক এ গ্রহে প্রাণের আকুতিতে বৃক্ষ-তরুলতাগুলো করে ক্রন্দন। জুলুমের অমানিশায় ঘোর অন্ধকারে হারিয়ে যায় বিবেক নামের নিত্তি (নিক্তি)। মানুষ যখন পশুত্ত্বের (পশুত্ব/পশুর) রুপ নেয়, পরিনত (পরিণত) হয় ভয়ংকর দানবে। মনবের (মানবের) সম্মান, মর্যাদা, সম্ভ্রম, ইজ্জত লুণ্ঠিত হয় দিবালোকে। ধরণী হয়ে ওঠে এক জীবন্ত কারাগার। যখন ইনসাফ থাকে কফিনে বন্দি, ইজ্জত-সম্মান ঝুলে ফাঁসিতে, মানবের মানবতা পদদলিত হয়, মানুষ্য (মনুষ্য) চরাচরে জাহিলীয়াত চেপে বসে হিমলয়ের (হিমালয়ের) মত, আত্মার সম্পর্কে যখন বর্শা ঠুকে। ঠিক সেই সময়ে বিশ্ব বিধাতা এ ধরার অন্যায়-অবিচার,পাপাচার,পশুত্ত্বের (পশুত্বের) গ্লানি ও জাহিলীয়াতের অন্ধকার কূপ থেকে মর্ত্য ও মানবতাকে মুক্তির জন্য আলোকবর্তিকা হস্তে প্রেরণ করতেন নবী ও রাসূলগণ কে।

    কিন্তু সে ধারাবাহিকতা হযরত আদম(আলাইহিস সালাম) থেকে শুরু হয়ে কাল পরিক্রমার প্রবাহে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত ঘটে, যা ধ্রুব সত্য।

    এখন আর এ ধরার অন্যায়-অবিচার, পাপাচার, পশুত্ত্বের (পশুত্বের) গ্লানি ও জাহিলীয়াতের অন্ধকার কূপ থেকে মর্ত্য ও মানবতাকে মুক্তির জন্য আলোকবর্তিকা হস্তে কোন নবী-রাসূল আসবেন না।

    নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত, এ দীর্ঘ সময়ে উম্মাহ ধীরে ধীরে দ্বীন থেকে বিচ্যুতির আবর্তনে এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়া যেন অন্যায়। এ পৃথিবীতে তাদের জম্মই হয়েছে যেন দাসত্ব, লাঞ্চনা-বঞ্চনা, অপমান-অপবাদ ও জুলুম-নির্যাতন কে আলিঙ্গন করার জন্য।

    বর্তমান বিশ্বের রাষ্ট্র ও সমাজ, অতীতের সকল জাহিলীয়াত কে অতিক্রম করে, এমন এক জাহিলীয়াতের অন্ধকার কূপে নিমজ্জিত, যার উপমা পৃথিবীর ইতিহাসের কোন পাতায় খোঁজে (খুঁজে) পাওয়া বিরল।

    এ অবস্থায় বিশ্বের সকল রাষ্ট্র ও সমাজের জাহিলীয়াতের অন্ধকারকে বিদূরিত করার জন্য প্রয়োজন নববী আদর্শে ও সাহাবায়ে কেরাম এর আলোকিত পন্থায়া (পন্থায়) উজ্জীপিত (উজ্জীবিত) একদল নিবেদিত মুমিন, যারা নববী আদর্শের সৈনিক। যারা ঈমানকে হৃদয়ের গভীরে ধারণ করে, জীবনকে উপভোগ করবে আদল ও ইনসাফের মানদণ্ডে এবং বান্দাকে বান্দার গোলামী থেকে মুক্ত করে, বান্দাকে রবের গোলামীতে আনায়ন (আনয়ন) করবে।

    অস্ত্র গোলা বারুদ, তথ্যপ্রযুক্তি, বুদ্ধি বৃত্তিক (বুদ্ধিবৃত্তিক
    ) ও সংস্কৃতিক (সাংস্কৃতিক) সকল আগ্রাসনকে ঈমান ও ইলমের সুপরিকল্পিত সমন্বয়ে মোকাবেলা করে সমস্ত জাহিলীয়াতের অন্ধকার বিদূরিত করতে তারাই হবে সক্ষম- ইনশা-আল্লাহ

    মহান রবের ফরমান-
    وَاَنۡزَلۡنَا الۡحَدِیۡدَ فِیۡہِ بَاۡسٌ شَدِیۡدٌ وَّمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَلِیَعۡلَمَ اللّٰہُ مَنۡ یَّنۡصُرُہٗ وَرُسُلَہٗ بِالۡغَیۡبِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ قَوِیٌّ عَزِیۡزٌ .
    এবং আমি অবতীর্ণ করেছি লোহা, যার ভেতর রয়েছে রণশক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। এটা এই জন্য যে, আল্লাহ জানতে চান, কে তাকে (তাঁকে) না দেখে তাঁর (দীনের) ও তাঁর রাসূলগণের সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাশক্তিমান ও সর্বময় ক্ষমতার মালিক।— সূরা আল হাদীদ - ২৫​

    وَمَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَالۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَآءِ وَالۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَہۡلُہَا ۚ وَاجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّاجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا ؕ
    (হে মুসলিমগণ!) তোমাদের জন্য এর কী বৈধতা আছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে সেই সকল অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্য লড়াই করবে না, যারা দু‘আ করছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা জালিম অন্যত্র সরিয়ে নাও এবং আমাদের জন্য তোমার পক্ষ হতে একজন অভিভাবক বানিয়ে দাও এবং আমাদের জন্য তোমার পক্ষ হতে একজন সাহায্যকারী দাঁড় করিয়ে দাও? —
    সূরা আন নিসা-৭৫​
    Last edited by Rakibul Hassan; 4 days ago.

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই...সুন্দর একটি লেখা আমাদের উপহার দিয়েছেন।
    আল্লাহ আমাদেরকে এমন মুমিনদের দলভুক্ত হওয়ার তাওফিক দিন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X