প্রিয় পাঠক।বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের কি বলতে চাচ্ছে?কোন জিনিসটি আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে?কোন ইতিহাস আজও আমাদের অজানা?কোন পথের পথিক এই মুসলিম উম্মাহ?
শতবছর পূরণ হতে না হতেই আমাদের অবস্থা আজ কোথায় এসেছে?কতোটা গাফেল হয়ে গেছি আমরা?কুফরির বেড়াজালে প্রতিনিয়তই নিজেকে জরিয়ে ফেলছি।ইমান কে হারানোর মধ্যে নেই আজ কোনো অনুশোচনা।অথচ এর থেকে মূল্যবান জিনিস আর কি-ই বা আছে?
সাধারণ কিছু ভোগ সামগ্রী আমাদের অবস্থা এতোটা দুর্বল করে দিয়েছে যে,আমরা আজ বন্দীর মধ্যেই মুক্তির আনন্দ খুঁজি।হায় আফসোস।
একবার কি ভেবে দেখেছেন,শুধু মাত্র শতবছর এর অল্প সময়ে কি করে আমাদের অতীত ঐতিহ্যের গৌরবময় ইতিহাসগুলো ভুলতে বসেছি?চারদিক বিবেচনায় দেখা যায় অধিকাংশ মুসলিম উমরাহর সন্তানরা তাদের অতীতের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নয়।
এই অল্প সময়ে এতোটাই গাফেল হয়ে গেলাম আমরা?বিগত ১৪০০ বছরের মধ্যে কখনোই মুসলিমদের মাঝে কোনরূপ অশ্লীলতা বা মুসলিম বিরোধী আচারে গণহারে লিপ্ত হবার নজির নেই, বরং উল্টোটাই দেখা যায় যে মুসলিমদের ঈমানী জোরের কারণে ইউরোপসহ সারা বিশ্ব তাদের আধিপত্য শেষ হবে এই ভয়ে থাকত।
কিন্তু আজ কেন এরকম হলো?পৃথিবীর চারিদিকে আজ মুসলিম উম্মাহর আর্তনাদ আর হাহাকার আমাদের হাতছানি দিচ্ছে তবুও আমরা শুনেও শুনছি না।পরে রয়েছি নিজেকে নিয়ে।আমাদের মধ্যে আজ সামান্য অনুভূতিও আসে না।চিন্তা করি না যে,সকল উম্মাহ তো আমার ভাই।তাদের কষ্ট গুলোতো আমারও কষ্ট।
আজ আমাদের কাছে ইসলাম একটি মধ্যযুগীয় কালচার ছাড়া কিছুইনা।এটি এখন আমাদের কাছে তুচ্ছ একটি বিষয়।নাস্তিকদের কালচার গুলো আজ আমাদের পছন্দনীয়।তাদের মতো চলতে আমরা ভালোবাসি।নিজেদের প্রতিটা পদক্ষেপে পদক্ষেপে তাদের কালচার গুলো অনুসরণ করি।না হয় আমি স্মার্ট হবো কি করে?
যে যুবক একসময় ছিল কাফেরদের আতঙ্ক সেই যুবক আজ নারীতে মগ্ন।যে যুবক ছিল রণাঙ্গনের একজন বীর সেনা সেই যুবক আজ ভীতু কাপুরুষ।যে যুবক ঘোরার পিঠে ছুটে চলতো শত্রুর মোকাবেলায় সেই যুবক আজ টাকার পেছনে চলছে ছুটে অবিরাম।
হাজার হাজার যুবক তাদের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করছে আল্লাহর নাফরমানিতে।হায় আফসোস বড়োই আফসোস।
যে নারী ছিল সন্তানের অনুপ্রেরণা,ভাইয়ের আদরের রাজকন্যা,বাবার স্নেহময়ী সেই নারী আজ পুরুষের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত।নিজেদের সবচেয়ে বড় সম্পদ আজ লুপুটে খাচ্ছে হাজারো পুরুষ।অথচ এটা এখন তাদের জন্য স্বাধীনতা।আজ আমাদের চিন্তাধারা কতোই না নিকৃষ্ট।
আমাদের গৌরবময় ইতিহাস কি আমাদের মনে একটুও আলোড়ন সৃষ্টি করে না?আমাদের কি একবারও মনে হয় না সকল কুফরি শক্তিকে ভেঙে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে?নাকি আমাদের কাছে নাস্তিকদের কালচার গুলোই বেশি পছন্দনীয়?
এমন হাজারো প্রশ্ন আমাদের চারিপাশে ঘুরছে।এসোব প্রশ্নের জবাব কি আমার আপনার কাছে আছে?
নিজেকে প্রশ্ন করুন যাচাই করুন আপনার অবস্থা এখন কোথায়?
পরিশেষে সকলকে আল্লাহ তায়ালার একটি বাণী সরণ করি দেইঃ
[৫:৫৪] আল মায়িদাহ
يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنوا مَن يَرتَدَّ مِنكُم عَن دينِهِ فَسَوفَ يَأتِي اللَّهُ بِقَومٍ يُحِبُّهُم وَيُحِبّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى المُؤمِنينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الكافِرينَ يُجاهِدونَ في سَبيلِ اللَّهِ وَلا يَخافونَ لَومَةَ لائِمٍ ذلِكَ فَضلُ اللَّهِ يُؤتيهِ مَن يَشاءُ وَاللَّهُ واسِعٌ عَليمٌ
হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনম্র এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তার সৈন্য হিসেবে কবুল করুক।আমীন ইয়া রব্বাল আল আমীন।
শতবছর পূরণ হতে না হতেই আমাদের অবস্থা আজ কোথায় এসেছে?কতোটা গাফেল হয়ে গেছি আমরা?কুফরির বেড়াজালে প্রতিনিয়তই নিজেকে জরিয়ে ফেলছি।ইমান কে হারানোর মধ্যে নেই আজ কোনো অনুশোচনা।অথচ এর থেকে মূল্যবান জিনিস আর কি-ই বা আছে?
সাধারণ কিছু ভোগ সামগ্রী আমাদের অবস্থা এতোটা দুর্বল করে দিয়েছে যে,আমরা আজ বন্দীর মধ্যেই মুক্তির আনন্দ খুঁজি।হায় আফসোস।
একবার কি ভেবে দেখেছেন,শুধু মাত্র শতবছর এর অল্প সময়ে কি করে আমাদের অতীত ঐতিহ্যের গৌরবময় ইতিহাসগুলো ভুলতে বসেছি?চারদিক বিবেচনায় দেখা যায় অধিকাংশ মুসলিম উমরাহর সন্তানরা তাদের অতীতের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নয়।
এই অল্প সময়ে এতোটাই গাফেল হয়ে গেলাম আমরা?বিগত ১৪০০ বছরের মধ্যে কখনোই মুসলিমদের মাঝে কোনরূপ অশ্লীলতা বা মুসলিম বিরোধী আচারে গণহারে লিপ্ত হবার নজির নেই, বরং উল্টোটাই দেখা যায় যে মুসলিমদের ঈমানী জোরের কারণে ইউরোপসহ সারা বিশ্ব তাদের আধিপত্য শেষ হবে এই ভয়ে থাকত।
কিন্তু আজ কেন এরকম হলো?পৃথিবীর চারিদিকে আজ মুসলিম উম্মাহর আর্তনাদ আর হাহাকার আমাদের হাতছানি দিচ্ছে তবুও আমরা শুনেও শুনছি না।পরে রয়েছি নিজেকে নিয়ে।আমাদের মধ্যে আজ সামান্য অনুভূতিও আসে না।চিন্তা করি না যে,সকল উম্মাহ তো আমার ভাই।তাদের কষ্ট গুলোতো আমারও কষ্ট।
আজ আমাদের কাছে ইসলাম একটি মধ্যযুগীয় কালচার ছাড়া কিছুইনা।এটি এখন আমাদের কাছে তুচ্ছ একটি বিষয়।নাস্তিকদের কালচার গুলো আজ আমাদের পছন্দনীয়।তাদের মতো চলতে আমরা ভালোবাসি।নিজেদের প্রতিটা পদক্ষেপে পদক্ষেপে তাদের কালচার গুলো অনুসরণ করি।না হয় আমি স্মার্ট হবো কি করে?
যে যুবক একসময় ছিল কাফেরদের আতঙ্ক সেই যুবক আজ নারীতে মগ্ন।যে যুবক ছিল রণাঙ্গনের একজন বীর সেনা সেই যুবক আজ ভীতু কাপুরুষ।যে যুবক ঘোরার পিঠে ছুটে চলতো শত্রুর মোকাবেলায় সেই যুবক আজ টাকার পেছনে চলছে ছুটে অবিরাম।
হাজার হাজার যুবক তাদের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট করছে আল্লাহর নাফরমানিতে।হায় আফসোস বড়োই আফসোস।
যে নারী ছিল সন্তানের অনুপ্রেরণা,ভাইয়ের আদরের রাজকন্যা,বাবার স্নেহময়ী সেই নারী আজ পুরুষের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত।নিজেদের সবচেয়ে বড় সম্পদ আজ লুপুটে খাচ্ছে হাজারো পুরুষ।অথচ এটা এখন তাদের জন্য স্বাধীনতা।আজ আমাদের চিন্তাধারা কতোই না নিকৃষ্ট।
আমাদের গৌরবময় ইতিহাস কি আমাদের মনে একটুও আলোড়ন সৃষ্টি করে না?আমাদের কি একবারও মনে হয় না সকল কুফরি শক্তিকে ভেঙে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে?নাকি আমাদের কাছে নাস্তিকদের কালচার গুলোই বেশি পছন্দনীয়?
এমন হাজারো প্রশ্ন আমাদের চারিপাশে ঘুরছে।এসোব প্রশ্নের জবাব কি আমার আপনার কাছে আছে?
নিজেকে প্রশ্ন করুন যাচাই করুন আপনার অবস্থা এখন কোথায়?
পরিশেষে সকলকে আল্লাহ তায়ালার একটি বাণী সরণ করি দেইঃ
[৫:৫৪] আল মায়িদাহ
يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنوا مَن يَرتَدَّ مِنكُم عَن دينِهِ فَسَوفَ يَأتِي اللَّهُ بِقَومٍ يُحِبُّهُم وَيُحِبّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى المُؤمِنينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الكافِرينَ يُجاهِدونَ في سَبيلِ اللَّهِ وَلا يَخافونَ لَومَةَ لائِمٍ ذلِكَ فَضلُ اللَّهِ يُؤتيهِ مَن يَشاءُ وَاللَّهُ واسِعٌ عَليمٌ
হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনম্র এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তার সৈন্য হিসেবে কবুল করুক।আমীন ইয়া রব্বাল আল আমীন।