Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইবলিসের সংসদ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইবলিসের সংসদ

    প্রাচ্যের দার্শনিক কবি ইকবালের কল্পনা শক্তিকে আমাদের অভিনন্দন। ইসলামি জীবন বিধানের অধিকারী মুসলিম উম্মাহই যে জাহেলিয়াতের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী এবং জাহেলিয়াতের মৃত্যু পরোয়ানা বহনকারী সেটা জাহেলিয়াতের জন্মদাতা 'শয়তান রাজীম'-এর চেয়ে ভালো আর কে জানবে? আল্লামা ইকবাল ইলিসের সংসদ নামে তাঁর অনবদ্য এক কবিতায় শয়তানের কল্পিত (তবে বাস্তব) বক্তব্য এভাবে তুলে ধরেছেন-

    ইবলিসের পরামর্শসভা নাকি বসেছিলো ১৯৩৬ এর কোনো এক সময়, কোনো এক জায়গায়!
    সময় ও স্হান অবশ্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো পরামর্শসভার আলোচ্যবিষয়, আলোচনা এবং ইবলিসের বয়ান। ইবলিসের নামীদামী অনুচর ঐ পরামর্শসভায় যোগ দিয়েছিলো। আলোচ্য বিষয় ছিলো "আগামী দিনের সম্ভাব্য বিপদ", যা ইবলিসের রাজ্যত্বকে ধ্বংস কর দিতে পারে। এক একটি অনুচর ভিন্ন ভিন্ন বিষয়কে বিপদ বলে চিহ্নিত করলো এবং প্রতিকারের সুপারিশ করলো।

    এক'জন বললো_
    হুজুর, অনেক দেখে শুনে মনে হয় গনতন্ত্রই হলো আসল বিপদ। কারণ তা রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে জনগনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
    দ্বিতীয়জন বললো_
    না জনাব! গনতন্ত্রে ভয়ের কিছুই নেই। আসলে রাজতন্ত্রের চেহারাকে আড়াল করার জন্য আমিই গনতন্ত্রের মুখোশ তৈরী করেছি। প্রয়োজন ছিলো। কারণ মানুষ ধীরে ধীরে নিজেদের মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। তো তাদের শান্ত করার জন্যই হচ্ছে আমার তৈরী গনতন্ত্রের দাওয়াই, যাতে রাজতন্ত্রের সব খান্নাছি বহাল তবিয়তে থাকে। রাজতন্ত্রীয় চরিত্র ব্যক্তির মধ্যে যেমন থাকে তেমনি থাকতে পারে দল, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় ও জাতির মধ্যেও। রাজতন্ত্রের মূলকথা হলো শোষণ, সেটা রাজার পক্ষ হতে প্রজাসাধারণকে হোক, আর সরকার পক্ষ হতে জনসাধারণকে হোক, তাছাড়া আগে যুদ্ধ হতো দুই দেশের দুই রাজার, এখন হয় এক দেশের দুই দলে। মন্দ কী? 'চেঙ্গিস খান ও চার্চিল খান' পার্থক্য কোথায়?

    আরেকজন বললো_
    বুঝলাম, কিন্তু কার্লমার্কস নামের ঐ হতচ্ছাড়া ইহুদি সম্পর্কে আপনার কী মত যে, সমাজতন্ত্রর নামে ইতিমধ্যে বিরাট ফেতনা খাড়া করে ফেলেছে? খবর রাখেন? শ্রেণী-সংগ্রামের নামে দুনিয়ার সমস্ত শোষিতকে শোষকের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। লোকটা নবী তো মোটেও নয়, তবে সঙ্গে কিতাব আছে একখানা!
    আরেকজন সরাসরি 'ছদরে মজলিস' ইবলিসকে সম্বোধন করে বললো_
    হুজুর!!! ফেরআউনের যাদুগরদের মত যদিও ইউরোপের যাদুগরেরা আপনার অনুগত মুরিদ, কিন্তু তাদের বুদ্ধি -চালাকির প্রতি আমার আস্হা নেই। নইলে দেখুন, এই ইহুদীর বাচ্চা সামেরি, সমাজতন্ত্রের নামে দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছে। আমার তো আশঙ্কা হুজুরের রাজত্ব এর হাতেই না শেষ হয়!
    সব অনুচরের বক্তব্য শেষ হলে ছদরে মজলিস এভাবে তার বয়ান শুরু করলো_
    'তোমরা যেগুলো বলেছো এগুলো কোনো সমস্যা নয়, দুনিয়ার যেখানে যা কিছু হয় কলকাঠি তো আমিই নারি। ইউরোপে এইসা 'গুড়' লাগাবো যে, অবশেষে শুরু হয়ে যাবে কুকুর-নেকড়ে কামড়াকামড়ি। তাছাড়া রাজনৈতিক মোড়ল আর গীর্জার গুরুদের কানে কানে ফুঁকে দেবো এমন এক মন্ত্র, দেখবে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে সবাই কেইসা লড়াই শুরু করে। আর সমাজতন্ত্রের কথা বলছো না, প্রকৃতি মানুষে মানুষে যে পার্থক্য সৃষ্টি করেছে, দর্শনে তা দূর হবে না। সমাজতন্ত্র নিজেই বরং মুখ থুবড়ে পড়বে।


    এরপর ইবলিস আসল খাতরা সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করলো এভাবে_
    ভয় যদি কাউকে আমি করি তাহলে শুধু এই উম্মতকে কে করি, যাদের ছাইয়ের নিচে আগুন থাকে। এখনো ধিক ধিক জ্বলে আগুনের স্ফুলিঙ্গ, যাদের মধ্যে আছে এখনো এমন "যালিম" রাতের আখেরী প্রহরের অশ্রু দিয়ে যারা অযু করে। যার কাছে আছে ভিতরের খবর সেই জানে আগামী দিনের বিপদ ইসলাম, শুধুই ইসলাম!!!
    জানি, এই উম্মত কোরআন ছেড়ে দিয়েছে; পদ ও মালের বন্দেগী শুরু করেছে। আরো জানি মাশরিকে যদিও এখন রাতের আঁধার, কিন্তু হারামের মোল্লাদের কাছে নেই মূসার "ইয়াদে বায়যা", যা দূর করতে পারবে সব আধাঁর এবং সারা বিশ্বেকে করতে পারে আলোকিত। কিন্তু আমার ভয়, যুগের দুর্যোগের ঝাঁপটায় আবার না ভেঙে যায় তাদের ঘুম আর না আঁকড়ে ধরে ফের মুহাম্মাদে আরাবীর শরীয়ত। সাবধান, দ্বীনে মুহাম্মাদী থেকে সাবধান। ভাগ্য ভালো বলে এখনও তারা ঘুমিয়ে আছে। যতদিন পারো, যেভাবে পারো, ঘুম পাড়িয়ে রাখো।

    সংগৃহীত_
    মুসলিম উম্মাহর পতনে বিশ্বের কি ক্ষতি হলো_ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদবী
    আমরা কখনো তাগুতের কাছে আত্মসমর্পণ করি না,
    হয়তো সাহায্য প্রাপ্ত হই নয়তো শহীদ হই।

    _শহীদ উমর আল-মুখতার

  • #2
    ভাই, শুধু জানার জন্য একটি জিজ্ঞাসা-
    আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত শয়তান ইবলিসকে ‘হুজুর’ বলে সম্বোধন করা কতটুকু মুনাসিব হয়েছে?
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by abu ahmad View Post
      ভাই, শুধু জানার জন্য একটি জিজ্ঞাসা-
      আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত শয়তান ইবলিসকে ‘হুজুর’ বলে সম্বোধন করা কতটুকু মুনাসিব হয়েছে?
      মুহতারাম ভাইজান!
      এখানে তাকে হুজুর বলে তাকে সম্বোধন করা হয়েছে তাকে মূলত অপমান করার জন্য। কারণ যে যার যোগ্য না তাকে সে নামে অপমান করার জন্য সম্বোধন করা হয়। আশাকরি বুঝাতে পেরেছি!
      আমরা কখনো তাগুতের কাছে আত্মসমর্পণ করি না,
      হয়তো সাহায্য প্রাপ্ত হই নয়তো শহীদ হই।

      _শহীদ উমর আল-মুখতার

      Comment

      Working...
      X