‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও সংবিধানের মাথার উপর বিসমিল্লাহ রেখে কোনোভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করে দ্রুত তা কার্যকর করতে হবে।’
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক’ আলোচনা সভায় লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির এ কথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ সরকার মুখে যতটা হিন্দুবান্ধব, কাজে মোটেই ততটা নয়। বরং উল্টো। বেলায় ২০০৮ সালে সরকারে ৩ জন হিন্দু মন্ত্রী ছিল, কিন্তু ২০১৪ সালের এই সরকার মাত্র একজন হিন্দু প্রতিমন্ত্রী কেন? কেন একজন হিন্দুকে পূর্ণমন্ত্রী করা হলো না?’ বলেন শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়া এই বিসমিল্লাহ সংযোজন এবং কোরআন এর আইনমতো দেশ পরিচালনা করেছিলেন। এরশাদ এসে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংযোজন করলেন।’
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে সংখ্যালঘুরা সমান অধিকার ও যথাযথ নিরাপত্তা পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ওলামা লীগ পাঠ্যবই থেকে হিন্দু সংস্কৃতি বাদ দেয়ার দাবি তুলেছে। এই দাবি তুলেছিলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদ। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন হয়ে কীভাবে দলটি এমন দাবি তোলে?’ সরকারের প্রতি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন শাহরিয়ার।
পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলেই স্পষ্ট হবে বৃহৎ রাজনৈতিক দলটি আবারো আওয়ামী মুসলিম লীগে পরিণত হওয়ার পথে হাঁটছে কিনা- বলেন ঘাতক দালাদ নির্মূল কমিটির এ নেতা।
সংগঠনের খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিচারপতি সামছুদ্দিন মানিক, কাজী মুকুল, প্রফেসর ড. অর্ণিবান মোস্তফা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইউনুস আলী ইনু প্রমুখ।
উৎসঃ বাংলামেইল২৪
Comment